সম্পাদক ভাইয়া,
আস্সালামু আলাইকুম। অভিযাত্রিকের সম্পাদনার সাথে জডি়ত সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি একদিন কবি আবু জাফর ছালেহী’র সাথে দেখা করতে যাই। সাহিত্য ও সম্পাদনার বিষযে় তার বাস্তব অভিজ্ঞতাগুলো তার মুখ থেকেই শোনার জন্য। তার সাথে অনেক সময় ধরে গল্প হল। আসার সময় তিনি একটি পত্রিকা আমার হাতে দেন। সেই পত্রিকাটিই ছিল ‘অভিযাত্রিক’ প্রথম বর্ষের দ্বিতীয় সংখ্যা। পত্রিকাটি পডে় এবং তার পরিচ্ছন্ন সাজ দেখে সত্যিই মুগ্ধ হযে়ছিলাম সেদিন। এর ধারাবাহিকতায়-ই সর্বশেষ তৃতীয় বর্ষের তৃতীয় সংখাটি আমি পডি়। ব্যক্তিগতভাবে আমি একটি পত্রিকার সম্পাদনার সাথে জডি়ত থাকার কারণে এবং কযে়কজন প্রিয় কবি-সাহিত্যিকের লেখা অভিযাত্রিকে থাকার কারণে বেশ আগ্রহ নিযে়ই পডি় অভিযাত্রিকের সংখ্যাগুলো। পাশাপাশি আরেকটি আগ্রহও থাকতোÑ ‘নতুনত্বের সন্ধান’।
নতুনত্বের এই সন্ধানে ছুটতে গিযে় হঠাৎ ফোনবন্ধু হিসেবে পেযে় যাই আপনাকে। আপনার কাছ থেকে আরো অনেক কিছু জানি অভিযত্রিক সম্পর্কে। পরিচিত হই আপনাদের ওযে়বসাইট ও লাইক-পেজের সাথে। এই সব কিছু মিলিযে় আমার মনে হলো, অনাগত সমযে় যেই পত্রিকাগুলো সাহিত্য ভুবনে ডানপন্থীদের অবস্থান দৃঢ় করে তুলবে, অভিযাত্রিক তাদেরই একটি। তবে সেই জন্য প্রস্তুতিটি আরো শক্ত ও সমৃদ্ধ করার প্রযে়াজন পড়বে। এক্ষেত্রে পাঠকদের পছন্দ-অপছন্দ নিযে় পাঠকদের আলোচনা ও সমালোচনার যে পাতাটি আপনারা রেখেছেন তা সত্যি-ই আশা ব্যঞ্জক।
পত্রিকাটির যে অবয়ব রযে়ছে তা যথেষ্ট, তবে এখন আরো কযে়কটি সাহিত্যের বিভাগ বাড়ানো প্রযে়াজন এবং সর্বশেষ কযে়কটি সংখ্যা পড়তে গিযে় সাজানো গল্পগুলোকেও অনেকটা প্রবন্ধের মত মনে হলো, যা হয়তো অনেক পাঠকের চোখেই বেখাপ্পা মনে হতে পারে। আশা করি এ দিকটায় একটু খেয়াল দেবেন।
আমি নতুন দুটো বিভাগ যোগ করার কথা বলবো। একটি হলোÑ ‘ফিচার’, যার মাধ্যমে মুসলিম সভ্যতা ও তার গৌরবময় ঐতিহ্য তুলে ধরার প্রয়াস পাওয়া যাবে। আরেকটি হলো ‘স্মরণীয়’, যার মাধ্যমে প্রতিহিংসার নীলনকশার আঁধারে হারিযে় যাওয়া বিভিন্ন মনীষী ও তাঁদের অবদানগুলো তুলে ধরা হবে।
কিছুদিন আগে একজন কবিবন্ধুর সাথে কথা বলতে ছিলাম। এক পর্যাযে় তিনি বললেন, ‘সেই দিনটির বেশি বাকি নেই, যেদিন আমারা সাহিত্য জগতে রাজত্ব করবো।’ আসন্ন সে দিনগুলোয় বাংলা সাহিত্যগগনে অভিযাত্রিক উজ্জ্বল নক্ষত্র হযে় চমকাবে, এমনটাই কামনা করছি। ভাল থাকুন আপনি, আপনার সহকর্মীরা এবং আপনাদের অভিযাত্রিক।
নাছিব মাহ্দী
সম্পাদক- মাসিক কাঠবিড়ালি;
৩৭/ক পশ্চিম ধোলাইপাড়, শ্যামপুর, ঢাকা।