সদ্ব্যবহার সুসন্তান গঠনের পরিপূরক

সন্তান হলো মাতা-পিতার প্রতি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের একটি বিশেষ নিয়ামত। তিনি যাকে ইচ্ছা করেন তাকেই এই সীমাহীন নিয়ামতের অধিকারী বানান। এটি খোদা প্রদত্ত একটি আমানতও বটে। এই আমানতের যথাযথ সংরক্ষণ করা প্রত্যেক মাতা-পিতার উপর ফরজ। এই অশেষ নিয়ামতের কথা উল্লেখ করে পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হচ্ছে- “সম্পদ এবং সন্তান হলো দুনিয়ার শোভা” (সূরা কাহাফ, আয়াত ৪৬)। অন্যত্র ইরশাদ হচ্ছে- “মানুষের জন্য নারী ও সন্তানের ভালোবাসা সুশোভিত করা হয়েছে” (সূরা আলে ইমরান, আয়াত ১৪)। সন্তান প্রতিপালনের ক্ষেত্রে তাদের সাথে উত্তম আচরণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এটি মাতা-পিতার নিকট হতে সন্তানের প্রাপ্য একটি অধিকার। ইসলামি শরীয়ত উক্ত বিষয়টির উপর ব্যাপকভাবে গুরুত্বারোপ করে বহু দিকনির্দেশনা প্রদান করেছে। কেননা, একজন সন্তানের সমগ্র জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে প্রকাশ পায় ইতিপূর্বে সে কীরূপ ব্যবহার পেয়ে বেড়ে উঠেছে। মাতা-পিতার প্রতি সন্তানের প্রাপ্য যতগুলো হক বিদ্যমান রয়েছে তন্মধ্যে তাদের সাথে সদাচারণ করা তৃতীয় তম। অর্থাৎ, সন্তানের প্রতি অনুগ্রহ প্রদর্শন করা, তাদেরকে আপনার স্নেহের পরশে ধন্য করা, তাদের সাথে বন্ধুসুলভ আচরণের মাধ্যমে মেলামেশা করা, তাদের আবেগ অনুভূতির প্রতি দৃষ্টিকে দৃঢ়ভাবে নিবদ্ধ করা, তাদেরকে সর্বদা খুশি রাখার চেষ্টা করা, ইত্যাদি। এবং তাদের সাথে এমন আচরণ না করা যার দ্বারা তাদের আবেগ ক্ষত-বিক্ষত হয়, তাদের অধিকার ভূলুণ্ঠিত হয়, তাদের মন ভেঙে পড়ে, তারা চরমভাবে হতাশ হয়ে যায়। সন্তান সর্বদা মাতা-পিতার প্রতি অপার স্নেহ প্রাপ্তির আশায় অপেক্ষমান থাকে। যেহেতু, সন্তান বাবা মায়ের প্রতি মহান আল্লাহর স্বীয় প্রদত্ত নিয়ামতরাজির অংশ বিশেষ, সেহেতু, এই নিয়ামতের জন্য আল্লাহর নিকট কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনপূর্বক তার দেওয়া অনুগ্রহের অমর্যাদা ও অসম্মান করা থেকে বিরত থাকা সকল মাতা-পিতার একান্ত দায়িত্ব ও কর্তব্য।
মহাগ্রন্থ আল কুরআনে সন্তানদের সাথে নরম ও ক্ষমাশীল ব্যবহারের জন্য বিশেষভাবে জোর দেওয়া হয়েছে। সন্তানের ভুল-ত্রুটির জন্য তাকে শাস্তির সম্মুখীন করা, প্রতিশোধ গ্রহণ করা এবং তাদের উপর নিজের ক্রোধ প্রশমিত করাকে অপছন্দনীয় ও বর্জনীয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে। যারা নিজগৃহের সদস্যদের সাথে সর্বদা ক্ষমাশীল ব্যবহার করে, আল্লাহ তা’য়ালা স্বয়ং তাদের ত্রুটি-বিচ্যুতি ক্ষমা করে দেন এবং তাদের উপর তাঁর রহমতের বারিধারা বর্ষণ করেন। ইরশাদ হচ্ছে- “আর তোমরা যদি ক্ষমা ও সহনশীল ব্যবহার করো এবং তাদেরকে ক্ষমা করে দাও তাহলে আল্লাহ অতীব ক্ষমাশীল ও দয়ালু” (সূরা তাগাবুন, আয়াত ১৪)। উক্ত আয়াত দ্বারা স্পষ্টরুপে প্রতীয়মান হয় যে, আল্লাহ তা’য়ালা আপনার অধীনস্থদের সাথে কঠোরতা অবলম্বন এবং প্রতিশোধ গ্রহণ করাকে কখনোই পছন্দ করবেন না। কেননা আল্লাহ তা’য়ালা নিজে ক্ষমাশীল এবং ক্ষমাকারীকে ভালবাসেন।
। উপরন্তু তাদের সাথে সদাচারণ করাই হচ্ছে দ্বীনের দাবি। মহান আল্লাহর রহমত প্রত্যাশী হলে অবশ্যই সন্তানের সাথে স্নেহ ও মেহেরবানি পূর্ণ আচরণ করা অপরিহার্য। সন্তানের সাথে সদাচরণ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদিস শরীফেও অত্যন্ত বিস্তৃত আলোচনা করা হয়েছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ ব্যাপারে পার্থিব লাভ ও পরকালে এর জন্য প্রতিদান প্রাপ্তির ঘোষণা দিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খরুপে আলোকপাত করেছেন। তিনি আরো এ বিষয়ে মানব সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে চিন্তাগত ও কর্মগত যে সকল ভুল-ভ্রান্তি হয়ে থাকে সে সম্পর্কেও সুস্পষ্ট বর্ণণা প্রদান করেছেন।
হযরত আবু হুরাইরা (রা:) থেকে বর্ণিত আছে, “রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি বৈধ উপায়ে দুনিয়া অন্বেষণ করল ও নিজের অধীনস্থদের জন্য হালাল উপার্জনের ব্যবস্থা করল এবং তাদেরকে উত্তম আচরণ দ্বারা ভূষিত করল, সে কিয়ামতের দিন আল্লাহর নিকট এ অবস্থায় উপস্থিত হবে, যেন তাঁর চেহারা পূর্ণিমার চাঁদের ন্যায় ঝলমল করছে” অন্য এক হাদিসে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন- “সন্তানদের সাথে রহম-করমপূর্ণ আচরণ কর এবং তাদেরকে ভাল শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ দাও” আলোচ্য হাদিসদ্বয়ে সন্তান ও পরিবার পরিজনদের সাথে সদ্ব্যবহারের ফজিলত এবং তা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সন্তান লালন-পালনের ক্ষেত্রে মাতা-পিতার জন্য সদ্ব্যবহারের বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সন্তানের সাথে স্নেহপূর্ণ ব্যবহার অতিশয় গুরুত্বপূর্ণ বিধায় নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেদিকে সর্বপ্রথম দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন অত:পর উত্তম শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের কথা বলেছেন। সেজন্যে প্রত্যেক মাতা-পিতাকে তাদের স্বীয় কথা-বার্তা, চালচলনের প্রতি প্রখর দৃষ্টি রাখা জরুরী।
পর্যায়ক্রমে আরো বলতে গেলে আরবের বিখ্যাত সর্দার আহনাফ বিন কায়েসের অমর উপদেশ উল্লেখ না করলেই নয়। আহনাফ আরবদেশের একজন বিখ্যাত সর্দার ছিলেন। তিনি শান-শওকত, বিজ্ঞতা, বিচক্ষণতা ও ধৈর্য্যরে জন্য আরবে খুব প্রসিদ্ধ ব্যক্তি ছিলেন। হযরত আমীরে মুয়াবিয়া (রা:) তাকে খুব শ্রদ্ধা করতেন এবং বলতেন, এ ব্যক্তি যদি বিগড়ে যায়, তাহলে বুঝবে যে কমপক্ষে এক লাখ আরব বিগড়ে গেছে। একদা একদিন হযরত মুয়াবিয়া (রা:) তাঁকে ডেকে পাঠালেন। যখন তিনি তাশরীফ আনলেন, তখন জিজ্ঞেস করলেন, আবু বাহার, সন্তানের সাথে আচরণের ব্যাপারে আপনার অভিমত কী? প্রতিউত্তরে আহনাফ বিন কায়েস বললেন, “সন্তান আমাদের অন্তরের আকাক্সক্ষার ফল এবং কোমরের জোর। আমরা তার জন্য জমিনের মত। যা অত্যন্ত কোমল এবং সম্পূর্ণ ক্ষতিহীন। আমাদের অস্তিত্ব তার জন্য সেই আকাশের মত, যা তার উপর ছায়া করে আছে। আমরা তার সাহায্যেই বড় বড় কাজ সম্পাদন করার সাহস পাই। অতএব, সন্তান যদি আপনার কাছে কিছু দাবি করে, তাহলে সন্তুষ্ট চিত্তে তা পূরণ করুন। যদি সে দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হয় তাহলে তার দুশ্চিন্তা দূর করুন। তখন আপনি দেখবেন যে, সে আপনাকে ভালবাসছে। আপনার পিতৃসুলভ প্রচেষ্টাকে পছন্দ করছে। আপনি কখনো তার কাছে বোঝা হয়ে দাঁড়াবেন না। অন্যথায় সে আপনার প্রতি বিরক্ত হয়ে আপনার মৃত্যু কামনা করবে এবং আপনার কাছে আসতে ঘৃণাবোধ করবে।”
আরব সর্দার আহনাফের প্রদত্ত উপদেশমালা থেকে বোঝা যায় যে, মাতা-পিতার নিকট সন্তান-সন্তুতি খুবই মূল্যবান এবং তাদের সাথে সদ্ব্যবহার করা কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ। যদি তা না করা হয় তাহলে বিশৃঙ্খলা ঘটার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। বিষয়টি শুধুমাত্র ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার-বিশ্লেষণ করা যথেষ্ট নয়। আপন সন্তানের সাথে উত্তম আচরণ করা ও সকল প্রকার কঠোরতামূলক আচরণ থেকে বিরত থাকা মনুষত্যের আহ্বানও। কারণ, মনুষত্য দয়া-মায়া, অনুগ্রহ, ভালবাসা, ক্ষমাশীলতা ইত্যাদি উত্তম মানবীয় গুণাবলীর আহ্বায়ক। তবুও আমাদের প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থার প্রবাহমান এ মনুষত্যের ধারাকে উপেক্ষা করে কতিপয় ব্যক্তিবর্গ তার বিপরীতে অবস্থান গ্রহণ করেন, যারা এগুলোকে নিতান্ত তুচ্ছ ও অপ্রয়োজনীয় বলে উড়িয়ে দেন। এ প্রকৃতির লোকসকল স্বীয় সন্তানের সাথে হাসি-তামাশা করা, তাদের উপর স্নেহের পরশ বুলিয়ে দেওয়া, আদর করা প্রভৃতি কাজকে দ্বীন বিরোধী মনে করেন। তাদের নিকট দ্বীনদারী ও গাম্ভীর্যের দাবী হলো এ সকল কাজ হতে সম্পুর্ণরূপে বিরত থাকতে হবে। বস্তুত, এ সকল লোকজন দ্বীন সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকার ফলে এমনটি করে থাকেন। ইসলাম এ সমস্ত ভুল ধ্যান-ধারণা ও কার্যকলাপকে কখনোই সমর্থন করে না।
এর বিপরীতে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সুমহান বাণী ও তাঁর আদর্শ থেকে স্পষ্টরূপে প্রকাশ পায় যে, সন্তানের প্রতি কোমলতা প্রদর্শন অত্যন্ত প্রশংশনীয় গুণ ও অবশ্য-কর্তব্য একটি দ্বায়িত্ব। সে ব্যক্তির অন্তর দয়া-মায়া থেকে শূন্য, যে নিজের সন্তানকে স্নেহ করে না। সন্তান চক্ষু শীতলকারী। তাদের প্রতি অনুগ্রহ প্রদর্শন আপনার পরকালীন জীবনের সফলতার চাবিকাঠি। আর এ থেকে বঞ্চনার অর্থ হলো মহান আল্লাহর অপার রহমত থেকে বঞ্চিত হওয়া। এর ফলাফল এখানেই সমাপ্ত নয় বরং অত্যন্ত সুদূর প্রসারী। সন্তানের সাথে আপনার আচরণ যদি সুন্দর না হয়, তাহলে এটি নিজের সাথে, সন্তানের সাথে এবং সমাজের সাথে বাড়াবাড়ি বৈ কিছুই নয়। কথায় কথায় রাগ করা, চেঁচানো, ভয় প্রদর্শন করা, অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করা, অকাল কুষ্মান্ড, কুলাঙ্গার ইত্যাদি তিরস্কারমূলক শব্দ ব্যবহারের মাধ্যমে সম্বোধন করা, তাদের কাজকর্মে শুধুমাত্র অসন্তোষই প্রকাশ করা, খেলাধুলা, শরীরচর্চা ইত্যাদি থেকে অযথা বিরত রাখা এসবই তাদের সাথে অসদাচরণ।
অসদাচরণের পরিণতি মারাত্মক ভয়াবহ এবং সর্বদা খারাপের দিকেই ধাবিত হয়। যা সন্তান, মাতা-পিতা ও সমাজের জন্য খুবই ক্ষতিকর। কোনো মাতা-পিতা যদি স্বীয় সন্তানকে একজন সুসন্তান ও চক্ষু শীতলকারী হিসেবে দেখতে চান তাহলে মাতা-পিতা উভয়ের ব্যবহারের প্রতি সামগ্রিকভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে। ছেলেমেয়েরা মাতা-পিতার উপদেশ থেকে যতখানি না শিখে, ততখানি তাদের কৃতকর্ম ও আচরণের দ্বারা শিখে থাকে। মাতা-পিতার দুর্ব্যবহারের আরেকটি খারাপ পরিণাম হলো নৈতিকতার ব্যাপারটি। অসদাচরণকারী মাতা-পিতার সন্তানেরা নৈতিকতা ও আদর্শের দিক থেকে অত্যন্ত নীচুমানের হয়। পৃথিবীতে যারা শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে স্বীয় মহিমায় উচ্চ আসনে সমাসীন হয়েছেন, তারা প্রত্যেকেই ছিলেন নৈতিকতার দিক থেকে অনেক উচ্চমানের। পক্ষান্তরে এ সকল সন্তানেরা নীতি-নৈতিকতার দিক থেকে সর্বতোভাবে পিছিয়ে পড়ে। তারা আত্মবিশ্বাস, মান-মর্যাদা, অহমবোধ, আত্মসম্মানবোধ, আত্মপ্রচেষ্টা, সাহসিকতা, সচ্চরিত্র, খোশমেজাজ ইত্যাদি উত্তম নৈতিক গুণাবলী থেকে সম্পূর্ণরূপে বঞ্চিত থাকে। অপরপক্ষে তারা রুক্ষ মেজাজ, অদূরদৃষ্টি সম্পন্নতা, অনুভূতিহীনতা, নীচতা, হতাশাগ্রস্থ, কৃপণতার মত খারাপ স্বভাবের হয়ে থাকে। পিতা-মাতার কৃত খারাপ ও দুর্ব্যবহারের ফলে সন্তানের অন্তরে তাদের জন্য সে পবিত্র আবেগই সৃষ্টি হয় না, যা একজন সুসন্তানের অন্তরে সৃষ্টি হয়ে থাকে। ফলাফলস্বরুপ মাতা-পিতা সারাজীবন ভর সন্তানদের অবাধ্যতা ও অযোগ্যতার দরুন কেঁদে কেঁদে চোখ ভাষায়।
প্রকৃতপক্ষে সন্তানদেরকে এরুপ বিদ্রোহী এবং মন্দ আচরণকারী হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে মাতা-পিতার ভূমিকাই অগ্রগণ্য। যদিও তারা সন্তানদের উপরেই এর দোষ চাপান। একজন ছেলে অথবা মেয়েকে সুসন্তানরূপে গড়ে তুলতে শুধুমাত্র সৌভাগ্যবানরাই পারেন। আপনি যদি সত্যিকার অর্থেই আপনার সন্তানের শুভাকাক্সক্ষী হয়ে থাকেন এবং তাকে একজন সুসন্তানরূপে গড়ে তুলতে চান তাহলে তার সাথে সুন্দর ব্যবহার করুন। সে ধরণের ব্যবহার, যে ধরণের ব্যবহার আপনি তার নিকট থেকে আশা করেন।
অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে এই নিয়ামতের প্রকৃত মর্ম উপলব্ধি করুন ও তার যথাযথ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করুন। পরিশেষে দেখবেন আপনার সন্তানের কন্ঠ থেকে দ্বিধাহীন চিত্তে ধ্বনিত হচ্ছে, “রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বা ইয়ানি সাগীরা।” যা হবে আপনার জন্য ইহকালীন জগতে আশীর্বাদস্বরুপ ও পরকালীন জীবনের মুক্তির পাথেয়। এই নশ্বর ভুবনেই অনুভব করবেন স্বর্গীয় সুখানুভূতি। জীবন হয়ে উঠবে প্রশান্তিময়।

Comments

comments

About

Check Also

ইবাদতের বসন্তকাল রমজান

ঋতুরাজ বসন্ত যেমন প্রকৃতিতে অপার সৌন্দর্যের মোহনীয় রূপ এনে দেয়। তেমনি রমজান মাস পরওয়ারদেগারের পক্ষ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *