ঈদুল আদ্বহা : ত্যাগের এক অনুপম আদর্শ

ত্যাগ, শান্তি আর আনন্দের অনাবিল সওগাত নিয়ে মুসলিম উম্মাহর কাছে আবার স্বমহিমায় হাজির হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আদ্বহা। আনন্দঘন এ দিনকে সামনে রেখে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি চলছে সর্বত্র। কিন্তু এই সময়ে মুসলিম উম্মাহ বেদনাহত, ভারাক্রান্ত। কারণ ঈদের আনন্দে শরীক হতে পারছে না সর্বনাশা যুদ্ধে বাড়ি-ঘর হারা বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মুসলমান শরণার্থীরা, গণহত্যার শিকার হচ্ছে কাশ্মীর, সিরিয়া, ফিলিস্তিন, ইরাক সহ বিশ্বের অগণিত মুসলমানরা। ঈদুল আদ্বহাকে সামনে রেখে রাব্বে ক্বারীমের দরবারে ফরিয়াদ জানাই, আয় রাব্বে ক্বারীম! আপনি দুনিয়াকে নিরাময় এবং মানবিক মূল্যবোধে সমৃদ্ধ করুন। এই কঠিন সময়ে মুসলমান হিসাবে আমাদের বুঝতে হবে আসল ঈদ কি? ঈদ বলতে আমরা কি বুঝি?
ঈদ শব্দটি আরবি। এর অর্থ বারবার ফিরে আসা, জামায়েত হওয়া, আনন্দ, অভ্যাস ইত্যাদি। যে দিন মানুষ একত্রিত হয় ও বারবার ফিরে আসে এমন দিনকেই ঈদ বলা হয়। ঈদ আরবি শব্দ “আদা-ইয়াউদু” থেকে উৎপন্ন হয়েছে। আবার অনেকে বলেন এটা আরবি শব্দ “আদাত” বা অভ্যাস থেকে উৎপন্ন। কেননা মানুষ ঈদ উদযাপনে অভ্যস্ত। সে যাই হোক, যেহেতু এ দিনটি বারবার ফিরে আসে এবং মুসলমানরা এ দিনে আল্লাহ পাকের নির্দেশ পালন করে আনন্দ পায় তাই এর নামকরণ করা হয়েছে ঈদ। “ঈদ” শব্দ দ্বারা এ দিবসের নাম রাখার তাৎপর্য হচ্ছে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দিবসে তার বান্দাহদের নিয়ামত ও অনুগ্রহ দ্বারা বারবার ধন্য করেন ও তাঁর দয়ার দৃষ্টি বারবার দান করেন। যেমন হজ্ব-জিয়ারত, কুরবানির গোশত ইত্যাদি আমাদের জন্য নিয়ামত। মহান রব বারবার এগুলো ফিরিয়ে দেন যাতে এ সকল নিয়ামত ফিরে পেয়ে আমরা ভোগ করে আনন্দ উপভোগ করতে পারি এবং পরিশেষে তার শুকরিয়া আদায় করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি।

ঈদের ইতিহাস:
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদিনা শরীফ হিজরতের পর প্রথম হিজরীতেই ঈদ শুরু হয়। পূর্বেকার নবীদের সময় ঈদের প্রচলন ছিল না।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কা শরীফ হতে হিজরত করে যখন মদিনা শরীফ পৌঁছলেন তখন মদিনাবাসিদেরকে ‘নওরোজ’ ও ‘মেহেরজান’ নামে দু’টি আনন্দ দিবস উদযাপন করতে দেখলেন, যে দিবসে তারা খেলাধুলা রং তামাশা করত। সাহাবায়ে কেরাম (রা.) মহানবী (সা.)-এর কাছে তাদের আনন্দ-উদযাপনে অংশগ্রহণ করবেন কি-না সে ব্যাপারে জানতে চাইলেন। উত্তরে মহানবী (সা.) ইরশাদ করলেন, আল্লাহ তা’লা তোমাদের এর পরিবর্তে আরও উৎকৃষ্ট দু’টি দিন দান করেছেন- একটি ঈদুল ফিতর এবং অপরটি ঈদুল আদ্বহা।

ঈদুল আদ্বহার গুরুত্ব ও তাৎপর্য :
বিশ্বের প্রতিটি মুসলমানদের কাছে ঈদুল আদ্বহার গুরুত্ব অপরিসীম। এই ঈদ হল কোরবানী ও ত্যাগের ঈদ, ত্যাগের মাধ্যমেই একজন মানুষ উন্নতির চরম শিখরে পৌছে। কোরআন শরীফ ও হাদীস শরীফে এ ব্যাপারে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ রাব্বুল আ’লামীন বলেন: ‘এগুলোর (কোরবানীর পশুর) গোশত ও রক্ত আল্লাহর কাছে পৌঁছে না, কিন্তু পৌঁছে তাঁর কাছে তোমাদের মনের তাকওয়া। এমনিভাবে তিনি এগুলোকে তোমাদের বশ করে দিয়েছেন, যাতে তোমরা আল্লাহর মহত্ত্ব ঘোষণা কর এ কারণে যে, তিনি তোমাদের পথ প্রদর্শন করেছেন। সুতরাং সৎকর্মশীলদের সুসংবাদ শুনিয়ে দিন” (সুরা হাজ্জ-৩৭)।
অন্য আয়াতে আরও বলেন, ‘আর আমি তাঁর (ইসমাঈলের) পরিবর্তে যাবেহ করার জন্য দিলাম এক মহান জন্তু। আমি তার জন্য এটিকে পরবর্তীদের মধ্যে রেখে দিলাম’ (সাফ্ফাত ১০৭-১০৮)।
আল্লাহ বলেন, ‘তুমি তোমার প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে নামাজ আদায় কর এবং কুরবানী কর’ (আল-কাওছার ২)।
প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে ব্যক্তি কুরবানী করল না, সে যেন আমাদের ঈদগাহের নিকটবর্তী না হয়’। এটি ইসলামের একটি ‘মহান নিদর্শন’ যা ‘সুন্নাতে ইবরাহিমী’ হিসাবে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদীনা মুনাওয়ারায় প্রতি বছর আদায় করেছেন এবং সাহাবাগণও নিয়মিতভাবে কুরবানী করেছেন। অতঃপর মুসলিম উম্মাহর সামর্থ্যবানদের মধ্যে এটি চালু আছে। এটি কোরআন ও সুন্নাত এবং ইজমায়ে উম্মত দ্বারা সুপ্রমাণিত।
ঈদুল আদ্বহা ইবরাহীম (আ.), হযরত হাজেরা ও ইসমাঈল (আ.) এর পরম ত্যাগের স্মৃতি বিজড়িত উৎসব। ইবরাহীম (আ.)-কে আল-কুরআনে মুসলমান জাতির পিতা ‘মিল্লাতা আবিকুম ইব্রাহিম’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে (হজ্জ ৭৮)। সম্মানিত এ পরিবারটি বিশ্ব মুসলিমের জন্য ত্যাগের অনুপম আদর্শ। তাই ঈদুল আদ্বহার দিন সমগ্র মুসলিম জাতি ইবরাহিমী সুন্নাত পালনের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের প্রাণপণ চেষ্টা করে। কুরবানীর স্মৃতিবাহী যিলহজ্জ মাসে হজ্জ উপলক্ষে সমগ্র পৃথিবী থেকে লাখ লাখ মুসলমান সমবেত হন ইবরাহিম (আ.)-এর স্মৃতি বিজড়িত মক্কা মোকাররমায়। তাঁরা ইবরাহিমী আদর্শে আদর্শবান হওয়ার জন্য জীবনের সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা করেন। হজ্জ মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, সংহতি ও ভ্রাতৃত্ববোধের এক অনন্য উদাহরণ। আমরা নিবিড়ভাবে অনুভব করি বিশ্ব মুসলিম ভ্রাতৃত্ব। ঈদের উৎসব সমষ্টিগতভাবে ধর্মীয় অনুভূতিতে পূর্ণ একটি সামাজিক আনন্দের উৎসব। ঈদুল আদ্বহা উৎসবের একটি অঙ্গ হচ্ছে কুরবানী। কুরবানী হলো আতœশুদ্ধি এবং পবিত্রতার একটি অনন্য মাধ্যম। শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্যই এ রীতি প্রবর্তিত হয়েছে তাই প্রকৃত মুসলমান প্রতিমুহূর্তেই তার করুণা লাভের প্রত্যাশী। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন কোরআন পাকে ঘোষণা করে বলেন ‘বলুন (হে নবী) আমার নামাজ, আমার কুরবাণী এবং আমার জীবন ও মরণ বিশ্ব-প্রতিপালক আল্লাহরই জন্যে’ (আল আনআম ১৬২)। তাই আমাদের জীবনের সবকিছু তাঁর উদ্দেশ্যেই নিবেদিত এবং কুরবানী হচ্ছে সেই নিবেদনের একটি প্রতীক। মানুষ কুরবানীর মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভে ধন্য হতে চায়। আল্লাহর জন্য মানুষ তার সবচেয়ে প্রিয় জিনিস ত্যাগ করতে প্রস্তুত আছে কি-না সেটাই পরীক্ষার বিষয়। কুরবানী আমাদেরকে সেই কঠিন পরীক্ষার কথাই বারবার স্মরণ করিয়ে দেয়। ইবরাহীম (আ.) কে পরীক্ষার কারণও ছিল তাই।
ঈদুল আদ্বহা : ত্যাগের এক অনুপম আদর্শ
ঈদুল আদ্বহা বা কুরবানীর ঈদ সম্পর্কে স্বভাবতই একটি প্রশ্ন এসে যায়। আমরা কি শুধু বছরের এই একটি নির্দিষ্ট সময়েই গরীব-দুঃখী-নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়াবো, তাদেরকে আহার করানোর কথা ভাবব? আর বাকি দিনগুলো কি তাদের ভুলে থাকব? না, অবশ্যই না। ঈদুল আদ্বহার কুরবানী আল্লাহর জন্য আত্মত্যাগের একটি দৃষ্টান্ত এবং তাকওয়া অর্জনের অনন্য মাধ্যম। শুধু একটি নির্দিষ্ট সময়ই নয় বরং সারা বছরই আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় নিজ সম্পদ অন্য মানুষের কল্যাণে ব্যয় করে ত্যাগের দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। আমাদের মধ্যে এই ত্যাগের মনোভাব যদি গড়ে ওঠে তাহলে বুঝতে হবে, কুরবানীর ঈদ স্বার্থক হয়েছে। নইলে এটি নামমাত্র একটি ভোগবাদী অনুষ্ঠানই থেকে যাবে চিরকাল। কুরআনে কারীমে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বারবার ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন। আল্লাহ বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা তোমাদের উপার্জিত হালাল মালের কিছু অংশ এবং আমি যা তোমাদের জন্য যমীন হতে বের করেছি তার অংশ ব্যয় কর’ (বাক্বারাহ ২৬৭)। আমাদের প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পদ মানবতার সেবায় ব্যয় করতে হবে। ঈদুল আদ্বহার মূল লক্ষ্য হচ্ছে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলের সাথে সৌহার্দ, আন্তরিকতা এবং বিনয়ের আচরণ করা। মুসলমানদের জীবনে এই সুযোগ সৃষ্টি হয় বছরে মাত্র দু’বার। ধনী গরীব, রাজা-প্রজা একই কাতারে দাঁড়িয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ঈদগাহে নামায আদায়ের মাধ্যমে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ ভুলে যায়। পরস্পরে কুশল বিনিময় করে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয়, জীবনকে স্বাচ্ছন্দ্যময় এবং আন্তরিক মহানুভবতায় পরিপূর্ণ করে। মূলতঃ আমাদের দৈনন্দিন জীবনে যে ক্লেশ, হতাশা তা দূরীকরণের জন্য আল্লাহ আমাদেরকে ঈদুল আদ্বহার মত মহান উৎসব দান করেছেন। যারা সমাজে অসুখী, নির্যাতিত এবং দরিদ্র তাদের জীবনে সুখের আলো ছড়িয়ে দেওয়া এবং দারিদ্রের কষাঘাত দূর করা সামর্থ্যবান মুসলমানদের কর্তব্য। মানুষের কোন সৎ কর্মই আল্লাহর কাছে ঈদুল আদ্বহার কুরবানীর দিনে রক্ত প্রবাহিত করার চাইতে অধিকতর প্রিয় নয়। আল্লাহর পথে জীবন উৎসর্গ করার ইচ্ছা সৃষ্টি করা, ইবরাহীম (আ.)-এর পুত্র কুরবানীর ন্যায় ত্যাগ ও তার মহান আদর্শকে পুনরুজ্জীবিত করা, আল্লাহর অনুগ্রহকে স্মরণ করা ও তাঁর বড়ত্ব প্রকাশ করাই কুরবানীর প্রকৃত তাৎপর্য।

শিক্ষা
নবী ইব্রাহীম (আ.) আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য তার প্রাণপ্রিয় পুত্র ইসমাঈল (আ.)-কে কুরবানি করতে গিয়ে যে অগ্নিপরীক্ষা দিয়েছেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সন্তুষ্ট হয়ে ইসমাঈল (আ.) এর পরিবর্তে দুম্বা কুরবানি করার নির্দেশের মাধ্যমে পরবর্তীতে মুসলমানদের জন্য এ স্মৃতি স্মরণ করে তাহার উদ্দেশ্যে দুম্বা, উট, গরু, ছাগল কুরবানি করার বিধান চালু করে দেন। কুরবানি মানে উৎসর্গ করা-মূলত পশুর প্রতি মানুষের পশুত্বকে কুরবানি দেয়া। তাই আমাদের জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম বলেছেন-
মনের পশুরে কর জবাই
পশুরাও বাঁচে, বাঁচে সবাই।
কশাই-এর আবার কোরবানি!
(শহিদি ঈদ)
‘ভোগে নয়, ত্যাগেই সুখ’ মূলত এই মহান সর্বজনীন বাণীই হলো ঈদুল আদ্বহা বা কুরবানির মূলমন্ত্র। কুরবানিতেও আমরা ইসলামের সাম্যবাদী চেতনা লক্ষ্য করি। এখানে কুরবানির গোশত বণ্টনের মধ্যে রয়েছে মহান ভ্রাতৃত্ববোধ ও সাম্যবাদী চেতনা। কিন্তু আজ দেশে-বিদেশে কুরবানিকে নিয়ে চলছে ষড়যন্ত্র। গো-হত্যা, পশু হত্যা নামে মুসলিম অমুসলিম সম্প্রদায়ের কিছু মানুষ তাদের ঘৃণ্য চেতনার জানান দিচ্ছে। আমরা দুর্বল চিত্তের মুসলমানরা এ ব্যাপারে একেবারেই নিশ্চুপ। কিন্তু আমাদের মহান কবি কাজী নজরুল ইসলাম প্রায় শত বছর পূর্বেও এ ব্যাপারে সোচ্চার ছিলেন। তার এই কালজয়ী বাণী এখনো প্রাসঙ্গিক-
ওরে হত্যা নয় আজ ‘সত্যাগ্রহ’ শক্তির উদ্বোধন!
দুর্বল! ভীরু! চুপ রহো, ওহে খামকা ক্ষুব্ধ মন!
ধ্বনি ওঠে রণি দূরবাণীর-
আজিকার এ খুন কোরবানির!
দুম্বাশির রুম্বাসীর!
শহিদের শির সেরা আজি! -রহমান কি রুদ্র নন
ব্যস! চুপ খামোশ রোদন! –
মানুষ আল্লাহর জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করবে, এই শিক্ষাই ইবরাহীম (আ.) আমাদের জন্য রেখে গেছেন। মহানবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের জন্য ঐ ত্যাগের আনুষ্ঠানিক অনুস্মরণকে বিশেষ মর্যাদা দিয়েছেন। আর ঈদুল আদ্বহার মূল আহ্বান হল আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের প্রতি একনিষ্ঠ আনুগত্য প্রকাশ করা। সকল দিক হতে মুখ ফিরিয়ে এক আল্লাহর দিকে রুজু হওয়া। সম্পদের মোহ, ভোগ-বিলাসের আকর্ষণ, সন্তানের স্নেহ, স্ত্রীর মুহাববত সবকিছুর ঊর্ধ্বে আল্লাহর সন্তুষ্টি প্রতি আত্মসমর্পণ করে দেওয়াই হল ঈদুল আদ্বহার মূল শিক্ষা।
ইবরাহীম (আ.) সকল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করেছিলেন, হয়েছিলেন মানবজাতির আদর্শ। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা যারা আল্লাহ ও পরকালের ভয় কর তাদের জন্যে ইবরাহীম ও তাঁর অনুসারীদের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ’ (মুমতাহিনা ৪-৬)।

Comments

comments

About

Check Also

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার মূর্তপ্রতীক মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম

ইদানিংকালে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিয়ে বেশ আলোচনা চলছে। জাতি সংঘ সহ সারাবিশ্বের সব দেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *