রোজার সর্বজনীনতা

১) রোজা বা সিয়াম কি?
রোজা শব্দটি ফারসি। এর একটি অর্থ হচ্ছে দিন। যেহেতু এই আমলটি দিনের শুরু থেকে শেষাংশ পর্যন্ত পালন করা হয তাই একে রোজা বলা হয়। এর আরো একটি অর্থ হচ্ছে “উপবাস”। যদি আরবি “রজম” থেকে এই শব্দটি বের করা হয় তাহলে এর অর্থ দাঁড়াবে “জ্বালানো, পোড়ানো বা দহন” করা। আর কোরআনে কারিম বা হাদীস শরীফের ভাষায় আরবিতে এর নাম “সাওম”। যার আভিধানিক অর্থ কোনো কাজ থেকে বিরত থাকা বা থেমে থাকা। দ্বিতীয় হিজরীর শাবান মাসে আরবি বর্ষপঞ্জিকার নবম মাস রামাদ্বানে মুসলমানদের জন্য রোজা বা সাওম ফরদ্ব করা হয়। আল্লাহর নবী (সা.) ওই সালের রামাদ্বান থেকে তার মোবারক জীবনে মোট নয় বার রামদ্বানের রোজা বা সাওম পালন করেন। ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের অন্যতম হল রামদ্বান মাসের রোজা। রোজা বা সাওম এর স্থান হলো তৃতীয় এবং তা প্রত্যেক সুস্থ মস্তিষ্ক সম্পন্ন প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানের ওপর ফরদ্ব। শরিয়তের পরিভাষায় (রোজা) সাওম বা সিয়াম হলো- ফজর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত অর্থাৎ একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য সহকারে পানাহার, রতিক্রিয়া, অশ্লীলতা ও ফাহেশা কথা-বার্তাসহ যাবতীয় রোযা নষ্টকারী কাজ থেকে বিরত থাকা এবং এর মাধ্যমে আল্লাহর বন্দেগি এবং সন্তুষ্টি লাভ করা।
২) পুর্ববর্তী নবীর উম্মতের রোজা।
রোজা বা সাওম পালনের বিধান সর্বযুগে সর্বকালে ছিল। নবী হযরত আদম (আঃ) থেকে শুরু করে আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (স.) পর্যন্ত সকল নবী রাসুলগনের যুগেই রোজার বিধান ছিল । কোরআনে কারিমে আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন:
হে বিশ্বাসীগণ! তোমাদের জন্য রোজা বা সিয়ামের বিধান দেওয়া হল (ফরদ্ব করা হল), যেমন পূর্ববর্তীদের উপর ফরদ্ব করা হয়েছিল যাতে তোমাদের পরহেযগারী অর্জিত হয় (মুত্তাকি হতে পার)। (বাকারা:১৮৩)।
এ আয়াতের ব্যখ্যায় আল্লামা আলূসী (র.) স্বীয় তাফসীর গ্রন্থ ‘রুহুল মাআনী’ তে উল্লেখ করেছেন যে এখানে ‘মিন ক্বাবলিকুম’ দ্বারা হযরত আদম (আ.) হতে শুরু করে হযরত ঈসা (আ.) এর যুগ পর্যন্ত সকল যুগের মানুষকে বুঝানো হয়েছে । এতে এ কথা প্রতীয়মান হচ্ছে যে, রোজা বা সাওম কেবল উম্মতে মোহাম্মদীর উপরই ফরদ্ব করা হয়নি বরং আদম (আ.) এর যুগ হতেই চলে আসছে । কাযী ছানাউল্লাহ পানিপথী (র.) তার তাফসির গ্রন্থ “তাফসীরে মাযহারীতে” উল্লেখ করেন এই আয়াতের মাধ্যমে সাওম বা রোজার বিধান উম্মতে মোহাম্মদীর উপর বলবৎ (ফরদ্ব) করা হয়েছে যেমনটি পুর্ববর্তীদের উপর ছিলো। তবে সংখ্যা,
নিয়ম বা অবস্থা পুনরায় বলবৎ করা হয়নি। হযরত সাঈদ বিন জোবায়ের (রা.) বলেন: পূর্ববর্তী নবীর উম্মতেরা রাতের অন্ধকার ঘনীভূত হওয়ার পর থেকে পরবর্তী রাত পর্যন্ত রোজা রাখতো এবং রামাদ্বানের রোজা ফরদ্ব হওয়ার আগে ইসলামেও এরকম বিধান ছিল।
কোরআনে কারিম এবং হাদীস শরীফ থেকে জানা যায়, পূর্ববর্তী নবীদের উম্মতের রোজার সময় ও সংখ্যার ক্ষেত্রে পার্থক্য বিদ্যমান ছিল। আগেকার যুগে রাতে নিদ্রা যাওয়া থেকেই রোজা শুরু হত এবং ইফতারের পর থেকে শয্যা গ্রহণের পূর্ব পর্যন্তই শুধুমাত্র পানাহার ও স্ত্রী সহবাসের অনুমতি ছিল। বিছানায় গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে এসবকিছু হারাম হয়ে যেত।
নবী হযরত আদম (আ.) এর যুগে প্রতি মাসে তিনটি রোজা রাখার বিধান ছিল। হজরত নুহ (আ.) এর শরিয়তেও প্রতি মাসে তিনটি রোজা ফরদ্ব ছিল। হজরত মুসা (আ.) জিলকদ ও জিলহজ মাসে ১০ দিন রোজা পালন করে আল্লাহর দরবারে হাজির হন এবং তাওরাত লাভ করেন এবং তার শরিয়তেও রোজার সন্ধান পাওয়া যায়। হজরত দাউদ (আ.) একদিন পর একদিন রোজা রাখতেন। প্রিয় নবী (সা.) বলেছেন, আল্লাহর কাছে যে রোজা উত্তম সেই রোজা রাখো, আর সে রোজা হলো দাউদ (আ.) এর রোজা। হজরত দানিয়েল (আ.) একাধারে এক সপ্তাহ পর্যন্ত রোজা রেখেছেন। হজরত ইলিয়াস (আ.) একাধারে ৪০ দিন পর্যন্ত রোজা রেখেছিলেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়। হযরত ইসা (আ.) এর মা হজরত মরিয়ম (আ.) সম্পর্কে কোরআন শরিফে আছে, তিনি বলেন: ‘আমি আল্লাহর জন্য রোজার নিয়্যত করেছি।’ কোরআন এবং হাদিস শরীফ অধ্যায়ন করে আমরা দেখতে পাই প্রত্যেক নবীর শরিয়তেই রোজার প্রচলন ছিল যদিও তা সময় ও সংখ্যার ক্ষেত্রে ভিন্ন। আর আমরা অর্থাৎ উম্মতে মুহাম্মদী (সাঃ) এর উপর রোজা ফরদ্ব করা হয়েছে নির্দিষ্ট ভাবে শুধু রামাদ্বান মাসে এক মাসের জন্য।
৩) অন্যান্য ধর্মে রোজা।
প্রাচীন ইতিহাস সন্ধানে আমরা দেখতে পাই প্রায় সকল ধর্মেই উপবাসের প্রচলন আছে। যেমন: ইয়াহূদী ধর্মে উপবাস বা রোজা: ইয়াহূদীরা প্রতি শনিবার, বছরের মধ্যে মহররমের ১০ তারিখে আশুরার দিন এবং অন্যান্য সময় উপবাস করে। তারা বছরে ৪০ দিন পর্যন্ত উপবাস করে (বায়হাকী শরীফ ও ফাত্হুল বারি)
খ্রিস্টান ধর্মে উপবাস বা রোজা: তাদের দু’ধরণের উপবাসকারী পাওয়া যায়(১) তাদের ফাদারের উপদেশে নির্দিষ্ট কয়েক দিন খাদ্য পানীয় থেকে বিরত থাকা আর ইফতার হবে নিরামিষ দিয়ে। মাছ, মাংস ও দুগ্ধজাত জিনিস খাওয়া যাবে না। যেমন, বড় দিনের উপবাস, ক্ষমা প্রাপ্তির জন্য উপবাস যা ৫৫ দিন পর্যন্ত দীর্ঘায়িত হয়। এমনিভাবে সপ্তাহে বুধ ও শুক্রবার। (২) খাদ্য থেকে বিরত থাকা, তবে মাছ ভক্ষণ করা যাবে। এটা হল উপবাসের মধ্যে ছোট উপবাস, এটা ৪৩ দিন পর্যন্ত দীর্ঘায়িত হয়। এছাড়া দূতগণের উপবাস, মাদার মেরির উপবাস নামে আরোও উপবাস আছে। তবে তাদের ধর্মে কোনো উপবাসই আবশ্যকীয় নয়; বরং কেউ ইচ্ছা করলে রাখতে পারে।
বায়হাকী শরীফ ও ফাত্হুল বারি সুত্রে পাওয়া যায় যে খ্রিষ্টানরা বছরে ৫০ দিন পর্যন্ত উপবাস করে।
গ্রীক ও রোমানদের উপবাস: গ্রীস ও রোমানরা যুদ্ধের আগে উপবাস করত যাতে ক্ষুধা ও কষ্ট সহ্য করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। খ্রিস্টান পাদ্রীদের ও পারসিক অগ্নিপূজকদের এবং হিন্দু যোগী ইত্যকার ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে উপবাসের বিধান ছিল।
জাহেলী যুগে সাবে‘ঈ সম্প্রদায়ের উপবাস: ইবনে নাদিম তার ‘ফিহরাসাত’ কিতাবের নবম খণ্ডে উল্লেখ করেন, সাবে‘ঈ সম্প্রদায়ের লোকেরা (যারা গ্রহ-নক্ষত্র পূজা করে) ত্রিশ দিন উপবাস পালন করত। আযার মাসের ৮দিন অতিবাহিত হলে এ উপবাস শুরু হতো, কানুনে আউয়াল মাসে ৯টি, শাবান মাসে ৭টি । এ সাত উপবাস পালনের পরে তারা ঈদ উদযাপন করত। উপবাস অবস্থায় তারা খাদ্য, পানীয় ও স্ত্রী সহবাস ইত্যাদি থেকে বিরত থাকত।
হিন্দু ধর্মে রোজা বা উপবাস: বেদের অনুসারী ভারতের হিন্দুদের মধ্যেও ব্রত অর্থাৎ উপবাস ছিল। প্রত্যেক হিন্দি মাসের ১১ তারিখে ব্রাহ্মণদের ওপর ‘একাদশীর’ উপবাস রয়েছে। কোনো কোনো ব্রাহ্মণ কার্তিক মাসে প্রত্যেক সোমবার উপবাস করে। কখনো হিন্দু যোগীরা ৪০ দিন পানাহার ত্যাগ করে চল্লিশে ব্রত পালন করেন। হিন্দু মেয়েরা তাদের স্বামীদের মঙ্গল কামনায় কার্তিক মাসের ১৮তম দিবসে ‘কারওয়া চাওত’ নামে উপবাস রাখে।
বৌদ্ধ ধর্মে রোজা বা উপবাস: তারা তাদের চন্দ্রমাসের Upisata মাসে ১, ৯, ১৫ ও ২২ তারিখে ৪দিন উপবাস পালন করে। এছাড়া বৌদ্ধ গুরুরা দুপুরের খাবারের পর থেকে সব ধরণের খাদ্য গ্রহণ থেকে বিরত থাকে। তারা এভাবে খাদ্য থেকে বিরত থেকে সংযম ও শারীরিক নিয়ন্ত্রণ করে। মংগোলীরা প্রতি ১০দিন অন্তর ও যারাদাশতিরা প্রতি ৫দিন অন্তর উপবাস পালন করে।
বিভিন্ন ধর্মে উপবাস প্রথা সেই প্রাচীন কাল থেকেই চলে আসছে। তাদের উপবাস বা রোজার বিধানের সাথে অনেকটা সাদৃশ্য থাকলেও এর ধরণটা একটু আলাদা। অন্যান্য ধর্মে নির্দিষ্ট কয়েক দিন উপবাস থাকার বিধান থাকলেও প্রকৃতপক্ষে এটাকে সাওম বা রোজা বলা যায়না। যেমন ইহুদি ধর্মে রোজা শোক ও বেদনার প্রতীক, হিন্দু ধর্মের উপবাস দেবতাদের সন্তুষ্টি ইত্যাদি, কিন্তু মুসলমানদের রোজা শুধু আনুষ্ঠানিকতা, অসংখ্য স্রষ্টা দেবতার সন্তুষ্টি অর্জন নয় বরং আত্মশুদ্ধি ও এক আল্লাহর নৈকট্য লাভই এর প্রকৃত উদ্দেশ্য।

৪) চিকিৎসা বিজ্ঞানে রোজা
আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে সুস্থ্য জীবন লাভের জন্য বেশি বেশি খাওয়ার প্রয়োজন নেই, বরং কম ও পরিমিত খাওয়াই সুস্থ্য জীবনের মূলমন্ত্র। রোজা পালনের ফলে মানুষের শরীরে কোনো ক্ষতি হয় না বরং অনেক কল্যাণ সাধিত হয়, টক থেকে প্রকাশিত বহুল প্রচারিত সংবাদপত্র The Daily Telegraph এর Science বিভাগে বিশিষ্ট কলামিস্ট Sarah Knapton ১৮ জুন ২০১৫ সংখ্যায় উল্লেখ করেন : Scientists have found that fasting could slow down ageing, add years to life, boost the immune system and cut the risk of heart disease and cancer! অর্থাৎ বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছে যে রোজা পক্ষতা (ageing) কমিয়ে, অনাক্রম্য (immune) বৃদ্ধি করে জীবনের গতি বাড়িয়ে দেয় এবং হৃদরোগ এবং ক্যানসারের মত মহা ব্যধি ও কমিয়ে দিতে সক্ষম। পাশ্চাত্যের প্রখ্যাত চিকিৎসাবিদগণ একবাক্যে স্বীকার করেছেন রোজা রাখা অবস্থায় শরীরের ক্ষমতা ও সহ্যশক্তি লক্ষণীয়। সঠিকভাবে রোজা পালনের পর শরীর সজীবতা লাভ করে। প্রখ্যাত মুসলিম চিকিৎসক ইবনেসিনা তাঁর রোগীদের ৩ সপ্তাহের জন্য উপবাস পালনের নির্দেশ দিতেন। ঔষধের পরিবর্তে উপবাস রোগ মুক্তির জন্য যথেষ্ট ছিল। বৎসরে ১ মাস রোযা রাখার কারণে মানব দেহের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রতঙ্গের বিশ্রাম ঘটে। রোজা একই সাথে দেহে রোগ প্রতিষেধক ও প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। উপবাস মানুষের জীবনে সুখ আনে, জীবনে আনে নতুন ছন্দ-গতি।
স্বাস্থ্য গবেষকগণ মনে করেন যে, মানুষের রোগ নিরাময়ের যতগুলো প্রতিষেধক আছে তার মধ্যে রোযা হলো সবচেয়ে কার্যকর ও ফলপ্রসু প্রতিষেধক। মানুষের শরীরে সারা বৎসর জৈব বিষ জমা হয়। খাদ্যাভাব কিংবা আরাম-আয়েশের জন্য মানুষের শরীরের যে ক্ষতি হয়, রোজা তা পূরণ করে দেয়। এ ছাড়া মানুষের শরীরে থাকে অনেক ধরনের রোগ আর এই সমস্ত রোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রে রোজা অনেক উপকারী, যেমনঃ- বহুমূত্র (diabetics), চর্মরোগ (allergies), কিডনীর পাথর (kidney stone), উচ্চ রক্তচাপ (high blood pressure), ওজন বৃদ্ধি (weight), স্মৃতি শক্তি ও একাগ্রতা বৃদ্ধি, অন্ত্রের দীর্ঘস্থায়ী রোগ, কোষ্টকাঠিন্য, স্থূলকায়ীত্ব, মেদবৃদ্ধি, ক্যন্সার ইত্যাদি রোগ।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে রোযা পালন যে ক্ষতিকর নয় বরং উপকারী তা প্রমাণিত। এ ব্যাপারে যত গবেষণা হবে ততই রোযার উপকারী দিকগুলো সুস্পষ্ট ভাবে আমাদের সামনে ফুটে উঠবে। স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ আল্লাহর এই নেয়ামতকে খুশি মনে করেই পালন করবে। আল্লাহর এ ফরদ্ব ইবাদত মানুষের রোগ মুক্তি, আধ্যাত্বিক উন্নতি ও সুস্থতার গ্যারান্টি হিসেবে ভূমিকা রাখবে ইনশাআল্লাহ্।
উপসংহার
প্রতি বছর আমাদের মাঝে রহমত, মাগফিরাত ও জাহান্নাম থেকে নাজাতের বাণী নিয়ে উপস্থিত হয় নুযুলে কোরআনের মাস মাহে রামাদ্বান। উদ্দেশ্য আমরা যেন আমাদের সব লোভ-লালসা, কামনা, বাসনা, শঠতা, হিংসা, বিদ্বেষ পরিহার করে উন্নত চরিত্র অর্জনের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারি। সাথে সাথে দেহ-মনকে পুত ও পবিত্র, সুস্থ ও সবল রেখে একটি সুন্দর সমাজ গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারি। রোজা এমন একটি ইবাদত যা কেবলমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই রাখা হয়। তাই রোজা স্বভাবতই বান্দাকে আল্লাহর ধ্যান ও স্মরণের দিকে নিয়ে যায়। তাই রোজার অনুশীলন ব্যক্তির অন্তরে প্রশান্তি, তৃপ্তি এবং ইহ ও পারলৌকিক কল্যাণের আশার এক অনুপম অনুভূতি সৃষ্টি করে। রোজার অন্তর্নিহিত তাৎপর্য হচ্ছে তাকওয়া আর এই তাকওয়ার মাধ্যমেই বান্দা ইহকাল ও পরকালে মর্যাদাকে বৃদ্ধি করে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করে পরম সম্মানিত হয়। যত প্রকার ইবাদত-বন্দেগি ও ইসলামের বিধি-বিধান রয়েছে, সবকিছুর মূলে তাকওয়ার অনুপ্রেরণা রয়েছে। তাকওয়া অর্জনের পর মানুষের হৃদয় আল্লাহর প্রতি গভীরভাবে আকৃষ্ট হয়। রামাদ্বানে রোজা পালনে শুধু পরকালীন কল্যাণই অর্জিত হয়না বরং আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান অকপটে স্বীকার করতে বাধ্য হচ্ছে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার জন্য উপকারী একটি মাধ্যম হল রোজা রাখা বা উপবাস।

Comments

comments

About

Check Also

আমরা রোজাদার হই

আমাদের দরজায় কড়া নাড়ছে পবিত্র রামাদ্বান। রহমত, মাগফিরাত, আর নাজাতের স্রোতদ্বারা বয়ে যাবে এ মাসে। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *