বাবার আদর্শ

শ্যামল কোমল এলাকার সবুজ বৃক্ষলতায় পরিপূর্ণ কামালী পাড়া গ্রামে বাদশা সাহেবের নিবাস। স্ত্রী, পুত্র ও কন্যাদের নিয়ে তার পরিবার।
সন্তানদের মধ্যে শ্রাবণী ও সীমুর বাবার সাথে তাদের স্মৃতি অনেক বেশি। শৈশব থেকেই তাদের বাবার আদর্শে বেড়ে উঠা।
স্কুল বন্ধ। শ্রাবণী, সীমু তাদের ভাই ও বাড়ির ছেলে মেয়েরা সবাই এক সাথে খেলা করছিল।
খেলার নাম চোর ডাকাত। খেলার মধ্যে এক ভাগ চোর, এক ভাগ ডাকাত এবং এক ভাগ পুলিশ আর এক ভাগ সাধারণ মানুষ। সাধারণ মানুষের ঘরে চুরেরা চুরি করতে আসে এবং এমন সময় ডাকাত এসে হামলা করে। পুলিশ তাদেরকে উদ্ধার করতে আসে। খেলায় যখন সবাই মগ্ন তখন শ্রাবনী ও সীমুর বাবা তাদেরকে ডেকে জিজ্ঞাসা করলেন তোমরা কী করছ? তারা জবাব দিল খেলা করছে এবং কী খেলা করছে তাও বলেছিল। বাবা তাদের বললেন এ খেলা ভালো নয়। কারণ একজন মানুষের মনুষ্যত্ব বোধ গড়ে উঠার সঠিক সময় হলো ছোট বেলা। ছোট বোলাতে যে মানুষ যে ভাবে বেড়ে উঠবে বড় হবার পর তার মন মানসিকতা সে রকম হবে। এসো পাঠশালা খেলি। বাবা একটা ঘরে ব্লাকবোর্ড এর মত একখানা স্লেট টাঙ্গিয়ে দিলেন এবং শ্রাবণীকে শিক্ষিকা বানালেন। আর অন্যরা নিজ নিজ পাঠ্যবই নিয়ে ছাত্র ছাত্রী হয়ে এলো। সীমু তো অবাক হয়ে ভাবতে লাগলো বাবা আমাদের সাথে খেলা করছেন। আনন্দে তার মন ভরে উঠল। বড় হয়ে সীমু বুঝতে পারল বাবার কথা ঠিক এক জন মানুষ ভালো হওয়া বা খারাপ হওয়ার মাঝে তার ছোট বেলা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সীমু বুঝতে পারল বাবা তাদের সাথে খেলা করছিলেন না, তিনি তার আদর্শে আমাদের গড়ে তুলেছেন।

Comments

comments

About

Check Also

বিদায়বেলা

জামুরাইল হাই স্কুলের বাংলা শিক্ষক ইমরান হোসেন। প্রতিদিন সকাল ৯ টায় স্কুলে আসেন। যথারীতি তিনি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *