চলে গেলেন কাঁঠালিয়ার হুজুর ‘এক অকুতোভয় আলেমে দীন’ মাওলানা তৈয়্যেবুর রহমান রহ.(২য় পর্ব)

এক পর্যায় দেখি তিনি আমাকে নূরুল আনওয়ার খুলে পড়তে দিলেন- সেই আমরের অধ্যায় যা আমি লক্ষ্মীপুরার হুজুরকে পড়ে শুনিয়েছিলাম। শুনে তিনি বললেন- এই যে চতুষ্পার্শ্বে যত কিতাব আছে, দেওবন্দের সব কিতাবের ইলম আপনাকে দিয়ে দিলাম। আপনাকে দেওবন্দে পড়তে হবে না। ইনি ছিলেন দেওবন্দ মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা স্বয়ং কাসেম নানুতবী রহ.। এ স্বপ্ন দেখে জেগে উঠি। …।”
এ থেকে কিতাবের ঝোঁক এত বেড়ে গেল যে সারাক্ষণ কিতাবের মাঝে ডুবে থাকতাম। আলিমে পড়ি তখন মিশকাত খুলে পড়তে শুরু করতাম। আল্লাহর নবীর বাণী পড়তে গিয়ে চোখে পানি ঝড়তো। ডুকরে ডুকরে এত কান্না আসতো যে পড়তেই পারতাম না। এমন দিন বহু গেছে যে, সকাল নয়টা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত অঝোর ধারায় কান্না করেছি। চোখের পানি ঝরতেই রয়েছে। এ রকম কত কান্না যে কিতাব খুলে কেঁদেছি তার কোন শেষ নেই।
ফাযিল পরীক্ষার হল ছিল নেছারাবাদ মাদরাসায়। বাংলা পরীক্ষার আগের দিনও মিশকাত শরীফ নিয়ে গভীর মুতালায়া করছি। সারা রাত যা পড়েছি হাদীস। ছাত্র ভাইয়েরা বলতো তুমি কি পাগল হয়ে গেছো নাকি? পরীক্ষার আগের রাতেও তো অন্তত সাবজেক্টটা দেখতে হয়! কিন্তু আমার কঠিন আগ্রহ ছিল ছারছীনা মাদরাসার হেড মুহাদ্দিস হবো। অথচ তখনও আমি তালগাছিয়া মাদরাসার ছাত্র।
ছারছীনাতে কাঁঠালিয়ার হুজুর: আমাদের কৌতূহল ও দাবীকে উপেক্ষা করতে না পেরে হুজুর নিজে এভাবে বিবরণ দিয়েছেন -১৯৭৬ সালে বড় ভাই আইয়ুব আলীর সাথে ‘সাতারু’ নামক লঞ্চে চড়ে সর্ব প্রথম ছারছীনা আগমন করি। তখন নাহুমে পড়ি। এর পর ১৯৮৬ সনে পায়ে ‘টাকার অভাবে’ হেঁটে ছারছীনা মাহফিলে যেগাদান করি। ছারছীনার প্রতি তাঁর সে ছাত্র বয়সেই যে কী ঝোঁক ও আবেগ ছিল তা এখানে পরিমাপ করা যায়। যারা কাঁঠালিয়া ও ছারছীনার দূরত্ব জানেন তাদের কাছে ব্যাপারটি রীতিমত অবিশ্বাস্য ও অবাক লাগার। এ আবেগের কারণেই হয়তো ছারছীনাতে আল্লাহ তাঁকে মঞ্জুর করেন। এ বছরেই ১৮ নভেম্বর তিনি ছারছীনা মাদরাসায় কামিলে ভর্তি হন।
শুরু হয় তার জীবনের নতুন একটি অধ্যায়। যা বিস্তারিত লিখতে গেলে একটি স্বতন্ত্র পুস্কক সাজাতে হয়। দু একটি ঘটনার ইঙ্গিত দিচ্ছি মাত্র।
তৎকালীন ভাইস প্রিন্সিপাল জনাব আব্দুর রব খান সাহেব একদিন রাগতঃ স্বরে বললেন, ‘তৈয়ব তুমি তাকরীর লিখে রাখছ না কেন?’ তিনি নরম কণ্ঠে জবাব দিলেন ‘মনে থাকে হুজুর’ শেষে বুখারী শরীফের কিতাবুস সালাত অধ্যায়ে এক সপ্তাহ আগে যা পড়িয়েছিলেন, কাঁঠালিয়ার হুজুর তা হুবহু সব বলে শুনালেন।
আরো একদিন আবার এ উস্তাদ বললেন, আজকের সাতক্ষীর হুজুর মাওলানা রেদওয়ানুল করীম যা পড়িয়েছেন- কেউ তা তাকরার করতে পারবে? কাঁঠালিয়ার হুজুর দাঁড়িয়ে তাও হুবহু বলে শুনালেন। আব্দুর রব খান আবার ক্লাসের ছাত্রদের লক্ষ্য করে বললেন- তোমরা বুঝেছ? খুশীতে আত্মহারা হয়ে দীদার নামের পাগড়ীওয়ালা এক ছাত্র বলে উঠে- ‘হুজুরের চেয়েও ভাল বুঝেছি।’
আরো একবার তালীমী জলসার শেষে মুজাদ্দিদে জমান আবু জাফর মুহাম্মদ ছালেহ রহ. সবাইকে একত্র করে বললেন- জলসার জন্য এ ০৭ দিন আমি মাদরাসা বন্ধ রেখেছিলাম। আজ আপনাদের পরীক্ষা নেব। আপনারা কি শিখলেন! একজন দাঁড়ান। জলসায় যা আলোচনা হয়েছে বলুন। তখন উপর জামাতেরই একজন ছাত্র দাঁড়াল। কিন্তু হুজুরকে সন্তুষ্ট করার মত তেমন কিছু বলতে পারেনি। পরে কাঁঠালিয়ার হুজুর দাঁড়িয়ে খোতবায়ে ইফতেতাহ থেকে আরম্ভ করে প্রত্যেক আলোচকের নাম ধরে ধরে কী কী আলোচনা করেছিলেন- তা ২০ মিনিট পর্যন্ত বলে যাচ্ছিলেন। তখন পীর সাহেব হুজুর কাঁঠালিয়ার হুজুরকে থামিয়ে দিলেন। বড় ভাবগম্ভীর কণ্ঠে আবেগ ভরে বললেন- ‘আমি সার্থক যে, অন্তত একজন হলেও আমার জলসা শুনেছে।’ এরপর হুজুর সুফী আব্দুর রশিদ সাহেবকে বললেন- একে মাদরাসার শিক্ষক হিসেবে রাখা দরকার। তুমি তার দিকে খেয়াল রাখিও।’
কাঁঠালিয়ার হুজুর এক সময় একটি স্বপ্ন দেখে আরো আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেন। যার প্রকাশ ঘটে হুজুরের সহপাঠী আ. জ. ম. অহীদুল আলম (বর্তমানে ছারছীনা মাদরাসার উস্তায, ধরান্ধীর হুজুর) এর একটি প্রশ্নে। তিনি একদিন জিজ্ঞেস করলেন- তৈয়ব ভাই, আপনার জীবনের লক্ষ্য কী? বলুন তো কী হতে চান?
কোন রাখঢাক ছাড়াই স্পষ্ট ভাষায় উত্তর দিলেন “খোতানী হুজুর যে আসনে বসে হাদীসের দরস দান করেন, আমি ঐ আসনটিতেই বসতে চাই।” এ আসনে খোতানী হুজুর রহ. নিজেই স্বপ্নে তাঁকে বসিয়ে দিয়েছিলেন।
হুজুরের তরীকা ও তাসাউফ: তরীকার জগতেও কাঁঠালিয়ার হুজুরের উচ্চ মার্গে উঠার উপলক্ষ প্রায় একই রকম। “১৯৭৮ সনে তালগাছিয়া মাদরাসায় হাফতমে অধ্যয়নরত। সব সময় তিনি ছিলেন গম্ভীর ও ভাবুক প্রকৃতির। প্রায় রাত তার কাটত মাদরাসার খালের পাড়ে ঘাটলার উপর বসে বসে। এক রাতে স্বপ্নে দেখেন ঐ মাদরাসায় মাহফিল। সেখানে ছারছীনার পীর মুজাদ্দিদে জমান শায়খ নেছারুদ্দীন হুজুরের বোট (নৌকা) এসে ভিড়েছে। হুজুর সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে এসেছেন। ছাত্রদের মুসাফাহা নিতে নিতে স্টেইজে গিয়ে নীরব হয়ে কিছুক্ষণ বসে চারিদিক তাকিয়ে দেখলেন। পরে হাতের ইশায়ার কাঁঠালিয়ার হুযুরকে সামনে ডেকে নিয়ে হুজুরের কাল পাগড়ি তার হাতে তুলে দিলেন। উপস্থিত সবাইকে গায়ে গায়ে হাত দিয়ে বসতে বললেন। বায়াত করার পর নিয়ম বাতলে দিয়ে বললেন-
এভাবে সবসময় জিকির করবে। সেই থেকে চলতে থাকে জিকিরের ছবক। পরবর্তীতে ছারছীনাতে কামিলে ভর্তি হলে হুজুর শায়খ আবু জাফর মুহাম্মদ ছালেহ রহ. এর হাতে বয়াত গ্রহণ করেন। তিনি তখন বললেন- দরুদ শরীফ পড়া দরকার। এশার পরে ১০০ বার করে দরুদ পড়বেন। এই থেকে দরুদ শরীফ পড়ার আমল শুরু। এক শায়খ দিলেন জিকিরের ছবক আর এক শায়খ দিলেন দরুদের ছবক। সুতরাং দুই শায়খের রূহানী ফুয়ূজাতে তিনি যে সীমাহীন শক্তি লাভ করবেন সেটা কী আর অন্যের বেলা কল্পনা করা যায়?
কাঁঠালিয়ার হুজুরের নিজের মুখে একদিন শুনেছি “একদিন পীর সাহেব হুজুরের দরবারে বসা ছিলেন শরীফ মুহাম্মদ আব্দুল কাদির, আব্দুর রব খান সাহেব, মুফতীয়ে আযম আল্লামা মুস্তফা হামীদী, আমতলীর হুজুর মাওলানা আবু জাফর সাহেব সহ আরো অনেকে। তাদের সামনে উপস্থিতিতে মরহুম হুজুর আমতলীর হুজুরকে লক্ষ্য করে বলে উঠলেন-
= মাওলানা জাফর, ক্লাশে এমন ছাত্র দুএকজন থাকে না, যাদের কিতাব একখানা পড়িয়ে দিলে আর দশখান সে নিজেই পড়তে পাড়ে।
= জী হুজুর।
= অনুরূপ তরীকতের ক্ষেত্রেও এমন দু’একজন আছে যে, এক ছবক দিয়ে দিলে, বাকীগুলো আর বাতলে দেয়া লাগে না। যেমন ঐ একজন। এই বলে আমাকে ইংগিত করেন।”
ছারছীনাতে হুজুরের ইমামতি: হুজুর আমাদেরকে বর্ণনা করেছেন- ছারছীনাতে ভর্তি হবার পরে হুজুররা আমাকে দিয়ে ইমামতি করাতেন। উস্তাদদের নির্দেশে বাধ্য হয়েই আমাকে সামনে যেতে হত। একদিন আসরের নামাজে ইমামাতি করতে গিয়ে শেষ বৈঠকে নিজেকে হারিয়ে ফেলি। কোথায় আছি, নাকি না আছি কিছুই বলতে পারি না। চোখের সামনে যেন দিগন্তবিহীন ধু ধু মরুভূমির মত দেখি। আনুমানিক ১০ মিনিট পরে আমার হুশ আসে। তখন ঝটফট সালাম ফিরিয়ে দেই। মসজিদ নীরব ছিল।
এখন আমার ভিতর টেনশন কাজ করতে থাকে যে, কি করে নামাজের ইমামতি থেকে অব্যহতি পাওয়া যায়। আসলো ২৬ শে মার্চের অনুষ্ঠান। সকল ইভেন্টে অংশ গ্রহণ করে দৌড়, লাফ, সাঁতার ইত্যাদিতে লিপ্ত হই। তোমরা যাকে দারুন্নাজাতে কাঁঠালিয়ার হুজুর বল- যাকে মাওলানা আব্দুস সালামও তখন আমার দৌড়- লাফ ইত্যাদির সাক্ষী। আমার উদ্দেশ্য ছাত্র -শিক্ষক সবাই এটা দেখুক। যাতে আমাকে আর নামাজের ইমামতিতে না ডাকে। কিন্তু সে দিনই খুলনার হুজুর মাওলানা আব্দুল কাদির সাহেব মাগরিবের সময় আমাকে না দেখে মসজিদে আওয়াজ দিয়ে ডাকেন ‘আমাদের ইমাম সা’ব কই?’ শেষে ইমামতির জন্য সামনে যেতেই হল।
কাঁঠালিয়ার হুজুর যে এক মূল্যবান ভবিষ্যত রতœ। তা তাঁর উস্তাদগণ ভাল করেই চিনেছিলেন।
হুজুরকে যে যেভাবে চিনি: হুজুরকে নানান জনে নানা ভাবে চিনেন। কেউ ভাল শিক্ষক হিসেবে, কেউ আলেমে দীন হিসেবে, কেউ আল্লাহর অলী হিসেবে, যে কোন পরিবেশে হক কথা বলার মর্দে মুজাহিদ হিসেবে, কেউ মুনাজের- মুবাহেস (তার্কিক) হিসেবে, কেউ একজন মানবহিতৈষী (চযরষধহঃযৎড়ঢ়রপ) মহামানব হিসেবে, কেউ দানশীল-দানবীর হিসেবে, কেউ নির্ভরযোগ্য মুরব্বী ও পরম উপকারী বন্ধু হিসেবে, কেউ জিন-ভূত ছাড়ানো ওস্তাদ এবং বিভিন্ন রোগের তদবীরদাতা হিসেবে, কেউ আশেকে রাসুল ও আশেকে ইলাহী হিসেবে, আশেকে বাইতুল্লাহ হিসেবে। এক কথায় যে যে প্রয়োজনে তাঁর সন্ধান পেয়েছি- কাছে এসেছি; সে সেভাবেই তাঁকে চিনি ও মূল্যায়ন করি। আসলে কি তার মূল্য ততটুকু যতটুকু শুধু আমি চিনি?
আমি হয়তো তাঁকে চিনি- আমার মনের সাথী ও গানের সাথী হিসেবে। ছারছীনাতে ছাত্র হিসেবে কমিলে ভর্তি হয়ে ২০০৩ সালে প্রবেশ এবং শিক্ষক হিসেবে ২০০৭ এর অক্টোবর হতে ২০০৯ সালের অক্টোবর পর্যন্ত দীর্ঘ বছরে অনেক রাত নির্ঘুম কাটিয়েছি তার বাসায়। এশার পরে ঢুকতাম, সাক্ষাৎ প্রত্যাশী ছাত্র-লোকজনের ভিড় বাড়তো কিবা কমতো। কিন্তু আমার আসর সারা রাত ফজরের আযান পর্যন্ত চলতেই থাকতো অবিরামভাবে। একটু পরপর বাসার ভিতর থেকে আসতো নানা ধরণের দামী নাস্তা, উৎকৃষ্ট মিষ্টান্ন। চা খেতাম আর গান গাইতাম। বিভিন্ন সংগীত-গজল থেকে বেশিরভাগ ছিল নজরুল সংগীত তথা কবি নজরুলের ইসলামী গান। হুজুর যে কী পরিমাণ সাহিত্যপ্রেমী ছিলেন, সংস্কৃতিমনা ছিলেন তা আমাদের আন্দাজ করার ক্ষমতা নেই।
যে যেভাবেই তাঁকে চিনুক- একটি কথা এই যে, সকল ব্যথা, সকল কথা মন খুলে বলার আমানতদার লোকটিকে আমরা হারিয়েছি। আমাদের মনের খবর দরদভরে জিজ্ঞেস করার আর কে আছে? কে কি হারিয়েছি তা যখন মনে হবে, তখন মুখে ভাষা আসবে না, চোখে উষ্ণ পানি ঝর ঝর করে পড়বে, বুক ভূমিকম্পের মত কেঁপে উঠবে। কিন্তু সে কাঁপুনি হয়তো একান্ত কাছের মানুষটিও টের পাবে না। ব্যক্ত করার মত কাউকে হয়তো কাছে পাওয়াও যাবে না।
চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য: হুজুর ছিলেন উত্তম গুণ বৈশিষ্ট্যের সাগর। সাগরের যিনি যে দিক দিয়ে দেখেছেন, তিনি সে দিকের খবর রাখেন অথবা কিছু আন্দাজ করতে পেরেছেন। এই এতটুকুই। হুজুর ছিলেন প্রাণখোলা সদালাপী মানুষ। কারো প্রতি কোন হিংসা তাঁর কলিজায় ছিল না। আল্লাহর সমগ্র সৃষ্টির প্রতি সমান ভালবাসা বুকে ধারণ করে তিনি পৃথিবীতে বিচরণ করেছেন।
তাঁর চরিত্র ছিল সুন্নাতে উপর আমল। তিনি বলেছেন ‘আমি সকল সুন্নাতের উপর আমল করেছি। কিয়ামতের দিন আল্লাহর কাছে যেন এই কথাটি বলতে পারি।’ ছারছীনার নদীর তীরে হাঁটতে হাঁটতে বিকেলে স্বরূপকাঠি বাজারে পৌঁছে যেতাম তার সাথে। হুজরের সাথে যারা ছিলেন সবাইকে হোটেলে প্রবেশ করতে বলতেন। বের হবার আগে ম্যানেজারকে বলতেন ‘আমরা যা যা খেয়েছি, সেই সব আইটেম থেকে বাসার জন্য একটা প্যাকেটে নেয়ার ব্যবস্থা করে দেন।’ স্বাভাবিক কারো স্থ’ূল দৃষ্টিতে এটি স্ত্রী-পুত্র-কন্যার মোহাব্বাত। কিন্তু হুজুরের মোহাব্বাত ছিল নবীর সুন্নাত পালন। নবী স. নির্দেশ করেছেন- তোমরা যা খাও, স্ত্রীদের তাই খাওয়াও। তোমরা যা পর, তাদেরকে তা (সে মানের পোষক) পরতে দাও।
আত্মিকভাবেই তিনি উত্তরাধিকার হয়েছিলেন হযরত আবু বকর রা. এর মুরব্বীপনা ও স্থিরতার, উমর রা. এর সৎ সাহসিকতার, আলী রা. এর ইলমী যোগ্যতার, উসমান রা. এর দানশীলতার, সাহাবীদের মত নবী প্রেমের ব্যাকুলতার। উদারতা, পরমত সহিষ্ণুতা, ক্ষমাপারায়ণতা, ন্যায় পরায়ণতা, সত্যের উপর অবিচলতা, তাওয়াক্কুল বা আল্লাহ নির্ভরতা, নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে অন্যের প্রয়োজন মেটানোর মানসিকতা, যে কোন পরিবেশে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের বেহুরমাতির প্রতিবাদ করার দৃঢ়তা, ইহতিসাব ও ইখলাসের দুর্বার শক্তিতে বলীয়ান ছিলেন আল্লামা তৈয়্যেবুর রহমান সাহেব।
আরো একাধিক পয়েন্টে হুজুরকে মূল্যায়ন করতে গেলে বা বিবরণ দিতে গেলে অনেক দীর্ঘ লেখা লেখা দরকার যা একসাথে লেখাও যায়না, আর প্রকাশ করাও যায় না। পাঠকদের সাড়া সহযোগিতা পেলে তথ্য সংগ্রহ ও লেখা অব্যাহত রাখার চেষ্টা করবো ইনশা আল্লাহ।

১ম পর্ব

Comments

comments

About

Check Also

‘বাংলার রুমী’ কাব্যে আল্লামা ছাহেব কিবলাহ ফুলতলী র.

মো. ছাদিকুর রহমান অলংকারী জীবন ও জগতের এমন কোনো দিক নেই যা কবিদের কবিতায় বাদ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *