‘শালীনতার সঙ্গে নিজেকে আচ্ছাদিত করলে হিজাব এর প্রয়োজন নেই’ এ বাক্যটি সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আলোচনা সমালোচনার ঝড় তুলেছে। এটাকে বাংলাদেশে স্বনামখ্যাত জনৈক মাওলানার ফতোয়া আখ্যা দিয়ে বিরূপ মন্তব্যে মুসলিম নারীদের আবশ্যকীয় ‘পর্দা’ বিষয়ক বিধানকে নতুন করে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলেছে। এসব দেখে সচেতন মহল বেশ চিন্তিত।
আমার কথা হলো- পর্দা প্রথা ইসলাম ধর্মে একটি আবশ্যপালনীয় বিধান। এটা পালন না করলে অপূরণীয় ক্ষতি হয় যা সংক্ষিপ্ত কথায় বলা সম্ভব নয়। যদি কেউ পালন না করে বা পালনে অপারগ হয় সেটা তার অস্বীকার করাকে বুঝায় না। কিন্তু পর্দার বিধানকে সরাসরি অস্বীকার করলে সেটা কুফরি বা ইসলাম ধর্মের একটা আবশ্যকীয় বিধানকে অস্বীকার করার কারণে শাস্তিযোগ্য অপরাধী হবে।
পর্দার সাথে হিজাবের সম্পর্ক অঙ্গাঅঙ্গীভাবে জড়িত। সংখ্যাগরিষ্ঠ আলিম পর্দার বিধানকে ফরজ হিসেবে রায় দিয়েছেন। একজন মুসলিম নারী বোরকা ও হিজাবের মাধ্যমে পর্দা করে শালীনতার ভেতর সহজে চলাফেরা করতে সক্ষম। সেখানে হিজাবকে বাদ দিয়ে শালীনতাকে পর্দা ভাবলে পর্দার বিধানকে বিতর্কিত করা হয়। এটা কোনো আলিমই মেনে নেবেন না।
সুতরাং পর্দা নিয়ে কিছু বলার আগে যে-কারো জন্যে সতর্ক থাকা উচিত। এ বিষয়ে ফিতনা ছড়ানো দেশ ও জাতির জন্য হবে চরম বিপদজনক।
আল হাদিস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ (অনার্স ১ম বর্ষ), দারুন নাজাত কামিল মাদরাসা, ডেমরা, ঢাকা।
Check Also
অভিযাত্রিক প্রকাশনার সাত বছর : প্রাপ্তি ও প্রত্যাশা
হঠাৎ করে একটি সাহিত্য পত্রিকা প্রকাশ করার চিন্তা মাথায় আসে। বন্ধুমহলের কয়েকজনকে বিষয়টি অবহিত করলে …