বিয়োগের মিছিলে আর এক নাম হযরত মাওলানা মুফতী রফীকুল ইসলাম রহ.

সূচনা
০৩ মার্চ ২০২০। মঙ্গলবার। সকাল আনুমানিক সাড়ে ১০ টা। আমি ৮ম শ্রেণির ০৩ জন ছাত্রকে কিছু একটা পাঠদান করছিলাম। দারুননাজাত মাদরাসার প্রিন্সিপ্যাল হুজুর আ. খ. ম. আবু বকর সিদ্দীক মাদ্দা জিল্লাহুল আলীর ফোন আসল। হুজুর বলছিলেন, এই মাত্র এনায়েত ফোন করেছে, তোমাদের বরগুনার হুজুর নাকি ইনতেকাল করেছেন; এ ব্যাপারে কিছু জানতে পেরেছ কি? আমি ইন্নালিল্লাহ বলে বললাম, না তো। উনি বললেন, যতদূর জানতে পেরেছি খবর মনে হয় সত্য, খোঁজ নাও তো। আমি ৪/৫ জনকে ফোন করে কাউকে পেলাম না। হুজুর আরেকবার নিশ্চিত করলেন মৃত্যুর সংবাদ। বললেন, গতকাল রাতে নাকি বুকের ব্যথাজনিত কারণে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল-এ ভর্তি করানো হয়। একটু আগে মারা যায়। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আমি কিছুক্ষণ ঝিম মেরে থাকলাম, ভেবেছিলাম খুব একটা কাঁদব না। নিজেকে শক্ত করে ছাত্রদেরকে আমার প্রাণপ্রিয় উস্তাদ-এর কথা বললাম। কর্মক্ষেত্র থেকে মনে হয় ছুটি পাব না, এ রকম কিছু বলে আফসোস করছিলাম। সামান্য একটু চোখের পানি ফেলে এদিক-ওদিক ইতিউতি ভাবছিলাম। বলছিলাম। এক পর্যায়ে আমার ক্লাসমেট শিহাব ভাই ফোন দিলেন, আলাপ করব কী? কান্নায় উনার কণ্ঠ পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে থাকল কিছুক্ষণ। দেখলাম একটু আগের সংযম আমার ভেঙে যাচ্ছে। অঝোরে চোখ উথলে অশ্রু ঝরছে। পকেটের রুমাল ভিজে যাচ্ছে। ছাত্ররা বলল, স্যার, মনে হয় আপনার আপন কেউ? বললাম, তোমরা এটা বুঝবে না। আমাদের শিক্ষকদের সাথে এখনও আমাদের সম্পর্ক কী পরিমাণ গভীর!

এক নজরে হুজুরের কিছু মৌলিক তথ্য
(১) নাম: মুহাম্মদ রফীকুল ইসলাম
(২) পিতা: মরহুম জয়নুল আবেদীন (প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন)
(৩) মাতা: কুলসুম বেগম।
(৪) স্থায়ী ঠিকানা: পিটিআই সড়ক, বরগুনা সদর, বরগুনা।
(৫) জন্ম: ০১ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৫।
(৬) ইনতেকাল: ০৩ মার্চ ২০২০ মঙ্গলবার। বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল-এ।
(৭) জানাযা: যথাক্রমে বরিশাল রূপাতলী হাউজিং ঈদগাহ মাঠ এবং নিজ গ্রাম।
(৮) পড়াশোনা: সাপলেজা নেছারিয়া সিনিয়র (আলিম) মাদরাসা, মঠবাড়িয়া, পিরোজপুর; বরগুনা দারুল উলুম নেছারিয়া কামিল মাদরাসা এবং ছারছীনা দারুসসুন্নাত কামিল মাদরাসা।
(৯) শিক্ষকতা: ছারছীনা আলিয়া, চরমোনাই আলিয়া, নেছারাবাদ আলিয়া এবং দারুল আবরার মডেল মাদরাসা। ৪টি প্রতিষ্ঠানই কামিল পর্যায়ের।

যেসব কিতাব-এর পাঠদান করেছেন সেসবের কয়েকটি
১. দাখিল আল-মুনতাখাব আল-আরাবী (ছারছীনা মাদরাসায়)
২. ফাজিল জামাআতের অতিরিক্ত ৩০০ নম্বরের আরবী সাহিত্য (ছারছীনা মাদরাসায়)
৩. উসূলে ফিকহের বিশ্ববিখ্যাত নূরুল আনওয়ার কিতাব (ছারছীনা মাদরাসায়)
৪. আহকামুল কুরআন লিল-জাস্সাস (নেছারাবাদ মাদরাসায়)
৫. আল-আশবাহ ওয়ান-নাযায়ির (নেছারাবাদ মাদরাসায়)
৬. মিশকাত শরীফ (নেছারাবাদ মাদরাসায়)
৭. তাফসীরে জালালাইন
৮. বুখারী শরীফ (নেছারাবাদ এবং দারুল আবরার মাদরাসায়)
৯. তিরমীযী শরীফ (দারুল আবরার-এ)
১০. আরবী ভাষাকোর্স-এর নির্বাচিত বইপুস্তক (দারুল আবরার-এ)

জানাযা
মরহুমের ইনতেকালের সংবাদ খুব অল্প সময়ের মধ্যে সামাজিক মাধ্যম ও মোবাইল যোগে সারা দেশে ও দেশের বাইরে ছড়িয়ে পড়লে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বরিশালের রূপতলী এলাকায় জনতার ঢল নামে। ছারছীনা ও চরমোনাই’র পীরানে কেরাম এবং কায়েদ সাহেব হুজুর রহ.-এর পরে এতদঞ্চলের কোন আলেমেরে জানাযায় এতো উপস্থিতি ও এতো বহুমুখী মানুষের সমাবেশ হয় নি। আলিয়া মাদরাসা, কওমী মাদরাসা, জেনারেল শিক্ষিতজন, আপামর জনতার এক মহামিলনের নমুনায় পরিণত হয় হুজুর-এর শেষবিদায়ের দুআ প্রোগ্রাম বা জানাযা অনুষ্ঠান।
তাঁর নামাযে জানাযা অনুষ্ঠিত হয় বরিশাল রূপাতলী হাউজিং ঈদগাহ মাঠ-এর বিরাট প্রাঙ্গনে। জানাযার ইমামতি করেন ছারছীনা দারুসসুন্নাত কামিল মাদরাসার মুহতারাম অধ্যক্ষ ও মরহুমের হাদীছের উস্তায হযরত মাওলানা ড. সাইয়্যেদ শরাফাত আলী মাদ্দা জিল্লাহুল আলী।

পারিবারিক তথ্য
রফীকুল ইসলাম রহ.-এর বাবা বিগতপ্রাণ। মা জীবিত আছেন। ভাই নেই, বোন ৪ জন। ৪ বোনের একমাত্র ভাই সকলকে কাঁদিয়ে, হাতের বহু কাজ বাকি রেখে পাড়ি জমান মহান মুনীবের সান্নিধ্যে। পেছনে রেখে যান ৪টি সন্তান। বয়স ৫ থেকে ১৮/১৯। একমাত্র ছেলে কনিষ্ঠতম। বড় দুই সন্তান হাফেজা। ৩য় সন্তানেরও হিফজ চলমান। আল্লাহ তাঁদের সকলকে রাহে লিল্লাহ কবুল করুন।

জানাযায় যেসমস্ত বিশিষ্টজন বা শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান উপস্থিত ছিলেন
বর্তমান প্রবন্ধকার ও কবি আবু জাফর ছালেহী দু’জন একত্রে জানাযার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে গেলেও সময়ের সংকটে জানাযা কর্মসূচী মিস হয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা অনুযায়ী এই জানাযায় হাজার-হাজার অংশগ্রহণকারীর স্বল্পসংখ্যক বাদে বাকি সবাই ছিলেন আলেম-উলামা ও মাদরাসার ছাত্রবৃন্দ। উপস্থিত বিশিষ্টজন ও বিশেষ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান, যারা গুরুত্ব দিয়ে জানাযায় অংশগ্রহণ করেছিলেন, তাঁদের সংক্ষিপ্ত রেকর্ড তুলে ধরা হল-
১. ড. সাইয়্যেদ শরাফাত আলী (অধ্যক্ষ, ছারছীনা দারুসসুন্নাত কামিল মাদরাসা)
২. মাওলানা মুহাম্মাদ হাবীবুর রহমান (মরহুমের শ্বশুর এবং প্রধান মুফাসসির, ছারছীনা দারুসসুন্নাত কামিল মাদরাসা)
৩. ঢালকানগর, ঢাকা-এর পীর সাহেব হযরত মাওলানা আবদুল মতীন বিন হুসাইন মাদ্দা জিল্লাহুল আলী’র প্রতিনিধি ও ভক্তবৃন্দের একাংশ
৪. মুফতী ফয়যুল করীম (নায়েবে আমীর, বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলন)
৫. হযরত মাওলানা খলীলুর রহমান নেছারাবাদী মাদ্দা জিল্লাহুল আলী (নেছারাবাদী হুজুর নামে পরিচিত হযরত মাওলানা আযীযুর রহমান নেছারাবাদী ওরফে কায়েদ ছাহেব হুজুর রহ.-এর একমাত্র সন্তান ও গদিনশীন খলীফা)
৬. ড. মাওলানা কাফীল উদ্দীন সরকার সালেহী মাদ্দা জিল্লাহুল আলী (অধ্যক্ষ, ঢাকা নেছারিয়া কামিল মাদরাসা, ঢালকানগর, গেন্ডারিয়া, ঢাকা)
৭. আ. খ. ম. আবু বকর সিদ্দীক মাদ্দা জিল্লাহুল আলী (প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ, দারুননাজাত সিদ্দীকিয়া কামিল মাদরাসা, ডেমরা, ঢাকা)
৮. জি. এম. জাফর ইমাম (প্রধান মুফাসসির, চরমোনাই আহসানাবাদ রশীদিয়া কামিল মাদরাসা)
৯. ছারছীনা মাদরাসার তোলাবা ও মুদার্রিসীন-এর একাংশ
১০. দারুন্নাজাত সিদ্দীকিয়া কামিল মাদরাসা, ডেমরা, ঢাকা-এর আসাতিযায়ে কেরামের একাংশ
১১. ঝালকাঠী এন. এস. (নেছারিয়া ছালেহিয়া) কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ, আসাতিযায়ে কেরামের অধিকাংশ ও অগণিত ছাত্র
১২. ঝালকাঠীর মেয়র মোহাম্মাদ লিয়াকত তালুকদার
১৩. মাওলানা শওকত আলী নূর-এর নেতৃত্বে প্রিন্সিপ্যাল ও প্রভাষকবৃন্দের একাংশসহ বেলুহার নেছারিয়া আলিম মাদরাসার (আগৈলঝাড়া, বরিশাল) কতিপয় ছাত্র
১৪. অধ্যক্ষসহ বরিশাল সাগরদী আলিয়া (কামিল) মাদরাসার আসাতিযায়ে কেরাম ও ছাত্রবৃন্দের একাংশ
১৫. অধ্যক্ষসহ বরিশাল বাগিয়া কামিল মাদরাসার আসাতেযায়ে কেরাম ও ছাত্রবৃন্দের একাংশ
১৬. ড. ইয়াকুব হোসেন, সাবেক অধ্যক্ষ, সরকারী মাদরাসাই-ই-আলিয়া, ঢাকা।
১৭. বরিশাল মাহমুদিয়া কওমী মাদরাসা, বরিশাল বাজার রোড খাজা মুঈনুদ্দীন চিশতী কওমী মাদরাসা, নথুল্লাবাদ হোসাইনিয়া কওমী মাদরাসাসহ এতদঞ্চলের বিভিন্ন কওমী ও আলিয়া মাদরাসার আসাতিযায়ে কেরাম ও তালেবে এলমবৃন্দ।

শিক্ষা
১. ছোটবেলার পড়াশোনা = সাপলেজা নেছারিয়া সিনিয়র (আলিম) মাদরাসা, মঠবাড়িয়া, পিরোজপুর
২. দাখিল (১৯৮৯) = বরগুনা দারুল উলুম নেছারিয়া কামিল মাদরাসা
৩. আলিম (১৯৯১) = বরগুনা দারুল উলুম নেছারিয়া কামিল মাদরাসা
৪. ফাযিল (১৯৯৩) = ছারছীনা দারুসসুন্নাত কামিল মাদরাসা
৫. কামিল (তাফসীর বিভাগ, ১৯৯৫) = ছারছীনা দারুসসুন্নাত কামিল মাদরাসা
৬. কামিল (হাদীছ বিভাগ, ১৯৯৭) = ছারছীনা দারুসসুন্নাত কামিল মাদরাসা
৭. কামিল (ফিকাহ বিভাগ, ২০০১) = ছারছীনা দারুসসুন্নাত কামিল মাদরাসা
৮. বিএ (১৯৯৭) = বরগুনা সরকারি কলেজ
৯. এমএ (২০০২) = বরিশাল সরকারি বিএম কলেজ।

শিক্ষকতা ও কর্মজীবন
১. আরবী প্রভাষক, ছারছীনা দারুস্সুন্নাত কামিল মাদরাসা (১৯৯৭-২০০১)
২. প্রধান মুহাদ্দিছ, চরমোনাই আহসানাবাদ রশীদিয়া কামিল মাদরাসা (২০০১-২০০৪)
৩. মুফতী, ঝালকাঠী এন. এস. (নেছারিয়া ছালেহিয়া) কামিল মাদরাসা (২০০৪-২০১২)

শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা
১. প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ, দারুল আবরার মডেল কামিল মাদরাসা (২০১২/২০১৩)
২. আয়েশা সিদ্দীকা রা. মহিলা মাদরাসা
৩. বরিশাল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ (২০১৮)

খুতবা ও ইমামতি
তিনি বিভিন্ন সময় জুমুআর মসজিদের খুতবা ও ইমামতের দায়িত্ব পালন করেছেন। যে দু’টি আপাতত আমাদের নলেজে রয়েছে
১. খতীব, বাইতুল আমীন জামে মসজিদ, কেন্দ্রীয় মসজিদ, ঝালকাঠী সদর
২. খতীব, টিএন্ডটি কলোনি বায়তুল আমান জামে মসজিদ, আরামবাগ, মতিঝিল, ঢাকা।

লেখালেখি
আমাদের জানামতে, লেখালেখির প্রচ- ইচ্ছা ছিল তাঁর। কিন্তু নানা কাজ আর নিজস্ব প্রবণতার ভেতরে লেখালেখির কাজটি ভালভাবে শুরু করা হয়ে ওঠে নি। লেখায় সময়ক্ষেপণ করতেন খুব বেশি। কারণ, বিষয়ের সম্যক ধারণা অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত এবং ভেতরে ভাবের বিকাশ ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তিনি কলম ধরতে পারতেন না বা আন্তরিক স্বস্তি অনুভব করতেন না। তবে তাঁর যে কয়েকটি লেখা পাওয়া গেল তা পাঠ করলেও তাঁর লেখালেখির সামর্থ্যরে প্রতি একটি সুধারণা চলে আসবে ইনশাআল্লাহ। নিচে আমাদের সংগ্রহে থাকা তাঁর ৩টি প্রবন্ধের নাম ও পাদটীকায় সংক্ষিপ্ত পরিচিতি তুলে ধরা হলÑ
১. আমাদের রাজনীতি কোন পথে
২. তাকওয়া : জীবন পথের শ্রেষ্ঠ পাথেয়
৩. মুসলিম উম্মাহর ঐক্য

আমরা এখন ধারাবাহিকভাবে ৩টি লেখার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি তুলে ধরার চেষ্টা করছি।

প্রবন্ধ-০১ : ‘আমাদের রাজনীতি কোন পথে’
লেখাটি বাংলাদেশ ছাত্র হিযবুল্লাহর ২০০০ সালে প্রকাশিত স্মারক-এ প্রকাশিত একটি মৌলিক লেখা। প্রবন্ধটিতে মুজাদ্দিদ-ই-আলফে ছানী রহ.-এর রাষ্ট্র-সংশোধন দর্শনে বিশ্বাসী ‘বাংলাদেশ ছাত্র হিযবুল্লাহ’ ও ‘বাংলাদেশ জমিয়তে হিযবুল্লাহ’র রাজনৈতিক মতাদর্শ ব্যাখ্যা করা হয়েছে। সালাফে সালেহীনের ইসলাহে হুকুমাত দর্শন এবং ফিতনার যমানায় করণীয় নিয়ে দালিলিক আলোচনা রয়েছে এতে। যতদূর মনে পড়ে, লেখাটি লিখেছিলেন ছারছীনা দরবার ও মিশন থেকে পরিচালিত অরাজনৈতিক সংগঠন ‘বাংলাদেশ ছাত্র হিযবুল্লাহ’র সিনিয়র সহসভাপতি থাকাকালে, ১৯৯৯-এ। কিংবা ২০০০ সালে।

প্রবন্ধ ০২ : ‘তাকওয়া : জীবন পথের শ্রেষ্ঠ পাথেয়’
তিনি নিজে ছিলে মুত্তাকী বা তাকওয়াপন্থী বান্দা। কথায়, কাজে বিশ্বাস করতেন, তাকওয়া শিখতে হলে তাকওয়াওয়ালা লোকের শরণাপন্ন হতে হবে। লেখাটি তারই নমুনা। ওই লেখার সাবহেডিংগুলো একবার দেখে নেয়া যাক
১. ভূমিকা
২. তাকওয়া কী
৩. তাকওয়ার ৩টি স্তর
৪. তাকওয়ার ৬টি গুরুত্ব
৫. তাকওয়ার বহুমুখী পুরস্কার
৬. তাকওয়া অর্জনের ৩টি পথ
৭. তাকওয়ার ৪টি দৃষ্টান্ত।

প্রবন্ধ ০৩ : ‘মুসলিম উম্মাহর ঐক্য’
মুসলমান বেনামাযী হলেও তার ঈমানের কারণে মৌলিক মাহাব্বাত ও ভালবাসার পাত্র। ইসলামের বৃহত্তর কল্যাণে ঐক্য এবং ঐক্যের অনুভূতি পোষণের কোন বিকল্প নেই। এবং ইসলামী ঐক্য লালন করতে কোন দলগঠন কিংবা দলের সদস্য হওয়াকে তিনি জরুরি মনে করতেন না। বরং অন্তরের অনুভূতিই মুখ্য। এ লেখাটি তাঁর সেই দর্শন ও দৃষ্টিভঙ্গির প্রমাণ। লেখাটিতে ঐক্য অর্জনের সহজ কয়েকটি উপায়-এর ওপরও আলোকপাত করা হয়েছে। লেখার সাবহেডিংগুলো লক্ষ্য করুন
১. সূচনা
২. কুরআন-হাদীসে মুসলিম ঐক্য
৩. ঐক্যের জন্য যা প্রয়োজন
(১) ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি
(২) অন্যের প্রতি সম্মান প্রদর্শন
(৩) অন্যের কাজের স্বীকৃতি
(৪) ভুল সংশোধন
(৫) লোভ-মোহের ঊর্ধ্বে ওঠা
৪. ঐক্যের জন্য দল গঠন জরুরি নয়।

টিকাটুলি, ঢাকা; ১১ মার্চ ২০২০ বুধবার।

Comments

comments

About

Check Also

রাসুলুল্লার হিজরাত : প্রাসঙ্গিক ভাবনা

পৃথিবীতে তখন ঘোর অমানিশার রাজ। চারিদিকে বিশৃঙ্খলা, নৈরাজ্যের দৃঢ় ভিত্তি স্থাপিত হয়েছে। যে ভিন্নতার জন্য …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *