প্রিয় নবীজী স. এর আত্মীয় স্বজন পরিচিতি

তিরমিযি শরীফের ২৩১০ নম্বর হাদীসে ইরশাদ হচ্ছে- যখন এই আয়াত নাযিল হলো “আপনার নিকটাত্মীয়দেরকে সতর্ক করুন।” তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই বললেন- ‘হে ছফিয়্যা বনিতে আব্দুল মুত্তালিব, হে ফাতিমা বিনতে মুহাম্মদ, হে বনী আবদে মুত্তালিব, তোমাদের জন্য আমি আল্লাহর কাছে কোনো ক্ষমতা রাখি না, ইচ্ছা করলে তোমরা আমার মাল সম্পদ চেযে় নিতে পারো।’
এই হাদীসে আত্মীয়তার কারণে যেনো কেউ ভরসা করে বসে না থাকে, সকলেরই নাজাত তার আমলের উপরেই নির্ভর করবে। এটাই ঘোষণা করা উদ্দেশ্য। যেমন বুখারী শরীফের ৩৩৩৬ নাম্বার হাদীসেও একই ভাষ্য আরো স্পষ্ট করে আছে যে “হে বনী আবদে মানাফ নিজেদেরকে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্ত করো।’ অর্থাৎ ইমান গ্রহণ করো। ইমান গ্রহণ ছাড়া কারো কোনো মুক্তি নেই।
বস্তুত, প্রিয় নবীজীর বিরোধিতায় তার নিজের কওম কুরাইশ থেকেই সবচেযে় বেশি নির্যাতিত হযে়ছেন, বাধাপ্রাপ্ত হযে়ছেন। যাদের কিয়দংশ শেষে ইমান এনেছেন, নেতৃবর্গের বড় অংশ বদরে নিহত হযে় জাহান্নামে পাডি় জমিযে়ছে।
তাদের সঠিক ইতিহাস, নাম-পরিচয় না জানা থাকার কারণে হাদীস কুরআন পাঠ করে আমরা ঘটনা ধরে রাখতে পারি না। শ্রোতাদের সামনে সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পারি না। তাই আজকে সে অভাব পূরণের জন্য এক নজরে আত্মীয় স্বজনদের নাম, পরিচয় ও পরিণতি উল্লেখ করতে চাই।
পৈত্রিক পরিচয় : পৃথিবীর কোনো মানুষের বংশতালিকা বাবা আদম পর্যন্ত জানা নেই, কোনো বইতে লেখা নেই, কারো সংরক্ষণেও নেই। কেবল আমাদের প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একজন মহামানব যার পিতৃপুরুষের তালিকা হযরত আদম আ. পর্যন্ত ইতিহাসে পাওয়া যায়। বুখারী শরীফের ৩৬৩৭ নাম্বার হাদীসে আদনান পর্যন্ত সহীহ সনদে এভাবে বর্ণিত আছে-
মুহাম্মাদ বিন আব্দুল্লা বিন আব্দুল মুত্তালিব বিন হাশিম বিন আবদি মানাফ বিন কুসাই বিন কিলাব বিন মুররাহ বিন কা’ব বিন লুয়াই বিন গালিব বিন ফিহির বিন মালিক বিন নাদার বিন কিনানাহ বিন খুজাইমাহ বিন মুদরিকাহ, বিন ইলইয়াস বিন মুদার বিন নাজার বিন মা’দ বিন আদনান। বাকীগুলো অন্য কিতাব থেকে নেয়া। প্রিয় পাঠকবৃন্দ, হযরত আদম আ. পর্যন্ত ৯০ পুরুষের নাম সহজে দেখে নিতে পারেন- তাফসীরে নূরুল কোরআন (মাওলানা আমিনুল ইসলাম র.) ১ম খ-, ৪৫২ পৃষ্ঠায়। গোলাম মোস্তফা প্রণীত ‘বিশ্বনবী’ গ্রন্থেও দেয়া আছে।
বাপ-চাচাগণ : বিদায়া ওয়ান নিহায়া অনুবাদ ২য় খ- ৪৬৩ পৃষ্ঠায় (ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, প্রকাশ, জুন, ২০০১) আব্দুল মুত্তালিব এর ১০ পুত্রের নামের তালিকা ১. হারিছ ২. যুবাযে়র ৩. হাজাল ৪. যিরার ৫. মুকাওযি়ম ৬. আবু লাহাব ৭. আব্বাস ৮. হামজা ৯. আবু তালিব ১০ আব্দুল্লাহ
এখানে উল্লেখ্য যে, আবু লাহাব, উম্মু জামিল, আবু সালামা, উম্মু সালামা, আবু হুরাইরা- এভাবে আরবীয়দের যত নাম পাওয়া যায় ‘আবু’ অথবা ‘উম্মু’ দিযে়; এগুলো একটিও তাদের মূল নাম নয়। সবগুলোই উপনাম। আমাদের বাংলাদেশে যেমন মূল নাম বাদ দিযে় ডাকা হয় সালমার মা, সালমার বাপ, জামিলের মা জামিলের বাপ ঠিক তারাও ডাকে আবুল হাকাম বা আবু জাহল, যার মূল নাম ‘আমর ইবনু হিশাম’ (বিদায়া ৩য় খ- ৯১ পৃ:) এগুলো হয়তো কোনো সন্তানের নামে না হয় কোনো গুণ বৈশিষ্ট্যের দিকে নিসবাত করে।
১. হারিছ বিন আব্দুল মুত্তালিব : ইসলামের পূর্ব যুগেই তিনি মারা গিযে়ছেন। তার ৫ পুত্র ও ২ কন্যা। যথাক্রমে: আবু সুফইয়ান ইবনুল হারিছ, নওফেল ইবনুল হারিছ, রবীয়া ইবনুল হারিছ, আব্দুল্লাহ ইবনুল হারিছ, মুগীরা ইবনুল হারিছ, আরওয়া বিনতে হারিছ, হিন্দ বিনতে হারিছ।
২. যুবাযে়র বিন আব্দুল মুত্তালিব : তার মাযে়র নাম ফাতিমা বিনতে আমর। স্ত্রীর নাম আতিকা বিনতে আবু ওহাব বিন আমর বিন আযে়জ। তার ৪ পুত্র ও ৪ কন্যা। আব্দুল্লাহ, (সাহাবী) তাহের, কুররাহ, হাজাল, দাবাআ, (সাহাবী তার স্বামী মিকদাদ ইবনুল আসওয়াদ) উম্মুল হাকাম, ফাতিমা,(আলী রা. এর দলের সাথী হযে় মদিনায় হিজরাতকারিণী) ছফিয়া, কেউ বলেছেন উম্মুল হাকামেরই মূল নাম ছফিয়া, খাইবারের গনীমাত থেকে নবীজী তাকে ৩০ ওসাক খাদ্য দান করেছেন। উম্মুজ জুবাইর (তাকে দান করেছেন ৪০ ওসাক।
৩. হাজাল বিন আব্দুল মুত্তালিব : তার নাম মুগীরা, হাজাল তার উপাধি। তিনি মুকাওযি়ম এর এক বছরের ছোট আবার তার এক বছর পরেই মারা গেছেন। কিতাবু আনছাবিল আশরাফ, লেখক ইমাম বালাজুরি।
৪. যিরার বিন আব্দুল মুত্তালিব : উপনাম আবু আমর, মাযে়র নাম নাতিলা বিনতে জিনাব বিন কুলাইব। তার কোনো সন্তান নেই, বিযে়ও করেননি। কেউ বলেছেন তিনি আব্বাস থেকে ৭ বছরের বড় ছিলেন। তিনি কুরাইশদের মধ্যে সুদর্শন, দানশীল ও কবি ছিলেন। ইসলামের পূর্বেই তিনি মারা যান। কেউ বলেছেন অহী নাযিল হবার দিনগুলোতে মারা যান।
৫. মুকাওকিম বিন আব্দুল মুত্তালিব : তার নাম আব্দুল কা’বা বলা হয়। তার মাযে়র নাম হালা বিনতে উহাইব। তিনি নবুয়াতের ৬ বছর পূর্বেই মারা যান। সাহাবীদের মধ্যে তার সন্তানরা আছে। তার ২ পুত্র ও ৩ কন্যা। যথাক্রমে আব্দুল্লাহ, বকর, আরওয়া, (ইনি সাহাবী, তার মাযে়র নাম কিলাবা বিনতে আমর, স্বামীর নাম আবু মাছরুহ) হিন্দ, উম্মু আমর।
৬. আবু লাহাব বিন আব্দুল মুত্তালিব : যার মূল নাম- আব্দুল উজ্জা (বিদায়া ৩য় খ- ২৫৯ পৃ:) আগুনের মত চেহারা ও বদমেজাজের কারণে তাকে আবু লাহাব বলা হয়। তার মূল নাম- আব্দুল উজ্জা (বিদায়া ৩য় খ- ২৫৯ পৃ:), মাযে়র নাম ‘লুয়াই বিনতে হাজার।’ নবীজীর জন্মে খুশী হযে় সে দাসী আযাদ করেছিলো। সাফা পাহাডে় দাঁডি়যে় কালেমার দাওয়াত দিলে নবীজীকে লক্ষ্য করে পাথর মেরেছিল। তার ও তার স্ত্রীর ধ্বংস হবার খবর নিযে় নাযিল হযে়ছে সুরা লাহাব। তার স্ত্রী উম্মু জামিল যার মূল নাম ‘আরওয়া বিনতে হারব, সে আবু সুফিয়ান ইবনে হারব এর বোন। আবু সুফিয়ানের মূল নাম ছখর ইবনে হারব বিন উমাইয়া বিন আবদে শামছ… (বিদায়া ৩য় খ- ৮০ পৃ:)। হজ্জের মওসুমে নবীজী আগত মানুষের কাছে নিজেকে নবী হিসেবে পরিচয় দিযে় তাঁর প্রতি নাযিলকৃত কুরআনের বাণী শুনিযে় ইসলাম গ্রহণ করার দাওয়াত দিতেন। আবু লাহাব পিছনে পিছনে থেকে নবীর কথা শেষ হলেই দঁডি়যে় বলত- এ লোক পাগল, তোমরা এর কথায় কেউ বিভ্রান্ত হবে না। সে আমার ভাতিজা। আমরা তাকে ভালো করে চিনি। সে আমাদের পৈত্রিক ধর্ম ত্যাগী এবং আমাদের প্রতিমার শত্রু। অধিকাংশ সময় সে নিজে আবার কখনো আবু জাহেল (আমর ইবনে হিশাম) নবীজীর পেছনে এভাবে লেগে থাকতো। আবু লাহাবের ৩ পুত্র ৩ কন্যা। যথাক্রমে উতবা, মা’তাব, উতাইবাহ, দুররাহ, ইজ্জাহ, খালেদা।
উতবার সাথে নবীজী তার প্রিয় কন্যা রুকাইয়ার এবং উতাইবার সাথে উম্মে কুলসুম এর বিযে় দেন। সুরা লাহাব নাযিল হলে নবীজীর এই দু কন্যাকে তালাক দিযে় দেবার জন্য আবু লাহাব দম্পতি ছেলেদের নির্দেশ দেয়। এরপর রুকাইয়া হিযরাত করে মদিনায় চলে আসেন। পরবর্তীতে একসময় উতবাও ইসলাম কবুল করে মদীনায় আসলে নবীজী রুকাইয়াকে আবার তারই স্ত্রীত্বে ফিরিযে় দেন।
অপরদিকে গোত্রের লোকেরা উতইবাকে উসকানি দেয় যে তুমি যদি মুহাম্মাদ এর মেযে়কে তালাক দাও এবং তার মুখে থু থু দিযে় আসতে পারো, তাহলে আমরা তোমার সাথে উমুকের কন্যা উমুকের সাথে বিযে় দিযে় দেব। তখন এই উতাইবা ঠিক ঐ কাজই করে। তখন নবীজী বদদোয়া করে বললেন, “আল্লাহুম্মা সাল্লিত আলাইহি কালবান মিন কিলাবিকা”। হে আল্লাহ আপনার কুকুরগুলোর কোনো একটি তার উপর চাপিযে় দিন। পরবর্তীতে সিরিয়া যাত্রাকালে পথিমধ্যে শিবিরে তাবুর মধ্যে ঘুমন্ত অনেক মানুষের বেষ্টনী সূক্ষ¥ভাবে অতিক্রম করে একটি সিংহ তার কাছে চলে যায় এবং তার বক্ষ ফেডে় কলিজা টেনে বের করে সিংহটি পালিযে় যায়। বিস্তারিত: শাওয়াহেদুন নবুয়্যাত দ্র: লেখক, আব্দুর রহমান জামী।


৭. আব্বাস বিন আব্দুল মুত্তালিব : ৫৬৮ খৃস্টাব্দে জন্ম। বদরের যুদ্ধ বন্দীদের সাথে তাকেও বেঁধে আনা হয়। তার সাথে ৪০০০ দিরহাম পাওয়া যায়। মুশরিকদের খাবার রসদ ব্যবস্থার দাযি়ত্ব ছিল তার হাতে। মুক্তিপণ দিযে়ই তবে ছাড়া পান এবং পরে ইসলাম কবুল করেন। কেউ বলেন বদরের আগেই মুসলিম হযে়ছিলেন, তবে ইসলাম গোপন রেখেছিলেন। একটি হাদীসে এসেছে যুদ্ধের পূর্বে নবীজী ঘোষণা দিযে়ছেন তোমাদের কেউ যদি আব্বাসকে নাগালে পায় তাকে হত্যা করবে না। কারণ কওমের সাথে বাধ্য হযে় সে যুদ্ধে এসেছে। তার সন্তান ১২ জন। ফজল, আব্দুল্লাহ, উবাইদুল্লাহ, কাসাম যার আরেক নাম আব্দুর রহমান, মা’বাদ যার আরেক নাম হারিছ, কাছির, আওন, তাম্মাম, ছফিয়া, উমাইমাহ, উম্মু হাবিব, উম্মে কুলছুম। ইসলামে দাখিল হবার পরে তার মর্যাদা ও অবদান ছিলো অতুলনীয়। উসমান রা. এর শাসনামলে মদিনায় ইন্তেকাল করেন।
৮. হামজা বিন আব্দুল মুত্তালিব : তার মাযে়র নাম হালা বিনতে উহাইব। স্ত্রী হলেন বানাতুল মাল্লাহ, ছালমা বিনতে উমাইস। ৩ পুত্র ও ১ কন্যা যথাক্রমে- ইয়া’লা বিন হামজা, (ইনি ছাড়া বাকীসন্তান সকলেই মারা যায়।) আমির বিন হামজা, উমারা বিন হামজা, উমামাহ বিনতে হামজা। হাদীসে আছে খাইরু ইখওয়াতি আলী খাইরু আ’মামী হামযাহ। অর্থাৎ আমার শ্রেষ্ঠ ভাই আলী আর শ্রেষ্ঠ চাচা হামজা। ইনি নবীজীর দুধভাই বটে। বয়সে নবীজীর ২ বছরের বড়। ৫৬৮ খৃস্টাব্দে জন্ম ও ৬২৫ খৃস্টাব্দে ইন্তেকাল।
৯. আবু তালিব বিন আব্দুল মুত্তালিব : তার আসল নাম আবদে মানাফ, কেউ বলেছেন ইমরান, অথবা শাইবা-ও বলা হয়। তিনি নবীজীকে সমস্ত জুলুম নির্যাতন থেকে প্রতিরক্ষার প্রশস্ত ঢাল ছিলেন। তার জীবদ্দশায় নবীজীর উপর তেমন কোনো আক্রমণের সুযোগ পায় নি কেউ। সমগ্র কুরাইশরা যখন বনু হাশিমকে বয়কট করে, তখন তিনি মুহাম্মদকে সাথে নিযে়ই তার শিয়াবে আবি তালিবে গিরিসংকটে ৩ বছর অবর্ণনীয় দুঃখ-কষ্ট ভোগ করেন। নবীর সাথে মারা যাবেন না খেযে় তাতেও রাজি কিন্তু নবীকে কাফিরদের হাতে তুলে দিতে তিনি রাজী ছিলেন না। অথচ তার ইন্তেকালের সময়ও তাকে কালেমা পড়ানো যায়নি। তিনি বলেছিলেন গোত্রের লোকেরা আমাকে তিরস্কার করবে যে, মরার সময় আবু তালিব পিতৃধর্ম ত্যাগ করেছে। এটা না হলে আমি তোমাকে খুশী করার জন্য এই কালেমা পড়তাম। ইন্তেকালের সময় ঠোঁট নড়তে দেখে আব্বাস রা. (মাথার কাছে ছিলেন) বললেন- মুহাম্মদ, আমি মুখের কাছে কান লাগিযে় শুনছি, তুমি যা পড়তে বলেছো সে তা-ই পড়ছে। বহু পীড়াপীডি় সত্ত্বেও নবীজী তার কালিমা শুনেননি। আব্বাস রা. তখন কাফির ছিলেন বিধায় তার কথার কোনো ভ্যালু শরীয়াতে নেই। অপরদিকে নবীজীকে প্রশ্ন করা হযে়ছে যে, আপনার চাচাকে কেমন দেখলেন? তিনি উত্তর দিলেন যে, আমি তাকে জাহান্নামের গভীর তলদেশ থেকে অপেক্ষাকৃত কিনারে তুলে রেখে এসেছি। এটা মিরাজের রাতে এবং তার এক স্বপ্নের বিবরণ। নবীজীর স্বপ্নও অহীর অন্তর্ভুক্ত। তাই আজীবন নবীজীকে রক্ষা করেও নিজেকে সে জাহান্নাম হতে রক্ষা করতে পারেনি। (বিদায়া ৩য় খ- ৩৪- ৩৭ পৃ:), আর আবু সুফিয়ান দম্পতি আজীবন নবীজীকে নির্যাতন ও যুদ্ধ বিগ্রহে অপরিসীম ক্ষতি করেও শেষে ইমানের কারণে সাহাবী ও জান্নাতী। একেই বলে তাকদীর!
১০. আব্দুল্লাহ বিন আব্দুল মুত্তালিব : ৫৪৫ খৃস্টাব্দে জন্ম। তার মাযে়র নাম ফাতেমা বিনতে আমর। স্ত্রীর নাম আমিনা বিনতে ওহাব বিন আবদে মানাফ। এই দম্পতির ঘরেই জন্ম নেন আখেরী নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। নবীর জন্মের ৬ মাস পূর্বে, ইয়াছরিবের দারুননাবিগা নামক স্থানে তাকে দাফন করা হয়।
ফুফিগণ : ছফিয়্যাহ বিনতে আব্দুল মুত্তালিব, আতিকা বিনতে আব্দুল মুত্তালিব, উমাইমা বিনতে আব্দুল মুত্তালিব, আলবাইদ¦া বিনতে আব্দুল মুত্তালিব, বাররা বিনতে আব্দুল মুত্তালিব, আরওয়া বিনতে আব্দুল মুত্তালিব।
দাদা দাদী : দাদা আব্দুল মুত্তালিব বিন হাশিম। জন্মের বেলা দেয়া নাম ‘শায়বাতুল হামদ।’ তার মাযে়র নাম ছালমা বিনতে আমর বিন যায়দ আলখাজরাজী আননাজ্জারী। আব্দুল মুত্তালিব নামে বিখ্যাত হবার পেছনে একটি মজার গল্প আছে। দাদীর নাম ‘হালা বিনতে উহাইব’ নবীজীর দাদীরা (আব্দুল মুত্তালিব এর স্ত্রী) মোট ৬ জন। বাকী ৫ জন হলেন- ফাতেমা বিনতে আমর, ছফিয়া বিনতে জুনদুব, লুবাই বিনতে হাজার, নাতিলা বিনতে জিনাব, মুমনিয়া বিনতে আমর।
নানা-নানি : প্রিয় নবীজীর নানার নাম ওহাব ইবনে আবদে মানাফ যুহরী। তিনি বানু যোহরার সর্দার ছিলেন। (বিদায়া ৩য় খ- ৪৬৬ পৃ:) নানীর নাম বাররাহ বিনতে আব্দুল উজ্জা। এই দম্পতির একমাত্র সন্তান আমিনা।
পরবর্তী পর্বে আমরা বাকী আত্মীয় স্বজনের নাম ও পচিরয় তুলে ধরবো ইনশা আল্লাহ।

Comments

comments

About

Check Also

রাসুলুল্লার হিজরাত : প্রাসঙ্গিক ভাবনা

পৃথিবীতে তখন ঘোর অমানিশার রাজ। চারিদিকে বিশৃঙ্খলা, নৈরাজ্যের দৃঢ় ভিত্তি স্থাপিত হয়েছে। যে ভিন্নতার জন্য …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *