প্রতিবিম্ব

প্রতিদিনের মতই রাত বারোটা নাগাদ আজকের মত পড়া শেষ করলাম। বই খাতা কলম চশমা সব গুছিয়ে রেখে ওয়াশরুমে গেলাম। একটা জিনিস সবাই খেয়াল করে কিনা জানি না। কিন্তু আমি প্রায়ই এই জিনিসটা লক্ষ্য করি যে ওয়াশরুমে গেলেই দুনিয়ার যত শয়তানি বুদ্ধি আর ক্রিয়েটিভ আইডিয়া আছে তা সব মাথায় ভর করে। এটা যে কেন হয় তার কোন ব্যাখা নেই আমার কাছে। তাই নিজেই একটা ব্যাখ্যা দাঁড় করিয়েছি। সেটা হলো ওয়াশরুমে খবিশ থাকে। মুলত সেই আমাদের কুবুদ্ধি গুলো দিয়ে থাকে। সে যাই হোক দোয়া পড়তে পড়তে ওয়াশরুমে ঢুকলাম।
ওয়াশরুম থেকে বের হওয়ার সময় ওয়াশরুম সংলগ্ন আয়নায় কিছু বেমানান জিনিস খেয়াল করে চমকে উঠলাম। কি ওটা? ভালো করে তাকালাম। নাহ আমিই তো! এই তো ডাগর ডাগর চোখ, চেহারায় একটা পণ্ডিতি ভাব আছে। মাঝে মাঝে আয়নায় নিজেকে দেখে প্রশংসা করি আর মনে মনে বলি, “মা-শা-আল্লাহ! কি সুন্দরী আমি। নজর না লাগুক”।
নিজের ঘরে এসে সুন্নাত অনুযায়ী বিছানা ঝাড়ু পিটা করে মশারি টানালাম। এরপর প্রতিদিনের মতই ফেসবুকে লগইন করলাম। করতেই দেখি একটা গার্লস গ্র“পের সালাত সংক্রান্ত একটা পোস্টের কমেন্ট বক্সে সালাত আদায়ের নিয়ম নিয়ে মুহাম্মাদি মাযহাব অনুসারী আর হানাফি মাযহাব অনুসারী দুই গ্রুপের তুমুল বাক বিতণ্ডা চলছে। আমি আবার মাযহাব বলতে চারজন বিখ্যাত আলেমকেই চিনি। যাদের পাহাড় সম জ্ঞানে সবাই সবার স্থানে সুযোগ্য। তাদের জ্ঞানের তুলনায় আমি নিতান্ত শিশু।
তাই আমি সেই পোস্টে আলাদা করে মন্তব্য করলাম, সালাত শুধুই একটা ইবাদাত নয় বরং আল্লাহ প্রেরিত মুসলিম ধর্মের অনুসারীদের ঐক্য সংহতির প্রতিকও। তাই এখানে যারা মন্তব্য করতে এসে বাক বিতণ্ডায় লিপ্ত হয়ে পড়েছেন তাদের প্রতি অনুরোধ, আপনারা সালাতকে বিতর্কিত করবেন না। এরকমই গুরুগম্ভীর একটা মন্তব্য করে মিনিট পনের নিউজফিড স্ক্রল করলাম। এরপর ডাটা কানেকশন অফ করব তখন দেখি পনেরোটার মত নোটিফিকেশন জমা হয়ে আছে। আমি আর ডাটা অফ করলাম না নোটিফিকেশনে ক্লিক করে দেখি আমার মন্তব্যকে ঘিরে আবার নতুন করে বাক বিতণ্ডা সৃষ্টি হয়েছে।
একজন মন্তব্য করেছে, ‘ঠিক বলেছেন আপু, এসব মাযহাবিরা অশিক্ষিত মুর্খ এরা বুঝবে কি সালাতের মাহত্ব!’ মন্তব্য পড়ে বুঝলাম তিনি নিশ্চয়ই লা-মাযহাবি।
আরেকজন ওই আপুকে মেনশন করে বলেছে, ‘চার ঈমামকে মুর্খ বললেন। আপনি কি খুব জ্ঞানী?’
সেই আগের আপু রিপ্লাই করল, ‘মন্তব্য না বুঝে কথা বলবেন না। আমি না হয় জ্ঞানী না হইলাম আপনি নিজে কী?’ বলেই চার-পাঁচজন মেয়েদের মেনশন দিলো। তারা এসে বিরোধী দলের সেই আপুকে কচুডলা দিতে লাগলো। আপুও কম যায় কীসে? সেও ছয়-সাত জনকে একসাথে মেনশন করে দিলো। আর সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়ে গেলো দুই দলের আগ্রাসন।
আমিও এদিকে থেমে নেই। আমিও নিজের মন্তব্য যে সঠিক আর তারা দলাদলি করে ভুল করছে এটা বুঝাতে লাগলাম আর হাদিস কুরআনের উপরে আমার ইলম ওদের চেয়ে বেশি এটা জাহির করতে লাগলাম। শুধু তাই নয় ওদেরকে পরোক্ষ কিছু কথা দ্বারা তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করলাম। ফলে ওরা দুই দল আবার একজোট হয়ে উল্টা আমাকে কচুডলা দিতে লাগলো। আমার রাগ তখন চরমে। এবার আর ওদের পরোক্ষ ভাবে নয় বরং প্রত্যক্ষ ভাবে অপমান করলাম। বুঝিয়ে দিতে লাগলাম আমিই সঠিক ওরাই ভুল।
এভাবে প্রায় রাত দুইটা অবধি চলল। একটু পরে দেখি গ্রুপের এডমিন প্যানেল কমেন্ট অপশন অফ করে দিয়েছে। ফলে আর কেউ সেখানে কমেন্ট করতে পারছে না। আমি তখনও রাগে ফুসছি। এমন সময় দেখি রাত দুইটা বেজে গেছে। মানে বারোটা থেকে দুইটা পর্যন্ত আমি ওদের সাথে তর্কে লিপ্ত ছিলাম? অথচ কালকে আমার পরীক্ষা। তাড়াতাড়ি ডাটা অফ করে ঘুমানোর চেষ্টা করলাম।
কিন্তু ঘুম আসছে না। কাল আমার এক্সাম আছে। রাতে একটা দারুন ঘুম না দিলে কাল সারাদিন মাথাই তুলতেই পারব না। আধা ঘন্টার মত লাল, নীল, সবুজ এক প্রকার মিষ্টি আলো আধারির ঘরে চোখ বন্ধ করে ঘুমানোর আপ্রাণ চেষ্টা করছি। কিন্তু ঘুম আর আসে না। শুধু ওই মেয়েগুলোর লেখা চোখের সামনে ভাসছে। মাথা ভারি হয়ে আছে।
বিরক্ত হয়ে লাফিয়ে উঠে বসলাম। কাভাডের ভেতরে একপ্রকার মাথা ব্যাথার মলম আছে ওটা কপালে ম্যাসাজ করলে ঘুম আসে। ভাবামাত্র বিছানা থেকে নেমে কাভাড খুলব এমন সময় চোখে আবারো বেমানান কিছু পড়ল। আগেই বলি আমার রুমে মোট তিনটা আয়না। কাভাডের সাথেই লাগোয়া একটা আয়না, ড্রেসিং টেবিলের একটা, আর আলমারির আয়না। এই তিনটা আয়না এমন ভাবে রাখা যে আমি রুমের একটা আয়নার সামনে দাঁড়ালেই তিনটা আয়নাতেই আমার তিন দিকের প্রতিচ্ছবি আসবে। তো আমি যখন অটোবির ভিতর থেকে মলমটা বের করার জন্য অটোবির আয়নার সামনে আসলাম স্বভাবতই আমার প্রতিবিম্বের দুইদিক বাকি দুই আয়নায় পড়বে। কিন্তু হঠাৎ করেই আমার মনে হচ্ছে আলমারির আয়নাতে আমাকে নয় অন্য কিছু দেখা যাচ্ছে।
এদিকে রুমে হালকা লাল, সবুজ, আর নীল বাতি জ্বলছে, এই আলো আধারিতে ওটাকে ভয়ংকর লাগছে। আমি তাকাতে সাহস পাচ্ছি না। তবে বলতে পারি ওটা আমাকে দেখে বিদঘুটে হাসি দিচ্ছে। যা আমার অন্তর আত্মা পর্যন্ত শুকিয়ে নিয়ে আসছে। গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে।
পানি.. পানি কই? আমার পড়ার টেবিলে এক লিটার পানির একটা ওয়াটার পট থাকে। ওতে আমি সব সময় পানি ভরে রাখি, কিন্তু আজ কঠিন এক্সাম আর পড়ার চাপে পানি ভরে রাখার মত কাজ টাও অবহেলা করেছি। ফল স্বরূপ টেবিলে রাখা পটটা খালি অবস্থায় রাখা। খালি পট দেখে আমার পিপাসা আরও বেড়ে গেলো।
এদিকে আয়নার সেই কুৎসিত চেহারার দু-পেয়ে প্রাণীটাকে আমি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি। ও আমার অবস্থা দেখে হেসে যাচ্ছে যেনো খুব মজা পাচ্ছে। কে ও? এতো ভয়ংকর? এতো! আমি আর তাকাতে পারছি না ওদিকে। পিপাসায় গলা জ্বলতে শুরু করেছে ইতিমধ্যে। চিৎকার করে ডাকতে চাইলাম সবাইকে। কিন্তু হলো না। ফ্যাসফ্যাসে একরকম আওয়াজ হলো মাত্র। গাল বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে নোনা উষ্ণ তরল। বুঝতে পারলাম আমি ভয় পাচ্ছি। ও কি তবে মৃত্যুর ফেরেস্তা? আমি এতো পাপি? যে ভয়ংকর রুপে আমার রুহ কবজ করতে এসেছে? আমি তো আজও ইশার সালাত আদায় করেছি। কখনো তো সালাত কাজা করিনি কোন উযর ছাড়া। তাহলে? আমি কোন ভুল করেছি?
ওই প্রাণীটা যেন আমার মনের কথা পড়ে ফেলল। হঠাৎ হাসি থামিয়ে দিয়ে বলল,”আমি তো মৃত্যুর ফেরেস্তা নই, আমি তোমারই কৃতকর্ম! আজ আমি এত কুৎসিত, কদাকার, এত ভয়ংকর। এর জন্য তুমিই দায়ি। আজ যদি তুমি নিজের চেহারা কে সুন্দর না বানিয়ে আমাকে সুন্দর বানাতে তাহলে আমাকে দেখে আজ তুমি মুগ্ধ হতে যেমনটা নিজেকে দেখে হও। তুমি এখনই তোমার কৃতকর্ম দেখে এত ভয় পাচ্ছো। কাল মৃত্যুর পর কবরে গিয়ে কই পালাবে? আর অনন্ত আখিরাতে মুক্তি পাবে আমার হাত থেকে? আমাকে যতই না দেখার ভান করবে আমি ততই ভয়ংকর হবো।’ কথা গুলো চরম আক্রোশের সাথে বলল। তার পরেই বিদঘুটে সেই অট্টহাসি শুরু করে দিলো।
আমি আর সহ্য করতে পারছি না। চোখের সামনে জোনাকি জ্বলতে দেখলাম। মনে হচ্ছে দুনিয়াটা খুব জোরে জোরে ঘুরছে। আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারলাম না। আছড়ে পড়ে গেলাম মেঝেতে। কপালের পাশে আঘাত পেয়ে মনে হলো সজ্ঞা হারালাম অথবা দুনিয়া থেকে চিরবিদায় নিলাম।

২.
প্রচণ্ড দরজা ধাক্কানোর শব্দে ঘুম ভেঙ্গে গেলো আমার। ঘুম ভাঙতেই মাথাটাকে ৪০ কেজি ওজনের পাথরের মত ভারি বস্তু বলে মনে হলো। কপালের বাম পাশে চুলের ভেতরে একটা আলু হয়েছে। হাত দিতেই ব্যাথায় ককিয়ে উঠলাম। এদিকে সবাই দরজা এমন ভাবে ধাক্কাচ্ছে যেন ভেঙেই ফেলবে। মেজাজ টা খারাপ হলেও নিজেকে সংবরণ করে দরজা খুলে দিলাম। খুলে দিয়েই আবার টলে পড়ে যেতে গেলাম কিন্তু আব্বু ধরে ফেলল। ভাগ্যিস ধরেছিলো। না হলে বাম পাশে একটা আলু তো আছেই এবার ডান পাশে মিলে দুইপাশে দুইটা আলু হয়ে শিং ওয়ালা ডাইনির মত চেহারা হত। ডাইনির কথা মনে হতেই রাতের সেই ঘটনা মনে পড়ে গেল।
এদিকে আমাকে নিয়ে এনারা চিল্লাপাল্লা জুড়ে দিয়েছে। কি হয়েছিলো? অসুস্থ হলাম কিভাবে? হ্যান ত্যান। আমি জানালাম কিছুনা রাত জেগে পড়ার জন্য মাথা ঘুরে পড়ে গিয়েছিলাম ঠিক হয়ে যাবে।
বেলা দশটা পঁচিশ বাজে। একটা থেকে এক্সাম শুরু হবে। তাড়াতাড়ি গোসল করে খেয়ে একটু ভালো লাগছিলো। বই বের করে হালকা রিভিশন দিচ্ছিলাম। কিন্তু রাতের ঘটনা মন থেকে কিছুতেই মুছে ফেলতে পারলাম না। মন কে শান্তনা দিলাম হ্যালুসিনেশন হবে হয়ত। আজকেই লাস্ট এক্সাম। এর পর ভালো দেখে সাইক্রিয়াক্টিস দেখিয়ে আসব। রাত জাগার জন্য হয়ত এমন হতে পারে। আমার আবার স্বভাব হলো কোন কিছুর ব্যাখা না পেলে নিজেই ব্যাখ্যা দাঁড় করিয়ে দেই।
এক্সাম দিয়ে আসার পথে বান্ধবী পিয়ার সাথে শেয়ার করলাম ঘটনাটা। ওর আবার হিউম্যান সাইকোলজি নিয়ে দারুন আগ্রহ। ও তাড়াতাড়ি আমাকে ওদের বাসায় যাওয়ার প্রস্তাব দিলো। আমিও রাজি হয়ে গেলাম। বাসায় এসে ওর কালেকশন এ থাকা বই গুলো বের করে কিছু খুঁজতে লাগল।
প্রায় দুই ঘন্টা পর ও একটা রোগের নাম বলল। যেই রোগ হলে নাকি মানুষ হ্যালুসিনেশনের ফলে নিজের মাঝে দ্বিতীয় সত্তা খুঁজে পায়। সেকেন্ড পারসোনালিটি সিন্ড্রোম যাকে বলে। এটা প্রথম পর্যায়ে থাকলে কাউন্সিলিং দিয়েই সারিয়ে তোলা যায়। তবে অনান্য স্টেজের ব্যাপারে অবশ্যই বড় ডাক্তারের চিকিৎসা নিতে হবে।
ওর কথা শুনে আমি হেসে ফেললাম। ও আমার হাসি দেখে রেগে গেলো। আমি তাড়াতাড়ি নিজেকে সংবরণ করে বললাম, ‘শোন প্রথমবার এমন হইছে ইনশাআল্লাহ আর হবে না। দেখিস না সারাদিন কীসব ভুতুড়ে গল্প লেখে বেড়াই। তাই হয়ত নিজেই এসব কল্পনা করে ভয় পেয়ে মাথা ঘুরে পড়ে গেছিলাম।’
পিয়া বলল, ‘কিন্তু ডাক্তার দেখাতে সমস্যা কি তোর?’
বাম হাতে একটা বিস্কুট তুলে নিয়ে বললাম, ‘আরে সেখানে তো সমস্যা না।’ বলে ডান হাতের তিন আঙুল দিয়ে বিস্কুটটা ভেঙে টুকরোটা মুখে পুরে বললাম, ‘আপাতত আমি আর কিছুদিন দেখতে চাচ্ছি ব্যাপারটাকে’
‘ওকে’ হাল ছেড়ে দেবার ভঙ্গিতে বলল, ‘তুই যা ভালো মনে করিস। তবে আমি তোর ভালোর জন্য বলেছিলাম’ বলে পিয়াও একই ভাবে বিস্কুট মুখে দিলো। এভাবে খাওয়া পিয়াই আমাকে শিখিয়েছিল। কামড়ে খাওয়া সুন্নতি পদ্ধতি নয়। ডান হাতে ভেঙে মুখে দেওয়া সুন্নতি পদ্ধতি।
‘জানি তো!’ আমি মুচকি হেসে বললাম ‘তুই আমার বেস্টু না?’
হইছে হইছে, এত পাম মারা লাগবে না। খেতে আয় বলে চোখ পাকিয়ে চলে গেল।
দুজনে খেয়ে সালাত আদায় করে শুয়ে পড়লাম। এক্সাম শেষ। রাত বাজে দশটা মাত্র। আগের রাতের ধকলে চোখে ঘুম নেমে এলো এক নিমিষেই। আহ! কি প্রশান্তির সেই ঘুম। কিন্তু শান্তির ঘুম স্থায়ী হলো না। প্রতিদিন রাত দুইটার আশে পাশে একবার রাতে ওঠা ইদানীং অভ্যাসে এ পরিণত হয়েছে। ওয়াশরুমে যাওয়ার জন্য এই সময় এমনিতেই প্রতিদিন ঘুম ভেঙে যাবেই। আড়মোড়া ভেঙে উঠে বসলাম বিছানায়।
পিয়াদের ওয়াশরুমেও একটা আয়না আছে। ওটার দিকে তাকালাম। আবার সেই ভয়ংকর হাসি দেখে চমকে উঠলাম। আজ চকচকে লাইট জ্বলছে ওয়াশরুমে। তাই পরিস্কার দেখতে পারছি ওটার পরনের পোশাকটা। কমলা সাদা আর হালকা সবুজ কামিজ বুকের কাছে সুতোর কাজ করা। ওটা আম্মু কিনে দিয়েছিলো। পোশাকটা ওর গায়ে দেখা মাত্রই নিজের শরীরের দিকে নজর গেল। আমিও তো এই একই পোশাক পরে আছি। তাহলে পিয়া কি সত্যি বলছিল? আমি সেকেন্ড পার্সোনালিটি সিনড্রোমে ভুগছি?
তাড়াতাড়ি রুমে এসে দরজা আটকে দেই। বসে পড়ি মেঝেতে। খুব কান্না পাচ্ছে। আম্মু আব্বা দুজনকেই খুব মনে পড়ছে এই মুহুর্তে। পনেরো থেকে বিশ মিনিট পর ধাতস্থ হয়ে ওয়াশরুমে আবার গেলাম। সেই আয়নারই সামনে। নাহ কেউ নেই,আমি বাদে। সেই ডাগর ডাগর চোখ জোড়া কান্না করে ফুলে লাল হয়ে গেছে। পণ্ডিতি ভাব টা কেটে গিয়ে সেখানটায় একটা অসহায়ত্ব ভাব ফুটে উঠেছে। আবার কান্না পাচ্ছে নিজেকে এভাবে দেখে। মন খারাপ হলেই আম্মু নফল সালাত আদায় করত। আমিও ওযূ করে গিয়ে সালাত আদায় করলাম চার রাকাত। সেই অনুভূতি যে কি শান্তির আর কি পবিত্র ভাষায় বর্ণনা করা যাবে না। তারপর পিয়ার পাশে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম। ফজরের আযানের এক সেকেন্ড আগেই ঘুম ভাঙল আপনা থেকেই। পিয়াকে ডেকে তুলে সালাত আদায় করলাম।
(চলবে)

Comments

comments

About

Check Also

বিদায়বেলা

জামুরাইল হাই স্কুলের বাংলা শিক্ষক ইমরান হোসেন। প্রতিদিন সকাল ৯ টায় স্কুলে আসেন। যথারীতি তিনি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *