রঙবাহারী

রসুনের উপকারিতা
(গত সংখ্যার পর)
ফুসফুসের সংক্রমণ প্রতিরোধে : ফুসফুসে বিভিন্ন কারণে সংক্রমণ হতে পারে। অ্যালার্জি সমস্যা, ঠান্ডা লাগার প্রবণতা থেকে ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটতে পারে, যা থেকে মুক্তি পেতে রসুন পিষে রস খেলে সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি রোধ করে, সঙ্গে হলুদগুঁড়া গরম পানি দিয়ে চায়ের মতো খেলে সংক্রমণ থাকে না। আর প্রতিদিন দুই কোয়া রসুন খালি পেটে খাওয়া ফুসফুসের সংক্রমণ রোধে অত্যন্ত কার্যকর।
রক্ত পরিশোধিত করে : প্রতিদিন দুই কোয়া রসুন খালি পেটে খেলে রক্তের পরিশোধনক্ষমতা বেড়ে গিয়ে রক্ত চলাচলে স্বাভাবিক গতি ফিরে আসে, তাতে শরীর ভালো থাকে, নিরোগ দেহের জন্য সাবলীল রক্ত চলাচল অত্যন্ত কার্যকর একটি উপায়।
ত্বক ভালো রাখে : প্রতিদিন দুই কোয়া রসুন খালি পেটে খেলে ত্বক ভালো থাকে, ত্বকে বার্ধ্যকের ছাপ পড়ে না, চেহারায় কোনো দাগ থাকলে কমে যায়।
রসুন ত্বক ভালো রাখতে সহায়তা করে: শরীরে অবাঞ্ছিত ফোলা বা গোটা অনেকের শরীরে বিভিন্ন জায়গায় ফোলা পিণ্ড থাকে, বাড়ে কমে না, ব্যথাও করে না, কিন্তু ফোলাটা মিশেও না, এমন ফোলা বা গোটা শরীর থেকে মুছে ফেলতে প্রতিদিন ছয়-আট কোষ রসুন সকালে খালি পেটে এবং দুপুর ও রাতে খাবার পর দুইটি করে রসুন কোষ খেলে ফোলাটা ধীরে ধীরে মিশে যাবে। অথবা দুই কোয়া রসুন হালকা করে ভেজে তা খেতে হবে।
সেল ড্যামেজ রোধ করে : রসুনে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ‘সেল ড্যামেজ’ ও ‘এজিং’ রোধ করে। ব্রেনের সেল ড্যামেজ কম হয়ে আলঝেইমারস ও ডিমেনশিয়ার মতো রোগের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
হাড়ের শক্তি বাড়ায় : একটা বয়সের পর বিভিন্ন কারণে নারীদের হাড়ের শক্তি কমে যায়। প্রতিদিন ২ গ্রাম করে রসুন খেলে নারীদের শরীরে ইস্ট্রোজেনের মাত্রায় ভারসাম্য থাকে, যাঁদের কম থাকে, তাঁদের কিছুটা বাড়ে। ফলে হাড়সংক্রান্ত সমস্যা অনেকটা কমে যায়। এমনকি যে নারীদের মেনোপোজ হয়ে গেছে, তাঁরাও নিয়মিত রসুন খেলে অনেক উপকার পাবেন।

রান্নায় রসুনের উপস্থিতি গুরুত্বপূর্ণ : রসুনের বিভিন্ন ডোজ হয়ে থাকে, রান্নায় ও নানা ভর্তায় রসুনের উপস্থিতি থাকে। রসুনের গুণ পেতে সকালে খালি পেটে খাওয়া উত্তম, আমাদের গ্রামবাংলায় রসুন–মুড়ি খাওয়ার একটা প্রবণতা আছে, এতে কিছু উপকার হলেও বিশেষ করে উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যায় কিছু ভালো ফল পাওয়া গেলেও সব ঔষধি গুণ পাওয়া যাবে না।


অনেকের ধারণা, অ্যাজমার জন্যও রসুন উপকারী, কিন্তু ব্যাপারটা ভিন্ন, এ ক্ষেত্রে অ্যান্টিফাঙ্গাল সক্রিয়ভাবে কাজ করে কিন্তু অ্যালার্জিক অ্যাজমা থাকলে রসুন অ্যালার্জি বাড়াতে পারে কারও কারও ক্ষেত্রে। এ ছাড়া অস্ত্রোপচারের আগে বা পরে রসুন এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শই দেন বিশেষজ্ঞরা। অনেকের রসুনে অ্যালার্জি হয়ে থাকে, আর নিয়মিত এটি খেলে যদি কোনো অসুবিধা বোধ করেন, তখন রসুন না খাওয়াই ভালো, তবে স্বাস্থ্য রক্ষায় প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি এটি নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন। অনেক ধরনের রসুন বাজারে পাবেন, তার মধ্যে দেশি এককোষী রসুন সবচেয়ে ভালো।
শিক্ষণীয় গল্প
একজন সামুদ্রিক জীববিজ্ঞানী জলে ভর্তি এক বড় ট্যাঙ্কে একটি তিমি মাছকে রাখলেন। কিছুক্ষণ পরে সেই ট্যাঙ্কে তিনি কিছু ছোট মাছকে ফেলে দিলেন।
ছোট মাছগুলিকে দেখা মাত্রই তিমিটি দ্রুত সেই মাছগুলিকে খেয়ে ফেলল। এরপর সেই জীববিজ্ঞানী আরও কিছু ছোট মাছকে সেই ট্যাঙ্কে ছেড়ে দিলেন। কিন্তু সেই মাছগুলিও দ্রুত সেই তিমির শিকার হয়ে গেল।
কিছুদিন এভাবে চলার পর সেই জীববিজ্ঞানী ট্যাঙ্কের মাঝ বরাবর একটি শক্ত কাঁচ দিয়ে দিলেন। এবার ট্যাঙ্কটি দুটি ভাগে ভাগ হয়ে গেল। এক পাশে তিমিটি ছিল, আর অন্য পাশে বিজ্ঞানী কিছু ছোট মাছ ছেড়ে দিলেন। যেহেতু কাঁচটি দিয়ে এপার-ওপার সহজেই দেখা যায়, মাছগুলিকে দেখা মাত্রই তিমিটি সেগুলির দিকে তেড়ে গেল, কিন্তু যেহেতু মাঝ বরাবর কাঁচ রয়েছে সেহেতু সে অপর পাশে গিয়ে মাছগুলিকে খেতে পারল না। সে অনেক চেষ্টা করেও সফল হতে পারল না।
এভাবে কয়েকদিন চলল। এবার তিমিটি চেষ্টা করাও ছেড়ে দিল। সে ভাবল এই কাঁচটি তার পক্ষে ভেদ করে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই সে তার অংশটিতেই চুপচাপ বসে থাকে।
কিছুদিন পর জীববিজ্ঞানী সেই কাঁচ টিকে ট্যাঙ্ক থেকে বাইরে বের করে দিলেন। কিন্তু তিমিটি আর সেই মাছগুলিকে খাওয়ার চেষ্টাও করল না। কারণ তার মনে সেই কাঁচটির অবস্থান জুড়ে গেছে। আর সে ভেবে নিয়েছে যে, সে আর ওই পারে গিয়ে মাছগুলিকে খেতে পারবে না। অথচ সে যদি এখন সেই ছোট মাছগুলিকে খাবার চেষ্টা করে, সে অনায়াসেই মাছগুলিকে খেতে পারবে।

কৌতুক
স্ত্রী : মেহমান আসতেছে, কিন্তু ঘরে ডাল ছাড়া কিছু নাই, কী করবো এখন?
স্বামী : যখন উনি আসবেন, তখন কিচেনে একটা বাসন ফেলে দিবে।
স্ত্রী : ফেলে দিলে কী হবে?
স্বামী : আমি জিজ্ঞেস করবো, ‘কি হইছে?’ তুমি তখন বলবে কোরমা পড়ে গেছে।
স্ত্রী : গেল কোরমা। তারপর?
স্বামী : এরপর আরেকটা বাসন ফেলবে। তুমি তখন বলবে, ‘বিরিয়ানি পড়ে গেছে’। তখন আমি বলবো, ‘ঠিক আছে, ডালই নিয়ে আসো’। মেহমান তখন কিছু মনে করবে না।
তো মেহমান আসার পর কিচেন থেকে বাসন পড়ার শব্দ আসল-
স্বামী : কি হয়েছে?
স্ত্রী : ডালই পড়ে গেছে!

Comments

comments

About

Check Also

রঙ্-বাহারি

বুক রিভিউ বালাই হাওরের কান্না : কান্না থামে না যে বই পড়লে আল্লামা ইমাদ উদ্দিন …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *