মে মাসের দিবস সমূহ
১ মে- মে দিবস।
৩ মে- বিশ্ব মুক্ত সাংবাদিকতা দিবস।
৪ মে- বিশ্ব সাম্য বাণিজ্য দিবস।
৭ মে- বিশ্ব হাপানি দিবস।
৮ মে- বিশ্ব রেডক্রস দিবস।
১২ মে- বিশ্ব নার্স দিবস।
১৫ মে- বিশ্ব পরিবার দিবস।
১৭ মে- বিশ্ব টেলিযোগাযোগ দিবস।
১৮ মে- বিশ্ব যাদুঘর দিবস।
২৮ মে- বিশ্ব নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস।
২৯ মে- জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস।
৩১ মে- বিশ্ব ধুমপান বর্জন দিবস।
সাধারণ জ্ঞান
৩৬. রাসূল (সা.) সর্ব প্রথম কোন গোত্রে জুমুয়ার নামাজ আদায় করেন?
উ: বনি সালেম গোত্রে।
৩৭. সম্রাট শাহজাহানের সিংহাসনের নাম কি?
উ: ময়ূর।
৩৮. গণিত শাস্ত্রের জনক কে?
উ: মোহাম্মদ ইবনে মূসা খাওয়ারেজমী।
৩৯. পৃথিবীতে সর্বপ্রথম আদম শুমারির প্রচলন করেন কে?
উ: হযরত ওমর (রা.)।
৪০. সর্বশেষ ওফাত প্রাপ্ত সাহাবীর নাম কি?
উ: আনাস বিন মালেক।
৪১. তিনটি তিন বিদ্ধ হওয়ার পরও কোন সাহাবী নামায ছাড়েন নি?
উ: হযরত আব্বাস বিন বাশার (রা.)।
৪২. মদিনায় সর্ব প্রথম ইসলামি শিক্ষক নিয়োগ করা হয় কাকে?
উ: হযরত মুসআব ইবনে উমায়ের (রা.)।
৪৩. মক্কা বিজয় হয় কত হিজরিতে?
উ: ৮ম হিজরীতে।
৪৪. ইসলামের প্রথম পতাকা উত্তোলন করেন কে?
উ: হযরত বারীদা আসলামী (রা.)।
৪৫. মা খাদিজা (রা.) এর পরে ইসলাম গ্রহণ করেন কে?
উ: লুবাব ইবনে হারেস (রা.)।
হাসির ঝুলি
রাজা-মন্ত্রীর কথাবার্তা
১ম রাত্রে
অসুস্থ রাজা : শিয়ালগুলো ডাকছে কেন?
মন্ত্রী : শীতের রাত তো তাই।
রাজা : তাহলে ওদেরকে রাজকোষ থেকে কম্বল দেওয়া হোক।
মন্ত্রী : জি হুজুর। আগামীকালই দেব।
২য় রাত্রে
রাজা : মন্ত্রী শেয়ালগুলোর ডাক থামেনি কেন?
মন্ত্রী : কম্বলগুলো চেয়ে ওরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে।
৩য় রাত্রে
রাজা : মন্ত্রী, ওরা কতোদিন এভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে?
মন্ত্রী : যতোদিন ওরা আপনার দেওয়া কম্বল ব্যবহার করবে।
ডাক্তার ও রোগীর আলাপচারিতা
ডাক্তার : আমি দুঃখিত, আপনার বা কানটা কেটে দিতে হবে।
রোগী : তাহলে তো আমি দেখতে পাবো না ডাক্তার সাহেব।
ডাক্তার : সে কী? আমি আপনার চোখ অপারেশন করছি না।
রোগী : আরে চশমার ডাটি দুটি কোথায় আটকাবো?
ছন্দের পাঠশালা
হাসান রাকিব
* পর্ব কি? কি ভাবে বুঝা যায়?
কবিতার লাইন বা চরণ পড়তে যে উচ্চারণ বিরতি ঘটে তাকে পর্ব বলে। অন্য ভাবে বলা যায় লঘু যতির বিভাগ বা বিরাম কে পর্ব (ফুট) বলা হয়। অনেকে পর্বকে উচ্চারণ বিরতি হিসেবে বিবেচিত করেন। দেখা যাক কিভাবে পর্ব বা বিভাগ হয়।Ñ
ঝিলিক রোদের / ছন্দ তুমি /
নদীর চলার / বাঁক
আবির আলোয় / উদাস করা /
বলাকাদের / ঝাঁক
এখানে খেয়াল করলে দেখা যাবে “ঝিলিক রোদের”, “ছন্দ তুমি” এক একটি পর্ব। এভাবে সমস্ত কবিতায় পর্ব রয়েছে। উক্ত কবিতায় “/ ” ব্যবহার করে পর্ব নির্ণয় করা হয়েছে। এখন “কবর” কবিতায় “এইখানে তোর”, “দাদির কবর” “ডালিম গাছের” এক-একটি পর্ব হিসেবে বিবেচিত। পুরো কবিতা এভাবে পড়লে বুঝতে সহজ হবে।
* পর্ব কত প্রকার? কি কি?
পর্ব মোট তিন প্রকারÑ
১. পূর্ণ পর্ব
২. অপূর্ণ পর্ব
৩. অতি পর্ব
* পূর্ণ পর্ব
যে পর্বে শব্দের বা দলের মান প্রমাণ থাকে, কম বেশি হয় না তাকে পূর্ণ পর্ব বলে। কিংবা বলা যায়Ñ যেখানে প্রত্যেক পর্বেও মান সমান থাকে তাকে পূর্ণ পর্ব বলা হয়। যেমনÑ
আকাশ ভরা / মেঘের ভেলা /
লুকোচুরি / করে খেলা /
হাওয়ায়-হাওয়ায় / ঐ
উঠেনি ভরা / বন্ধু আমার /
খেলার সাথী / কই
এখানে “আকাশ ভরা”, “মেঘের ভেলা” পর্বেও মান সমান তাই একে পূর্ণ পর্ব বলা হয়। “ঐ” ও “কই” শব্দ দু’টি এখানে অপূর্ণ পর্ব। যেহেতু অন্য সকল পর্বের মানের সমান নয় তাই “ঐ” এবং কই “কই” শব্দে অপূর্ণ শব্দ হয়েছে।