রঙবাহারী

আদার ঔষধি গুণ
আদা একটি খুব ভাল ঔষধি হিসাবে পরিচিত। আদাতে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই এবং বি কমপ্লেক্স থাকে। এটি ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, সিলিকন, সোডিয়াম, আয়রন, দস্তা, ক্যালসিয়াম, বিটা ক্যারোটিন জাতীয় খনিজ সমৃদ্ধ। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।
পেট খারাপ থেকে মুক্তি দেয় : পেট খারাপ হওয়া রোধ করতে আদা বেশ সহায়ক। এটি গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ট্র্যাক্ট পেটের পেশী শিথিল করতে সহায়তা করে। সুতরাং এটি পেটের গ্যাস হ্রাস এবং ফোলা কমাতে উপকারী।
মলমূত্রের চিকিৎসা : যে কোনও ধরনের মলমূত্র চলছে। এক্ষেত্রে আদা ঔষধি হিসাবে কাজ করে। আদাতে উপস্থিত ভিটামিন বি-৬ মলকে নিয়ন্ত্রণ করে। এটি গর্ভবতী মহিলার পক্ষেও উপকারী প্রমাণ করে।
বাতের ব্যথায় : যাদের বাতজনিত রোগ রয়েছে। তাদের নিয়মিত আদা খাওয়া উচিত। এটিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে। যা হাড়কে মজবুত করে। বাতজনিত রোগ দূর করে।
কাশি কমায় : আদা একটি প্রাকৃতিক বেদনানাশক ব্যথা রিলাইভার আছে। যা গলার ব্যথা দূর করতে সহায়তা করে। এটি কাশি হ্রাস করে।
হৃদয়ের জন্য : আদা স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। যা হার্ট সম্পর্কিত বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি হ্রাস করে। আদাতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে। যা হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে : আদা শরীরের চিনির মাত্রা হ্রাস করে। এটি শরীরে ইনসুলিন তৈরিতে সহায়তা করে যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে।
মাইগ্রেনে : কিছু বিশেষজ্ঞ বিশ্বাস করেন মাইগ্রেনের মাথা ব্যথা কমাতে আদার চা খুব উপকারী। এতে উপস্থিত ভিটামিন এবং পুষ্টি মাইগ্রেন স্বস্তি দেয়।
ঠান্ডা এবং তাপ এড়ানো : আদা দিয়ে সবাই পরিচিত। এটি ঠান্ডা থেকে রক্ষা করতে খুব উপকারী বলে প্রমাণিত হয়। ছোট বাচ্চারা যদি শীত অনুভব করে তবে তারা শীত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে আদা ব্যবহার করে। এটিতে অ্যান্টি-ভাইরাল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল গুণ রয়েছে।
মাসিক ব্যথা থেকে মুক্তি : মেয়েদের মাসিকের সময় ব্যথা কমাতে আদা চা ব্যবহার করা উচিত। আদাতে রয়েছে অনেক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা ব্যথা উপশম করতে সহায়ক।
ক্যান্সার প্রতিরোধ : ক্যান্সার একটি বিপজ্জনক রোগ। আদা ক্যান্সার আক্রান্তদের জন্য খুব উপকারী। আদা এর বৈশিষ্ট্য ক্যান্সার কোষের জন্য মৃত্যু ঘটায়। যা ক্যান্সার এড়াতে সহায়তা করে।

শিক্ষণীয় গল্প
বিশাল এক পাহাড়ের উপরে এক ঈগল বাসা বানিয়েছিলো। ঈগলের বাসায় ছিলো তার চার চারটি ডিম। প্রতিদিন সকালে সে এগুলো রেখে খাবারের খোঁজে উড়ে যেত।
একদিন ঈগল যখন বাসার বাইরে ছিলো তখন ভূমিকম্পে গোটা পাহাড় নড়ে উঠলো। এতে ঈগলের একটি ডিম বাসা থেকে ছিটকে পড়ে গেল। গড়াতে গড়াতে সেই ডিম এসে পড়লো পাহাড়ের নিচের এক মুরগীর বাসার উঠোনে ।
মুরগী সেই ডিমটিকে নিজের বাসায় নিয়ে এলো। অন্যান্য ডিমের সাথে রাখলো। যতœ করে তা দিতে থাকলো। একদিন সেই ডিম ফুটে ঈগলের একটি সুন্দর বাচ্চাও বের হলো। মুরগীর বাচ্চাদের সাথেই ঈগলের বাচ্চাটি বড় হয়ে উঠতে লাগলো।
কিন্তু সে ভেতর থেকে যে সবসময় অন্য কিছু অনুভব করতো। আকাশে একদিন ঈগলের একটা ঝাঁককে উড়ে বেড়াতে দেখে সে মুরগীকে বললো, ইস, যদি আমিও তাদের মত উড়ে বেড়াতে পারতাম। মুরগী হেসে উত্তর দিলো, তুমি কিভাবে উড়বে? তুমি তো মুরগী এবং মুরগী কখনো উড়ে না।
ঈগল মাঝে মাঝেই তার স্বগোত্রীয়দের উড়ে বেড়াতে দেখতো এবং স্বপ্ন দেখতো সেও তাদের মতই উড়ে বেড়াবে।
কিন্তু প্রতিবার সে তার স্বপ্নের কথা জানালে মুরগী বলতো যে এটা একেবারেই অসম্ভব। মুরগীর এই কথাটিই ঈগল বিশ্বাস করতে শিখলো এবং তার জীবনটা বাকী মুরগীদের মতই কাটিয়ে দিলো। অনেক দিন এভাবে কাটানোর পর একদিন সে মারাও গেল।
আসলে আমাদের জীবনেও এটা চরমতম সত্য। তুমি যা বিশ্বাস করতে শেখো একদিন তুমি তাই হয়ে উঠবে। তাই তুমি যদি ঈগলের মত উড়ার স্বপ্ন দেখো, তবে সেই স্বপ্নকেই অনুসরণ করো। মুরগীর কথায় কান দিতে যেও না।

কৌতুক
স্ত্রী : মেহমান আসতেছে, কিন্তু ঘরে ডাল ছাড়া কিছু নাই, কী করবো এখন?
স্বামী : যখন উনি আসবেন, তখন কিচেনে একটা বাসন ফেলে দিবে।
স্ত্রী : ফেলে দিলে কী হবে?
স্বামী : আমি জিজ্ঞেস করবো, ‘কি হইছে?’ তুমি তখন বলবে কোরমা পড়ে গেছে।
স্ত্রী : গেল কোরমা। তারপর?
স্বামী : এরপর আরেকটা বাসন ফেলবে। তুমি তখন বলবে, ‘বিরিয়ানি পড়ে গেছে’। তখন আমি বলবো, ‘ঠিক আছে, ডালই নিয়ে আসো’। মেহমান তখন কিছু মনে করবে না।
তো মেহমান আসার পর কিচেন থেকে বাসন পড়ার শব্দ আসল-
স্বামী : কি হয়েছে?
স্ত্রী : ডালই পড়ে গেছে!

Comments

comments

About

Check Also

রঙ্-বাহারি

বুক রিভিউ বালাই হাওরের কান্না : কান্না থামে না যে বই পড়লে আল্লামা ইমাদ উদ্দিন …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *