বালাই হাওরে যখন এসেছি,‘বালাই হাওর’ বুকে নিয়েই ফিরবো

স্বচ্ছ মনে কেউ যদি ভালো কোন কিছু দেখে, ভালো জায়গায় যায়, তাহলে তার হৃদয় আলোড়িত হয়, দেহের বিন্দুতে বিন্দুতে একরকম ভালোলাগা কাজ করে, মুখাবয়ব থেকে বিচ্ছুরিত হয় প্রশান্তির মিষ্টি আভা। বেশী শব্দের ফুল দিয়ে সাজাতে গিয়ে অতিরঞ্জিত করবো না, ঠিক এমনি একটি জায়গা- ফুলতলী ছাহেব বাড়ি ও ফুলতলী কমপ্লেক্স। সুদূর যশোর (ঝিনাইদহ) থেকে ঢাকার বুকে পাড়ি দিয়েছি সেই ২০০৯ সনে। আজ এ মুহূর্তে মনে হচ্ছে, চোখের পলকেই পার হয়ে গেলো দীর্ঘ ০৮টি বছর! ভাবনাতে বিস্ময়, বুকে মৃদু কম্পন। এ বিস্ময়ের, এ কম্পনের খুব গভীর অর্থ। সফলতার চেয়ে সত্যিই হতাশা ও ব্যর্থতা কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে আমাকে। যাইহোক, এই ০৮টি বছরে আমি একজন ছোট-খাটো মানুষ হিসেবে অনেক মানুষের সাথে পরিচয় হয়েছে। অন্তরঙ্গ সম্পর্ক হয়েছে। নানা বিষয়ের অনেক পার্থক্য দৃষ্টিগোচর হয়েছে। দারুননাজাত মাদরাসায় অধ্যয়নকালীন অনেক সিলেটি ভাইদের সাথে আমার পরিচিতি হয়েছে এবং ভালো ঘনিষ্টতা হয়েছে। অতঃপর এই ঢাকাতে আসার পরই এদের মাধ্যমে ফুলতলী দরবারের নাম শুনি। তারপর শুনতেই থাকি, ওদের ব্যবহার দেখতেই থাকি। সম্পর্কটা শুধু বাড়তেই থাকে। দেখতে দেখতে, বুঝতে বুঝতে অনেক বেলা-ই পশ্চিম দিকে দাফন হলো। তারপর গেলো কয়েকবছর, আমার আগ্রহটাও একটু গভীর হলো- ফুলতলীতে যাওয়ার। কিন্তু যখনই সময়টা সামনে আসে, তখন আমার ভিতরের গরীবি হালাত প্রকাশ পায়। গরীবী হালাত মানে- ব্যস্ততা, পরীক্ষার ডেট, মানসিক অবস্থা অথবা হঠাৎ অনীহা- যে কোন কারণেই হোক, সর্বোপরি মহান রবের না মঞ্জুরীই মূল কারণ আমার না যাওয়ার বাস্তবতা।
যাই হোক, এবারই (২০১৮ইং) সিদ্ধান্ত নিলাম যাবো, দেখবো- আল্লাহ ভরসা। তাই সহসাই ফুলতলীকে নিয়ে ভাবতে গিয়ে খানকাহর সিলসিলা/ধারা সম্পর্কে জানতে মনোযোগী হলাম। তারপর অনলাইনে সিলেটীদের প্রচারণা দেখে একেবারে মুগ্ধ। সবচে বেশী অবাক করেছে, মাহফিলের আয়োজনে নানা কর্মসূচি, ঘরোয়া বৈঠক, সতর্কতামূলক প্রচারণা। সিলসিলার বর্ণনা খুঁজতে গিয়ে পেয়ে গেলাম বিখ্যাত মুরশিদ সাধক সৈয়দ আহমদ বেরলভী র. এর মোবারক নাম। বড় আনন্দ লাগলো। কারণ এই মহান মুরশিদও তো আমাদের ফুরফুরা (মাগুরা-ছারছীনা-সোনাকান্দা প্রভৃতি) সিলসিলার তিনি গোড়া। তাহলে আমরা আদর্শে, খেদমতে, তালিমে, মাহফিলে, লেখনীতে এক। শুধু বৈচিত্রের পার্থক্য, দরবার, ধারাক্রম, কেন্দ্রীয় কার্যক্রম পদ্ধতিতে পার্থক্য। এটা এ কারণে যে, ফুলতলী- বেরলভী হয়ে জৈনপুরী হয়ে এসেছে। আর ফুরফুরা সরাসরি বেরলভী হয়ে এসেছে।
যাই হোক, বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়ার কেন্দ্রীয় সদস্য মাওলানা মাসুম ভাই আমাকে তাগাদা দিলেন যাওয়ার জন্য। উনার বলাতেই আমার স্পৃহা বেড়ে গেলো এবং ইচ্ছা মজবুত হলো।

কাংখিত দিন- ১৫ই জানুয়ারী, বা’দ ফজর। হায়েস্ট গাড়িতে আমরা ১০জনের একটি কাফেলা আসন গ্রহণ করলাম। গাড়ি চলছে প্রচন্ড কুয়াশার আবরণ ভেদ করে। সবাই ফুলতলী দরবারের মুরীদ-মুহীব, আমি একাই শুধু ফুরফুরা সিলসিলার মাগুরা দরবারের মুরীদ-মুহীব। জহির ভাইকে দেখলাম দালায়েলুল খাইরাতের আমল করছেন- এটি সম্ভবত ফুলতলীর সবক বা আমল। আর আমি সূরা ইয়াসীন, তাহরীম, যুমার তেলাওয়াতের চেষ্টা করলাম। রাতে একজনকে বললাম, দুআ করুন যেন আল্লাহ সফর নিরাপদ করেন। তিনি জবাবে বললেন- কোন সমস্যা হবে না, ছাহেব কেবলার নজর আছে না! আমি ভাবলাম, ওহ আমিও তাহলে ছাহেব কেবলার নজরে সিক্ত হবো! খুব নিরাপদে গাড়ি এগিয়ে চলছে। এভাবে সিলেটের মধ্যে প্রবেশ করলাম বেলা ১০টার পরে। হবিগঞ্জ, শায়েস্তাগঞ্জ, নবীগঞ্জ, কদমতলী, দক্ষিণ সুরমা, ওসমানীনগর, গোলাপগঞ্জ, ছিরামপুর, বিয়ানীবাজার, জিরোপয়েন্ট- সব কিছু পেরিয়ে আঁকা বাঁকা শীতল করা মনোরম- নীরবে গা বিছিয়ে দেওয়া জকিগঞ্জের রাস্তায় উঠলাম। এই সেই জকিগঞ্জ! ছিরামপুর যখন পার হচ্ছিলাম, দীর্ঘ ৫ কিলোমিটার ব্যাপী জ্যাম। যখন চৌরাস্তার মুখে আসলাম, দেখি চৌরাস্তার সকল গাড়িই একরাস্তা অভিমুখী। ফুলতলী প্রবেশের অল্প আগে এক জায়গায় দাঁড়ালাম জোহরের নামাজ আদায় করবার জন্য। আল্লাহ! গাড়ি থেকে নামতে পারি নি, অমনি পিছন থেকে এতো পরিমাণ গাড়ি শা শা গতিতে সামনের দিকে ছুটছে, যেন প্রতিযোগিতা- কার আগে কে যাবে মুরশিদের বাড়িতে। গাড়িগুলোর ছুটে যাওয়া আমাকে এদিকেই ইঙ্গিত করেছে। একপাশে বিশাল বিশাল বাওর, অপর পাশে বিশাল বিশাল মাঠ। মাঝখানে পিচঢালা সরু রাস্তা, যার দুইপাশে গাছগুলি থরে থরে সাজানো। রাস্তাটা এভাবেই চলে গেছে সোজা ফুলতলী ছাহেব বাড়ি পর্যন্ত।
কিছুক্ষণ পরেই পৌছে গেলাম ফুলতলী ছাহেব বাড়িতে। তড়িঘড়ি করে আছরের মুসাফিরি নামাজ পড়ে সংক্ষেপ মাজার জিয়ারত সমাপ্ত করলাম। মাসুম ভাই তালামীযের কেন্দ্রীয় সদস্য হওয়ার কারণে তিনি আমাদেরকে দিকনির্দেশনা করে এবং মুহব্বতের ভাই আখতারকে আমাকে সাথে রাখার ও সাথে নিয়ে বেড়ানোর কথা বলে বিদায় হলেন। এখানে সবাই আপন। কারণ সকলেরই মুরশিদের বাড়ি এটা। তাই সবাই যার যার মতো আপন মনে ঘুরছে-ফিরছে। আমি নতুন কিংবা আমার সমব্যাচে (যদিও সেশনের দিক থেকে ও আমার এক ব্যাচ নিচে) হওয়ার কারণে সে আমাকে সাথে নিয়ে বেড়িয়েছে। তার অনেক ইচ্ছা, অনেক স্বাধীনতা বিসর্জন করতে হয়েছে আমার কারণে। আমি লজ্জিত। আল্লাহ ওর ভালো করুক।
মাগরিবের আগ মুহুর্তে দ্রুত স্থানীয় হোটেল থেকে গরম বিরানী খেলাম- এটা আখতার খাওয়ালো। ফুলতলীর জমিনে এটাই প্রথম খাওয়া। ফজর থেকে তখনো পর্যন্ত কিছুই খাওয়া হয় নি। শুধু হবিগঞ্জের অলিপুরে আসলে দুটা কেক আর ওসমানীনগর থেকে এক ভাই একটা কমলা খাওয়ায়েছিলো। গাড়ি থামানো হোক- বুঝেছিলাম কেউ চাচ্ছে না। সবার মনে সম্ভবত এই চিন্তা ছিলো, আগে ছাহেব বাড়ি যাবো। তারপর খাবো। আমার মনের এই চিন্তা উদিত হলে আমি মেনে নিয়েছিলাম এবং মানিয়ে নিয়েছিলাম। পরে সেটা টের পেয়েছি- আসলেই সবাই ছুটছে ফুলতলীর দিকে। তো বিরানী খেয়েই ছুটলাম মাগরিবের নামাজের জন্য। অজু করতে হবে। আখতার বললো, পুকুরেই করেন। ঘাটের কোথাও ফাঁকা না পেয়ে একটা মোটা গাছের শিকড়ের পায়ে ভর করে অজু করলাম। বিশ^াস করুন বা না করুন- পুকুরের পানি আমার খুব আপন মনে হলো। এতো কোমল ও মৃদু ঠান্ডা- এই উত্তাল শীতে!
পথে যখন গাড়িতে, সিলেটের একজনে আমার খবর নিলো- আমি কোন পর্যন্ত এসেছি। শুনে তিনি বললেন, এতো দূরে এখনো? বড় ছাহেব কেবলা তো জোহরের পরপরই তালিম দিয়েছেন, মুনাজাত করেছেন। এখনো অনেক পথ বাকী। বললাম, কি আর করা- পথে জ্যাম। তাই মাগরিবের পরই আখতারকে বললাম, চলো জান্নাতের মাহফিলে যাই, বসি। বড় ছাহেব কেবলাকে একটু দেখি। তাঁর নসীহত শুনি। একবার তো মিস হয়েছে, এখন যদি মিস করো, তাহলে এ মাহফিলে তাঁর নসীহত আর শুনতে পারবো না। তাছাড়া আমি তো এখনো মাহফিলের প্যান্ডেল দেখি নি। শুকরিয়া, সে সমর্থন দিলো। দেরী না করেই চলে গেলাম। ইয়া রব! সত্যিই জান্নাতের বাগান। পুরো প্যান্ডেল ভর্তি। সবাই বসেই আছে। কেউ শুয়ে নাই, কেউ পা মেলে নাই। তার মানে ফাঁকে ফাঁকে আর বসার মতো জায়গা নেই। অগত্যা- প্যান্ডেলের বহু দূরে বসতে হলো। ভাগ্য ভালো যে, দুই প্রান্তে দুটো প্রজেক্টর বসানোর মাধ্যমে স্টেজের সকল আলোচনা কাছ থেকে দেখার সুযোগ করে দিয়েছে। তবু আমার খুব মনে চাচ্ছিলো মঞ্চের সামনে বসি, না হলে আমার মনোযোগ থাকে না। কিন্তু চাইলেও সম্ভব না। স্বেচ্ছাসেবকদের কড়া সিকিউরিটি উপরন্তু তিল ধারণেরই তো জায়গা নেই। মনে মনে ভাবছিলাম, মাছুম ভাইকে ফোন দিয়ে বলি আমাকে সামনে নিয়ে বসিয়ে দিতে। কিন্তু এটা সম্ভব হওয়ার কোন লক্ষণ আছে বলে মনে হলো না। অবশ্য ফোন দিয়েছিলাম, কিন্তু তার ব্যস্ততা তাকে রিসিভ করতে দেয় নি। অবশেষে প্রজেক্টরের সামনেই বসলাম। ছাহেবযাদাগণের তরবিয়তি তালিম, নেতৃবর্গের আবেগভরা বয়ান, মুহাদ্দিস মাহবুবুর রহমানের সংক্ষিপ্ত ওয়াজ, কবি রুহুল আমিন খানের প্রগাঢ় বয়ান, মুহাদ্দিস বদরুজ্জামান রিয়াদ সাহেবের প্রদীপ্ত আলোচনা, আল্লাহর রসুলের বংশধর মিশর আযহারের ফিকহ বিভাগের ডীন সাইয়্যেদ জামাল ফারুক সাহেবের স্পষ্টবাদী বিশ^াসদীপ্ত বয়ান, শাইখুল হাদীস হাবিবুর রহমানের তরবিয়তি নসীহত- নানাগুণিজনের উপস্থিতিতে ভরপুর ছিলো মাহফিলের পরিবেশ।
মাগরিব বা’দ বসে রাত সাড়ে ১১টার পরে উঠলাম। মাহফিলের এরিয়া ছেড়ে যেই উপরে উঠতে যাবো- দেখা হয়ে গেলো আমার মুহব্বতের ভাই ফুলতলীর ফিদায়ী আশেক নাতের রাজা মাওলানা কবি রফীকুল ইসলাম মুবীন ভাইয়ের সাথে। তিনি ফুলতলী মাসলাকের বিখ্যাত পত্রিকা অভিযাত্রিকের সম্পাদক। দেশ-বিদেশে এর নাম পৌঁছে গেছে। নীরবে নিভৃতে বিচরণকারী এই গরীবের হৃদয়ে একটু শান্তির আভা খেলে গেলো তার দেখা পেয়ে। তিনি অভিযাত্রিক স্টলে ছিলেন। মুহব্বতের মানুষের সাথে দেখা হলে যা হয়, তাই হলো। এর আর কি বয়ান দেবো! তিনি যেন হতভম্ব! ব্যস্ত হয়ে পড়লেন মেহমানদারীর জন্য। কিন্তু এ পরিবেশে কি এসব মানায়? তার কিংবা আমার! তিনি চারটি অভিযাত্রিক, তিনটি ডিক্স, দুটি বই, চারটি ক্যালেন্ডার, চারপাতার বড় কলেবরের একটি ফুলতলী স্মারক সংখ্যা- কথা শুরুর আগেই তরতর করে আমার ছোট্ট দু হাতের তালুতে ভরে দিলেন। এতো লোক কেনাকাটা করছে, আর সবার সামনে আমাকে মেহমানদারীর চেষ্টা করছেন। পরে বললেন, আগে থেকে জানিয়ে আসলে একটা জলসা বসাতাম অপনাকে নিয়ে। আমি শুকরিয়া আদায় করি- না জানিয়েই এসেছি বলে। এক পর্যায়ে মুবীন ভাইকে বললাম, আপাতত ওদিকে যাই। দেখা হলে হতেও পারে। না হলে বিদায় নিচ্ছি। কারণ আমাদের কাফেলা দুইটার দিকে ফিরতি যাত্রা করবে। এতো দূর আসলাম, মাত্র ১০/১৫ মিনিটের সংলাপ আমাকে শান্ত রাখে নি। কেন আর সময় দিলাম না। এরকম অবস্থা আরো এক মুহব্বতের ভাইয়ের সাথে হয়েছে। এটার বর্ণনা একটু পরই আসবে।
যাই হোক, মুবীন ভাইয়ের থেকে বিদায় নিয়ে -পূর্বে যে পুকুরে অজু করেছিলাম- তার পাশের পুকুরে অজু করলাম আবার, সতেজতা গ্রহণের জন্য। কারণ, অজু থাকলেও অনেক পরে ফের অজু করলে ধড়ে শীতলতা অনুভব হয়, দেহে সতেজতা আসে। এবার ঘাটের সিড়ি বেয়ে অজু করলাম। আবার ভালো লাগা অনুভব হলো। একটা করে অঙ্গ ধৌত করছি আর ভাবছি, এ পুকুরে কতবার আল্লামা ছাহেব কেবলা নিজে কিংবা শিশুদেরকে নিয়ে গোসল সেরেছেন! আরে আমি তো সেই পুকুরেই অজু করছি! একটা কথা বললে অতিরঞ্জিত হবে কিনা জানি না, তারপরো মনের তাগিদে বলি, যখনি ফুলতলীতে পৌঁছেছি এবং যতক্ষণ না ফিরতি যাত্রা করেছি- ততক্ষণই ফুলতলীর গাছ-পালা, পুকুরের পানি, নারিকেলের পাতা, ঘর-বাড়ি, লোক-জন মনে হচ্ছিলো আমাকেই চেনে এরা। আমার দিকেই তাকিয়ে আছে এরা। আমি বারবার নারিকেল গাছের পাতা কিংবা পুকুর অথবা এদিক-ওদিক চারপাশ তাকাই, ভাব করি ওদের সাথে। খুব আপন মনে হয়। তাই কেমন যেন নিঃসঙ্গ মনে হয় নি।
যাইহোক, অজু করার পর রাতের নাস্তা করলাম ভূনা খিচুড়ি দিয়ে। এটার বিল আমার ঠান্ডা পকেট থেকে বের হয়েছিলো, শুকরিয়া। এরপর আখতারকে বললাম, চলো শিরনিখানা দেখে আসি। তাই একটু ঘুরে দেখে আসলাম। এটার বর্ণনা থাক, এক কথায়- খুব শৃংখলাবদ্ধ। অবশ্য আমার সময় স্বল্পতার কারণে এই কাতারে যোগ দেওয়া সম্ভব হয় নি।
এদিকে আমার মোবাইলের চার্জ শেষ, আহা! কত জনে ম্যাসেজ দিতো। কল দিতো। যোগাযোগ রক্ষা করা এবং অনেকের সাথে দেখা করার আশা ক্ষীণ হয়ে গেলো। নিরুপায় অসহায়। (চলবে)

Comments

comments

About

Check Also

রাসুলুল্লার হিজরাত : প্রাসঙ্গিক ভাবনা

পৃথিবীতে তখন ঘোর অমানিশার রাজ। চারিদিকে বিশৃঙ্খলা, নৈরাজ্যের দৃঢ় ভিত্তি স্থাপিত হয়েছে। যে ভিন্নতার জন্য …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *