সুদের টাকায় চিনি কিনলে কি টক লাগবে?

কল্পনা করে গল্প রচনার মত হাই ইমেজিনেশন পাওয়ার একটা নাই বললেই চলে। কিন্তু জীবন চলার পথে হাজারো গল্প হারিয়ে যায়, যা আমরা অনেকেই ধরে রাখতে পারি না। ঠিক তেমনি একটা দৃশ্য আজ সিনেমার পর্দার চেয়েও যেন স্পষ্ট হয়ে মনঃচক্ষুর পর্দায় স্পষ্ট হয়ে উঠছে বার বার। তার সংলাপগুলো কানে এসে আঘাত দিচ্ছে অবিকলভাবে। প্রায় ১৬ টি বছর অতিবাহিত হবার পরও সেদিনের লজ্জা, তৃপ্তি, স্বাদ ও শঙ্কার কোন পরিবর্তন হয়নি। তখন আমি আমাদের গ্রামেই ‘চৈতা নেছারিয়া ফাজিল মাদরাসা’ র নবম শ্রেণীর ছাত্র। প্রায় সময়ই চৈতার হযরত পীর সাহেব কিবলার (হযরত মাও: মুহাম্মদ নূর খান সাহেব) সফর সংগী হয়ে তার সাথে বিভিন্ন মাহফিলে যেতাম। শুধু তার কিছু খিদমাত করে আনন্দিত হওয়াই ছিল বড় প্রাপ্তি। সফরের কষ্টের অভিজ্ঞতার সাথে খুব ভাল করেই পরিচিত হয়েছিলাম দীর্ঘদিন তার সাথে থেকে। তখনও মাঝির নৌকাই ছিল একমাত্র বাহন। তার সাথে এক মাহফিল থেকে অন্য মাহফিলে উজান- ভাটি উপেক্ষা করে প্রায় পাঁচটি বছর নৌকা বাওয়ার কথা ও শ্রম আমার মনে আছে। কিন্তু আমার না হয় পাঁচ বছর, হুজুরের জীবনের প্রথমার্ধ এবং তার আব্বা হুজুরের প্রায় পুরো সফরগুলিই ঘাটে ঘাটে যিনি নৌকা বাইলেন তিনিও আমার একদম নিকটতম প্রতিবেশী। তার নাম মো: ইউসূফ আলী মুনসী। আজীবন হুজুরদের সাথে সফর করে করে তিনি কি দেখেছেন কি শিখেছেন, আজো আমি বাড়িতে গেলেই সেই পুরনো দিনের কাহিনী আমাকে শোনান। এসব লোকের পড়াশোনা নেই, নেই কোন ইলম কালাম । কিন্তু নেক সোহবাতে থেকে থেকে যে আমল আখলাক অর্জন করেছেন তা আমাদের কিতাব দিয়ে কারো কখনও হয়নি। সত্যিই বলছি আমার জীবনের যেটুকু ইলম অর্জন কিংবা নবী, রাসুল, সাহাবাদের জীবন থেকে যা কিছু জানা তার ৯০ ভাগই চৈতার পীর সাহেব কিবলার ওয়াজ মাহফিল হতে শোনা। পার্থক্য শুধু এই যে, তখন তার মুখ থেকে শুনেছি আর এখন কামিলের ক্লাশে হাদিস শরীফ পড়াতে গিয়ে লাইন বাই লাইন পেয়ে যাচ্ছি।
প্রিয় পাঠক, ঘটনাটি খুলেই বলি। ১৯৯৭ ইং সালের কথা। হুজুরের সাথে এবার আমি ছারছীনা শরীফের মাহফিলে যাব। জীবনে কোনদিন ছারছীনা যাই নি। তাই মনে এক অজানা আনন্দ। কিন্তু ছারছীনা অনেক পথ তা তো নৌকা বেয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। যদিও তখনও কিছু লোক নিজস্ব নৌকায় করেই ছারছীনা যেত। আমাদের বাড়ী থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে পশ্চিম দিকে নিয়ামতি বন্দর। সেখান থেকে খুব সকালে বিভিন্ন লঞ্চ ও ট্রলার রিজার্ভ ছেড়ে যায় এবং সন্ধ্যায় গিয়ে ছারছীনা পৌঁছায়। এর কোন লঞ্চ বা ট্রলার ধরার জন্য আমাদের তার আগের দিন নিয়ামতি গিয়ে থাকতে হবে। তাই দেশা›তরকাঠি গ্রাম হয়ে নিয়ামতির উদ্দেশ্যে চলছি। আমরা রাতে থাকবো বন্দরের কাছেই বিবিচিনি গ্রামের ঐতিহাসিক শাহী মসজিদে। সেখানে ঐদিন মাসিক তালিমী জলসা ছিল। গিয়ে দেখি হুজুর কেবলার অপেক্ষায় অনেক লোক জড়ো হয়েছে।
মসজিদটি একটি পুরাকীর্তির নিদর্শন। অনেক কথা গ্রামে প্রচলিত আছে এই মসজিদকে ঘিরে। কেউ কেউ বলেন এটি জিনেরা তৈরি করেছে, আবার কেউ বলেন এটি শাহ নিয়ামত র.-এর তৈরি এবং তার নামেই নিয়ামতি বন্দর। আবার কেউ বলেন এটা চিনি বিবির তৈরী যার নামেই বিবচিনি গ্রাম। তিনি অনেক বড় জমিদারের একমাত্র কন্যা ছিলেন। সে যাই হোক, মসজিদটির ছাদ দেখতে খিলানাকার। দেয়ালগুলো ৬ ফিট পুরু। বিরাট একটি টিলার উপর মসজিদটি তৈরী। ভেতরে হয়ত ১০০ লোক সংকুলান হবে। বেশ ভাল লাগল টিলায় উঠে, নিচের দিকে গ্রামের দৃশ্য, সবুজ গাছ গাছালির দৃশ্য। উন্মুক্ত বাতাস। কিন্তু শীতের দিন হওয়ায় বাইরে বেশিক্ষণ থাকলাম না। মাগরিব ও আউয়াবীন নামাজের পরে হুজুর তালিম দিলেন। আলোচনা করলেন প্রায় ১ ঘণ্টা। তখন ঐ মসজিদের দায়িত্বে ছিলেন আবু হানিফ নামে এক লোক। যিনি ছারছীনা শরীফের মুরিদ এবং চৈতার হযরত পীর সাহেব কিবলার একান্ত ভক্ত। তিনি হুজুর কেবলার জন্য খাবারের আয়োজন করেছেন।
এশার নামাজ ও মীলাদ সেরে দোয়া- মোনাজাতের পূর্বে দেখলাম ফিরনি বোঝাই ডেকচি মসজিদের ভেতর ঢোকানো হচ্ছে। এক ব্যক্তি হাদিয়া পাঠিয়েছেন। তার জন্য বিশেষ দোয়ার আবদারও করা হল। আমরা বুঝলাম, তিনি দূরে কোথাও চাকরিতে আছেন। মোনাজাত শেষে সবাইকে বলা হল গোল হয়ে বসতে। আমরা সবাই ফিরনি পরিবেশনের সুযোগ সাজিয়ে বসলাম। হুজুর আমাদের বললেন তোমরা খাও, আমার ওজর আছে। তিনি কিবলামুখী হয়ে দরুদ শরীফের অজীফা আদায় করবেন এমন প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। আমাদের সাথে ছিলেন মহিষকাটা নিবাসী হাজী আব্দুল খালেক সাহেব। বয়সে হুজুরের চেয়েও প্রবীণ। তিনি কোন ওজর বা অসুবিধার কথা বলেছিলেন না । কিন্তু যখন দেখলেন যে হুজুর খাচ্ছেন না, অমনি তিনিও যেন কি ভেবে- কি বলে এড়িয়ে গেলেন।
আমি ছিলাম হুজুরের পাশেই বসা। আমার দিক থেকেই শুরু হল পরিবেশন। দীর্ঘ পথ হাঁটা এবং দীর্ঘ সময় পরে পেটেও সার্ভিসটা খুব গরজ করেই চাচ্ছিল। দেখলাম ভারী মজা, হুজুরের সাথে হানিফ ভাইয়ের বাড়িতে গিয়ে কবে কি খাব! মনে চায় ফিরনি খেয়েই পেট ভরে ফেলি। এমন স্বাদ। ক্ষুধার কারণে হোক আর যে কারণেই হোক অনেকেই আওয়াজ দিয়েছিল ভারী স্বাদ হয়েছে তো! তখন আমি মনে মনে ভাবছিলাম এত স্বাদের ফিরনি সবাই খেল অথচ হুজুর খাবেন না। বালা সুলভ চপলতায় তা আর ধরে রাখতে পারছিলাম না তাই একবার বললাম হুজুর খুব স্বাদ হয়েছিল একটু খেলে পারতেন। তিনি হাত ইশারা করলেন তাতে বুঝলাম “তোমরা খাও”। হুজুরের দরুদ শরীফ পাঠও শেষ এতক্ষণে নাস্তাও প্রায় শেষ পর্বে। আমি আবার বললাম হুজুর নাস্তাটা যা হয়েছিল! কিন্তু আপনি তো খেলেন না। তিনি কোন কথা বললেন না তবে চেহারার ভাব দেখে বুঝলাম এই নাস্তার অনুরোধটা তার কাছে ভাল লাগতেছে না। কিন্তু কেন? আমি তো জানি মিষ্টি হুজুরের অপছন্দ নয়। তবে তার মুখমণ্ডলের ভাব দেখে আর কিছু বলার সাহস হয় নাই। না হয় আরেক বার বলতাম ‘হুজুর, আবু হানিফ ভাইয়ের বাড়ি যাব তারপর খাবেন তার চেয়ে এখন একটু ফিরনি খেলে ক্ষুধাটাও কিছু নিবারণ হত। ভাগ্যিস যিনি ফিরনি পাঠিয়েছেন সেই লোক বাড়ীতে নেই বিধায় তিনি উপস্থিত ছিলেন না। থাকলে অবস্থা আরো বেগতিক হত। তিনিও তো চাইতেন হুজুরকে অল্প হলেও খাওয়াতে।
যাই হোক ইতোমধ্যে হানিফ ভাইয়ের বাড়ি থেকে আমাদের জন্য খাবার আসল। মুরগি, মাছ, শাক, ডাল ও বড় এক গামলা ভাত। আগে ফিরনি খাওয়ায় ভাত আর বেশি খেতে পারি নি। প্রয়োজন মত তারা সবাই খেলেন। এর পর দিন নিয়ামতি হতে লঞ্চে রওয়ানা। পথে হাজী আব্দুল খালেক সাহেব হুজুরকে কি ব্যাপারে যেন অনেক কথা বললেন। এক পর্যায়ে আসল নাস্তার পালা। যারা লঞ্চ রিজার্ভ নিয়েছেন, তারাই আবার কলা ও মুড়ি সবাইকে দেয়ার জন্য বিরাট একটি মুড়ির বস্তা নিয়ে এসেছে। বাটি ভরে ভরে সবাইবে দিচ্ছে। আমার মনের মধ্যে আবার উঁকি দিল হুজুর এই নাস্তা খাবেন কিনা। দেখলাম হুজুরও খুব আগ্রহের সাথে এই নাস্তা গ্রহণ করলেন। আমি এবারও তার খুব কাছেই বসা। ঠোঁট থেকে যেন আবারও অস্ফুট আওয়াজে বলে উঠছিলাম “হুজুর কালকের ফিরনিটা খেলেন না, কি মজা যে হয়েছিল!” মনে মনে এই একই কথা বার বার উঠলেও একবারও ঠোঁটে কোন আওয়াজ হয়নি। ঠিক সেই সময়ই হুজুর আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বললেন “নূরুল আমীন, শোন তোমাদের বুঝ তো এখনও পরিপক্ক হয় নাই। তবুও এখনই বলা দরকার, না হয় পরে মনেও থাকবে না আর প্রসংগও থাকবে না। সুদের টাকায় চিনি কিনে ফিরনি রান্ন্া করলে কি টক লাগবে?” কথাটা শুনেই বুঝলাম আমার মাথায় যেন বজ্রাঘাত এসে পড়ল। একটু আগেই যেন কি তাদের কথা বার্তায় বুঝেছিলাম। যে লোক ফিরনি পাঠিয়েছে সে সুদও খায়, এমন একটা আভাসই পেয়েছিলাম তাদের আলাপ চারিতায়। কিন্তু তখন অতটা খেয়াল করিনি। এবার ভাল করেই বুঝলাম যে কেন হুজুর ফিরনি খান নাই। এও বুঝলাম যে আমিও যদি হাজী আব্দুল খালেক সাহেবের মত দীর্ঘ দিন ধরে হুজুরের সহচর্যে থাকতাম তাহলে আমিও হুজুরের ওজর খাহি দেখেই কিছু বুঝে ফেলতাম এবং যেভাবেই হোক তার মতই নিজে খেতাম না। বার বার তো দূরের কথা, একবারও হুজুরকে অনুরোধের প্রশ্নই তো ওঠে না।
সে যাই হোক আমার মনের মধ্যে ঢুকল এক আতঙ্ক। লজ্জা আর অপমান আমাকে জেকে বসল। আমি তাহলে কেন মজা করে সেই ফিরনি খেলাম? হায়! আমি কয় নম্বর আহম্মক যে এই ফিরনি হুজুরকে খাওয়ানোর জন্য বার বার স্বাদের এডভারটাইজ করেছিলাম। ভাল একটা স্বাদের খাদ্য হলে যেমন আমরা কোন প্রিয়জনের কথা খুব আফসোস করে স্মরণ করি, তেমনি আমার অবস্থা এমন ছিল যে হুজুরকে এক চামচ খাওয়াতে পারলেই যেন আমার অন্তরাত্মা শান্তি পেত। এখন বমি করে পেট খালি করতে পারলে কিছুটা স্বস্তি বোধ করতাম, কিন্তু গত রাতের খাবার খেয়ে ১ দিন পরে এখন কি বমি করবো? কোন রকমের আত্ম স্বস্তির কোন পথই পেলাম না। মনে চাচ্ছে নাকি ঝাপিয়ে নদীতে পড়ি। নাকি পালিয়ে কোথাও হারিয়ে যাই। এই অবস্থায় ছারছিনা চলে আসলাম। দেখলাম কুতুব খানার দোতলায় একটি রুমের চাবি এনে তাকে এবং তার সংগীদের থাকার ব্যবস্থা করে দেয়া হল। আরো আশ্চর্য হলাম। এত বড় দরবার। হাজার হাজার মানুষ! আমরা কত দূর থেকে এসেছি, এখানেও হুজুরের এত কদর! এবার হুজুর আমাকে এবং তার দুই ছেলেকে (মাও: বাহাউদ্দীন ও মাও: নিজাম উদ্দীনকে) লোকদের সাথে কুতুবখানার সামনে খোলা জায়গায় বসিয়ে বললেন “তোমরা এখানে অপেক্ষা কর, দরজা খুললে তোমাদেরকে পীর সাহেব হুজুরের সাথে দেখা করায়ে আনব। তিনি তোমাদের জন্য দোয়া করবেন।”
আমার মন তো আগ থেকেই অন্য কিছুতে উলট পালট করছে। আমি ভাবলাম এত বড় দরবার, পীর সাহেব হুজুরকে দূরে বসে দুমকী থানার একটি মাহফিলে দেখেছিলাম। তখন তাকে ভয় লাগে নাই কিন্তু আজ এমন কি যেন একটি আতঙ্ক ও অস্বস্তি জেঁকে বসল যে শেষ পর্যন্ত সুযোগ বুঝে সেখান থেকে ভেগে গেলাম। যখন বুঝেছি এখন পীর সাহেব হুজুুরের সামনে আমাকে নেয়ার সুযোগ আর নাই তখন এসে হাজির হলাম। তখন হুজুর শুধু বললেন “ তোমাদের বললাম যে পীর সাহেব হুজুরের সাথে দেখা করাব, আর তোমাকে পেলাম না, হুজুর তোমাদের জন্য দোয়া করতো না? ‘হুজুরের সামনে যেতে আমার কেমন যেন ভয় লাগে।’ শুধু এতটুকু বলেছিলাম, আর মনে মনে প্রতিজ্ঞা করলাম আমাকে অনেক ভাল হতে হবে, অনেক ভাল আমল করে তার পর পীর সাহেব হুজুরের সাথে দেখা করবো, এখন নয়। সেই থেকেই চৈতার হযরত পীর সাহেব কিবলার সাথে অনেক সময় কাটিয়েছি। অনেক কিছুই হাতে কলমে শিখেছি তার কাছে। তাই এ কথা বলতে আর কোন দ্বিধা নেই যে কিতাবের ইবারত কাউকে দীনদার বানায় না, কাউকে আমল শিক্ষা দেয় না। বাস্তব আমল সালেহীনগণই দিয়ে থাকেন। সোহবাতের মাধ্যমেই দীন, তাকওয়া ও আমল পয়দা হয়। কবি বলেছেন –
নয়কো কিতাবে নয়কো ওয়াজে শান শওকতে নয়
আল্লাহর অলীর নজরে হৃদয়ে ধর্ম পয়দা হয়।
এজন্যই আল্লাহ তায়ালা আল কুরআনে হুকুম করেছেন, হে ইমানদারগণ! আল্লাহকে ভয় করো আর সৎসঙ্গ গ্রহণ কর। বস্তুত সাহাবায়ে কিরামের শিক্ষাটা কি তারা কি কোন স্কুল কলেজ কিংবা মাদরাসায় ভর্তি হয়েছিলেন? কোন সেমিস্টার বা ফাইনাল পরীক্ষা দিয়ে সনদ হাসিল করেছিলেন? বরং তাদের শিক্ষাটাই ছিল নবী স. এর সাথে থেকে চাল চলন ও আমল আখলাকের বাস্তব প্রশিক্ষণ নেয়া। আজ আমরা হাদীসে তাই যা পড়ছি ও শিখছি তা সম্পূর্ণটাই তো সোহবাত বা সংগ এর বিবরণ। আর তাদের নামই তো সাহাবী বা সঙ্গী। নবীজীর সাথে কে কোথায় ছিলেন, কি করেছেন, কি শুনেছেন ও বলেছেন তাই তো হাদীস বা আছার।
আজ আত্মতৃপ্তির উচ্ছ্বাসে মন বোঝাই হয়ে ওঠে যে সুদীর্ঘ পাঁচটি বছর সেই নেক সোহবাতের সুযোগ আমার হয়েছিল। যদি এই সোহবাতটুকু না থাকতো তাহলে কিতাবের এই সব জ্ঞানের কোন রস ও স্বাদ কিছুই পেতাম না। সবই থেকে যেত অন্তঃসার শূন্য। আজ আমার এইসব বর্ণনার বিষয় হয়ত আমার হুজুরেরও মনে না থাকতে পারে যে তিনি আমাকে কি বলেছিলেন কিন্তু আমি কি তার একটি কথাও ভুলি!

Comments

comments

About

Check Also

বিদায়বেলা

জামুরাইল হাই স্কুলের বাংলা শিক্ষক ইমরান হোসেন। প্রতিদিন সকাল ৯ টায় স্কুলে আসেন। যথারীতি তিনি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *