যুগের বিস্ময় আল্লামা সাঈদ নুরসী (র.)

আল্লামা বাদিউজ্জামান সাঈদ নূরসী রহ. যাকে “ড়িহফবৎ ড়ভ ঃযব ধমব” বা যুগের বিস্ময় বলা হয় তিনি ছিলেন বর্তমান তুরস্ক ইসলামী জাগরণের পুরোধা! বর্তমান সময়ের ইসলামী বিশ্বের অন্যতম নেতা প্রেসিডেন্ট রেসেপ তাইয়্যিব এরদোগান হলেন তাঁরই ভাব শিষ্য । ঊনবিংশ শতাব্দীর অন্যতম আলিমে দ্বীন, তাসাউফের উচু মার্গের এক শাইখ আল্লামা সাঈদ নুরসী (র.) ওসমানী শাসনামলে তুরস্কের বিতলিস বিলায়েত প্রদেশের নুরস শহরে ‘১৮৭৭ সাল ১২৯৮ হিজরীতে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন এবং ১৯৬০ সালের ২৩শে মার্চ ২৫শে রামাদ্বান ১৩৭৯ হিজরীতে ইন্তেকাল করেন)। তার পিতার নাম ছিল সুফী মির্জা যিনি ছিলেন আধ্যাত্মিক জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র এবং মহিয়সী মায়ের নাম ছিল নুরী হানিম। সুফী মির্জা রহ . ছিলেন সেই সময়ের গাউস সিবগাতুল্লাহ এফেন্দি রহ. এর খলিফা (শিষ্য)। সিবগাতুল্লাহ এফেন্দি রহ. যুগের বিস্ময় আল্লামা বাদিউজ্জামান সাঈদ নূরসী রহ. সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করতে গিয়ে বলেছিলেন ‘আমার শিষ্য সুফী মির্জার ঔরসে এমন একজন সন্তান জন্ম গ্রহণ করবে যে একাই একশো আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্বের সমকক্ষ হবে’। অন্য একটি প্রসিদ্ধ ঘটনায় সেই সময়ের অন্যতম একজন ওলী ওসমান হালিদীর ভবিষ্যদ্বাণী থেকে জানা যায় যে তিনি আল্লামা বাদিউজ্জামান সাঈদ নূরসী রহ. সম্পর্কে তার সন্তান এবং মুরিদানদের বলেছিলেন ‘যুগের মুজাদ্দিদ জন্মগ্রহণ করেছেন এবং আজ থেকে আটচল্লিশ বছর পর পশ্চিম তুরস্কের ইসপার্টা শহরে আসবেন। আমার চার সন্তানের কোন একজন তাঁর সাথে সাক্ষাত করে তাঁর হাত চুম্বন করবে’ সুবহানাল্লাহ আটচল্লিশ বছর পরে তা-ই ঘটেছিল!!
আল্লামা বাদিউজ্জামান সাঈদ নূরসী র. ছিলেন প্রখর মেধার অধিকারী! প্রথমে তিনি মা বাবার কাছেই শিক্ষা লাভ করেন, পরবর্তীতে বিতলিস এর থাঘ নামক গ্রামের মোল্লা মাহমুদ আমীন এর কাছে শিক্ষা গ্রহণ করতে গিয়ে কিছুদিনের মধ্যেই ফিরে আসেন এবং নিজ বাড়িতেই তার বড় ভাই মোল্লা আব্দুল্লাহের কাছে সপ্তাহে একদিন জ্ঞান অর্জন করতে থাকেন। কিছুদিন পর জ্ঞান পিপাসু সাঈদ নুরসী অধিক জ্ঞান অর্জনের লক্ষ্যে পিরমিস প্রদেশের হিযান শেখ মালভূমিতে শেখ সাইয়্যিদ নুর মোহাম্মদ এর কাছে হাজির হন। কিন্তু সেখানের শিক্ষা এবং শিক্ষা পদ্ধতি যেন তার জ্ঞানের তৃষ্ণাকে মেটাতে পারছিলনা । কিশোর সাঈদ এক রাতে স্বপ্নে দেখলেন সমস্ত জ্ঞানের ভাণ্ডার নবী মোহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে! কদম জড়িয়ে ধরে বললেন ইয়া রাসুলুল্লাহ আমার জ্ঞানের তৃষ্ণা মিটিয়ে দিন! রাসুলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে সাঈদ নুরসী রহ. এর অন্তরে জ্ঞানের প্রদীপ জ্বালিয়ে দিলেন। সেই মুহুর্ত থেকে কিশোর সাঈদের জ্ঞানের প্রখরতা এতোই বেড়ে গিয়েছিল যে কোন কিতাব পাঠ করার সাথে সাথেই কণ্ঠস্থ হয়ে যেতো। সেই প্রখরতা দিয়েই সৃষ্টি করেন বিখ্যাত তাফসির গ্রন্থ “রিসালা-ই- নূর”। রিসালা-ই- নূর” বিশ্বব্যাপি ইসলামি পুনর্জাগরণবাদী মর্দে মুজাহিদদের নিকট এক নামে পরিচিত। বাংলাদেশের জ্ঞানপিপাসুদের নিকট গ্রন্থটি খুব বেশি পরিচিত না হলেও বিশ্বের অধিকাংশ জ্ঞানপিপাসুদের নিকট গ্রন্থটি নুরের একটি খনি বিশেষ। তবে হ্যা একটু দেরীতে হলেও আল্লামা সাঈদ নুরসী এবং তার “রিসালা-ই-নূর” বাংলা ভাষাভাষীদের নিকট পরিচিতি লাভ করেছে। এক্ষেত্রে মূহাম্মদ কামরুজ্জামান লিখিত বদিউজ্জামান সাঈদ নুরসীর জীবনীগ্রন্থ উল্লেখযোগ্য দলিল, (যদিও তিনি আল্লামা বাদিউজ্জামান সাঈদ নূরসী রহ. এর আধ্যাত্মিকতার ব্যপারে তেমন কিছু তথ্য উপস্থাপন করেননি)। এ, জেড, এম শামসুল আলম রচিত তুর্কী দরবেশ সাঈদ নুরসী র. বইয়ে আল্লামা বদিউজ্জামান সাঈদ নুরসীর সুফী দর্শন আলোচনা হলেও সেটা খুবই সংক্ষিপ্ত। বইটিতে তার তাসাউফের জিবনীর আলোচনা পরিপূর্ণতা পায়নি। মাওলানা একে এম নাজির রচিত “যুগে যুগে ইসলামি জাগরণ” এবং মাওলানা আব্দুস শহীদ নাসিম লিখিত “ইসলামি আন্দোলনের তিন পথিকৃত” বইয়ে বদিউজ্জামান সাঈদ নুরসীর জীবনী আলোচিত হলেও “রিসালা-ই-নূর”-এর বিষয়গত এবং গঠনগত দিকটি অনেকটা উপেক্ষিত হয়েছে।

‘রিসালা-ই-নূর’ সংকলনের পটভূমি:
বদিউজ্জামান সাঈদ নুরসী ১৯১৪ সালে ১ম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে এক মিলিশিয়া বাহিনী গঠন করে যুদ্ধ শুরু করেন এবং শত্র“বাহিনীর হাতে বন্দী হয়ে সেভিয়েত ইউনিয়নের (রাশিয়ার) কাছে দু’বছর বন্দী ছিলেন। সেখান থেকে লুকিয়ে তুরস্কে আসেন এবং বিরোচিত সম্বর্ধনায় সংবর্ধিত হন। পরবর্তীতে মুসলমানদের পুনর্জাগরণবাদি আন্দোলনে কাজ করায় তাকে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময় বন্দী হয়ে নির্বাসনে কাটাতে হয়। নির্বাসন জীবনের ধারাবাহিকতায় ১৯২৬ সালে তাঁকে বারলা নামক এক ছোট্ট গ্রামে নির্বাসিত করা হয়। সেখানে তিনি প্রায় আট বছর নির্বাসিত ছিলেন । সেখানে অবস্থানকালেই “রিসালা-ই-নূর” এর মূল অংশের রচনার কাজ শুরু করেন।

রিসালা-ই-নূর পরিচিতি:
রিসালা-ই-নুর লিখবার মুল উদ্দেশ্য হল:
ঞযব ঢ়ৎরসধৎু ঢ়ঁৎঢ়ড়ংব ড়ভ ঃযব জরংধষব-র ঘঁৎ রং ঃড় নৎরহম ধনড়ঁঃ ধ ৎবষরমরড়ঁং ৎবারাধষ রহ ঞঁৎশবু. (তুরস্কে ধর্মীয় জাগরণ ফিরিয়ে আনা)।
“রিসালা-ই-নূর” নামটি সাঈদ বদিউজ্জামান নুরসী (র.) নিজেই পছন্দ করেছেন। এ নামটি পছন্দ করার পিছনে উল্লেখযোগ্য কারণ হচ্ছে-উনার জন্ম নূর গ্রামে, প্রিয়তমা মায়ের নাম ছিল নুরিয়া, তাঁর সম্মানিত শাইখের নাম ছিল নুরি, ছাত্রদের মধ্যে যারা তাঁকে অনেক বেশি শ্রদ্ধা করত ও ভালবাসত তাদের কয়েক জনের নাম ছিল নুর ইত্যাদি।
“রিসালা-ই-নূর” শব্দ মূলত আরবী শব্দ। এর প্রকৃত নাম হচ্ছে (রিসালা-ই-নূর কুল্লিয়াতি) আর ইংরেজী হচ্ছে ঞৎবধঃরংব ড়ভ খরমযঃ। বাংলা অর্থ হবে ‘আলোকিত নিবন্ধসমূহ, ‘আলোর পংক্তিমালা’ বা ‘পথনির্দেশক আলো’। কিতাবটি মূলত আরবী এবং ড়ঃঃড়সধহ ঃঁৎশরংয ভাষায় লিখিত। এটি ১০ খণ্ডের এক সংকলন (সোজলার পাবলিকেশন)। “রিসালা-ই-নূর” প্রায় ৬০০০ হাজারের অধিক পৃষ্ঠা সম্বলিত একটি সংকলন (তাফসীর)। এ পর্যন্ত কিতাবটি বিশ্বের প্রায় ৫২টি ভাষায় অনুদিত হয়েছে। ইংরেজী ভাষায় রয়েছে এর একাধিক অনুবাদ সংকলন। অন্যতম দুটি ইংরেজি অনুবাদ সংকলনের ১টি হচ্ছে আলী উনাল (অষর ন্ধহধষ) এবং অন্যটি হচ্ছে শুকরান ভাহিদী (ঝঁশৎধহ ঠধযরফব) এর । তবে ইংরেজি সংকলনে “রিসালা-ই-নূর” এর সবটুকু অনুদিত হয়নি। কিছু কিছু অংশ বাদ রেখে মূল বিষয়গুলো অনুদিত হয়েছে।
“রিসালা-ই- নূর” মূলত ১৯১০ থেকে শুরু করে ১৯৫০ সাল পর্যন্ত সময়ের মধ্যে রচিত। (যদিও মূল অংশের রচনার কাজ শুরু করেন ১৯২৬ সালে)।
“রিসালা-ই-নূর” অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় গ্রন্থ যা লেখকের নিজ হাতে সরাসরি রচিত নয়, পুরোটাই শ্র“তিলিখন! তিনি তার ছাত্রদের হুকুম করতেন এবং তাঁরা তা শুনে শুনে লিখতেন। পরে লিখিত কপি তিনি নিজ হাতে সংশোধন করে দিতেন।
সে সময় বই প্রকাশের উন্নত সিস্টেম ছিলনা তাই হাতে লিখিত কপিগুলো পড়ার জন্য বাইরে চালান করা হতো। বাইরে সাঈদ নুরসী র.’র শত শত অনুসারীরা এগুলো কপি করে অন্যদের নিকট প্রচার করতেন। এ ধরনের হাজার হাজার ছাত্র তৈরি হয়ে গিয়েছিল। বিশেষ করে ইসপার্টা অঞ্চলে ঘরে ঘরে রিসালায়ে নূরের কপি তৈরি হতো। তাহার অনেক ছাত্র এ সময় সাত-আট বছর বাড়ির বাইরে কোথাও যেতেন না। তারা শুধু রিসালা-ই নূরের কপি তৈরি করতেন। সাউ নামক একটি গ্রাম ‘নূর স্কুল’ বলে পরিচিতি লাভ করেছিল। বছরের পর বছর এভাবে রিসালায়ে নূরের কপি হাতে লিখে প্রচার হতে থাকে। বলা হয়ে থাকে, “রিসালা-ই-নূর” এর কপির সংখ্যা প্রায় ৬ লাখে পৌছেছিল। এদিক দিয়ে এটি যুগের এক বিস্ময়ও বটে। ১৯৪৬ সালে আল্লামা সাঈদ নুরসীর (র.) ছাত্রদের নিকট প্রথম কপি করার মেশিন আসে এবং ১৯৫৭ সালে প্রথম এর প্রিন্টিং কপি বাজারে আসে।
বিংশ শতাব্দীর শুরুতে যখন এই বই লিখা শুরু করেন তখন তুরস্কের মুসলমানদের প্রধান সমস্যা মৌলিক বিশ্বাস বা ঈমানের উপর আঘাত। ১৯২৪ সালে খিলাফাত ব্যবস্থা ভেঙে ফেলার পর সেখানে আরবী বর্ণমালার পরিবর্তে ল্যাটিন বর্ণমালা চালু করা হয়, আরবীতে আযান দেয়া বন্ধ করে দেয়া হয়, কুরআন আরবীর পরিবর্তে ল্যাটিন হরফে লিখার ব্যবস্থা করা হয়, সকল শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে ইসলামি শিক্ষার ব্যবস্থা বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
অন্যদিকে পার্শ্ববর্তী ইউরোপে শুরু হওয়া এনলাইটেনমেন্ট আন্দোলনের যে সেকিউলার দর্শন তা মুসলিম বিশ্বে সম্প্রসারিত হয় এবং তাওহীদ, একত্ববাদ ও রিসালতের বিরুদ্ধে নাস্তিকতাবাদকে ব্যাপক ভাবে উস্কে দেয়। মুসলিম বিশ্ব অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিকভাবে এক বিধ্বংসীকর অবস্থায় নিপতীত হয়। মুসলিম বিশ্বে ইসলাম উপেক্ষিত হতে শুরু করে। ইসলাম ধর্ম পালন না করা তরুণ সমাজের মধ্যে এক ধরণের ফ্যাশন হিসাবে দেখা দেয়।
আল্লামা নুরসী (র.) দর্শন ছিল, সরকারের সাথে ক্ষমতার সংঘর্ষে না গিয়ে মানুষের চিন্তা চেতনার পরিশুদ্ধি আবশ্যক। প্রয়োজন ইসলামি দর্শনের মৌলিক বিশ্বাস ও নীতিমালার প্রচার-প্রসার এবং আলোচনা। মুসলমানদের নিকট ইসলামের মৌলিক বিশ্বাসের যে আবেদন তা তুলে ধরতে পারলেই অন্য সব কিছু ধীরে ধীরে এবং ক্রমান্বয়ে মোকাবিলা করা সম্ভব হবে। তাই তিনি কৌশলগত কারণেই দ্বীন প্রচারের এই মাধ্যমকে বেছে নিয়েছিলেন, যা ছিল সময়ের দাবি। তাঁর এ কৌশল যে তুরস্কের প্রেক্ষিতে যথোপযুক্ত ছিল তুরস্কের পরবর্তী অবস্থাই কিন্তু তার স্বাক্ষ্য দিচ্ছে।

‘রিসাল-ই-নূর’ কি একটি তাফসীর গ্রন্থ?
‘রিসালা-ই-নূর’ কি শুধু একটি তাফসীর গ্রন্থ নাকি অন্য কিছু? এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা সমালোচনা এবং বিতর্ক চলছে । কেউ বলেন তাফসীর কেউ বলেন তাফসীর নয়, আবার কেউ বলেন এটি কালাম শাস্ত্র কিংবা সুফিবাদের উপর লিখিত একটি অনন্য গ্রন্থ। তবে তাফসীর, কালাম শাস্ত্র কিংবা সুফিবাদের উপর লিখিত কিতাব যাই হোক না কেন, সবাই একমত যে এর রচনাশৈলী এবং লিখন পদ্ধতি অবশ্যই অদ্বিতীয় (টহরয়ঁব) এবং ঙৎরবহঃধষরংঃ কিংবা ঙপপরফবহঃধষরংঃ লিখকের মত নয়। তাই বিশ্লেষেকদের কেউ কেউ এ বইটি এবং এর লেখক আল্লামা সাঈদ নুরসী (র.) কে “বেদি” (ইবফর- তুর্কি ভাষায়) উপাধিতে আখ্যায়িত করেছেন। কারণ বেদি শব্দের অর্থ হচ্ছে- এমন ‘লেখক’ বা ‘লেখনী’ যা তার নিজস্ব বৈশিষ্ট্যে মৌলিক এবং উজ্জ্বল । এটি কোন অন্ধ অনুকরণ বা আদর্শ ছাড়াই উদ্ভাবিত এবং এটি গতানুগতিক পুরানো কোন কিছুর অনুসৃত নয়। “রিসালা-ই-নূর” তাফসীর হলেও প্রচলিত তাফসীর গ্রন্থের মত তাফসীর নয় বরং এটি শব্দার্থগত অভিগমনের (ঝবসধহঃরপ ধঢ়ঢ়ৎড়ধপয) এ লিখিত একটি বিষয়ভিত্তিক তাফসীর। লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো, “রিসালা-ই-নূর” এর লেখক সাঈদ নুরসী র. স্বয়ং এর প্রবন্ধগুলোকে সময়ের মুজাদ্দিদ হিসাবে উল্লেখ করেছেন। তাঁর মতে (পেন ম্যাগাজিনের উদ্ধৃতি)-
ওসধস ইবফরুুঁধসধহ ঝধরফ ঘঁৎংর ফবভরহবং ঃযব ঘঁৎ ঃৎবধঃরংবং সড়ংঃষু ধং ‘ঃযব সঁলধফফরফ (ৎবংঃড়ৎবৎ) ড়ভ ঃযরং ধমব’; ‘ধ ংবসধহঃরপ র.বৎঢ়ৎবঃধঃরড়হ ধহফ পড়সসবহঃধৎু ড়ভ ঃযব ছঁৎ’ধহ’, ংড়সবঃরসবং ধং ‘ধ শধষধস ফরংপরঢ়ষরহব’, ধহফ ংড়সবঃরসবং ‘ধ ঢ়ধঃয যিরপয ঃধশবং ঃযব সধহ ভৎড়স ঃযব বীঃবৎহধষ ড়িৎষফ ঃড় ঃযব র.বৎহধষ ৎবধষস’ ষরশব ঝঁভরংস

বাংলা ভাষায় ’রিসালা-নূর :
বাংলা ভাষায় এ পর্যন্ত ‘রিসালা-ই-নূর’ এর কমপ্লিট (পুরো) অনুবাদ বা সংকলন প্রকাশিত হয়নি। তবে ইঞ্জিনিয়ার জনাব সালাহ উদ্দীনসহ আরো কয়েকজন ‘রিসালা-ই-নূর’ বাংলায় অনুবাদের কাজ করছেন এবং এগুলো বিষয়ভিত্তিক ভাবে পুস্তিকা আকারে প্রকাশের চেষ্টা করছেন। তাঁর ভাষ্য মতে, এ পর্যন্ত প্রায় ৭০০-৮০০ পৃষ্ঠার অনুবাদের কাজ শেষ হয়েছে যা কম্পোজের জন্য প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ইতোমধ্যে প্রকাশিত পুস্তিকার একটি হচ্ছে- রমযানের তাৎপর্য এবং মিতব্যায়িতা ও শুকরিয়া। এছাড়াও চিকিৎসাশাস্ত্র সম্পর্কিত অংশ থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে একটি পুস্তিকা প্রকাশিত হয়েছে। সম্প্রতি মদিনা পাবলিকেশন্স থেকে আহমেদ বদরুদ্দীন খান ও মামুন ইবনে ইসমাঈল কয়েক খণ্ডে বাংলা অনুবাদের কাজ করছেন এবং এগুলো বিষয়ভিত্তিক ভাবে পুস্তিকা আকারে প্রকাশের চেষ্টা করছেন। আমাদের বিশ্বাস ইনশাআল্লাহ অচিরেই এর পূর্ণাঙ্গ অনুবাদ প্রকাশ করা হবে ।

Comments

comments

About

Check Also

রাসুলুল্লার হিজরাত : প্রাসঙ্গিক ভাবনা

পৃথিবীতে তখন ঘোর অমানিশার রাজ। চারিদিকে বিশৃঙ্খলা, নৈরাজ্যের দৃঢ় ভিত্তি স্থাপিত হয়েছে। যে ভিন্নতার জন্য …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *