কামিয়াবি

-হুজুর, বাবার সাথে কখন দেখা করতে পারব?
-আরে মিয়া, আপনেরা এতো অধৈর্য ক্যান? বাবার লগে দেখা করতে আইছেন অথচ টাইম নাই!! কতক্ষণ পরপর জিগান, কখন বাবার লগে দেখা হইব!
-রাগ করিয়েন না হুজুর। বুঝতেই তো পারছেন আমাদের মনের অবস্থা।
-মিয়া, এখানে যতো লোক আসে সবাই সমস্যা নিয়াই আসে। গরীব, ধনী সবার ভরসার এই একটাই জায়গা।
জামিল সৌজন্যতা বজায় রেখে সমস্যাটা তুলে ধরার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু না, ফলাফল শুন্য।
-আরে মিয়া, বাবায় যদি একবার গোস্বা হয় তো সব শেষ। আপনেগো ভালোর জন্যই তো কইতাছি।
শেহবাজ আর সহ্য করতে পারলো না। ঝড়ের বেগে বেরিয়ে গেলো। এমনিতেই ও এসব পছন্দ করে না। ভণ্ডদের ভণ্ডামীতে তার বিশ্বাসেও চির ধরেছে। পাশের বাসার জামিল ভাইয়ের পীড়াপীড়িতে শেষ অবধি এই রুমালী বাবার দরবারে।
-আরে শেহবাজ ভাই, কোথায় চললেন?
-ভাই, কাজ আছে। অবণীর জন্য ওষুধ কিনতে হবে।
শেহবাজ হাঁটছে। জামিল তার পিছু পিছু।
খাদেম চেঁচিয়ে বলল, ‘আসতাগফিরুল্লাহ, নাউজুবিল্লাহ! ইয়া আল্লাহ, ইয়া আল্লাহ! বাবায় গোস্বা হইছে! সব শেষ, সব শেষ! তোগো কোন রাস্তা হইব না, বাবায় গোস্বা হইছে।
কথাগুলো কানে আসলেও শেহবাজের মনে বিন্দুমাত্র প্রভাব ফেলছে না। কিন্তু জামিল পেছন ফিরে দৌঁড়ে গেলো।
-হুজুর, বিপদে আছে তো। মন মানসিকতা ভালো না। আমি বুঝায় শুনায় আবার নিয়া আসবো নে।
-লাভ নাই, লাভ নাই। বাবায় গোস্বা হইছে। বাবায় যার ওপ্রে একবার গোস্বা হয়, তার সাতপুরুষ পর্যন্ত ছারখার হইয়া যায়!
ততক্ষণে শেহবাজ দরগাহের বাইরে রাখা স্যান্ডেলগুলো পরে নিয়েছে। জামিলও এসে যোগ দিলো।
শেষের কথাটা ধড়াক করে শেহবাজের বুকে শিলের মতো বিঁধল।
‘সত্যিই তো! যদি খারাপ কিছু হয়ে যায়! না না। কি সব উল্টাপাল্টা ভাবছি!’
হাঁটতে হাঁটতে বাজারের সবচেয়ে বড় ওষুধের দোকানে ঢুকল দুজন।
-আরে ভাই, আপনাদের এতো বড় দোকান, আর সব ধরণের ওষুধ রাখতে পারেন না! দোকান কেন রাখছেন?
-ভাই, ছিল, শেষ হয়ে গেছে। আপনি নামগুলো একটু বলেন, কালকেই এনে দিচ্ছি।
-নাম দিয়ে কি হবে? দরকারের সময় যদি কাস্টমারকে সাপ্লাই না দিতে পারেন তো আর দোকান খুলে বসছেন কেন? যত্তোসব!!
দোকানের কর্মচারী-মালিক সবাই হা হয়ে তাকিয়ে রইলো। শেহবাজের সাথে তাদের পরিচয় বছর দেড়েকের। এই সময়টুকু ধরে সবাই ওকে অত্যন্ত ভদ্র ও মার্জিত একজন লোক হিসেবেই চেনে। সবসময় সবার সাথে হাসিমুখে কথা বলা, অন্যকে হাসিখুশি রাখার প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা, এসব ওর চিরাচরিত স্বভাব। দেখা হলেই দোকানের মালিক থেকে নিয়ে কর্মচারী পর্যন্ত সবার কুশলাদি জিজ্ঞেস না করে কখনো ওষুধের নাম পর্যন্ত বলতে শোনা যায় নি। কিন্তু আজ এ কি দেখলো ওরা!
রাগে দুঃখে শেহবাজ বেরিয়ে গেলো দোকান থেকে। জামিল দুপা অগ্রসর হয়ে বলল, ‘ভাই, কিছু মনে করবেন না। বুঝেনই তো, ভাবীর এই অবস্থা! কোন স্বামীর কি মাথা ঠিক থাকে!’
শেহবাজ রাস্তার ফুটপাথ ধরে হাঁটছে। আরো তিনটা ওষুধের দোকান আছে এই বাজারে। কোন দোকানেই ওষুধগুলো মিলল না। মেলার কথাও না। ব্রেন টিউমারের রোগীর ওষুধ যে কোন বাজারে রাত দুপুরে তো দূরের কথা দিনদুপুরেও পাওয়ার আশা করাটা অযৌক্তিক।
-এই মামা যাবেন?
মাঝবয়সী এক রিকশাচালক সায় দিয়ে কাছে আসে। ভাঙা মন আর চরম অস্থিরতা নিয়ে রিকশায় উঠে বসে থাকে শেহবাজ। জামিলও সাথেই। ২ মিনিট কোন কথা নেই মুখে। রিকশাওয়ালা গন্তব্য জানবার পরিপূর্ণ আগ্রহ নিয়ে একবার জামিলের একবার শেহবাজের চেহারার দিকে জিজ্ঞাসুনেত্রে তাকায়।
জামিলের হালকা ধাক্কায় সম্বিত ফিরে আসে শেহবাজের।
-ভাই কি বাসায় চলে যাবেন?
-হুম।
-ভাই কি পথে কিছু খেয়ে নেবেন।
-হুম।
আসলে জামিলের নিজেরই ভীষণ ক্ষুধা লেগেছে। কিন্তু সেটা আপাতত বলা যাচ্ছে না। নিজের ক্ষুধা লাগার ব্যাপারটা নাকি সবসময় সবখানে বলতে নেই। এতে সমাজে নিজের মান কমে যায়। এটা সুমি বলেছে। সুমি জামিলের স্ত্রী যাকে সে পৃথিবীর সবচেয়ে বুদ্ধিমতী মেয়ে বলে মনে করে।
-মামা রাখেন রাখেন। হ্যাঁ হ্যাঁ এখানেই। শেহবাজ ভাই নামেন।
-কোথায় নামব?
-এই তো ভাই, কিছু খাবেন বলছিলেন না!
-কই না তো। আমি তো বাসায় যাবো। দেরি হয়ে যাচ্ছে।
জামিলের সত্যি প্রচন্ড ক্ষুধা লেগেছে। সেই বিকেলে বেরিয়ে পাঁচ ঘণ্টা ধরে রুমালী বাবার দরবারে অপেক্ষা করতে করতে টায়ার্ড। এর মধ্যে খাওয়া নাই দাওয়া নাই। মানুষের লাইন আর লাইন। মনে হচ্ছিল, পিপীলিকার দল বুঝি কোন মিষ্টি মণ্ডার সন্ধান পেয়েছে। লম্বা লাইন পেরিয়ে যখন প্রায় সামনের দিকে তখনই শেহবাজ বেরিয়ে এলো।
‘ইশ, আরেকটু অপেক্ষা করলেই দেখা হয়ে যেতো। -মনে মনে বড্ড আফসোস হয় জামিলের। কিন্তু সে নিজেও তো একজন স্বামী। সেই জায়গা থেকে শেহবাজের কষ্টটা সে খুব ভালো করে উপলব্ধি করতে পারে।
কলিংবেল বাজছে প্রায় তিন মিনিট ধরে। দরজা এখনো খোলে নি। ঠিক পাঁচ মিনিট সতেরো সেকেন্ড পর খট করে দরজা খোলার আওয়াজ হল।
-কে আপনি?
হেসে দিলো শেহবাজ।
-আমি এ ঘরের মালকিনের একজন খাস ভক্ত। তার সাথে একটু দেখা করতে চাই।
-দেখা হবে না। উনি রাত এগারোটার পরে কারো সাথে দেখা করেন না। এখন বারোটা বেজে ছত্রিশ মিনিট। অনেক দেরি। আপনি এখন আসতে পারেন।
মুখে স্বভাবচরিত মিষ্টি হাসি নিয়ে একনাগাড়ে কথাগুলো বলে যায় অবণী।
-এই ঝড় বাদলের রাতে আপনাদের সরাইখানায় যদি একটু ঠাঁই দিতেন, খুব উপকার হতো। আমি মুসাফির মানুষ এই এলাকায় নতুন এসেছি তো।
এবার দুজনেই হেসে দেয়। দরজাটা খুলে যায়। হাত ধরে হাসতে হাসতে দুজনই ভেতরের ঘরে চলে যায়।
অবণী এখন ঘুমাচ্ছে। শেহবাজের চোখে ঘুম নেই। অপলক চেয়ে আছে মায়াভরা মুখটার দিকে। হ্যাংলা, ফর্সা, প্রভাবদীপ্ত চেহারার বয়েস আটাশের এই মেয়েটির সাথে শেহবাজের প্রায় সাত বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়েছিল। এ পর্যন্ত ঘর আলো করে কোন সন্তান না এলেও ওদের ছোট্ট সংসারে নির্মল আলোবাতাসের সংকীর্ণতা নেই। অফুরন্ত আলো আশায় বুক ভরা ভালোবাসায় সুখেই দিন কেটে যাচ্ছিলো। হঠাৎ কোত্থেকে যেন এক কালবৈশাখী ঝড় এসে ওদের জীবনটাকে লণ্ডভণ্ড করে দিয়ে গেলো।
‘আচ্ছা, দেখে কি বোঝার কোন উপায় আছে যে এই মেয়েটা তার ভেতরে এতো বড় একটা ভয়ংকর মরণ ব্যাধি বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে! আহ্, কতো নিষ্পাপ এই মুখ…..আচ্ছা, নিষ্পাপ মুখগুলোকে কেন এই নিষ্ঠুর পৃথিবীটা ভালোবাসতে পারে না?’-শেহবাজ ভাবনার সাগরে হাবুডুবু খেতে থাকে।
ডাক্তারের ভাষ্যে আর হয়ত পনেরোটা দিন এই মেয়েটা এই পৃথিবীর আলোবাতাস নিতে পারবে। একথা কিছুতেই যেন বিশ্বাস হয় না শেহবাজের।
‘কীভাবে, কীভাবে আমি থাকব তোমায় ছাড়া? মৃত্যুদানবটার কি একটুও মায়া হবে না এই মায়াবী মুখটা দেখে?’-কতশত আশংকা আর ভাবনার দোলাচলে দোল খেতে খেতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়ে সে, সে নিজেও জানে না।
ভোর পাঁচটা। কলিংবেল বাজছে তো বাজছেই।
-উফফফ।
চোখ ঘষতে ঘষতে দরজা খুলতেই দেখে জামিল দাঁড়িয়ে।
-কী রে ভাই, এতো ভোরে!!
-ভাই চলেন। ভোরে ভোরে গেলে লাইন ছোট পাবেন।
-ধুর ভাই, আর যাবো না আমি। যতসব ভন্ডের দল!
-না ভাই, মানলাম আপনে বিশ্বাস করেন না। কিন্তু চেষ্টা করতে ক্ষতি কি! কত চেষ্টাই তো করলেন। শেষ চেষ্টা বলে একটা কথা আছে না। লেগে গেলে যেতেও তো পারে।
জামিলের এই কথাটা একটু হলেও নাড়া দেয় শেহবাজের মস্তিষ্কের তরঙ্গে।
‘তাই তো। চেষ্টা করতে দোষ কোথায়? লেগে গেলে যেতেও তো পারে, ঠিক লটারির মতো।’
মানুষ যখন বড় কোন সমস্যায় পতিত হয়, তখন তার বিশ্বাসের ভিত্তিটাও নড়বড়ে হয়ে যায়। তখন সে বাস্তবতার বাইরে গিয়েও অলীক কল্পনার মাঝে আশা হাতড়ে বেড়ায়, ভরসা খুঁজে বেড়ায়।
-কী নাম?
-শেহবাজ।
মাঝারি সাইজের একটা কক্ষের ঠিক মাঝখানে একটা মাজার। এটাই রুমালী বাবার কবর হিসেবে প্রসিদ্ধ। তবে কে বা কারা এই বাবাকে এখানে কবর দিয়েছিল, সে ব্যাপারে লোকমুখে নানা রকম কথা শোনা যায়। লাল মখমলের কাপড় দিয়ে মোড়ানো মাজারে যেই আসে সেই আগে একটা সেজদা করে বসে। শেহবাজ খুব অবাক হয়। কিন্তু কিছু বলে না। সবজায়গা সব কথা বলার উপযুক্ত স্থান নয়। এখানেও অবস্থা সেরকম।
মাজারের দুইপ্রান্তে দুইজন খাদেম ইয়া বড় বড় হাতপাখা নিয়ে মাজারকে বাতাস করে যাচ্ছে। মৃত মানুষের আবার বাতাসের প্রয়োজন হয়! সব অসাড় লাগে শেহবাজের কাছে। ওদের দাবীতে বাবা জীবিত। বাবা সব দেখেন। বাবা খুশি হলে আল্লাহ খুশি। আর বাবা গোস্বা হলে সব শেষ। বাবা কারো প্রতি সন্তুষ্ট হলেন কিনা এটা কেবল শাহ সুফী তামনিয়ানী জালালিই বলতে পারেন।
এই তামনিয়ানী রুমালী বাবার খাস শিষ্য হিসেবে প্রসিদ্ধ। ধবধবে সাদা জুব্বা, ইয়া লম্বা দাঁড়ি, হাতে তসবিহ নিয়ে চোখ বন্ধ করে বসে আছেন বাবা জালালি। কিছুক্ষণ পরপর কাঁপ দিয়ে লাফ দিয়ে এমনভাবে আল্লাহু আকবার বলে ওঠেন যে, যে কোন সরলমানা মানুষই এতে প্রভাবিত না হয়ে উপায় নেই। শেহবাজ অবশ্য সে গোত্রের কেউ নয়।
দুই আঙ্গুলের ইশারায় বড় খাদেমকে কাছে ডাকেন বাবা জালালি। বাবার কানের কাছে মুখ লাগিয়ে বিড়বিড় করে কি সব বলে খাদেম। তারপর দুজন স্বাভাবিক অবস্থানে আবার। ইশারা দিতেই অন্য একজন খাদেম বোতলভর্তি পানি নিয়ে এলো। বাবা জালালি তার কোলের ওপর থাকা লাল রুমালটা নেড়েঝেড়ে কি কি পড়ে পানিতে বার তিনেক জোরে জোরে ফুঁ দিলেন। এবার বড় খাদেমকে ইশারা দিতেই বড় খাদেম অন্য এক খাদেমকে ইশারা করলো। সাথে সাথে বড় একটা তাবিজের ডালা বাবা জালালির সামনে। সেখানে কম করে হলেও পাঁচ থেকে ছ’শ তাবিজ দেখা যাচ্ছে।
বাবা জালালি চোখ বন্ধ করে দুই আঙুল দিয়ে সামনে ধরে রাখা ডালা থেকে একটা তাবিজ উঠিয়ে বড় খাদেমের হাতে দিলেন। খাদেম কানের কাছে এসে বলল, “বাবার কদম মোবারকে সেজদা কইরা বাবার দিকে মুখ কইরা বাহির হইয়া আসেন। খবরদার, উলটা ঘুইরা আসবেন না। বেয়াদবি হইব। ”
শেহবাজের মনে খটকা। কিন্তু মুখে কিছু বলতে পারছে না। জামিল আর শেহবাজ ওভাবেই বেরিয়ে এলো। জামিল সেজদা করলেও শেহবাজ করলো না। খাদেম শেহবাজকে বেশ অবাক করে দিয়ে ওর কাছে দশ হাজার টাকা দাবি করে বসলো। অবাক চোখে জামিলের দিকে তাকায় শেহবাজ।
‘হুজুর, হাদিয়াটা একটু কমানো যায় কিনা যদি দেখতেন। আমাদের কাছে তো এতো টাকা নেই’, জামিলের নরম আবদার।
-শোনেন মিয়া, বাবা বড় উদার মনের মানুষ। নিজের জন্য কোন হাদিয়া নেন না। এইটা তাবীজের জন্য।
-তাই বলে এতো টাকা!!
শেহবাজের কণ্ঠে বিস্ময়।
-তাড়াতাড়ি বাহির করেন। অন্য রোগী আছে। আমার টাইম নাই।
শেহবাজ আর কথা বাড়ায় না। পরিবেশটা অসহ্য লাগছে ওর কাছে। টাকাগুলো দিয়ে হনহন করে হাঁটতে থাকে। তাবীজ, পানি কোন কিছুর খবর নাই। জামিল সেগুলো সংগ্রহ করে শেহবাজকে গিয়ে রাস্তায় ধরে।
-তুমি এসব কেন এনেছো, শেহবাজ?
-না মানে জামিল ভাই…..
-আমি জানি, সত্যিকারের ওলীরা কখনো সাধু-সন্নাসীর বেশ ধরেন না। ওইসব ভণ্ডদের প্রতারণার ফাঁদে পা দিচ্ছি আমরা। যাক, আমার ভালোর ফয়সালা করার জন্য উপরওয়ালাই যথেষ্ট।
-তবুও, নিয়েই যখন এসেছি ব্যবহার করে দেখো না। আমি এখনো আশায় আছি। দেখো, তুমি ঠিকঠিক ভালো হয়ে যাবে।
শেহবাজ অবণী দুজনই খুব ভালো করে জানে কথাগুলো মিথ্যে। অবণী চোখের কান্না লুকাতে উঠে ছাদে চলে যায়। বাইরে রিমঝিম বৃষ্টি হচ্ছে। সেই বৃষ্টিতে তার চোখের পানি একাকার হয়ে যায়।
এই বৃষ্টির মধ্যেও স্পষ্ট শোনা যাচ্ছে, ‘আগামী ২০ই মে পবিত্র রুমালী বাবার দরবারে ঔরস শরীফ’। এই ঔরসে অংশগ্রহণ করে দোজাহানের কামিয়াবি হাসিল করুন।’
‘কামিয়াবির সত্যিকারের সংজ্ঞা কি?’, শেহবাজ ভাবতে থাকে, অবচেতনমনে।

Comments

comments

About

Check Also

বিদায়বেলা

জামুরাইল হাই স্কুলের বাংলা শিক্ষক ইমরান হোসেন। প্রতিদিন সকাল ৯ টায় স্কুলে আসেন। যথারীতি তিনি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *