নারী-শিশু হত্যা, নির্যাতন আমাদের বিবেক

নির্যাতনকারী আর নির্যাতনে সহায়তা বা উপভোগকারী কি সমান অপরাধী নয়?
সম্প্রতি বেশ কিছু নারী-শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটে গেল বাংলাদেশে। ঘটনাটি সংঘটিত হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বা ইউটিউবে ঘটনার ভিডিও দেখা যায়। অনেক ভিডিওতে দেখা যায় নির্যাতনকারীকে কেউনা কেউ সহায়তা করছেন। আবার কোথাও দেখা যায় মানুষ দাঁড়িয়ে ঘটনাটি উপভোগ করছেন নিরব দর্শকের ভুমিকায়। আবার ঘটনার পরের দিন থেকে প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে যায় রাজপথ।
প্রশ্ন হলো যে নির্যাতন করল আর যে সহায়তা বা নিরবে তা উপভোগ করল ওরা সবাই কি একইভাবে দোষী হবে না? যদি না হয় তা হলে কেন ওরা ভিডিও বা ফটো উঠানোর কাজে ব্যস্থ না থেকে ঐ নির্যাতিত নারী-শিশু বা লোকটাকে উদ্ধার করতে এগিয়ে এলো না?
সম্প্রতি সিলেটে যে বোনটি নির্যাতিত হলো তারও ভিডিওতে দেখলাম আশ-পাশে লোকজন আছে। কেন ওরা এগিয়ে এলো না? আমরা যে কোন ঘটনা ঘটার পর প্রতিবাদী না হয়ে ঘটনার সময় প্রতিরোধকারী হই না কেন? অবশ্যই এ দেশে এমন ঘটনা আর দেখা যাবে না প্রতিরোধী হলে।
আসুন, এমন ঘৃণিত কাজকে না বলি। সমাজকে শান্তিময় করে তুলি। আমাদের ঘুমন্ত বিবেককে জাগ্রত করি। এতে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সমাজ সুন্দর হবে এই প্রত্যাশা করা যায়।

নির্বাহী সম্পাদক-‘সন্ধানী’
ফুলতলী, জকিগঞ্জ, সিলেট।

Comments

comments

About

Check Also

‘অভিযাত্রিক’-এর অভিযাত্রা ও লেখক-সম্মেলন : সামান্য স্মৃতিমন্থন

মাসিক অভিযাত্রিক-এর সম্পাদক রফীকুল ইসলাম মুবীন ভাই আর আমি মুহিববুল্লাহ জামী ছারছীনা মাদরাসায় সমসাময়িক এবং …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *