স্টিল আই লাভ ইউ…

১. দুটি সাগর একইসাথে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে। ঢেউয়ের গর্জন আর উথাল পাতাল তীরে আছড়ে পড়া যুগপৎ ঘটে চলেছে। সৈকতে ছোট্ট এক শিশু বালুর একটা ঘর বানিয়েছিলো।এক সাগড়ের ঢেউ এসে এক মুহূর্তেই তা গুড়িয়ে নিশ্চিহ্ন করে দিলো। ছোট্ট খোকা ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলো খেলাঘর ভাঙার কষ্টে। এগিয়ে গিয়ে অপরিচিত শিশুটিকে কোলে তুলে নিলো নীলা। কোলে উঠেই কান্না বন্ধ করে দিলো শিশুটি। -‘এ মা!! বড় মানুষ কাঁদে বুঝি? আমি তো ভেবেছিলাম শুধু ছোটরাই কাঁদে! তুমি কাঁদছো কেনো? আমার তো ঘর ভেঙে গেছে। তোমার কী ভেঙেছে?’ -‘হৃদয়’। -‘হৃদয় কিভাবে ভাঙে?’ -‘ঢেউয়ের আঘাতে আঘাতে। এখানে দুটো সমুদ্র আছে খোকা। এক সমুদ্র তোমার খেলাঘর ভেঙেছে আরেক সমুদ্র প্রতিনিয়ত আমার হৃদয় ভেঙে চলেছে।’ -‘ আরেক সমুদ্র কোথায়?’ -‘এইযে আমার বুকের ভেতর! সেখানে এই সমুদ্রের চেয়েও জোরে গর্জন হয়। আরো বড় হয় ঢেউয়ের উচ্চতা, আরো জোরে আঘাত হানে হৃদয়ের বালুচরে। ভেঙে গুড়িয়ে দিয়ে যায় তার একেকটি প্রান্ত।’ – ছোট্ট খোকা হাঁ করে শুনতে লাগলো নীলার কথা। এমন মিষ্টি আন্টিটা কী বলছে এসব? বুকের ভেতর বুঝি সমুদ্র থাকে? এতো বড় সমুদ্র মানুষের ভেতর আঁটবে কী করে? আন্টিটা দেখা যাচ্ছে তার দুই বছর বয়সী ছোটবোনের চেয়েও বেশি অবুঝ! -‘ছাড়ো! ছাড়ো আমাকে! আমি মায়ের কাছে যাবো। তুমি পাগল।’ বলেই কোল থেকে নেমে চলে গেলো ছোট্ট খোকাটি। ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে রইলো নীলা। মা! মায়ের কাছে যাচ্ছে খোকা। সে কার কাছে যাবে? কে আছে তার? ব্যাথার সাগরের ঢেউয়ের আঘাতে আঘাতে যতই রক্তাক্ত হোক, এক ফোঁটা মিঠাপানি যে কেউই দেয়ার নেই। একা একাই মনে বাজে ছোট্টবেলায় মায়ের মুখে শোনা সেই গান, খেলাঘর বাঁধ ভেঙেছে! জীবনটা খেলাঘর নয়। এ এক বিশাল রঙ্গমঞ্চ। যেখানে শুধু শিশুরাই অভিনয় করা থেকে বাঁচতে পারে। শৈশবটা পেরোনোর সাথে সাথেই আর কারো নিস্তার নেই রঙ্গমঞ্চের অভিনেতা হওয়া থেকে। না চাইতেও চালিয়ে যেতে হয় ভালো থাকার অভিনয়। বুকে বেদনার ঝড়, ঠোঁটে মিথ্যে হাসি। খোকার চলে যাওয়া দেখতে থাকা চেহারায় এলো চুলগুলো উড়ে আসতে লাগলো। চশমার নিচের অশ্রু মুছতে মুছতে রেশমি চুলগুলো ধরে দেখতে লাগলো নীলা। এমন খোলা সৈকতে,পূবালী হাওয়ায় আর কোনোদিনও এ চুলগুলো উড়বে, হিজাব দিয়ে ঢাকা থাকবে না এমনটা কি কখনো ভাবতে পেরেছিলো সে? ভাবনার অতীত কত কিছু ঘটে যায়, পড়ে থাকে শুধু স্মৃতি। সেই যুদ্ধ করে পড়া প্রথম হিজাব! আর আজ ছুঁড়ে ফেলা সে হিজাব মুকুট! কোমর ছাড়ানো চুলগুলো চোখ ঢেকে দিচ্ছে। তারই ফাঁক দিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো নীলা, ‘আই হেইট ইউ আল্লাহ! আই হেইট ইউ!’ এরপর অশ্রুধারা যেনো টিপ টিপ বৃষ্টির বদলে ভয়াবহ জলোচ্ছাসে রূপ নিলো। চিৎকার করে কাঁদতে থাকলো নীলা, ‘কেনো করলে আমার সাথে এমন আল্লাহ? কেনো করলে? আমার সাথেই এমন কেনো? কী দোষ করেছিলাম আমি? আই হেইট ইউ আল্লাহ আই হেইট ইউ!’ সৈকতের পর্যটকেরা দেখতে লাগলো ২০/২১ বছরের একটা সুন্দর মেয়ে হাঁটু গেড়ে চিৎকার করে কাঁদছে। হয়তো ছ্যাঁকা খেয়েছে ভেবে নিলো বেশিরভাগ। এই বয়সের ছেলেমেয়ের জীবনে এসব দুঃখের বিলাসিতাই থাকে। পৃথিবীর মানুষগুলো বড় জাজমেন্টাল। তারা বোঝে না, শীতের রিক্ততার পরে আসা বসন্তের একমাত্র গোলাপ নিয়ে বিলাসিতা চলে, কিন্তু দুঃখ নিয়ে কেউ কোনোদিন বিলাসিতা করতে পারে না। ‘হে পৃথিবী! আজ তুমি আমার বোঝা থেকে মুক্ত হচ্ছো। সূর্যটা আর রাগ করবে না আমাকে আলো দিতে হচ্ছে বলে। হে আল্লাহ! তোমাকে আর বিরক্ত হতে হবে না আমার প্রার্থনা শুনে! মুক্তি দিচ্ছি তোমায়। আমি আসছি আল্লাহ। তোমাকে পাবার বড় সাধ নিয়ে এসেছিলাম তোমার দ্বীনে। ক্ষতি কী? জাহান্নামও তো তোমারই সৃষ্টি! আমি নাহয় তোমার সেই সৃষ্টির ভেতরেই থাকবো! তুমি তোমার জান্নাতী বান্দাদের ভালোবাসায় থেকো। বিদায় পৃথিবী! বিদায় হে চাঁদ-তারা-সূর্য-সকাল-বিকাল! আমি চললাম।’ এই ভেবে সাগরে তলিয়ে গেলো নীলা। শেষবার শুধু চোখে ভাসছিলো চোখ ধাঁধানো সূর্যের আলো। কী অপূর্য মায়াবী খোদার সৃষ্টি! আর কোনোদিন দেখা হবে না। বিদায় সৌন্দর্য্য! আল-বিদা! তীরে ঘুরতে থাকা মানুষগুলো দেখলো চিৎকার করে কাঁদতে থাকা মেয়েটা দৌড়ে সাগরে তলিয়ে গেলো। আত্মহত্যা। কেউ এগিয়ে এলো না বাঁচাতে। কার ঠ্যাকা পড়েছে এক অপরিচিতার পেছনে ছোটার? এ পৃথিবী বড়ই স্বার্থপর। ——-

২. চারদিকে এতো আলো! জাহান্নামে বুঝি এতো আলো থাকে? এ কি জীবন? নাকি মৃত্যু? মনে পড়ছে সাগরে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো সে। মনে ছিলো সাত আকাশ ভর্তি ঘৃণা। যে ঘৃণার ভার এ পৃথিবী আর বইতে পারছিলো না। আর ক্ষুদ্র মানবী নীলা কী করো বইবে? মুক্তি পেতে বেছে নিয়েছিলো ওই সাগরের বুক। যেখানে জীবন এক নতুন জলজ জগতে থাকে। সেখানেই আত্মাহুতি দিয়ে জাহান্নামের রাজ্যে যেতে চেয়েছিলো সে। কিন্তু এ কোথায়? এ কি জাহান্নামের আগুনের আলো? সে আগুন তো ভয়ংকর কালো আর ধোঁয়ায় ভরা জানতো সে। যার তাপে ঝলসে যেতে থাকে চামড়া, আর তার উপর পুনঃপুনঃ নতুন চামড়া গজিয়ে উঠতে থাকে। কোথায় সে তাপ? বরং এতো প্রশান্তির শীতল হাওয়া আসছে কোথ্যেকে? বুঝতে পারছে না নীলা। হঠাৎ ভেসে আসতে লাগলো অচেনা এক কন্ঠ। নীলাকেই বলতে শুরু করলো, – ‘খুলে দাও হৃদয়ের দুয়ার। শ্রবণ করো যা বলছে তোমার হৃদয়।’ – ‘ঘৃণা! শুধুই সেখানে ঘৃণা জমা রয়েছে।’ – ‘সে তো তোমার হৃদয় সাগরের ফেনা মাত্র! দেখতে যতই বেশি দেখা যাক গভীর জলের ধারার তুলনায় নিতান্তই নস্যি! হৃদয়ের চোখ দিয়ে দেখো সে ফেনাময় ঘৃণার আড়ালে আসলে কী লুকিয়ে আছে।’ – ‘নেই নেই আর কিছু নেই। আমার সাথেই কেনো এমন হলো? আমার সাজানো বাগান কেনো আজ ঝলসানো মাচানের উপর পড়ে থাকা ছাই? কী দোষ ছিলো আমার? কী পাপ করেছিলাম আমি?’ – ‘হে অবুঝ! তোমার এই অবুঝ সত্বা সরানোরই আলো ছিলো তোমার জীবন বাগানের উপর আসা মেঘগর্জিত বিদ্যুৎ। পুড়ে যাওয়া বাগানের ছাইগুলো ছিলো তোমার নতুন জীবনের উপন্যাস লেখার কলমের কালি। তোমার উপহার।’ – ‘তবে কেনো তা আমার সহ্যের অতীত হলো? প্রভু কি ওয়াদা করেননি তিনি কারো সাধ্যাতীত বোঝা চাপাবেন না? তবে কেনো তা আমার উপর হলো? আমি কি প্রভুর জন্য নিজের পুরনো জীবনের সব পাপ ত্যাগ করিনি? প্রভুর জন্যই পুরো পরিবারের বিরুদ্ধে গিয়ে বদদ্বীন ছেলের সাথে বিয়ে থেকে পালিয়েছিলাম

একা একা কাঁটাভরা পথে হাঁটতে হাঁটতে শুধু প্রভুকেই পাশে চেয়েছিলাম। কাঠফাঁটা রোদে শুধু প্রভুর আরশের ছায়ার নিচেই চেয়েছিলাম একটু শীতলতা। বিনিময়ে কেনো এ উল্কাপাত? শত কামুকের লালসার শিকার হয়ে অসহায় আমিই কিনা কারাগারে নিক্ষিপ্ত হলাম দেহপসারিণী অপবাদ নিয়ে? সারাদেশে ছড়িয়ে পড়লো সে খবর, হৃদক্রিয়া বন্ধে মারা গেলেন আমার বাবা, রেখে গেলেন মায়ের মুখে কেবলই অভিশাপ আর অভিশাপ! আর সইতে পারি না। জীবিত থেকে জাহান্নামে জ্বলার চেয়ে মরে গিয়ে নাহয় পুরোপুরি জাহান্নামেই জ্বলবো। সাথে থাকবে একবুক ঘৃণার সাগর। আই হেইট আল্লাহ!’ – ‘হে আমাতুল্লাহ! তোমার দেখা বেদনার শিলার পেছনে আসলে লুকিয়ে ছিলো জান্নাতের বালাখানা।তোমার ত্যাগ আর কষ্টের পরে আরো কষ্ট নাযিল ছিলো তোমার প্রতি তোমার প্রভুর অমিয় ভালোবাসা, গড়বেন বলেই আঘাতে আঘাতে তোমায় ভাঙছিলেন তিনি শতবার। ওই পৃথিবীর মানুষের অপবাদ সাময়িকতার পরে তোমার জন্য ছিলো সম্মানের রাজমুকুট। এতো বিপদ প্রভু তোমায় দিয়েছেন তোমার হৃদয়ের চোখ খুলে দেয়ার জন্য, যা এখনো বন্ধ। খোলো সে চোখ। খুঁজে দেখো তোমার ঘৃণার ফেনার নিচে আসলে কিসের গভীর সাগর লুকিয়ে আছে।’ –

৩. চর্মচোখ বন্ধ করে হৃদয়ের সাগরে ডুব দিলো নীলা। কী আছে ফেনার আড়ালে? মনে পড়তে লাগলো কানে ভেসে আসা আজান। বন্ধ করো চিৎকার করতে থেকেও যে মনে মনে মিস করতো তার সেই আকুলতার সাথে আজানের জবাব দেয়া। যবে থেকে ঘৃণা করি উচ্চারণে ছুঁড়ে ফেলেছে মাথার হিজাব, ছেড়ে দিয়েছে নামাজে সিজদা দেয়া, তবে থেকে কেনো ভুলতে চেয়েও ভুলতে পারেনি পূর্বের সিজদাহর সেই মধুর স্বাদ? কেনো ক্ষণে ক্ষণে হুঁ হুঁ করে উঠতো আল্লাহকে পাবার তৃষ্ণা? যতবার দু ঠোঁট উচ্চারণ করেছে আই হেইট ইউ আল্লাহ ততবার কেনো গড়িয়ে পড়েছে দুচোখে অঝোর ধারা? তবে কি সত্যিই ঘৃণা? তবে কেনো ঘৃণার পাশবিকতা নেই? কেনো সেখানে এক চিনচিনে ভয়াবহ বেদনা? পাশবিকতার বদলে যদি চিনচিনে ব্যাথা লুকানো থাকে, তবে ঘৃণার আড়ালে আসলে লুকিয়ে আছে কী? গভীরভাবে নিজেকে প্রশ্ন করতে লাগলো নীলা। জবাব দাও! কী আছে ঘৃণার ফেনার আড়ালে? কী আছে? -‘ভালোবাসা!’ চমকে তাকিয়ে উঠলো নীলা। তার হৃদয়ের চোখ খুলে দেখতে পেয়ে গেছে সে, ঘৃণার ফেনার আড়ালে লুকিয়ে আছে ভালোবাসা! অতল সাগর পরিমাণ অসীম অনন্ত প্রভুর প্রতি ভালোবাসা। – ‘তবে ভালোবাসায় এতো বেদনা কেনো?’ সেই কন্ঠ থেকে উত্তর আসতে লাগলো – ‘এ বেদনা অভিমান থেকে, যাকেই তুমি ঘৃণা ভেবে ভুল করেছো। আসলে এ বেদনার পরিণামে প্রভু তোমার জন্য অনন্ত অসীম ভালোবাসা সাজিয়ে রেখেছেন।’ – ‘ক্ষুদ্র এই সৃষ্টি আমি। আমার বুকের ভেতর যে খোদাপ্রেমের সাগর তিনি দিয়েছেন, তাতে সাঁতার কাটতেই তো ব্যার্থ হলাম আমি। ডুবে মরতে চেয়ে প্রভুর পরীক্ষায় ব্যার্থ এই আমি, পারবো কী প্রভুর সেই অনন্ত প্রেমসাগরে সাঁতার কাঁটতে? আমি যে বড় অযোগ্য!’ – ‘কাউকে ভালোবাসতে তিনি যোগ্যতার মুখাপেক্ষী নন। তিনি দৃষ্টির আয়ত্তে নন, দৃষ্টি তাঁর আয়ত্তে। তুমি যত পাপের কাদা নিজের উপর নিয়ে আসো না কেনো, তিনি এক ফোঁটা ক্ষমার বৃষ্টিতে তার সব ধুঁয়ে দিতে পারেন।’ – পুনর্বার চোখ বেয়ে বাদলের ধারা ঝরতে লাগলো নীলার। তবে এবার তা অভিমানের বেদনায় নয়, কৃতজ্ঞতার আগুনে। – ‘কে তুমি? কোথায় আমি?’ – ‘আমি তোমারই হৃদয়ের চোখ, যা তোমার বেদনার সাগরের ঢেউয়ের আঘাতে আঘাতে বন্ধ অবস্থা ভেঙে খুলে গেছে। আর এ আলো তোমার প্রভুরই রহমতের নূর। অন্ধকারের পথে চলে যাওয়ার আগেই প্রভু করুণা করে এ নূর তোমায় পাঠিয়ে দিয়েছেন। এবার পথ চলো এ আলোয়। তৈরী হও অনন্ত অসীমের পথে সোজা সুন্দর রাস্তায় নতুন করে চলতে, তোমার অপেক্ষায় আছে সীরাতাল মুস্তাকিম।’ – ————-

৪. -‘আর কিছুক্ষণ থাকলেই মইরা যাইতেন আফা। দমডাও যাইতো, শইলডাও মাছের পেডে থাকতো। আমার ছাওয়ালডা মাছ ধরতে গিয়া তুইলা আনলো আফনেরে। চাইরডা ভাত খায়া লইন ইক্টু কষ্ট কইরা। এই গরীবের ঘরে এর বেশি কিসু নাই।’ – সব মনে পড়তে লাগলো নীলার। আল্লাহর উপর অভিমানে আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলো সে। অচেতন অবস্থায় আল্লাহ তার মনের দুয়ার খুলে দিয়েছেন, খুলে দিয়েছেন হৃদয়ের চোখ! রহমতের আলোয় দেখিয়ে দিয়েছেন সিরাতাল মুস্তাকিম, জাহান্নামের পথ থেকে ফিরিয়ে এনেছেন গাফুরুর রাহীম! দুর্বল শরীর পরোয়া না করে তড়িঘড়ি করে উঠে সিজদায় লুটিয়ে পড়লো নীলা। -‘পুরো পৃথিবী আমায় বেশ্যা জানুক, শুধু তুমি আমার পবিত্রতার সাক্ষী থেকো প্রভু। তুমি পাশে থাকলে আমি আর কাউকে কোনোদিন চাই না। আমায় ভুলিয়ে দাও এ পৃথিবীর মিথ্যে মায়া। ভুলিয়ে দাও সমস্ত বেদনার আঘাত। ক্ষমা করে দাও অভিমানে করতে যাওয়া ধৃষ্টতার, কবুল করে নাও মিথ্যে ঘৃণার আড়ালে থাকা এক সাগর ভালোবাসা। হে আল্লাহ! স্টিল আই লাভ ইউ!’ – অশ্রুধারা গন্ড না ছুঁয়েই মাটিতে চুয়ে চুয়ে পড়ছে। আর উর্দ্ধাকাশে জরির মত ঝিকমিক করে আরশের পানে ছুটে চলেছে নীলার হৃদয় নিংড়ানো ইশকের কথামালা, ‘স্টিল আই লাভ ইউ!

আই লাভ ইউ!

আই লাভ ইউ!!!’

Comments

comments

About

Check Also

মুবাহাসা (২য় পর্ব)

(পূর্ব প্রকাশের পর)মুসাল্লা উঠিয়ে নাওইমাম আযম আবু হানিফা র.-এর আদত মুবারক ছিল যখন তিনি শাগরিদকে …

One comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *