তাহমিদ, তানজিম আর তাবাসসুম একসাথে খেলাধুলা করছে অনেক আনন্দে আর উৎফুল্লে। খেলাধুলা তাদের বেশ জমে উঠেছে।
একটু পরেই তাদের সঙ্গে খেলায় এসে যোগ দিল তুহিন, নাহিদ, মাহবুবা ও সাদিয়া। তুহিনদের আসাতে তানজিমদের আনন্দ আরো দ্বিগুণ বেড়ে গেল। সবাই মিলে কত্ত আনন্দে খেলাধুলা করছে। তারা খেলছিল পানি আর মাঠি দিয়ে। তো, হঠাৎ এমনি করেই তাহমিদের কাদামাখা হাত সাদিয়ার জামায় লেগে গেল। তারপর সাদিয়াও তাহমিদের জামায় কাদা লাগিয়ে দিল। দুজনেই হাউমাউ করে কাঁদছে আর বলছে ‘আমার নতুন জামায় কাদা লেগে গেল’।
সাদিয়ার কান্না শুনে ঘর থেকে বেরিয়ে এলেন তার মা। মা এসেই সাদিয়ার নতুন জামায় কাদা লাগানো দেখে তাহমিদের মা-বাবাকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করতে লাগলেন। এদিকে তাহমিদের কান্না শুনে ঘর থেকে বেরিয়ে এলেন তার বাবা-মা। দুপক্ষেই শুরু হলো কথার লড়াই।
কথা কাটাকাটি চলছে তো চলছেই। এদিকে সাদিয়া আর তাহমিদ কান্না বন্ধ করে সবাই মিলে আবারো খেলায় মেতে উঠেছে। তাদের মা-বাবাদের ঝগড়া শুনে ঘর থেকে বেরিয়ে এলেন তানজিমের দাদা-দাদী। তারা এসে বড়দের ঝগড়া থামিয়ে দিয়ে বললেন, ‘এই দেখ, শিশুরা আবারো একসাথে খেলায় মেতে উঠেছে আর তোমরা তাদের মারামারি নিয়ে এখনো ঝগড়া করছ! শিশুরাতো মারামারি করে আবার ভাল হয়ে যাবে। এটাইতো শিশুর সরলতা’।
Check Also
বিদায়বেলা
জামুরাইল হাই স্কুলের বাংলা শিক্ষক ইমরান হোসেন। প্রতিদিন সকাল ৯ টায় স্কুলে আসেন। যথারীতি তিনি …