আজ বেদুঈন তার ছেডে় দিযে় ঘোড়া, ছুডে় ফেলে বল্লম
পডে় সল্লাল্লহু আলাইহে ওয়া সল্লম।
* এখানে আজ বলতে নবীজীর স. জন্মদিন বা মীলাদুন নবীকে স. বোঝানো হযে়ছে।
—কাজী নজরুল ইসলাম
আল্লা’ আমার প্রভু / আমার নাহি ভয়
আমার নবী মোহাম্মদ / যার তারিফ জগতময়।
—কাজী নজরুল ইসলাম
প্রণাম তোমায়! প্রণাম তোমায়! মানবজাতির আদিম গুরু
ধর্মনীতির উদ্দীপনা প্রথম তোমার বুকেই শুরু!
প্রাচীরপটে, বুকের তটে জাগালে যে রুদ্রগীতি
মানবমনের অগ্নিকন্যা, একসাথে সব আনলে নীতি।
—সুজাতা ঘোষ
গভীর আঁধার কেটে ভেসে ওঠে আলোর গোলক
সমস্ত পৃথিবী যেন গাযে় মেখে জ্যোতির পরাগ;
তাঁর পদপ্রান্তে লেগে নডে় ওঠে কালের দোলক
বিশ্বাসে নরম হয় আমাদের বিশাল ভূভাগ।
—কবি আল মাহমুদ-এর ‘হযরত মোহাম্মদ’ কবিতার প্রথম চার লাইন
লাঞ্ছিতের আসমানে তিনি যেন সোনালী ঈগল
ডানার আওয়াজে তাঁর কেঁপে ওঠে বন্দীর দুয়ার;
ছিন্নভিন্ন হযে় যায় জাহেলের সামান্য শিকল
আদিগন্ত ভেদ করে চলে সেই আলোর জোয়ার।
—কবি আল মাহমুদ-এর ‘হযরত মোহাম্মদ’ কবিতার শেষ চার লাইন
শব্দশিল্পী সকল কালের, সকল দেশের, সব ভাষার
আহরণ করে সকল মুক্তা, হৃদয়-মাধুরী করে উজাড়
অনন্তকাল রচে যায় যদি বাণীর হার
তোমার মহিমা, তোমার তারিফ তবুও কখনো হবে না শেষ
চিত্তমাতানো বীণা-ঝংকার, অতল, গহীন সুর-আবেশ।
—কবি রূহুল আমীন খান-এর ‘রহমাতুল্লিল আলামীন’ শীর্ষক দীর্ঘ কবিতার প্রথম পাঁচ লাইন
সুদূর সমুদ্র হতে এ মরুতে আনো বন্যা, মেঘ
অশ্রান্ত শ্রাবণ তার এনে দিক আশ্বিনের সোনা
রৌদ্রদগ্ধ মাঠে-মাঠে; আজিকার অশান্ত উদ্বেগ
প্রীতির আবেগ হযে় শ্যামছায়া করুক রচনা।
ফুল-ফসলের মাঠে নিষ্করুণ বন্ধ্যতার ঘাঁটি
আবার নিশ্চিহ্ণ হোক, এনে দাও প্রাণ-পলিমাটি।
—কবি তালিম হোসেন-এর ‘রহমাতুল্লিল আলামীন’ কবিতার শেষ ছয় লাইন
‘আপনি আচরি ধর্ম’ বলে গ্রন্থ ‘দেখাও অপরে’
পিতৃপুরুষের ধর্মে আমি তাই হেনেছি শাবল।
কালের মিনার থেকে নিরন্তর বেলালী আজান-
মোহাম্মদ সেই নামঃ নিদ্রা থেকে প্রেমের উত্থান।
—কবি দিলওয়ার-এর ‘পাঠ করো হে মানুষ’ কবিতার শেষ চার লাইন