চৌদিক ঘিরেছে কালবৈশাখী ঝড়ের সাজ চৌমুখী ধাওয়া-ধামকিতে পাড়এলাকায় উঠেছে আর্তনাদ আজ বুঝি উড়লো অস্থিত্বের চালা যেন শ্বাসরুদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে মসজিদের মিনার রাতদিনের মিলনক্ষণে বাজে না প্রাণ জোড়ানো মধুর তান সদ্য ডানা গজানো পিঁপরার মতো শিং গজিযে়ছে জাঠ-মারাঠা-শিখ দলের আবার কেউ কেউ বিলুপ্ত করেছে আদিঘরে আত্মা-মহাত্মার সাক্ষাত…
কলুষিত জাতির জাগরণের লক্ষেই তুমি তাবলীগের পরে ইমামুদ্দি, সূফি নূর মুহাম্মদদের নিয়ে চললে সেই আদিঘর জিয়ারতে উম্মুল ক্বুরা কিংবা বাক্কাতে। তুমি ফিরলে; তুমি থামিয়ে দিলে বুধসিংয়ের কড়কড় গর্জন। রুক্ষচরে নতুন পানির ছোঁয়ায় জলমল হয়ে উঠা সবুজ পাতার মতো আবারও সজীব হল এদেশে, সেই জাতির মুমূর্ষুপ্রাণ-পরিপূর্ণ জীবন বিধান।
পেশোয়ার উপত্যকা দিযে় চলা সেই পায়ের ধ্বনী অনুভবে মোরা আজো ব্যাকুল, হে রায়বেরেলীর পূর্ণিমা চাঁন্দ! পাঠানরাই বুঝি ছিল ঘাতক উমি, মানিক কিংবা জগৎশেঠ…
গুরুদীক্ষার সেই জাগরণ সূত্র ধরে, বিশ্বমাঝে মোরা আজও জয়ী হয়ে আছি…