শা’বান মাসের ফযীলত

শা’বান এক মহিমান্বিত ও বরকতময় মাস। বছরের অন্যান্য মাসের উপর এ মাসের রয়েছে বিশেষ মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্ব। হাদীস শরীফে আছে যে, প্রত্যেক বছর শা’বান মাসে মানুষের আমল আল্লাহর দরবারে পেশ করা হয়।
হযরত আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, রজব মাসের শ্রেষ্ঠত্ব অন্যান্য মাসের উপর এমন, যেমন আল কুরআনুল কারীমের শ্রেষ্ঠত্ব অন্যান্য আসমানী গ্রন্থের উপর। আর শা’বান মাসের ফযীলত অন্যান্য মাসের উপর এমন, যেমন আমার মর্যাদা অন্যান্য নবীগণের উপর। আর রামাদানের ফযীলত অন্যান্য মাসের উপর এমন, যেমন আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব সকল সৃষ্টির উপর। (হযরত আবদুল কাদীর জিলানী (র.), গুনিয়াতুত তালিবীন, পৃষ্ঠা ২৪৬)
হযরত জুন্নুন মিসরী (র.) বলেন, রজব হচ্ছে মন্দ কাজ পরিত্যাগের মাস, শা’বান হচ্ছে ইবাদত করার মাস এবং রামাদান হচ্ছে অলৌকিক দৃশ্য দর্শনের মাস। সুতরাং যে ব্যক্তি মন্দ কাজ পরিত্যাগ করে না, আনুগত্যের পথ অবলম্বন করে না এবং অলৌকিকতা দর্শনের অপেক্ষায় থাকে না, সে অনর্থক কর্মসম্পাদনকারীদের পর্যায়ভূক্ত। তিনি আরও বলেন, রজব মাসে শস্য বপন করা হয়, শা’বান মাসে ক্ষেতে পানি সেচ করা হয় এবং রামাদান মাসে ফসল কর্তন করা হয়। সুতরাং কর্তনকারী ঐ বস্তুই কর্তন করে, যা সে বপন করে থাকে। এজন্য মানুষ যা কিছু করে থাকে, তারই প্রতিফল পায়। যে ব্যক্তি নিজের ক্ষেত বিনষ্ট করে, সে ফসল কর্তনের সময় লজ্জিত হয় এবং এর পরিণতিও খারাপ হয়। (গুনিয়াতুত তালিবীন, পৃষ্ঠা ২৩৫)
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মাস শা’বান
শা’বান মাসের অত্যধিক ফযীলতের কারণে রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ মাসকে তাঁর নিজের মাস বলে অভিহিত করেছেন। হযরত আয়িশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন-রামাদান আল্লাহর মাস এবং শা’বান আমার মাস। শা’বান পবিত্রতা দানকারী আর রামাদান গুনাহমোচনকারী। (কানযুল উম্মাল, খ- ৮, পৃষ্ঠা ৭৪৭, হাদীস নং-২৩৬৮৫, ইবনে আসাকির, দায়লামী, আল জামিউস সগীর লিস সুয়ূতী)
শা’বান রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মাস হওয়ার কারণ হলো তিনি এ মাসে আবশ্যকতা ছাড়া অর্থাৎ নফল হিসেবে অধিক রোযা রাখতেন। আর রামাদান আল্লাহর মাস হওয়ার কারণ হলো আল্লাহ তা‘আলা এ মাসে রোযা রাখা ফরয করে দিয়েছেন। ফলে এ মাসে রোযা রাখা বান্দার প্রতি আল্লাহর হক হিসেবে পরিগণিত। (ফায়যুল কাদীর লিল মানাভী, খ–১৪, পৃষ্ঠা ৪০৫)
শা’বান মাসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অধিক পরিমাণে রোযা রাখতেন
শা’বান মাসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অধিক পরিমাণে রোযা রাখতেন। হাদীস শরীফে আছে- হযরত আবূ সালামা (রা.) থেকে বর্ণিত, হযরত আয়িশা (রা.) তাঁকে বর্ণনা করেছেন, আয়িশা (রা.) বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শা’বানের চেয়ে অধিক রোযা অন্য কোনো মাসে রাখতেন না। তিনি পূরো শা’বানই রোযা রাখতেন। আর তিনি বলতেন, তোমরা সাধ্যমতো আমল কর। কেননা আল্লাহ তাআলা অধিক আমলের সওয়াব দিতে অপারগ হবেন না, তবে তোমরা অধিক আমল করতে অপারগ হয়ে পড়বে। আর নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নিকট পছন্দনীয় নামায হলো সেই নামায যা নিয়মিত আদায় করা হয়, যদিও তা কম হয়। যখন তিনি কোনো নামায আদায় করতেন তখন তা নিয়মিত করতেন। (বুখারী) এ বর্ণনা থেকে বুঝা যায় যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পুরো শা’বানই রোযা রাখতেন। অন্য বর্ণনায় আছে, তিনি শা’বানে সামান্য দিন ছাড়া সবদিনই রোযা রাখতেন। (মুসলিম)
হযরত আয়িশা (রা.) বর্ণিত অপর হাদীসে আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এমনভাবে রোযা রাখা আরম্ভ করতেন যে আমরা বলতাম তিনি আর রোযা বাদ দিবেন না। আর যখন রোযা বাদ দিতেন তখন আমরা বলতাম তিনি আর রোযা রাখবেন না। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে রামাদান ছাড়া অন্য কোনো মাসে রোযা পূর্ণ করতে দেখিনি এবং শা’বান মাস ছাড়া অন্য কোনো মাসে অধিক রোযা রাখতে দেখিনি। (বুখারী)
এ সকল হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শা’বান মাসে অধিক রোযা রাখতেন। এর অন্যতম কারণ হলো, মানুষ রজব ও রামাদান মাসকে অধিক গুরুত্ব দেয়। আর মধ্যখানে শা’বান মাসকে ভুলে যায়। ফলে এ মাসে ইবাদত বন্দেগি কম করে। অথচ এ মাসে মানুষের আমল আল্লাহর দরবারে পেশ করা হয়। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম চাইতেন তাঁর আমল রোযাদার অবস্থায় আল্লাহর নিকট পেশ করা হোক। তাই তিনি এ মাসে অধিক রোযা রাখতেন।
হযরত উসামা ইবনে যায়দ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি বললাম- ইয়া রাসূলাল্লাহ, আমি আপনাকে একটি মাসে যেমন রোযা রাখতে দেখি তেমন অন্য কোনো মাসে দেখি না। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, কোন মাসে? আমি বললাম, শা’বান। তিনি বললেন, শা’বান হলো রজব ও রামাদান মাসের মধ্যবর্তী মাস। মানুষ এ মাস সম্পর্কে গাফিল থাকে। অথচ এ মাসে বান্দার আমল (আল্লাহর দরবারে) উঠানো হয়। সুতরাং আমি পছন্দ করি যে, আমার আমল রোযাদার অবস্থায়ই উঠানো হোক। আমি বললাম, আপনি তো সোম ও বৃহস্পতিবার রোযা রাখেন। এ দুটিও কি আপনি ছাড়েন না? তিনি বললেন, বান্দার আমল (এ দুই দিনও আল্লাহর দরবারে) উঠানো হয়। সুতরাং আমি পছন্দ করি যে আমার আমল রোযাদার অবস্থায়ই যেন উঠানো হয়। (বায়হাকী, শু‘আবুল ঈমান, খ- ৩, পৃষ্ঠা ৩৭৭, হাদীস নং ৩৮২০)
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রামাদান মাসের পর শা’বান মাসের রোযাকে সর্বোত্তম রোযা বলে অভিহিত করেছেন। হযরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞেস করা হলো- রামাদানের পর কোন রোযা উত্তম? তিনি বললেন, রামাদানের সম্মানার্থে শা’বানের রোযা। বলা হলো- কোন সদকা উত্তম? তিনি বললেন, রামাদানের সদকা। ইমাম তিরমিযী (র.) বলেন, এ হাদীসটি গরীব (غريب)। (তিরমিযী)
শা’বান মাসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও সাহাবায়ে কিরামের আমল
পূর্বোল্লিখিত হাদীসমূহ থেকে আমরা জানতে পেরেছি যে, রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শা’বান মাসে বিশেষ গুরুত্ব সহকারে রোযা রাখতেন। তিনি এমনভাবে রোযা রাখতেন মনে হতো যেন আর কখনো রোযা বাদ দিবেন না। বুখারী শরীফে আছে, তিনি পুরো শা’বানই রোযা রাখতেন। অন্য বর্ণনায় আছে, তিনি সামান্য কিছু দিন ছাড়া পুরো শা’বানই রোযা রাখতেন (মুসলিম)।
হযরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রজব মাস শুরু হলে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ দু‘আ করতেন : “আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফী রাজাবা ওয়া শা’বান ওয়া বাল্লিগনা রামাদ্বান” অর্থাৎ হে আল্লাহ! রজব ও শা’বান মাসে আমাদের বরকত দান কর এবং আমাদের রামাদান মাস পর্যন্ত পৌঁছে দাও। (আল আয্্কার লিন নববী, মুজামুল আওসাত লিত তাবারানী)
সাহাবায়ে কিরামও এ মাসকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিতেন। এ মাসে তাঁরা কুরআন তিলাওয়াত ও অন্যান্য নেক আমলে সবিশেষ মনোনিবেশ করতেন। হযরত আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাহাবীগণ যখন শা’বান মাসের চাঁদ দেখতেন তখন তাঁরা কুরআন তিলাওয়াতে মশগুল হতেন। মুসলমানগণ তাদের সম্পদের যাকাত আদায় করতেন, যাতে দুর্বল ও অভাবগ্রস্ত লোকজন রামাদানের প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারেন। আমীরগণ বন্দীদের তলব করতেন। কারো উপর কোনো হদ (শরীয়ত নির্ধারিত শাস্তি) থাকলে তা প্রয়োগ করতেন অন্যথায় মুক্ত করে দিতেন। ব্যবসায়ীগণ এ মাসে তাদের ঋণ পরিশোধ করতেন। অতঃপর ব্যবসা গুটিয়ে নিতেন। রামাদানের চাঁদ দেখার পর তারা গোসল করতেন এং দুুনিয়াবী কাজ থেকে বিরত থাকতেন। (গুনিয়াতুত তালিবীন, পৃষ্ঠা ২৪৬)
রামাদান মাসের প্রস্তুতির মাস শা’বান
শা’বান মাস মূলত: রামাদান মাসের প্রস্তুতির সময়। এ মাস অত্যন্ত বৈশিষ্ট্যপূর্ণ। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নিকট এ মাসের আলাদা সম্মান ছিল। এর কারণসমূহের মধ্যে রয়েছে-
প্রথমত : এ মাসে বান্দার আমল আল্লাহর দরবারে পেশ করা হয়। যার বর্ণনা আগে উল্লেখ করা হয়েছে।
দ্বিতীয়ত : রামাদান হলো রহমত, বরকত ও মাগফিরাত অর্জনের মাস। যে সকল বান্দা আল্লাহর সন্তুষ্টি ও পরকালীন কল্যাণ প্রত্যাশা করেন তারা রামাদান মাসের রহমত, বরকত, মাগফিরাত ও দোযখ থেকে মুক্তির কল্যাণবারিতে নিজেকে সিক্ত করতে চেষ্টা-প্রচেষ্টায় লিপ্ত হন। তারা রামাদান মাসে দিনে সিয়াম সাধনায় মনোনিবেশ করেন আর রাত্রিবেলা ইবাদত-বন্দেগিতে অতিবাহিত করেন এবং এর বিনিময়ে মাগফিরাত প্রত্যাশা করেন। কেননা হাদীস শরীফে আছে, রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন- যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে এবং সওয়াবের প্রত্যাশায় রামাদানের রোযা রাখে তার পূর্বেকার সকল গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়। আর যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে এবং সওয়াবের প্রত্যাশায় শবে কদরে রাত্রি জাগরণ করে তার পূর্বেকার সকল গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়। (বুখারী)
হাদীস শরীফে আরও আছে- যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে এবং সওয়াবের প্রত্যাশায় রামাদান মাসে রাত্রি জাগরণ করে তার পূর্বেকার সকল গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়। (বুখারী ও মুসলিম)
অন্য হাদীসে আছে- যখন রামাদান মাসের প্রথম রাত আসে তখন শয়তান ও জ্বিনদের শৃঙ্খলবদ্ধ করা হয়, দোযখের দরজাসমূহ বন্ধ করা হয় এমতাবস্থায় আর কোনো দরজা খোলা হয় না এবং বেহেশতের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয় তখন আর কোনো দরজা বন্ধ করা হয় না। আর একজন আহবানকারী আহবান করেন : ‘হে কল্যাণপ্রত্যাশী অগ্রসর হও, হে মন্দপ্রত্যাশী সংকুচিত হও। আল্লাহর এমন অনেক বান্দা রয়েছেন যারা দোযখের আগুন থেকে মুক্তি লাভ করবে।’ এ অবস্থা (রামাদান মাসের) প্রত্যেক রাতে চলতে থাকে।(তিরমিযী)
রামাদান মাসের এসব কল্যাণ অর্জন তথা যথাযথ হক আদায় করে রোযা রাখা ও রাত্রি জাগরণের মাধ্যমে রহমত, বরকত ও মাগফিরাতের মহান নিয়ামত অর্জন পূর্ব প্রস্তুতি ছাড়া সম্ভব হবে না। এ প্রস্তুতির মাস হিসেবে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শা’বান মাসকে অত্যধিক গুরুত্ব দিতেন।
তৃতীয়ত : রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মানুষের গাফলতের সময়কে আনুগত্য ও মুজাহাদা (ইবাদত-বন্দেগির প্রচেষ্টা) দ্বারা আবাদ করতে চাইতেন, যাতে তারা পরবর্তী মাসের রহমত ও মাগফিরাত থেকে কোনোভাবে বঞ্চিত না হয়। কেননা শা’বান মাসে গাফিল থাকলে এমনও হতে পারে যে রামাদান মাসটাও গাফলতের মধ্যে চলে যাবে এবং বান্দা পরে আফসোস করবে- হায়! রামাদান মাস তো চলে গেল, আমি তো কোনো কল্যাণ অর্জন করতে পারলাম না। আর রামাদান মাসের কল্যাণ থেকে যে বঞ্চিত হয় তার মতো হতভাগা আর কে হতে পারে? তাই রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রামাদান মাসের নিয়ামত থেকে বিন্দুমাত্র বঞ্চিত হবার সুযোগ যাতে সৃষ্টি না হয় বরং এর পরিপূর্ণ নিয়ামত যাতে অর্জন করা যায় সেজন্য পূর্ব প্রস্তুতির মাস হিসেবে শা’বানকে গুরুত্ব প্রদান করতেন এবং এ মাসে ইবাদত-বন্দেগি ও সিয়াম সাধনায় মনোনিবেশ করতেন।
শা’বান মাসের সবিশেষ গুরুত্বের প্রতি লক্ষ্য রেখে এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও সাহাবায়ে কিরাম (রা.)-এর অনুসরণে এ মাসে অধিক পরিমাণে রোযা রাখা এবং কুরআন তিলাওয়াত ও অন্যান্য ইবাদত-বন্দেগিতে অধিক মনোনিবেশে আমাদের সচেষ্ট হওয়া উচিত, যাতে আগত রামাদানের রহমত, বরকত ও মাগফিরাত অন্বেষণে আমরা পরিপূর্ণরূপে নিবিষ্ট হতে পারি এবং পরম দয়াময়ের সীমাহীন অনুগ্রহ লাভ করে ধন্য হই।

Comments

comments

About

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *