ইডেন লাইফ কষ্টের

ইডেন নিযে় মুখ খুললে শেষ হবে না। কিসের লেখাপড়া? সতিত্ব নিযে় বেঁচে থাকাই দায়। শুধু ইডেন নয়; মেযে়রা এখন কোনো ভার্সিটিতেই নিরাপদ নয়। সুন্দরী হলে তো বর্গা ফ্রী। হল তো হল নয়; যেন পতিতালয়। জীবনে বহু বান্ধবীর কাছ থেকে শুনেছি তাদের সতিত্ব হারানোর হৃদয় বিদারক কাহিনী। অনেক মেযে় ওপেন মুখ না খুললেও, বান্ধবীদের কাছে বলে।
আমার ইডেন লাইফ কেটে গেছে। প্রতিদিন দুরাকাত নামাজ পডে় সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করতাম, যেন শকুনদের চোখে না পডি়। আল্লাহ পাক দোয়া কবুল করেছেন। আমাদের ম্যাচ মেম্বাররা সবাই ছিলাম নামাজি।
ইডেন লাইফের এক্সপেরিযে়ন্স আছে অনেক। অনেক সময় দেখতাম, চোখের সামনেই এক বান্ধবী কে ডেকে নিযে় গেছে, একটু কান দিলে শুনতাম তার কষ্টের গোঙানির শব্দ।


পাশের ম্যাচে ঢুকতেই দেখিছি বহু কিছু। কিছুই করার নেই, ছিলো না। নিজেকে সেভ রাখতে পারাই যে বডে়া বিষয়। পাশের রুমের এক বোন গেছে তিনদিন আগে। কযে়কজন পৌরুষ ষাঁড় নিজেদের কাম বাসনা পূরণ করে ছেডে় দিযে়ছে। অগত্য হলে এসে কাঁদলো। শুনলাম, শান্তনা দিলাম, যাওয়ার আগেই তো ভাবতে পারতে।
এইগুলা তো রুটিন হিসেবে চলে। অনেক মেযে় ভিভিআইপি হোস্টেলে নম্বর দিযে় আসে। ইডেনের ছাত্রীদের ডিএনএ টেস্ট করলে অনেক মেযে়র ব্লাডে জীবাণু পাওয়া যাবে। হলগুলোতে সতিত্ব ঠিক রেখে থাকা ইম্পসিবল।
ইডেন নয় ; বান্ধবীরা যারা অন্যান্য কলেজ-ভার্সিটিতে পডে় খবর নিযে়ছি, ফিজিক্যালি যন্ত্রণা আছেই। ভোগের রাজ্যে সবাই পাহারাদার। সবই চলে নিয়মিত, বাডি়তে যায় ভদ্র সেজে। এভারেজ ছেলেরা দায়ী নয়; কিছু মেযে়ও আছে দুশ্চরিত্রের। ওরা যতো পুরুষাঙ্গ দেখেছে, জীবনে এতো কাঁচা মরিচও দেখে নাই। অনেক মেযে় নিজ থেকেই ছেলে পটায়, নাইট কাটে নিজ খরচে। আজীমপুর, বকশীবাজারে ম্যাচ নেয় কযে়কজন মিলে। এই তো ম্যাচ নয়; সেক্স পাওয়ার কম্পিটিশন হাউস। এই ম্যাচেই কুমারিত্ব শেষ। সব হারিযে় বাডি়তে যায় বউ হযে় ঢাকায় ফিরে।

Comments

comments

About

Check Also

রাসুলুল্লার হিজরাত : প্রাসঙ্গিক ভাবনা

পৃথিবীতে তখন ঘোর অমানিশার রাজ। চারিদিকে বিশৃঙ্খলা, নৈরাজ্যের দৃঢ় ভিত্তি স্থাপিত হয়েছে। যে ভিন্নতার জন্য …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *