কাদিয়ানীরা অমুসলিম কেন?

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এ পৃথিবীতে হযরত আদম (আ.) কে প্রেরণের মাধ্যমে নবুওয়াতীর ধারাকে সূচনা করেন। অসংখ্য নবী-রাসূল প্রেরণের মাধ্যমে দিশেহারা জাতিকে হেদায়তের পথ প্রদর্শন করেন। ইমামুল আম্বিয়া সায়্যিদুল মুরসালীন হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে এ পৃথিবীতে প্রেরণের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা নবুওয়াত ও রিসালাতের ধারাকে চিরতরে সমাপ্ত করে দেন। সায়্যিদুনা হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হলেন সর্বশেষ নবী এবং রাসূল। তাঁর পরে কিয়ামত পর্যন্ত আর কোন সত্য নবী আসবেন না। তবে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই মর্মে ভবিষ্যদ্বানী করেছেন যে, তাঁর পরে ত্রিশজন ভন্ড মিথ্যুক এ পৃথিবীতে আসবে যারা নিজেদেরকে নবী হিসাবে দাবী করবে। এদের সকলেই তাদের দাবীর ক্ষেত্রে মিথ্যাবাদী। কেননা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পর যে কোন ব্যক্তির নবুওয়াতী দাবী করা মিথ্যা। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আকীদা-বিশ্বাস অনুযায়ী রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পর নবুওয়াত দাবীকারী প্রত্যেকেই মিথ্যুক এবং কাফির। এমনকি এদেরকে নবী হিসাবে স্বীকৃতি দানকারীরাও কাফির।
মুহাম্মদ (সা.) ই সর্বশেষ নবী এবং রাসূল
কুরআন, হাদীস এবং দুনিয়ার সকল মুসলমানদের ঐক্যমত হলো হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর প্রেরিত সর্বশেষ নবী এবং রাসূল। তাঁর পরে আর কোন নবী এ পৃথিবীতে আসবেন না। কুরআন কারীমে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-মুহাম্মদ (সা.) তোমাদের কোন পুরুষের পিতা নন; বরং তিনি আল্লাহর রাসূল এবং শেষ নবী। আল্লাহ সব বিষয়ে জ্ঞাত।” (সূরা আহযাব: ৪০)
আল্লাহ তাআলা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রচারিত ইসলাম ধর্মকে পরিপূর্ণ হিসাবে ঘোষনা দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-আজ আমি তোমাদের জন্য আমার দীনকে পূর্ণাঙ্গ করে দিলাম এবং আমার নিয়ামতকে তোমাদের উপর পরিপূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দীন {ধর্ম} মনোনীত করলাম। (সূরা মায়িদা: ৩)
যেহেতু পৃথিবীতে আল্লাহ তাআলা তাঁর দ্বীনে পরিপূর্ণ করেছেন তাই নতুন আর কোন দ্বীনের প্রয়োজন নেই।
মহান আল্লাহর শাশ্বত বাণী থেকে প্রমাণিত হয় মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামই হলেন আল্লাহর সর্বশেষ নবী। তাঁর পরে আর কোন নবী এ পৃথিবীতে আসবেন না। প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজে বিভিন্ন সময়ে স্পষ্ঠভাবে ঘোষণা দিয়েছেন যে, তার পরে আর কোন নবী নেই। তাঁর মাধ্যমেই আল্লাহ তাআলা নবুওয়াত ও রিসালাতের ধারাকে সমাপ্ত করেছেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শেষ নবী হওয়া প্রসঙ্গে বর্ণিত হাদীসগুলোর কয়েকটি হাদীস নিচে পেশ করছি।
১. রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত আলী রা. কে উদ্দেশ্য করে ইরশাদ করেন, তুমি কি পছন্দ করো না আমার দিক থেকে তুমি ঠিক তেমন হতে, মূসা (আ.) এর দিক থেকে হারূন (আ.) যেমন ছিলেন। তবে (পার্থক্য হলো) আমার পরে আর কোন নবী নেই। [বুখারী, হাদীস নং- ৪০৬৪]
এ হাদীসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বীয় জামাতা হযরত আলী রা. এর মর্যাদা বর্ণনা করেন। হযরত মূসা (আ.) এর অনুপস্থিতিতে তার কাজগুলো হযরত হারূন (আ.) চালিয়ে যেতেন। অনুরূপ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত আলী রা. কে হারূন (আ.) এর সাথে তুলনা দেন।
হযরত হারূন (আ.)ও আল্লাহর নবী ছিলেন, তাই এ হাদীস থেকে আলী রা. সম্পর্কে অনেকের ধারনা হতে পারে হয়ত তিনিও নবী। এ ধারনার যাতে সৃষ্ঠি না হয় তাই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সতর্ক করে দেন, ” আমার পরে আর কোন নবী নেই”।
২. রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন-বনী ইসরাঈলের নবীগণ তাদের উম্মতকে নেতৃত্ব ও নির্দেশনা দান করতেন। যখন তাদের একজন নবী দুনিয়া থেকে বিদায় নিতেন, তাঁর জায়গায় আরেকজন নবী অধিষ্ঠিত হতেন। কিন্তু আমার পরে আর কোন নবী আসবেন না। বরং আমার পরে আমার কিছু খলীফা থাকবেন, তারা সংখ্যায় অনেক হবেন। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং- ১৮৪২]
এ হাদীসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্পষ্ঠভাবেই ঘোষণা দিলেন তার পরে আর কোন নবী আসবেন না।
অন্যান্য নবীগণের উপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শ্রেষ্ঠত্বের যে কয়েকটি কারণ হাদীসে এসেছে তন্মধ্যে একটি হলো, তাঁর মাধ্যমে নবুওয়াতের ধারাকে সমাপ্ত করা হয়েছে। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং- ৫২৩]
কুরআন এবং হাদীসের স্বচ্চ ও অকাট্য দলীল প্রমাণের ভিত্তিতে গোটা পৃথিবীর মুসলমানদের আকীদা এবং দৃঢ় বিশ্বাস হলো, হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর প্রেরিত সর্বশেষ নবী এবং রাসূল। তাঁর পরে আর কোন নবী পৃথিবীতে আসবেন না। মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পর নবুওয়াতের দাবীদার যে কোন ব্যক্তি মিথ্যাবাদী, কাফির, মুরতাদ। এমনকি যারা এসকল মিথ্যা নবুওয়াতীর দাবীদারদেরকে নবী হিসাবে স্বীকৃতি দিবে বা বিশ্বাস করবে তারাও কাফির, মুরতাদ।
এটাই খতমে নবুওয়াত সম্পর্কে ইসলামের মৌলিক আকীদা। ঈমানের দাবীদার সকলে এ আকীদা পোষণ করতেই হবে, ফরয।

কাদিয়ানীদের আকীদা বিশ্বাস
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ৩০ জন ব্যক্তি সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বানী করেছেন, যারা তাঁর পরে নবী হিসাবে দাবী করবে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এদের সম্পর্কে স্পষ্ঠ বলেছেন, তারা মিথ্যাবাদী। পাক-ভারত উপমহাদেশের পান্জাবের গুরুদাসপুরে মির্জা গোলাম আহমদ নামে এক ব্যক্তির আবির্ভাব হয়। যে নিজেকে প্রথমে মুজাদ্দিদ (দ্বীন সংস্কারক) হিসাবে দাবী করেন। তারপর সময়ে সময়ে তার রূপ পরিবর্তন হতে থাকে। একবার দাবী করলেন তিনি হযরত ঈসা (আ.) আবার দাবী করলেন তিনি আহুত ইমাম মাহদী, আরেকবার দাবী করলেন তিনি ছায়া নবী। অবশেষে একপর্যায়ে এ ব্যাক্তি নিজেকে সরাসরি নবী হিসাবে দাবী করে। মির্জা কাদিয়ানী তার অনেক লেখনীতে নিজেকে নবী হিসাবে দাবী করেছেন। পরবর্তীতে তার অনুসারীদের অনেকেই তাদের লেখনীতে মির্জা কাদিয়ানীকে নবী হিসাবে জোর দাবী করেছে। নিচে মির্জা কাদিয়ানীর লেখনী থেকে তার উল্লেখযোগ্য কিছু অংশ উল্লেখ করছি।
মির্জা কাদিয়ানী বলেন, ” আমি কোন নতুন নবী নই, আমার পূর্বে শত শত নবী আগমণ করেছেন”। [দৈনিক আল হাকাম, ১০ এপ্রিল, ১৯০৮]
কাদিয়ানীদের দ্বিতীয় ইমাম মির্জা বশীর উদ্দিন তার “হাকীকাতুন নুবুওয়াহ” কিতাবে মির্জা কাদিয়ানীর কথা উল্লেখ করেন। মির্জা কাদিয়ানী বলেন- “আমি ঐ আল্লাহর কসম করে বলছি, যার হাতে আমার প্রাণ, তিনিই আমাকে পাঠিয়েছেন এবং আমাকে ‘নবী’ বলে নাম দিয়েছেন।”
[হাকীকাতুন নুবুওয়াহ, পৃ. ৬৮]
মির্জা কাদিয়ানী আরো বলেন, “সুতরাং এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, আমার ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী পৃথিবীতে ভূমিকম্প হওয়া এবং নানান প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দেওয়া আমার নবুওতের নিদর্শন। স্মরণ রাখা উচিৎ, পৃথিবীর এক এলাকাতে আল্লাহর কোনো রাসূলকে মিথ্যুক সাব্যস্ত করা হলে অন্য এলাকার অপরাধীরাও তখন পাকড়াও-এর শিকার হয়।” [হাকীকাতুল ওহী, পৃ. ১৬২]
মির্জা কাদিয়ানী ও তার অনুসারীদের দাবী হলো মির্জা কাদিয়ানী একজন নবী। তাদের এ দাবীর মাধ্যমে খতমে নবুওয়াত তথা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে শেষ নবী হিসাবে অস্বীকার করা প্রমাণিত হয়। এ বিশ্বাস যে রাখবে সে ইসলাম ধর্মের গন্ডি থেকে বের হয়ে যাবে, মুসলিম নাম ধারণ করা তার জন্য চরম অন্যায়।

কাদিয়ানীরা মুসলিম নয় কেন?
এ বিষয়টি সকলেরই জানা যে, আমি যদি কোন নির্দিষ্ট সমাজ, দেশ বা কোন সংগঠনের সদস্য দাবী করি তাহলে আমাকে অবশ্যই সে সমাজ, রাষ্ট্র বা সংগঠনের প্রতিষ্ঠিত নীতিমালাকে মান্য করতেই হবে। আমি বাংলাদেশের নাগরিক দাবী করলে অবশ্যই আমাকে বাংলাদেশের সংবিধানের প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা রেখে তার নীতিমালাকে মানতে হবে। কোন সংগঠনের কর্মী দাবী করলে সে সংগঠনের সকল নীতিমালা এবং তাদের ধারাসমূহের সাথে একাত্মতা পোষণ করেই সদস্য দাবী করতে হবে। কেউ যদি হিন্দু ধর্মের লোক দাবী করে তাহলে তাকে হিন্দু ধর্মের নীতিমালাকে মানতে মান্য করে হিন্দুত্ব দাবী করতে হবে। এসব নীতিমালার প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপন করলে সংশ্লিষ্ঠ ব্যক্তিকে সে সমাজ বা সংগঠন থেকে বহিঃষ্কার করা হয়। ঠিক একইভাবে কেউ যদি মুসলিম দাবী করে তাহলে তাকে অবশ্যই ইসলামের মৌলিক সকল বিশ্বাস এবং নীতিমালাকে মানতে হবে। ইসলামের মৌলিক কোন বিধানকে অস্বীকার করলে অথবা মৌলিক বিষয়ে সন্দেহ পোষণ করলে তাকে মুসলিম হিসাবে গণ্য করা হয় না।
ইতোপূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ইসলামের একটি মৌলিক বিশ্বাস হলো হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর প্রেরিত সর্বশেষ নবী এবং রাসূল। তাঁর পরে আর কোন নবী আসবেন না। এ বিশ্বাসের উপর দৃঢ়ভাবে অটল থাকা মুসলমানদের জন্য আবশ্যক।
মির্জা কাদিয়ানীর লেখনী থেকে আমরা উল্লেখ করেছি যে, মির্জা কাদিয়ানী নিজেকে নবী হিসাবে দাবী করে। যার দ্বারা ইসলামের একটি মৌলিক বিশ্বাস তথা খতমে নবুওয়াতকে অস্বীকার করা হয়। খতমে নবুওয়াতের মতো ইসলামের মৌলিক বিশ্বাসকে অস্বীকার করে মুসলমান দাবী করার কোন যৌক্তিকতা নেই। মির্জা কাদিয়ানী এবং তার অনুসারীরা যেহেতু ইসলামের এই মৌলিক আকীদাকে অস্বীকার করে সেহেতু তাদেরকে মুসলিম বলা বা মুসলিম মনে করা জঘন্যতম অপরাধ।

কাদিয়ানীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম বলার প্রয়োনীয়তা
বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী এ দেশে সকল ধর্মের লোকদের সমানভাবে বসবাস করার এবং রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা ভোগ করার অধিকার রয়েছে। এ দেশে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃস্টান সহ সকল ধর্মের লোকজন নিজ নিজ পরিচয়ে বসবাস করছেন। কোন হিন্দু, খৃস্টান বা বৌদ্ধ কোনদিন নিজেকে মুসলিম বলে পরিচয় দিবে না। কাদিয়ানীরা ইসলাম ধর্মের বিধান মুতাবিক যেহেতু মুসলিম নয় তাই মুসলমান নাম ধারণ করা তাদের জন্য অন্যায়। কেননা এতে ইসলামের বিভিন্ন বিধান পালনের ক্ষেত্রে জটিলতা সৃষ্টি হয়। যেমন, মুসলমান ছাড়া অন্য কোন ধর্মাবলম্বীদের জন্য নামাযের বিধান নেই। কোন মুসলমান বিধর্মীদের পিছনে নামায আদায় করলে নামায হবে না। কাবার আঙ্গিনায় প্রবেশের অধিকার কেবল মুসলমানেরই রয়েছে। অনুরূপ মুসলমান ছাড়া অন্য কোন ধর্মের লোকদের যাকাত প্রদান করলে যাকাত হবে না। কাদিয়ানীরা মুসলিম না হয়েও মুসলমান হিসাবে পরিচয় দিচ্ছে। এতে সরলমনা প্রকৃত মুসলিমরা ধোকার স্বীকার হচ্ছেন। সে জন্যে কাদিয়ানীদের স্বতন্ত্র পরিচয় আবশ্যক। মুসলমানদের ঈমান আমল হেফাযতের দিক বিবেচনা করে কাদিয়ানীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষনা সময়ের দাবী, ঈমানের চাহিদা। কাদিয়ানীদের সাথে মুসলমানদের এ বিরোধ কোন ছোট খাটো বিষয় নিয়ে নয়। তাদের সাথে এ বিরোধ মুসলমানদের ঈমানের সাথে সম্পর্কিত। পৃথিবীর একজন মুসলমানও পাবেন না যে কাদিয়ানীদের অমুসলিম হওয়ার ব্যাপারে একমত নয়। কাদিয়ানীরা এ দেশে বাস করুক তাতে কারো আপত্তি নেই, তবে সেটা হতে হবে তাদের নিজস্ব ধর্মীয় পরিচয়ে। যেভাবে হিন্দু, খৃস্টান বৌদ্ধ ধর্মের লোকজন নিজস্ব পরিচয়ে বাস করছে।
এ দেশে মির্জা কাদিয়ানীর অনুসারীরা তাদের মিশন বাস্তবায়নে থেমে থাকে নি। “আহমদিয়া মুসলিম জামাত” নামে তারা তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। আমাদের ঈমান-আমল হেফাযতের জন্য তাদেরকে চিহ্নিত করা এবং এদের সকল কার্যক্রম থেকে মুসলমানদের দূরে রাখা ঈমানী দায়িত্ব।

Comments

comments

About

Check Also

রাসুলুল্লার হিজরাত : প্রাসঙ্গিক ভাবনা

পৃথিবীতে তখন ঘোর অমানিশার রাজ। চারিদিকে বিশৃঙ্খলা, নৈরাজ্যের দৃঢ় ভিত্তি স্থাপিত হয়েছে। যে ভিন্নতার জন্য …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *