ধারাবাহিক উপন্যাস

নোনাজল অথবা কষ্টের নদী

(পূর্বে প্রকাশের পর) : শুধু শুধু গাল-মন্দ দেবে ক্যানো? তুমিই মেয়েকে ‘লাই’ দিয়ে খারাপ করছ। নইলে সে কলহ বাঁধাতে সাহস পায়? : দ্যাখো, খামাখা আমাকে জড়িয়ো না। তোমার গুণবতী বেহাইনের আর দোষ কী? আমিই মেয়েকে যুক্তি দিয়ে খারাপ করছি, তাই না? : যুক্তি দিচ্ছ, আমি বললাম নাকি? বলছিলাম, আস্কারা দিচ্ছ। …

Read More »

বিতর্ক

(পূর্ব প্রকাশের পর) ০৬. শয়তানের মুখোশ উন্মোচন সায়্যিদুনা হযরত মুয়াবিয়া (রা.) একবার স্বীয় কক্ষে ঘুমিয়েছিলেন। এমতাবস্থায় কেউ যেন তাঁকে ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়ার জন্য ডাকতে লাগল। হযরত মুয়াবিয়া (রা.) জাগ্রত হয়ে তাকে ডাক দিলেন। সে ছিল মানুষের চির শত্র“ শয়তান। হজরত মুয়াবিয়া (রা.) : আরে! কে তুমি? তোমার নাম কী? …

Read More »

সুলতান সালাহুদ্দীন আইয়ুবী : তাসাউফের খানকায় বেড়ে উঠা এক বীর সেনানী

(পূর্ব প্রকাশের পর) সালাহুদ্দীনের মূল শক্তি ছিল তাঁর ঈমান ও তাকওয়া। দীর্ঘ ৮৮ বছর ক্রুসেডাররা বাইতুল মুকাদ্দাস কেবল নিজেদের শক্তি বলেই দখল করে রাখেনি। বিভক্ত মুসলিম বিশ্বের কতিপয় লোভি শাসককে নারী, মদ ও ঐশ্বর্যের টোপ দিয়ে অক্ষম করে রেখেছিল খ্রিস্টানরা। কিন্তু এসব আবর্জনার একটি ছিটাও আল্লাহর ওলী সালাহুদ্দীনের পদতল স্পর্শ …

Read More »

বালাই হাওরে যখন এসেছি,‘বালাই হাওর’ বুকে নিয়েই ফিরবো

স্বচ্ছ মনে কেউ যদি ভালো কোন কিছু দেখে, ভালো জায়গায় যায়, তাহলে তার হৃদয় আলোড়িত হয়, দেহের বিন্দুতে বিন্দুতে একরকম ভালোলাগা কাজ করে, মুখাবয়ব থেকে বিচ্ছুরিত হয় প্রশান্তির মিষ্টি আভা। বেশী শব্দের ফুল দিয়ে সাজাতে গিয়ে অতিরঞ্জিত করবো না, ঠিক এমনি একটি জায়গা- ফুলতলী ছাহেব বাড়ি ও ফুলতলী কমপ্লেক্স। সুদূর …

Read More »

নোনাজল অথবা কষ্টের নদী

(পূর্বে প্রকাশের পর) রহিম রাগিল না। কহিল-আহা অতো চটিস্ ক্যান্? একা-একা যাচ্ছিলি, থামিয়ে তোর বডিগার্ড হলাম, তাতেই এতো অপরাধ? আয়েষা কহিল-কে ডেকেছে বডিগার্ড হতে? যাও, আমার দরকার হবে না। সাবধান। ঘাটে-পথে এমনি হ্যাংলা কুকুরের মতো পিছু-পিছু ঘুরবে না। বারণ করে দিলাম, বুঝলে? রহিম শান্তভাবে কহিল-নেহাৎ তোকে ভালোবাসি বলেই, যা-তা বলছিস, …

Read More »

সুলতান সালাহুদ্দীন আইয়ুবী : তাসাউফের খানকায় বেড়ে উঠা এক বীর সেনানী

মৃত্যুশয্যায় শায়িত মহাবীর খালিদ ইবনে ওয়ালিদ (রা.) ব্যাকুল হয়ে কাঁদছিলেন। কান্নার কারণ জানতে চাইলে তিনি বললেন, আমার শরীরে তাকিয়ে দেখ। একটি আঙুলের সমান জায়গাও কি বাকি আছে যেখানে আঘাতের চিহ্ন নেই? আজ আমাকে মৃত্যুবরণ করতে হচ্ছে বিছানায় শুয়ে। বড় স্বাদ ছিল আল্লাহর রাহে শহীদ হব। উলামায়ে কেরাম বলেন, খালিদকে (রা.) …

Read More »

খোদাভীতির উজ্জ্বল নমুনা

(পূর্ব প্রকাশের পর) ৪৮. আবু তালিব মক্কী (রহ.) ‘কুওয়াতুল কুলুব’ কিতাবে ২৫তম অধ্যায়ের শুরুতে তার কোন এক বন্ধুর ঘটনা বর্ণনা করেছেন এভাবে-‘আমাদের কাছে একজন ফকির এলো। আমি আমার এক প্রতিবেশির নিকট থেকে বকরীর ভূনা বাচ্ছা ক্রয় করে সে ফকিরসহ খেতে বসলাম। আমাদের খাওয়া-দাওয়া আরম্ভ হল। আমার সাথের ফকির লোক সে …

Read More »

নোনাজল অথবা কষ্টের নদী

(পূর্ব প্রকাশের পর) শ্রেণিকক্ষেও বিশেষ সুবিধা নাই। যতক্ষণ শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত থাকেন, ততক্ষণ মেয়েরা নিরাপদ। পরক্ষণেই আর তাহাদের নিরাপত্তা রক্ষিত হয় না। এখানে ছেলেরা বেপরোয়া। তাহাদের আধিপত্য বিস্তৃত। মেয়েদের যেন অনধিকার প্রবেশের অপরাধ হইয়াছে। তাই ছেলেদের অশ্লীল উক্তি নীরবে হজম করিতে হয়। আর, পাল্টা জবাব দিবার মতো বুকের পাটা আমাদের মেয়েদের …

Read More »

নোনাজল অথবা কষ্টের নদী

(পূর্ব প্রকাশের পর) ময়না বিবি কী জানি ভাবিয়া কহিলেন-কাম নাই বাপু মাইর-ধইর কইর‌্যা। শ্যাষে দোষটা অইবে আমার। মুহেযতো পারো, কইয়া দ্যাখ আগে। আহার সমাপ্ত করিয়া সফি উঠিয়া গেল। মায়ের উপদেশে হউক আর যে কারণেই হউক মাসুদাকে সে মারধোর করিল না। তবে তাহার চইতে বেশি। অকথ্য অশ্রাব্য গালা-গাল দিলো। জাতু তুলিয়া …

Read More »

নোনাজল অথবা কষ্টের নদী

(পূর্ব প্রকাশের পর) পাঁচ. দিন চলিয়া যায়। সে কাহারও জন্য অপেক্ষা করে না। অপেক্ষা করিবার সময় ও ধৈর্য্য স্থৈর্য্য তাহার নাই। তাই কবি বলিয়াছেন- ‘দিন যায় ক্ষণ যায় সময় কাহারও নয় বেগে ধায়, নাহি রয় স্থির।’ তোমার বিপদ-বাধা যাহাই থাকুক না কেন, তোমার সুখ-শান্তি হইল কিনা, তাহাতে সময়ের কিছু আসিয়া …

Read More »