মুরশিদে বরহক্ব আল্লামা ফুলতলী ছাহেব কিবলাহ রাহ. এর পারিবারিক জীবন

রাব্বুল আলামীন মানবজাতিকে সৃষ্টি করেছেন একমাত্র তারই গোলামী করার জন্য। তাই যে ব্যক্তি তার মালিকের কাজ পূর্ণাঙ্গরূপে পালন করবে সে তার গোলামীর পুরস্কার অবশ্যই পাবে। মানব হিসেবে আমরা আল্লাহর গোলাম বা দাস। জীবনের সর্বক্ষেত্রে রাব্বুল আলামীনের হুকুম মেনে চলতে পারলেই তিনি আমাদের ওপর সন্তুষ্ট থাকবেন এবং তাঁর বিভিন্ন নেয়ামত দিয়ে পুরস্কৃত করবেন। মানবজীবনে অনেকগুলো ধাপ বা স্তর অতিক্রম করতে হয়। যথা-শৈশবকাল, কৈশোরকাল, যৌবনকাল, পারিবারিক জীবন ইত্যাদি। পারিবারিক জীবনে প্রবেশ করার মাধ্যমেই মনুষ্যত্বের পূর্ণতা ঘটে। স্ত্রী, সন্তান, মা-বাবা সকলেই পারিবারিক জীবনের সদস্য। সকলের সাথে সুসম্পর্ক ও অধিকার নিশ্চিত করার ওপরই পারিবারিক জীবনের সফলতা ও ব্যর্থতা নির্ভর করে। আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের এই বিধান পালনের ক্ষেত্রে যার পুত পবিত্র জীবন ও দর্শন আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করে তিনি হচ্ছেন মানবতার মুক্তির দুত প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা)। তাঁর গোটা জীবনের সকল ক্ষেত্রেই মানবজীবনের জন্য আদর্শ বিদ্যমান। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পবিত্র আল কুরআনে তাঁর হাবিব সম্পর্কে ঘোষণা করেন: ‘তোমাদের জন্য রাসূল (সা)-এর মাঝে রয়েছে উত্তম আদর্শ। (সূরা আহযাব:২১)। রাসূল (সা) ২৫ বছর বয়সে আম্মাজান খাদিজাতুল কুবরা (রা.)’র সাথে বিবাহের মাধ্যমে পারিবারিক জীবনে প্রবেশ করে আমাদের জন্য পারিবারিক জীবনের মহান আদর্শ ব্যক্তি হিসেবে উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন। নিজে যেমন পরিবারিক জীবনে সকলের অধিকার বাস্তবায়ন করেছেন। তেমনি অন্যকে এ অধ্যায়ে সফলতা অর্জনে উদ্বুদ্ধ করেছেন। রাসূল (সা) বলেছেন: সকল সৃষ্টি আল্লাহর পরিবার এক্ষেত্রে সর্বাধিক প্রিয় সে, যে তার অধীনস্থদের সাথে সদাচরণ করে। (তাবরানি, মু’জামুল কাবীর, ৮৬/১০)।
আল্লামা ছাহেব কিবলাহ ফুলতলী রাহ. ছিলেন আল্লাহর মাহবুব বান্দাহ এবং সুন্নতে নববীর একনিষ্ঠ অনুসারী। তাই তাঁর স্ত্রী, সন্তান-সন্ততি, নাতি নাতনিদের নিয়ে সুন্দর একটা সংসার গড়ে উঠেছিল। এই আধ্যাত্মিক সম্রাট দেশ ও জাতির একজন সফল রাহবার হওয়ার পাশাপাশি পরিবারের জন্য কেমন ছিলেন এই প্রবন্ধে আলোকপাত করার চেষ্টা করব।

একজন দায়িত্বশীল স্বামী
প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে সেই সব লোকই সব চাইতে ভালো যারা নিজেদের স্ত্রীদের জন্য ভালো। (তিরমিযি)। ফুলতলী ছাহেব কিবলাহর সংসার জীবনের দিকে দৃষ্টি দিলে আমরা তার বাস্তব প্রমাণ পাই।
ছাহেব কিবলাহ রহ. প্রথম শাদী মোবারক হয় স্বীয় পীর ও মুরশিদ শাহ ইয়াকুব বুন্দাশিলী রহ. এর ছোট্ট সাহেবজাদী পুণ্যময়ী খাদিজা খাতুন (রহ.) এর সাথে। তিনি এক সময় সংসারত্যাগী হয়ে পড়লে পীর ও মুরশিদের হুকুম পালনার্থে ছাহেব কিবলাহ তাঁর এলাকার আব্দুর রশিদ খান (রহ.) সাহেবের সাহেবজাদী নেহারুন নেছা (রহ.)-কে শাদী করেন।
পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে জানা যায় সুন্নতে নববীর এই আদর্শ পুরুষ তাঁর পুণ্যবতি বিবিদের জন্য একজন আদর্শ স্বামী ছিলেন। এমনও সময় গেছে কর্মক্ষেত্র থেকে ফিরে বাড়িতে এসে প্রয়োজনে নিজে রান্না করে খেয়েছেন এবং সন্তানদেরও খাইয়েছেন, কিন্তু বিবি সাহেবার (বড়) সাথে কখনও রাগ করেননি। সপ্তাহের ৫ দিন দাওয়াতী কার্যক্রমে বাইরে কাটালেও বাড়িতে দু’দিন (শনি ও রবিবার) যখন তাশরীফ রাখতেন তখন তিনি পরিবারের মানুষকে বিশেষ করে বিবিদের পর্যাপ্ত সময় দিতেন, বড় সাহেবানি (যদিও তিনি সংসার বিরাগী ছিলেন) কেমন আছেন তাঁর যথাযথ পরিচর্যা হচ্ছে কি না সে ব্যপারে দ্বায়িত্বশীলদের কাছে গুরুত্ব সহকারে খবর নিতেন। তিনি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত বিবিদের জন্য আদর্শ ছিলেন যা ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।

একজন আদর্শ বাবা
আল্লামা ইমাদ উদ্দিন চৌধুরী (বড় ছাহেব কিবলাহ) বলেন: আমি জীবনে কতবার দেখলাম আমার বাবা অসহায় মানুষের জীবনতরী উদ্ধারের জন্য বারবার জীবনের ঝুঁকি নিয়েছেন। মানুষকে আল্লাহর ওয়াস্তে অকৃত্রিম ভালবাসা বিলিয়েছেন। তাইতো বাবাকে প্রতিটি অসহায় মানুষ এতো ভালোবাসত।
ছাহেবজাদা আল্লামা শিহাব উদ্দীন চৌধুরী ছাহেব বলেন, আমার বাবা ছিলেন এক বিশাল সংগঠক, একজন আদর্শ পিতা, দক্ষ অভিভাবক, আদিল, শ্রেষ্ঠ রাজনীতিবিদ, উঁচু মাপের লেখক, অত্যন্ত বিনয়ী, বীর সিপাহসালার!! সর্বোপরি তিনি ছিলেন দুনিয়ার শ্রেষ্ট বাবা! তিনি আরোও বলেন, পৃথিবীতে আমার বাবার মতো কোন বাবা দেখিনাই।
ছাহেবজাদা আল্লামা কমরুদ্দীন চৌধুরী ছাহেব বলেন: বাবাকে যতটুকু দেখেছি তাতে এটা বুঝতে পেরেছি যে তিনি এক মহান ব্যক্তিত্ব! সমায়ানুবর্তিতা, শৃঙ্খলা এবং পরিবারের প্রধান হিসাবে তাঁর দ্বায়িত্ববোধ আমাদেরকে শিক্ষা দিয়েছে মানুষ হবার। বাবা ছিলেন সুন্নতে নববীর পরিপূর্ণ অনুসরণকারী একজন বড় মাপের আশিকে রাসুল।
ছাহেবজাদা আল্লামা হুছামুদ্দীন চৌধুরী বলেন: বাবা ছিলেন আদব শিক্ষার এক বিশ্ববিদ্যালয়, তাঁর সান্নিধ্যে থেকে দেখেছি সাইয়্যিদ বংশের প্রতি তাঁর অতুলনীয় তাজিম এবং মূল্যায়ন। তাদেরকে সম্মান ও মহব্বত করা নবী করিম (সা.)-এর মহব্বত লাভের উসিলা মনে করতেন।
একজন বাবা হিসাবে ছাহেব কিবলাহ ছিলেন এক অনন্য মডেল! এত ব্যস্ত এবং বর্ণাঢ্য জীবন থাকা সত্ত্বেও সন্তানদের প্রতি স্নেহ মমতার কোন কমতি ছিলনা! বাড়িতে অবস্থানকালীন সময়ে তিনি সন্তানদের পুকুর ঘাটে নিয়ে গোসল করাতেন, সাঁতার শিখাতেন, খাবার সময় নিজ হাতে খাবার তুলে দিতেন, ঈদের সময় নতুন জামা কিনে দিতেন, লেখা-পড়া, আমল-আখলাক সহ দৈনন্দিন জীবনের সবকিছুই নিজ থেকে তদারকি করতেন।

একজন দাদা/নানা
ছাহেব কিবলাহ (রহ.) নাতি-নাতনিদের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে একথা দিব্যি উপলব্ধি করতে পারি যে তিনি তাঁদেরকে কতো বেশি মায়া-মমতার সুশীতল ছায়া দিয়ে রাখতেন। যেমনি করে রাসূল (সা.) তাঁর আদরের দুই নাতি ইমাম হাসান (রা.) এবং ইমাম হোসাইন (রা.) কে নিয়ে কোলে পিঠে বসিয়ে খেলতেন, সারা ঘর চক্কর দিতেন, আদর করে চুমু খেতেন, জামা পরিয়ে দিতেন! ছাহেব কিবলাহও প্রিয় নবী সা. এর সুন্নত অনুসরণে তার নাতি নাতনিদের তেমনি আদর করতেন!!
ছাহেব কিবলাহ রহ.-এর বড় নাতি মুহাম্মদ হাসান চৌধুরী বলেন: দাদা ছাহেবের আদর আমাদের মা হারানোর ব্যথা ভুলিয়ে দিত!! তিনি আমাকে এবং শাহানকে প্রতি শুক্রবার সিলেট থেকে এসেই কোলে নিতেন, আদর করতেন এবং পুকুরে নিয়ে নিজ হাতে কসকো সাবান দিয়ে গোসল করাতেন। দাদা ছাহেবের সাথে প্রচুর দুষ্টুমি করতাম, দুনিয়ার সব প্রশ্ন করতাম কিন্তু তিনি কখনো বিরক্ত হতেন না বা ধমক দিতেন না। আমাদেরকে সাদা জামা কিনে দিতেন! এখন বুঝি সাদা জামা কিনার রহস্য কি! প্রিয়তম হাবিব সা. এর পছন্দের রং ‘সাদা’! তিনিতো ছিলেন তার একনিষ্ট আশিক।
সালমান আহমদ চৌধুরী ছাহেব কিবলাকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন: লক্ষ কোটি মানুষের মুরশিদ এক মহামনিষী আমার দাদা ছাহেব! এই মহান ওলীর সাথে আমারও কিছু স্মৃতি আছে এটা ভাবতেই পুলকিত হই! তেমনি স্মৃতিগুলো স্মরণ করতে গিয়ে আবেগাপ্লুতও হই। দাদা ছাহেব শুধু আমাদেরকেই আদর করতেন না বরং তাঁর জিসমানী, রূহানী সব সন্তানদের জন্য তাঁর আদর-স্নেহের জাল ছিল বিস্তৃত। দাদা ছাহেব খেতে বসলে যখন তাঁর সামনে যেতাম তখন তিনি দুধ, কলা, গুড় ও আম ভাতের সাথে মেখে আমাদের মুখে তুলে দিতেন। দাদা ছাহেবের মত এত বড় মহামনীষী একদম সাদাসিদে ভাব নিয়ে নাতি নাতনিদের আদর করতেন যা সত্যিই অতুলনীয়।
দাদা ছাহেব ইহকালীন পরকালীন প্রত্যেকটি কাজেই ছিলেন মুকুটহীন সম্রাট! তার প্রতিটি কাজেই একটা রাজকীয় ভাব ছিল!! একদিন তার সামনে গিয়ে দেখি ভুনা গোশতের বাটি এবং সাথে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন একটা সাদা কাপড়ে মোড়ানো রুটি! আমি ব্যপারটা দেখে আশ্চর্য হয়ে তার মুবারক চেহারার দিকে তাকাতেই তিনি মুচকি হাসি দিয়ে বললেন ভাই ভুনা গোশতের সাথে গরম গরম রুটি খাওয়ার এটাই সঠিক পদ্ধতি! দাদা ছাহেব তখন তার মুবারক হাত দিয়ে একটা রুটি ছিড়ে ভুনা গোশত মিশিয়ে আমাকে মুখে তুলে খাইয়ে দিলেন। এখনও রুটি এবং ভুনা গোশত খাই কিন্তু দাদা ছাহেবের সেই স্নেহ মাখা হাত আর কখনো নসিব হয় না।
ছাহেব কিবলাহ রহ. এর নাতী সাইয়্যিদ মোহাম্মদ আজমল হুসাইন ওয়াসি তার নানার সৌন্দর্যের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন: I was looking at Saheb qibla (Nana Sab) while I was sitting in the car. I saw the sinking sun was pouring the reminder of its light all over him. I was wondering if the scintilla of the nature’s beauty made him look good or his own charming.
মোস্তফা হাসান চৌধুরী বলেন, একবার ঈদের সময় শুনলাম আমার জন্য জামা কেনা হবেনা তাই ব্যকুল হয়ে কাঁদতে লাগলাম। কান্না শুনে দাদা ছাহেব বললেন কি হয়েছে ভাই? সব শুনে আমাকে ১২০০ টাকা দিলেন। টাকা হাতে পেয়ে কি যে খুশি! কাবুলি সেট কিনলাম আর মনে মনে বললাম আমার দাদাই পৃথিবীর শ্রেষ্ট দাদা।
সুলতান আহমদ চৌধুরী তার স্মৃতিচারণে বলেন, দাদা ছাহেব ছিলেন হিকমতের পাহাড়! দুষ্টুমির বিচার আদর এবং প্রজ্ঞা দিয়ে করতেন!! ছোট বেলায় খুব দুষ্ট ছিলাম। তাই দাদা ছাহেবের কাছে প্রায়ই নালিশ যেত, শখের বশে কখনো লম্বা চুল রাখলে দাদা ছাব বলতেন, আমার নাতির চুল কাটার টাকা নেই! টাকা দেব চুল কেটে নিও! একথা শুনে শখের উপর লজ্জা এবং ভীতি এসে ভর করতো। তখন লম্বা চুল কেটে নিতাম।
মোজতবা হাসান চৌধুরী নোমান অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, দাদা ছাহেব ছিলেন সর্বক্ষেত্রে সর্বশ্রেষ্ঠ একজন ব্যতিক্রমী ব্যক্তিত্ব। আমার মত ছোট্ট একটা শিশুর অবান্তর প্রশ্নের জবাব দিতে কখনো বিরক্তি প্রকাশ করতেন না। একবার সিলেট যাত্রা পথে কলসের অবয়বের একটি গেইট দেখে মাকে চুপি চুপি প্রশ্ন করলাম জায়গাটির নাম কি, দাদা ছাহেব সামনের সিট থেকে বললেন ভাই এ জায়গার নাম ‘কনকলস’। আজও কনকলসের পাশ দিয়ে যেতে যেতে শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসায় এই স্মৃতি স্মরে আবেগাপ্লুত হই।
রেদওয়ান আহমদ চৌধুরী বলেন, দাদা ছাহেবের মায়াবী সান্নিধ্য, মাঝে মধ্যে ডেকে নিয়ে ভাই সম্বোধনে আদর করা, শুক্রবারের অপেক্ষার স্মৃতি, আজো নিরবে কাঁদায়।
কোন মানুষ যখন আমাকে বলত ছাহেব কিবলাহ তোমাদের থেকে আমাদের অনেক বেশি স্নেহ করেন! তখন মনে হত, কতটুকু স্নেহ করার ক্ষমতা এ মহামনীষীর ছিলো?
মারজান আহমদ চৌধুরী তাঁর স্মৃতিচারণে ছাহেব কিবলাহকে নিয়ে লিখেন, দাদা ছাহেব তার পরিবারের সদস্যদের আচ্ছাদিত করে রেখেছিলেন এক অপূর্ব ভালবাসার চাদরে! দাদা ছাহেব এমন এক ব্যক্তিত্ব যার মহানুভবতার কোন উপসংহার হয় না।
কবি হাফছা ছিদ্দীকা চৌধুরী ছুম্মা তাঁর কবিতায় ছাহেব কিবলাহকে নিয়ে অসাধারণ কয়েকটি ছন্দ লিখেন :
লিখতে বসে তোমায় নিয়ে শব্দ পাইনা খুঁজে
শব্দরা সব পালায় যেন দূরে বড়ো লাজে।

উপসংহার
মুরশিদে বরহক্ব ছাহেব কিবলাহ ফুলতলী রাহ., যার সমস্ত জীবন ইসলামের মহান খেদমতে উৎসর্গ করেছেন, লক্ষ কোটি মানুষের অন্তরে যিনি একজন মুকুটহীন সম্রাট হিসাবে আসন গড়েছেন তাঁর আপন কাজে-কর্মে। এই মহামনীষীর পারিবারিক, সামাজিক, আধ্যাত্মিক জীবনের যে কোন দিক এই স্বল্প পরিসরে আলোচনা করা বা যথাযথ মূল্যায়ন করা দুরূহ!
আল্লাহ এই মহান ওলীর নজরে করম নসিব করুন এবং তাঁর প্রদর্শিত পথে আমাদের চলার তাওফিক দান করুন।

তথ্যসুত্র
(১) আল্লামা ফুলতলী ছাহেব কিবলাহ রহ. স্মারক ২০১৪
(২) মাওলানা সালমান আহমদ চৌধুরী ফুলতলী
(৩) রেদওয়ান আহমদ চৌধুরী ফুলতলী

Comments

comments

About

Check Also

নালায়ে কলন্দর : পূত হৃদয়ের নান্দনিক ছন্দবদ্ধ অভিব্যক্তি

মাহবুবুর রহীম আল্লামা ফুলতলী ছাহেব কিবলাহ (র.) রচিত উর্দুভাষার কাব্যগ্রন্থ ‘নালায়ে কলন্দর’। ‘কলন্দর’ হচ্ছে কাব্য …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *