জ্ঞানী ব্যক্তি কার ভূমিকায়

৩৯ নং সুরা যুমার এর ০৯ নং আয়াতে আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেন-হে নবী, আপনি বলুন- যারা জানে আর যারা জানে না, তারা কি সমান হতে পারে? এখানে আল্লাহ পাক কথাটাকে বিবৃতিমূলক বাক্যে না বলে প্রশ্নবোধক বাক্যে এনে আরেকটা হিকমাত খাটিযে়ছেন। তিনি যেন দুনিয়ার সব জ্ঞানী-গুণী ও চিন্তাশীলদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তাদেরকে জবাব দিতে বলছেন। সত্যিকারার্থেই, জ্ঞানী ব্যক্তি সীমাহীন মর্যাদার দাবিদার। জ্ঞানী কথাটাকে আমরা ইংরেজিতে খবধৎহবফ, ঊফঁপধঃবফ, অ সধহ ড়ভ ষবঃঃবৎং এবং আরবিতে-গভীর পাণ্ডিত্য-প্রজ্ঞার অধিকারিকে হাকীম বলা হয়। সুতরাং অগাধ পাণ্ডিত্য ও গভীর জ্ঞান-বিজ্ঞানকে বলা হয় হিকমাত। এই সীমাহীন জ্ঞান আল্লাহ তায়ালা দান করেছিলেন লোকমানকে। আল কুরআনের ৩১ নং সুরার ১২ নং আয়াতে ঘোষণা -আমি লোকমানকে হিকমাত দান করেছি। লোকমান এর থেকে এই জ্ঞান-বিজ্ঞান ও দর্শনের দীক্ষা নেন হাকীম তালুস, তার থেকে নিশাগোর, তার থেকে সক্রেটিস, তার থেকে প্লেটো, তার থেকে এরিস্টটল এবং তাঁর থেকে আলেকজান্ডার। এ নামগুলো আমরা তাঁদের জ্ঞানের কারণেই জানি। ইতিহাসের পাতায় আরো কতো প্রাতঃস্মরণীয় নাম। সারা দুনিয়ায় সর্বকালের শাশ্বত মর্যাদার আসনে যাঁরা সমাসীন, তা কেবল জ্ঞানের বদৌলতেই। জ্ঞানী ব্যক্তির মর্যাদা সর্বজনবিদিত। যিনি যার কাছে কিছু শিখেছেন তিনি তাঁর সর্বস্ব বিলিযে় দিযে়ও উস্তাদের কদর করতে প্রস্তত। হযরত আলী রা. বলেছেন ‘যিনি আমাকে একটিমাত্র অক্ষর শিখিযে়ছেন আমি তার এমন গোলাম যে চাইলে তিনি আমাকে বিক্রি করে দিতে পারেন অথবা আযাদ করে দিতে পারেন।’
প্রিয় সুধীমণ্ডলী, এখানে ভাবার বিষয় যে মাত্র একটি অক্ষর শিখে সে জ্ঞানীকে যদি এতটা মূল্য ও মর্যাদা দিতে হয় তাহলে জ্ঞানীর মর্যাদা কি আর পরিমাপ করা যায়? এ পর্যাযে় আমরা চারটি প্রশ্নের অবতারণা করতে পারি, যথা-
০১. কোথা থেকে এসেছে এই জ্ঞান?
০২. কে সর্বপ্রথম সবচেযে় জ্ঞানী?
০৩. কে ছিল সর্বপ্রথম জ্ঞান আহরণকারী ছাত্র?
০৪. কি ছিল সর্বপ্রথম পাঠ বা জ্ঞান?
উক্ত চারটি প্রশ্নের উত্তর একটি বাক্যে সন্নিবেশিত করে সুরা বাকারার ৩১ নং আয়াতে ঘোষণা ‘তায়ালা হযরত আদম আ. কে নামসমূহ শিক্ষা দিলেন। অতএব মহান আল্লাহ তায়ালাই হচ্ছেন আদি জ্ঞানী। হযরত আদম আ. ই সর্বপ্রথম জ্ঞান আহরণকারী ছাত্র। সর্বপ্রথম পাঠ ছিল নামসমূহ বা বিশেষ্য, যাকে ইংরেজিতে ঘড়ঁহ এবং আরবিতে (ইসম) বলা হয়। এটাই মানবের জ্ঞানের ইতিহাসে আদি পাঠ (খবংংড়হ) ও প্রথম জ্ঞান, আর সমস্ত জ্ঞানের উৎস একমাত্র আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। তিনি যা শিখিযে়ছেন এর বাইরে কারো কোন জ্ঞান নেই। ফিরেশতারা বলেছিল
কুরআনের অসংখ্য আয়াতে তাঁকে (আলীম) ও (হাকীম) বলা হযে়ছে। সুতরাং নিঃসন্দেহে আলোচ্য সমীক্ষায় এই মহা সত্য বেরিযে় আসে যে, যিনি জ্ঞানী ও জ্ঞান দান করেন তিনি তো স্বয়ং আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার ভূমিকায় অবতীর্ণ। তাঁর মর্যাদা এর চেযে় আর কি হতে পারে?
তামাম দুনিয়ার যাবতীয় ইলম তথা জ্ঞান যুগে যুগে এই নবী রাসুলের মাধ্যমে আসমানী কিতাব অবতীর্ণের দ্বারাই আসমান হতে জমীনে নেমে এসেছে। যেমনটা উল্লেখ রযে়ছে ০৪ নং সুরা নিসা এর ১১৩ নং আয়াতে-
তিনি শিখিযে়ছেন কলম দ্বারা। মানুষ যা জানতো না তা তিনি শিক্ষা দিযে়ছেন। শুনুন সুরা নিসা এর ১০৯ নং আয়াতে উল্লেখ সব নবী ও রাসুলের ভাষ্য ‘আমাদের কোন জ্ঞান নেই, কেবল আপনিই অদৃশ্য জ্ঞানের মালিক। আল্লাহ প্রদত্ত জ্ঞানের মহিমায় নবী রাসুলগণ হযে় উঠেছেন মহা সম্মানিত ও মর্যাদার অধিকারী। আল্লাহর পরেই মর্যাদার আসন তাঁদের জন্য সংরক্ষিত। নবীরা মীরাস হিসেবেও রেখে যান জ্ঞান। তাদের সম্পদই জ্ঞান। দীনার দিরহাম তারা নিযে়ও আসেন না আর রেখেও যান না। আবু দাউদ শরীফের ৩৬৪৩ নং হাদীসে উল্লেখ-সুতরাং এবারে আসি সম্মান ও মর্যাদার তৃতীয় আসন নিযে়। এটি তাঁদের জন্য, যারা ইমানদারদের মধ্যে জ্ঞানী। শুনুন ৫৮ নং সুরা মুজাদালা এর ১১ নং আয়াত-তোমাদের মধ্যে যারা ইমান এনেছে, আল্লাহ তাঁদের সম্মানিত করেন আর যাঁদেরকে জ্ঞানদান করা হযে়ছে, তাদের জন্য রযে়ছে মর্যাদার বহু স্তর। বহু স্তর কথাটির মানে এই যে জ্ঞানীরা স্বয়ং আল্লাহ পাকের ভূমিকায় অবতীর্ণ যা পূর্বেই বলা হযে়ছে।
একইভাবে তাঁরা হযরত আদম আ. থেকে নবী- রাসুলের সকলের ভূমিকায় অবতীর্ণ। কারণ নবীরা ছিলেন তাঁদের জাতির জ্ঞানী-পথপ্রদর্শক ও শিক্ষক। পরিশেষে জ্ঞানীরা কিয়ামত পর্যন্ত নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ভূমিকায় অবতীর্ণ। নবীজী বলেছেন -জ্ঞানী ব্যক্তির মর্যাদা আবেদের উপর তেমন, যেমন তোমাদের সাধারণের উপর আমার মর্যাদা। (তিরমিযি, হাদীস নং ২৬৮৫) সুবহানাল্লাহ যারা মানুষকে কল্যাণের শিক্ষা দেয়, মুক্তির শিক্ষা দেয় সেটা যে কোন বিষযে়র জ্ঞানই হোক না কেন- তাঁদের মর্যাদা গগনচুম্বী। শুধু তাই নয়, আসমান জমীনের সবাই জ্ঞানী ব্যক্তির শুভাকাক্সক্ষী, হিতাকাক্সক্ষী, কল্যাণকামী ও দোয়াগীর। শুনুন প্রাগুক্ত হাদীসেরই আরেকাংশ-
স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা, তাঁর ফিরেশতারা, আসমানের অধিবাসীরা, জমীনের অধিবাসীরা, এমনকি গর্তের পিপীলিকা ও সমুদ্রের মাছ পর্যন্ত তাঁদের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করে যাঁরা মানুষকে ভাল কিছু জ্ঞান দান করে। (সুবহানাল্লাহ) এখানে আরো একটি কথা বলে দেয়ার প্রসঙ্গ এসেছে যে, জ্ঞান হবে কল্যাণের জন্য। মানুষের ক্ষতি করার জন্য কোন বিদ্যার্জন নয়, জ্ঞানী ব্যক্তি থাকবেন দেশ ও জাতির কল্যাণে নিযে়াজিত।
যাই হোক, সম্মান-মর্যাদার আরেকটি পদ হচ্ছে নেতৃত্ব। সে নেতৃত্বের সর্বপ্রথম শর্তটিই হচ্ছে জ্ঞান। যদিও আমাদের ধারণা যে, অর্থ বিত্ত ও বৈভবের জোর ছাড়া দেশ-দুনিয়ার নেতা হওয়া যায় না। বনী ইসরাইলরাও এই ধারণাই করতো। শুনুন সুরা বাকারা এর ২৪৭ নং আয়াতের ঘোষণা- ‘আর তাদেরকে (বনী ইসরাইলদেরকে) তাদের নবী বললেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা তোমাদের জন্য তাঁকে (তালুত আ. কে) রাজারূপে পাঠিযে়ছেন। তারা বলল, আমাদের উপর কীভাবে তাঁর রাজত্ব হবে, অথচ আমরা তাঁর চেযে় রাজত্বের অধিক হকদার। আর তাঁকে সম্পদের প্রচুর্যও দেয়া হয়নি। তিনি বললেন নিশ্চয়ই আল্লাহ তাঁকে তোমাদের উপর মনোনীত করেছেন। এবং তাকে প্রাচুর্যতা দান করেছেন জ্ঞানের দিক দিযে় এবং শারীরিকভাবে। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা তাঁর রাজত্ব দেন। তিনি প্রাচুর্যময় ও সর্বজ্ঞ।
এ আয়াতে প্রমাণিত হল- নেতৃত্বের প্রথম শর্ত জ্ঞান, দ্বিতীয় শর্ত হচ্ছে সু স্বাস্থ্য। সকল সম্মান ও পদমর্যাদা জ্ঞানীদের জন্যই সুনির্ধারিত। সুতরাং কূল কিনারাহীন অথৈ সম্মানের অধিকারী এই জ্ঞানী তথা খোদার আসন আরশ ছেদিয়া ওঠা এই মহা বিজয়ী কারো সম্মানের প্রতীক্ষায় বসে থাকেন না। তাই দেখা যায়, বিংশ শতাব্দীর সেরা বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন রেল-জংশন থেকে নেমে ফুটপাথে হাঁটতে হাঁটতে রাণী এলিজাবেথের দরবার ফটকে হাজির হন। তাঁকে অভ্যর্থনা করে এগিযে় নিতে জাঁকজমকপূর্ণ বিশাল বহর বাহিনী তো দূরে থার দুজন লোক যে আসতে পারে তা তাঁর ব্রেইনে ছিল না। এটা কি বা দরকার আমিই চলে যাব, আমাকেই তো যেতে হবে। এই ছিল তাঁদের মানসিকতা। তাই তারা কখনও অপমানিতও হয়নি। জ্ঞানী ব্যক্তি কেন অপমানিত হতে যাবে?
এবার আসি আসল কথায়, জ্ঞানী কে? বুদ্ধিমান কে? জ্ঞানীর সংজ্ঞা কি? শুনুন তিরমিযি শরীফের ২৪৫৯ নং হাদীস-বুদ্ধিমান বা জ্ঞানী সেই ব্যক্তি, নিজের হিসাব মিলিযে় যিনি নিজের বিচার করেন এবং মৃত্যুর পরের জন্য আমল করেন। সুতরাং জ্ঞানী ব্যক্তি দুনিয়াতে বা আখিরাতে কোথাও লাঞ্ছিত হবেন না। এটা যেন জ্ঞানী হওয়ার আরেকটি প্রচ্ছন্ন শর্ত। কেউ তার অনিষ্ট করতে পারে, অপমানিত করতে পারে কিন্তু আক্ষরিকভাবে সেটার নাম অপমান নয়, সেটা জুলুম ও অত্যাচার। তাই যুগে যুগে হয়তো জ্ঞানীরা দেশছাড়া হতে পারেন, নির্যাতিত হতে পারেন, জুলুমের শিকার হতে পারেন তাতে তাঁদের মর্যাদা আরো বৃদ্ধি পেযে় স্থায়ীত্বের ফ্রেমে বাঁধাই হযে় গেছে। পরিণতির তোয়াক্কা না করে লোভের বশবর্তী হযে় আমরাই আক্ষরিক অর্থে অপমানিত হই। অপমানের দিনের কথা মনে না রাখার কারণেই ফুলের মালার পরপরই আবার জুতার মালা উপহার নিচ্ছি আমরা। প্রকৃত জ্ঞানী কখনই এমন লাঞ্ছিত হতে যান না। শুনুন ১৬ নং সুরা নাহাল এর ২৭ নং আয়াত-যাদেরকে জ্ঞান দেয়া হযে়ছে, তারা বলে আজকের নিকৃষ্ট অপমান তো কাফিরদের জন্যে। সুতরাং এটাই স্বাভাবিক যে, জ্ঞানী মানুষ সম্মানিত হন, সম্মানিত থাকেন, সসম্মানেই বিদায় হন। মরণের পরেও সম্মান-মর্যাদা থাকে অটুট ও অক্ষত। জ্ঞান দিযে় যারা মানুষের কল্যাণ সাধন করে গেছেন তারা ইমানদার না হলেও সারা দুনিয়া তাঁদেরকে দিচ্ছে, দিবে এবং দিতে বাধ্য। তাঁরা অমর মহামানব। কাজী নজরুলের ভাষায়
ধরায় যাঁদের যশঃ ধরে না ক অমর মহামানব
বরষে বরষে যাঁদের স্মরণে করি মোর উৎসব।
সুতরাং আমাদের পবিত্র কর্তব্য হবে যে জ্ঞান আমাদেরকে উপকার দেবে, বেশি করে সেই উপকারী জ্ঞান অর্জন করা। বিখ্যাত হাদীস গ্রন্থ মুসনাদ-ই- আবি ইয়া’লা এর ২১৯৬ নং হাদীসে উম্মতের দরদী নবী জানিযে় দিলেন : আল্লাহর কাছে তোমরা উপকারী জ্ঞান প্রার্থনা করো । অপরদিকে যে ইলম বা জ্ঞান তোমাদের উপকার দিবে না, তা থেকে পানাহ চাও। উক্ত গ্রন্থের ২৫৮৫ নং হাদীসে অন্যকে শিখাতে তাকিদ এবং জ্ঞান গোপন না করার হুশিয়ারি দিযে় আরো বলা হযে়ছে- যে ব্যক্তির কাছে কোন জ্ঞান জানতে চাওয়া হল সে যদি তা গোপন করে তবে আল্লাহ তাকে জাহান্নামের আগুনের লাগাম পরিযে় কিয়ামতের দিন উঠাবেন। সেই সাথে সাবধান করা হযে়ছে, কেউ যেন কুরআনের বিষযে় না জেনে আন্দাজে কিছু না বলে। জ্ঞান কেবল জ্ঞানী ব্যক্তিরই হারানো ধন। জ্ঞানে কেবল জ্ঞানীরই অধিকার। যার গাডি় চালানোর জ্ঞান নেই সে গাডি় চালাতে যাবে না। এটা যেমন ঠিক তেমনি মূর্খলোক জ্ঞানীর চেয়ারে বসে জ্ঞানীর কাজ শুরু করবে না এটা আরো ঠিক। হুজ্জাতুল ইসলাম- ইমাম গাজ্জালী রহ. এর বক্তব্য এখানে খুবই প্রণিধানযোগ্য – ‘সাধারণ লোকের দাযি়ত্ব এই যে তারা ইমান আনবে, আত্মসমর্পণ করবে আলেম উলামার (জ্ঞানী) ইবাদাত ও জীবনের অনুকরণ করবে। জ্ঞানের বিষয়টি তারা জ্ঞানীদের উপর সোপর্দ করবে। (নিজেরা আলেমের কাজ করতে যাবে না) মূর্খ ব্যক্তি যদি জেনা কিংবা চুরি করে; জ্ঞানের ব্যাপারে কথা বলার চাইতে তাও তার জন্য ভাল। কেননা মহান আল্লাহ ও তাঁর দীন নিযে় যে ব্যক্তি জ্ঞান আয়ত্ত না করে কথা বলে, সে কুফরিতে নিপতিত হয়। আর সেটা এমন অলক্ষ্যে যে, তা টেরও পায় না। তার পরিণতি ঐ ব্যক্তির মত, যে সমুদ্রে ঝাঁপিযে় পডে়ছে অথচ সাঁতার কাটা জানে না। (এহইয়াযে় উলুমিদ দীন, ৩য় খণ্ড, ৩৬পৃ.)
সম্মানিত পাঠকবন্ধুগণ, যে কোন বিষযে় না জেনে কথা বলা তথা কাজ করার পরিণতি এই যে এখন জ্ঞানী ব্যক্তির মর্যাদা হারিযে় যেতে বসেছে। মূর্খের সরগরম বাজারে ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে তার মর্যাদা, যিনি প্রকৃত জ্ঞানী। যে জাতি গুণীর কদর করে না, সেখানে গুণী পয়দা হয় না। একটা জাতিকে ধ্বংস করার জন্য সে জাতির জ্ঞানী ব্যক্তি ও গ্রন্থরাজি ধ্বংস করাই যথেষ্ঠ। জ্ঞানীর কলমের কালি শহীদের রক্তের চাইতেও পবিত্র। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা সবার আগে সৃষ্টি করেছেন কলম। মানুষকে শিখিযে়ছেন কলমের দ্বারা। অন্যকে শিখানোর মাঝেই রযে়ছে দোজাহানে সম্মান মর্যাদা ও সাফল্য। শিক্ষক, শিক্ষাবিদ ও জ্ঞানীই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠজন। আল্লাহ আয়ালা আমাদেরকে জ্ঞানী ব্যক্তির কদর করার শক্তি, যোগ্যতা ও মানসিকতা দান করুন। আমীন।

Comments

comments

About

Check Also

ইবাদতের বসন্তকাল রমজান

ঋতুরাজ বসন্ত যেমন প্রকৃতিতে অপার সৌন্দর্যের মোহনীয় রূপ এনে দেয়। তেমনি রমজান মাস পরওয়ারদেগারের পক্ষ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *