রঙ্-বাহারি

সাধারণ জ্ঞান : বাংলাদেশের যা প্রথম

প্রশ্ন: বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি?
উত্তর: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি?
উত্তর: সৈয়দ নজরুল ইসলাম।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের প্রথম স্পীকার (গণপরিষদ)?
উত্তর: শাহ আব্দুল হামিদ।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের প্রথম স্পীকার (জাতীয় সংসদ)?
উত্তর: মোহাম্মদ উল্ল্যাহ।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের প্রথম প্রধান বিচারপতি?
উত্তর: এ. এস. এম. সায়েম।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের প্রথম এটর্নী জেনারেল?
উত্তর: এম. এইচ. খোন্দকার।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী?
উত্তর: তাজউদ্দিন আহমেদ।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী?
উত্তর: বেগম খালেদা জিয়া।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের প্রথম মহিলা বিরোধী দলীয় নেত্রী?
উত্তর: শেখ হাসিনা।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের প্রথম প্রধান নির্বাচন কমিশনার?
উত্তর: বিচারপতি মোহাম্মদ ইদ্রিস।
প্রশ্ন: বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়?
উত্তর: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রশ্ন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ভাইস-চ্যান্সেলর?
উত্তর: স্যার পি. জে. হাটর্স।
প্রশ্ন: ঢাকা পৌরসভার প্রথম চেয়ারম্যান?
উত্তর: মিঃ স্কিনার।
প্রশ্ন: ঢাকা পৌর কর্পোরেশনের প্রথম মেয়র?
উত্তর: ব্যারিস্টার আবুল হাসনাত।
প্রশ্ন: ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচিত প্রথম মেয়র?
উত্তর: মোহাম্মদ হানিফ।
প্রশ্ন: প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলনকারী?
উত্তর: আ. স. ম. আব্দুর রব।
প্রশ্ন: বাংলদেশ ব্যাংকের প্রথম গর্ভনর?
উত্তর: এ. এন. হামিদুল্লাহ।
প্রশ্ন: বাংলাদেশে প্রথম মুদ্রা প্রচলনের তারিখ?
উত্তর: ০৪ মার্চ, ১৯৭২।
প্রশ্ন: বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতি প্রদানকারী দেশ?
উত্তর: ভারত।

বাংলা সাহিত্যে নবাগত ছড়াক্কা
সংহতি মজুমদার

‘ক’ এ কবিতা,’ছ’ এ ‘ছড়া’। ‘ছ’ এ আরেকটি শব্দ হতে পারে,তা হল ‘ছড়াক্কা’। সারা রাজ্য জুড়ে এখন ছড়া লেখালেখিই শুধু হয় না, ছড়াকে কেন্দ্র করে হচ্ছে অনেক গবেষণাও। সেই গবেষণার একটি ফসল হল ছড়াক্কা যার বয়স এখন একুশ বছর। বাংলা সাহিত্যে একঘেঁয়মি কাটিয়ে তুলতে বিভিন্ন সময়ে নানা পরীক্ষা নিরীক্ষার ফলে পাঠকের সামনে এসেছে নতুন নতুন ধারা। ছড়াক্কাও তেমনি বাংলা সাহিত্যে এক নতুন আঙ্গিক। উদ্ভাবক শ্রী সতীশ বিশ্বাস। ছড়াক্কার মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে ছক্কা কারণ ছড়া ও ছক্কা নিপাতনে সিদ্ধ হয়েই ছড়াক্কা। ক্রিকেট খেলায় যেমন ছক্কা মেরে খেলায় আরো প্রাণ,আরো স্রোত আনা হয়, তেমনি ছড়াক্কা ছড়ার মধ্যে ছক্কা মারার চেষ্টা করছে ছড়াসাহিত্যে আরো প্রাণ নিয়ে আসতে।
এবার আসি ছড়াক্কার গঠন প্রসঙ্গে। ছয় পংক্তির ছড়া বা কবিতায়– প্রথম পংক্তির সাথে শেষ পংক্তির অন্ত্যমিল থাকলে এবং মধ্যবর্তী চারটি পংক্তি মিলযুক্ত ও অপেক্ষাকৃত কম দৈর্ঘের হলে–সেটা ছড়াক্কা। প্রথম ও শেষ পংক্তির অন্ত্যমিল নিয়ে বিশেষ কিছু বলার নেই। মাঝের চার পংক্তির মিল বিন্যাসঃ (-০-০-০-০-)-এর উদ্দেশ্য লেখককে কিছুটা স্বাধীনতা দেওয়া। অর্থাৎ মধ্যবর্তী চার লাইন হতে পারে (খ খ গ গ /খ গ খ গ/ খ খ খ খ/ খ গ গ খ/ইত্যাদি)।
একটু উদাহরণ দেওয়া যাক। খ-খ-গ-গ মিলবিন্যাস : প্রণবকুমার মুখোপাধ্যায়ের লেখা ছড়াক্কা ‘টেক দুনিয়া’-
‘টেক-দুনিয়ার নিয়ম হল নিজের থেকেই পাল্টে যাওয়া
কাল যা ছিল আজ তা বাসি
তার মানেই তো শুকনো হাসি
চলছে বাতিল রাতারাতি
নতুন খোঁজার মাতামাতি
ঠিক এভাবেই আই-ফোন আজ ব্লাক-বেরিকে করল হাওয়া।’

এবার খ-গ-খ-গ মিলবিন্যাসঃ লেখক অপূর্ব দত্ত।
‘কার্তিকের আবাহনে হেমন্তের শুরু
ধানসিঁড়ি নদীটার পাশে
বসে আছি কাঁঠাল ছায়ায়
শ্যামল সবুজ মুথাঘাসে
শিশিরের শব্দ শোনা যায়
জীবনানন্দের পাশে যেন কবিগুরু।’

আর খ-খ-খ-খ মিলবিন্যাসের উদাহরণ হল নীলোৎপল ভট্টাচার্যের লেখা ছড়াক্কাঃ

‘প্রেমের শহর প্রিয় প্যারিস,রাখলে সেথায় পাপ
নির্বিচারে হত্যালীলা
সইবে না কেউ দহনবেলা
মানবে না কেউ মৃত্যুখেলা
বদলাতে কেউ নয় একেলা
সতর্কতায় দু-চোখ রাঙায় রাষ্ট্র, কেউ করে না মাপ।’

খ-গ-খ-গ মিলবিন্যাসের ছড়াক্কাটি পার্থজিৎ চন্দেরঃ
‘সেও তো এসে বসতো ছাদে ,সন্ধ্যে বেলায় একলা হত
কয়েকশত গানের পরে শূণ্য খাতা
মরুভূমির উটের মত একলা চলা
অন্ধকারে; একলা কথা একলা বলা
বুকের দিকে তীর ছুঁড়েছে রোজ বিধাতা
কেমন করে, খুঁড়তে যখন লেখা থমকে যেত।’
ছড়াক্কা লিমেরিক ও হাইকু থেকে একটু আলাদা। হাইকুতে ৩টি লাইন। লিমেরিকে ৫টি ও ছড়াক্কায় ৬টি। হাইকুতে কোনো অন্ত্যমিল নেই, লিমেরিকে আছে। ছড়াক্কাতেও আছে। হাইকুতে মাত্রা বেঁধে দেওয়া আছে ৫-৭-৫ অর্থাৎ ১৭মাত্রা। লিমেরিকে এবং ছড়াক্কায় মাত্রা নির্দিষ্ট নেই। হাইকু সাধারণত কবিতা। লিমেরিক কবিতা নয়, মূলত ছড়া। আর ছড়াক্কা প্রায় আধাআধি ভাবে ছড়া এবং কবিতা। হাইকুতে অন্ত্যমিল নেই বলে সহজেই কবিতা হয়ে উঠতে পেরেছে। লিমেরিক অন্ত্যমিলের নিগড়ে আষ্টেপৃষ্টে বাঁধা,তাই এটা ছড়া। ছড়াক্কার শিথিল অন্ত্যমিলের ক্ষেত্রে লেখকের স্বাধীনতা আছে। তাই এটা একটু ছড়া,একটু কবিতা। ছড়াক্কার পথচলা নিয়ে অমলেন্দু দত্ত লিখেছেন-
‘দেখতে দেখতে ছড়াক্কার আজ বয়স হল কুড়ি
বলতে পারো এখন ভরা যৌবন
ফুলের শোভায় ফলের ভারে মৌ-বন
ভিড় করেছেন রসিক সুজন রঙদের
মুগ্ধ নয়ন আমরা জন্মলগ্নের
বলছি বুড়ি হয়েই বাঁচো,
হয়ো না থুথুড়ি।’
উপরের আলোচনায় দেখা গেল, কবিরা সফলভাবে বিভিন্ন মিলবিন্যাসেই ছড়াক্কা লিখেছেন। এবং বিভিন্ন বিষয়ে। কিন্তু ছড়াক্কা শুধু লিখলেইতো হবে না, ছড়াক্কার প্রসারও দরকার। এ প্রসঙ্গে কবি অনন্ত দাশ সত্যি কথাটিই বলেছেন, ‘আমার মতে ছড়াক্কা ছড়ার রূপ রীতি নিয়ে একটি অভিনব আন্দোলন। এই আন্দোলনকে শুধুমাত্র একটি পত্রিকার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে যদি আরো কিছু পত্রিকায় ছড়াক্কাকে ছড়িয়ে দেওয়া যায়, তাহলে এর প্রসার ও বিস্তার হবে।’ আসুন, কথাটিকে আমরা বাস্তবে রূপ দিয়ে এই নতুন আঙ্গিকটিকে আমাদের প্রিয় বাংলা-সাহিত্যে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করি।

হ-য-ব-র-ল
মাসুমা আক্তার রুমা

১.
করিম সাহেব: জানেন রহিম সাহেব, আমরা বাঙালিরা একদমই অলসের হাঁড়ি।
রহিম সাহেব: কেনো, কেনো,এ কথা বলছেন কেনো?
করিম সাহেব: আরে ভাই রোজ অফিসে গিয়ে যখন ৫ম তলায় উঠবো বলে লিফটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকি তখন ভাবি আমার সামনে পেছনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষগুলো কি অলস। ৫ মিনিটে যেখানে ৫ম তলায় ওঠা যায় সেখানে মিনিটের পর মিনিট লিফটের সামনে দাঁড়িয়ে আছে।
রহিম সাহেব: হুমমমমম…বুঝলাম।
করিম সাহেব: কি বুঝলেন ভাই?
রহিম সাহেব: বুঝলাম আপনি অনেক অ্যাকটিভ

২.
১ম জন: ভাই আপনি যাই বলেন আর তাই বলেন এলাকার মানুষ কিন্তু আমাকে খুবই সম্মান করে।
২য় জন: হুমমমমম..নইলে কি আর ভালবেসে ‘তেলে মান্নান’ বলে ডাকতো।
১ম জন: ইয়ে মানে…আসলে এক সময় খাঁটি সরিষার তেলের বিজনেস করতাম তো লোকজন এখনও সেই স্মৃতি ভুলতে পারে নাই।

৩.
১ম বন্ধু: আচ্ছা দোস্ত, পড়লেই ঘুম চলে আসে কেনো?
২য় বন্ধু: তাহলে তুই ঠিক মতো পড়স নাই।
১ম বন্ধু: মানে?
২য় বন্ধু: মানে পড়ার মতো পড়লে শরীরের হাড্ডি-গুড্ডি তো ভাঙ্গার কথা। তখন তীব্র ব্যথায় ঘুম তো আসার কথা না।
১ম বন্ধু: অ্যা !!!!!!!!

Comments

comments

About

Check Also

রঙ্-বাহারি

২০১৯ শেষে… বহু ঘটন-অঘটনে কাটলো ২০১৯ সাল। দীর্ঘ কয়েক দশক দশক পর জাতি দেখলো ‘ডাকসু’ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *