রঙ্-বাহারি

বাণী
ইউরোপের সমৃদ্ধি ও বিকাশের প্রকৃতপক্ষে এমন কোনো ক্ষেত্র নেই যেখানে ইসলামি সস্কৃতির সুনিশ্চিত প্রভাবের ছাপ নেই। আজকের আধুনিক বিশ্বে স্থায়ী ও বৈশিষ্ট্যময় যে শক্তি, তার উৎস নিহিত আছে ইসলামি শক্তির ভেতর-এ হচ্ছে সেই শক্তি, যাকে আমরা বলি প্রকৃতিবিজ্ঞান ও বিজ্ঞানমনস্কতা।
ক্যারা দ্য ভক্স।
একাদশ জাতীয় নির্বাচন এবং…
ক্স অনুষ্ঠিত হয়-৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮ রবিবার।
ক্স মোট ভোটার ছিল-১০,৪১,৯০,৪৮০ জন।
ক্স পুরুষ ভোটার ছিল-৫,২৫,৪৭,৩২৯ জন।
ক্স নারী ভোটারের সংখ্যা-৫,১৬,৪৩,১৫১ জন।
ক্স প্রদত্ত ভোট শতকরা-৮০%
ক্স প্রাপ্ত দলীয় আসন সংখ্যা-আওয়ামীলীগ ২৬৭, জাতীয় পার্টি ২০, বিএনপি ৭, স্বতন্ত্র ৪।
ক্স বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়-১৯৭২ সালে
ক্স প্রথম নির্বাচন কমিশনার-বিচারপতি মোঃ ইদ্রীস
ক্স বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার-কে এম নুরুল হুদা
ক্স প্রথম নারী নির্বাচন কমিশনার-বেগম কবিতা খানম
ক্স ১-১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সাল-১৯৭৩, ১৯৭৯, ১৯৮৬, ১৯৮৮, ১৯৯১, ১৯৯৬*, ২০০১, ২০০৮, ২০১৪।

  • ১৯৯৬ সালে দুটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ফেব্র“য়ারিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে নির্বাচিত হয় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি); প্রদত্ত মোট ভোট ছিল ২০.৯৭%। এই নির্বাচন বাতিল করা হয়। অতঃপর জুনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জয়লাভ করে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ।
    ক্স নির্দলীয় তত্ত্বাবধারক সরকারের অধীনে প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়-পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচন (১৯৯১ সালে)
    ক্স সর্বোচ্চ প্রদত্ত ভোট ছিল-৮৭.১৩% নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন (২০০৮ সাল)
    ক্স সর্বোচ্চ প্রার্থী ছিল-২৭৮৭জন। পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচন-১৯৯১।
    ক্স সবচেয়ে কম প্রার্থী ছিল-৫৪৩ জন। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন-২০১৪
    ক্স সর্বাধিক আসন পেয়ে সরকার গঠন-বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ (২৯৩), প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন-১৯৭৩।
    ক্স ব্যালট বক্সের আদ্যোপান্ত-১৯৭৩ সাল থেকে ২০০৮ সাল অবধি ব্যালট বক্স ছিল স্টিলের। ২০০৮ সালে আন্দোলনের মাধ্যমে তা বিলুপ্ত করে স্বচ্ছ প্লাস্টিকের ব্যালট বক্স চলছে। এ বছর কয়েকটি আসনে শুরু হয়েছে ‘ইবিএম’ পদ্ধতি।
    ‘EVM’-Electronic Voting machine.

শিক্ষণীয় গল্পঃ
ছোট্ট এক ছেলে ছিলো প্রচণ্ড রাগী। তাই দেখে বাবা তাকে একটা পেরেক ভর্তি ব্যাগ দিল এবং বললো যে, যতবার তুমি রেগে যাবে ততবার একটা করে পেরেক আমাদের বাগানের কাঠের বেড়াতে লাগিয়ে আসবে। প্রথমদিনেই ছেলেটিকে বাগানে গিয়ে ৩৭ টি পেরেক মারতে হলো।
পরের কয়েক সপ্তাহে ছেলেটি তার রাগকে কিছুটা নিয়ন্ত্রনে আনতে পারে তাই প্রতিদিন কাঠে নতুন পেরেকের সংখ্যাও ধীরে ধীরে কমে এলো। সে বুঝতে পারলো হাতুড়ী দিয়ে কাঠ বেড়ায় পেরেক বসানোর চেয়ে তার রাগকে নিয়ন্ত্রন করা অনেক বেশি সহজ।
শেষ পর্যন্ত সেই দিনটি এলো যেদিন তাকে একটি পেরেকও মারতে হলো না। সে তার বাবাকে এই কথা জানালো। তারা বাবা তাকে বললো এখন তুমি যেসব দিনে তোমার রাগকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রন করতে পারবে।
সেসব দিনে একটি একটি করে পেরেক খুলে ফেলো। অনেক দিন চলে গেল এবং ছেলেটি একদিন তার বাবাকে জানালো যে সব পেরেকই সে খুলে ফেলতে সক্ষম হয়েছে।তার বাবা এবার তাকে নিয়ে বাগানে গেল এবং কাঠের বেড়াটি দেখিয়ে বললো- তুমি খুব ভাল ভাবে তোমার কাজ সম্পন্ন করেছো,এখন তুমি তোমার রাগকে নিয়ন্ত্রন করতে পারো কিন্তু দেখো, প্রতিটা কাঠে পেরেকের গর্ত গুলো এখনো রয়ে গিয়েছে। কাঠের বেড়াটি কখনো আগের অবস্থায় ফিরে যাবে না।
যখন তুমি কাউকে রেগে গিয়ে কিছু বলো তখন তার মনে ঠিক এমন একটা আচড় পরে যায়। তাই নিজের রাগতে নিয়ন্ত্রন করতে শেখো।মানসিক ক্ষত অনেক সময় শারীরিক ক্ষতের চেয়েও অনেক বেশি ভয়ংকর।
কৌতুকঃ
১. শিক্ষক জিজ্ঞেস করলেন, কে বলতে পারবে, আমরা কেন আগে বিদ্যুৎ চমকানো দেখি এবং পরে শুনি মেঘের গর্জন?
এক বালক উঠে দাঁড়িয়ে উত্তর দিল, কারণ, আমাদের চোখের অবস্থান কানের আগে।
২. ছাত্রদের মানসিকতা বোঝার জন্য এক নতুন শিক্ষক ক্লাসে ঢুকেই বলল – যারা নিজেকে নির্বোধ মনে করে তারা উঠে দাড়াও। অনেকক্ষণ পর দেখা গেলো যে শুধু একজন ছাত্র উঠে দাঁড়ালো।
শিক্ষকঃ তাহলে তুমি নিজেকে নির্বোধ মনে কর?
ছাত্রঃ না স্যার। আসলে আপনি একা দাঁড়িয়ে আছেন, বিষয়টা ভাল দেখায় না। তাই আমিও…
৩. স্কুল পরিদর্শনে এসে ক্লাস নাইনের রুমে ঢুকলেন পরিদর্শক। তখন ইতিহাস ক্লাস চলছিলো। ফার্স্ট বয়কে ডেকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘বলোতো, সোমনাথের মন্দির কে ভেঙেছিলো?’
ফার্স্ট বয় : (ভয় পেয়ে) আমি ভাঙিনি স্যার, বিশ্বাস করেন, স্যার, আমি কোনোরকম ভাঙচুর করিনি! আমাকে মাফ করে দেন স্যার।
পরিদর্শক তখন ক্লাস টিচারের দিকে তাকিয়ে বলছেন, ‘কি বলে আপনার ছাত্র এসব উল্টা পাল্টা?’
শিক্ষক : উল্টা পাল্টা নয় স্যার। আমি ওকে সেই ছোটবেলা থেকেই চিনি। খুব ভালো ছেলে স্যার। মন্দির-মসজিদ ভাঙার মতো কোনো কাজ ও করতেই পারে না।
পরিদর্শক রেগে গিয়ে হেডমাস্টারের কাছে জানতে চাইলেন, ‘এর একটা বিহিত করুন। আপনার সামনেই আপনার ছাত্র আর শিক্ষক মিলে এগুলো কি কথা বলছে?’
প্রধান শিক্ষক : আপনার হয়তো একটু ভুল হচ্ছে স্যার। আমি ইতিহাস শিক্ষককে ব্যক্তিগতভাবে চিনি। সৎ ও সত্যবাদী মানুষ। আমার ছাত্র যদি মন্দির ভাঙতো, তাহলে তিনি সেটা নিশ্চয়ই বলতেন। তাছাড়া আমার ছাত্ররাও খুব ভালো স্যার, ওরা জানালার কাঁচ পর্যন্ত ভাঙেনা, আর আপনি বলছেন মন্দির ভাঙা। আপনি সত্যি সত্যি ভুল করছেন স্যার।
পরিদর্শক : !!??

Comments

comments

About

Check Also

রঙ্-বাহারি

২০১৯ শেষে… বহু ঘটন-অঘটনে কাটলো ২০১৯ সাল। দীর্ঘ কয়েক দশক দশক পর জাতি দেখলো ‘ডাকসু’ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *