নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় মহানবী সাল­াল­াহু আলাইহি ওয়াসাল­াম

কবি বলেছেন, বিশ্বের যা-কিছু মহান সৃষ্টি চির-কল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর। (জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম)
নারীর অধিকার সম্পর্কে cambridge dictionary তে বলা হয়েছে: The rights of women to be treated equally to men in all areas of society. অর্থ : সমাজের সকল ক্ষেত্রে নারীদের সাথে পুরুষদের মত সমান আচরণ করার নাম হলো নারীর অধিকার।
তথাকথিত নারীবাদীরা পশ্চিমা বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য মরণপণ লড়ে যাচ্ছে ঠিকই, কিন্তু নারী অধিকারের প্রকৃত ইতিহাস তাদের জানা নেই! খোদ পশ্চিমা বিশ্বে নারীদের অধিকার নিয়ে ১৭ শতকের আগে লক্ষণীয় কোন আন্দোলন-ই শুরু হয়নি! ইতিহাস থেকে জানা যায়, নারীবাদকে প্রথম সংগঠিত করেন ইংল্যান্ডের Mary Wollstonecraft (27 April 1759-10 September 1797), মেরি ওলস্ট্যানক্রাফট ১৭৯২ সালে তার বিখ্যাত গ্রন্থ A Vindication of the Rights of Woman বা নারী অধিকারের ন্যায্যতা নিয়ে তার লেখা প্রকাশ করেন। এ গ্রন্থে তিনি নারীদের উপর পুরুষতন্ত্রের নিপীড়নের ব্যাপারে বিস্তারিত তুলে ধরেন। বইয়ের মূল বক্তব্য হচ্ছে, নারী কোন ভোগের সামগ্রী বা যৌন জীব নয়। তারা বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ। তাই তাদের স্বাধিকার দিতে হবে।
জার্মান লেখক Frederick Engels (28 November 1820-5 August 1895) ফ্রেডরিক এঙ্গেলসের The Origin of the Family, Private Property and the State (1884) গ্রন্থে এ ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করতে দেখা যায়। এঙ্গেলসের ভাষ্য অনুযায়ী, ১৮৬০ সালের আগে নারী বা পরিবার নিয়ে ইউরোপে কোনো গবেষণাই হয়নি।
সঠিক ইতিহাস খুঁজলে আমরা দেখতে পাই, ইসলাম ছাড়া অন্য সব ধর্ম বা তথাকথিত সভ্যতা নারীজাতিকে কত যে লাঞ্ছনা বঞ্চনা ও অপমান করছে তার কোন সীমা পরিসীমা নেই!
খোদ ইউরোপে মাত্র কয়েক বছর আগে (১৯৪১ খ্রিস্টাব্দে) ইউরোপের সবচেয়ে বড়ো পোপ (পাদ্রি) সেইন্ট তারাতুলিন বলেছিলেন ‘নারী জাতি হলো মানুষের নফসের ভেতরে শয়তান প্রবেশ করার দ্বার (দুয়ার)।
শুধু তাই নয়, ইতিহাস অধ্যয়ন করলে আরো জানা যায়, রাসুলুল­াহ সাল­াল­াহু আলাইহি ওয়া সাল­াম এর জন্মের ৫৮৬ বছর পূর্বে প্রাচীন ফ্রান্সে নারীদেরকে নিকৃষ্ট প্রাণী মনে করা হতো এবং বলা হতো কেবল পুরুষের সেবার জন্যই তাদেরকে সৃষ্টি করা হয়েছে। (আল-মারখাতুল মুতাবাররিয়া, পৃ. ১১)। আধুনিক সভ্যতার অন্যতম দাবিদার ইংরেজরাও নবী সাল­াল­াহু আলাইহি ওয়া সাল­াম এর জন্মের ১০৮৫ বছর পূর্বে পুরুষের জন্য স্ত্রীকে বিক্রি করা এবং জীবন্ত পুড়িয়ে মারা বৈধ মনে করতো! (নারীর অলংকার, পৃ. ৪৯)। প্রাচীন রুম ও খ্রিষ্টান জগতে নারীদের গায়ে গরম তেল ঢেলে দেওয়া হতো, নিরাপরাধ নারীদেরকে ঘোড়ার লেজের সাথে বেঁধে ফেলে ঘোড়াকে দ্রুত গতিতে দৌড়ানো হতো।
ভারতবর্ষের ইতিহাস থেকে জানা যায় প্রাচীন হিন্দু ধর্মে নারীদেরকে জুয়া খেলার বাজি ধরা হতো! হিন্দুরা মনে করত ‘মহামারী, মৃত্যু, আগুনীবালা এবং বিষ নারীর চেয়ে উত্তম; নারী হলো নাপাক-ময়লা এবং অপবিত্র। মহাভারতে বলা হয়েছে: নারীজাতি সকল দোষের মুল, তাদের চেয়ে পাপিষ্ঠা আর কেউ নেই! তারা সর্বপ্রকার ভৎসনার মুল! (মহাভারত, পৃ. ৬১০)। প্রাচীন গ্রীকে নারীদেরকে বলা হতো “Womens are child bearing slaves” অর্থ: নারীরা শুধু প্রসব যোগ্য ক্রীতদাসী। (ব্রিটানিকা ১৯৭৪, ভলিউম ১৯, পৃ. ৯০৯)।
তাই কঠিন সত্য হলেও আমরা বলতে বাধ্য, হৃদয় ভেঙে যাবে, কাগজ ছিঁড়ে যাবে, কলম ভেঙে যাবে, শ্লোগান থেমে যাবে, কিন্তু তথাকথিত নারীবাদীদের আন্দোলন বা শ্লোগানের মাধ্যমে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠিত করা কখনো সম্ভব হবে না! নারীর প্রকৃত অধিকার ও সম্মান রক্ষা ও প্রতিষ্ঠিত করতে হলে ফিরে যেতে হবে ১৫০০ বছর আগে! কারণ
নারীর যথাযথ অধিকার নিশ্চিত করেছে ইসলাম এবং বাস্তবায়ন করেছেন বিশ্ব মানবতার নবী মুহাম্মাদুর রাসুলুল­াহ সাল­াল­াহু আলাইহি ওয়া সাল­াম। ইতিহাস সাক্ষী নারীজাতির জানমাল ও ইজ্জতের নিরাপত্তা এবং সর্বোচ্চ সম্মান একমাত্র ইসলাম-ই প্রদান করেছে। মহান আল­াহ পুরুষের সাথে নারীদের পুর্ণ অধিকারের মাধ্যমে মানবসমাজের পূর্ণতা দান করেছেন। আল­াহ রাব্বুল আলামীন ইরশাদ করেন, নারীদের তেমনি ন্যায়সঙ্গত অধিকার আছে যেমন পুরুষদের আছে তাদের ওপর (সূরা বাকারা : ২২৮)। একমাত্র ইসলাম ধর্মই নারীকে স্বাধিকারে পুরুষের সমান মার্যাদা দিয়েছে!
কোরআনে ক্বারিমে নারীজাতিকে পরিপূর্ণ সম্মান ও যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করে আল­াহ রাব্বুল আলামীন ‘নিসা’ অর্থাৎ ‘মহিলা’ শব্দটি ৫৭ বার এবং ‘ইমরাআহ’ অর্থাৎ ‘নারী’ শব্দটি ২৬ বার উলে­খ করেছেন। শুধু তাই নয়, কোরআন শরীফে ‘নিসা’ নামে নারীর অধিকার ও কর্তব্যসংক্রান্ত একটি স্বতন্ত্র বৃহৎ সূরাও রয়েছে।
আমরা যদি ইসলাম পূর্ব জাহেলী যুগের ইতিহাস চর্চা করি তাহলে দেখতে পাই, সেই সময় নারীদের নূন্যতম অধিকারও ছিল না! নারীজাতিকে তারা অভিশাপ মনে করত! কন্যাশিশু জন্মগ্রহণ করলে তাকে জীবন্ত কবর দিতো, নারীদের ভোগের সামগ্রী হিসেবে ব্যবহার করা হতো, দাসী হিসেবে হাট-বাজারে পশুর মতো বিক্রি করা হতো, কন্যাসন্তানের জন্মের সংবাদে পিতা মানহানিকর মনে করে বিমর্ষ হতো!
পবিত্র কোরআন শরীফে এর বিভৎস চিত্র এভাবে তুলে ধরা হয়েছে: অর্থ আর যখন তাদের কাউকে কন্যাসন্তান জন্মের সুসংবাদ দেয়া হয় তখন তার চেহারা মলিন হয়ে যায় এবং মনের মধ্যে রাগকে চেপে রাখে! তাকে শোনানো সুসংবাদের দুঃখে সে নিজ স¤প্রদায় থেকে মুখ লুকিয়ে থাকে। সে ভাবতে থাকে, অপমান সহ্য করে তাকে (কন্যা সন্তানটিকে) রেখে দেবে, না কি তাকে মাটির নীচে পুঁতে ফেলবে। শুনে রাখ, তারা যে সিদ্ধান্ত নেয় তা খুবই নিকৃষ্ট। (১৬:৫৮-৫৯)
সমাজে নারীদের অবস্থান যখন এমনই নাজুক, ঠিক তখন নারীদের অধিকার ও যথাযথ সম্মান প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যিনি এগিয়ে আসেন তিনি হলেন বিশ্ব মানবতার মুক্তির দুত, নবী মুহাম্মাদুর রাসুলুল­াহ সাল­াল­াহু আলাইহি ওয়া সাল­াম। বিশ্বের প্রতিটি মানুষের সামনে তিনি আল­াহর পবিত্র বাণী ঘোষণা করলেন : ‘তোমরা তাদের (নারীদের) সঙ্গে উত্তম আচরণ করো ও উত্তম আচরণ করার শিক্ষা দাও।’ (সূরা নিসা : ১৯)।


রাসুলুল­াহ সাল­াল­াহু আলাইহি ওয়া সাল­াম আরোও বললেন, ‘যার ঘরে কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করলো, অতঃপর সে ওই কন্যাকে কষ্ট দেয়নি, মেয়ের ওপর অসন্তুষ্টও হয়নি এবং পুত্র সন্তানকে তার ওপর প্রধান্য দেয়নি, তাহলে ওই কন্যার কারণে আল­াহ তায়ালা তাকে জান্নাতে প্রবশে করাবেন।’ (মুসনাদ আহমদ : ১/২২৩)।
একমাত্র ইসলামই নারীজাতিকে সম্পদ, কর্মক্ষেত্র, যুদ্ধ, সামাজিক, অর্থনৈতিক, আইনি অধিকার সহ সব ধরনের অধিকার দিয়েছে! শুধু তাই নয় মা হিসেবে, বোন হিসেবে, স্ত্রী, কন্যা সন্তান হিসেবে, ফুফু হিসেবে ও খালা হিসেবেও সর্বশ্রেষ্ঠ মর্যাদা ও সর্বোচ্চ অধিকার দিয়েছে।
মা হিসেবে : মায়ের সাথে সদ্ব্যবহার করা, আনুগত্য করা, তার প্রতি ইহসান করা ফরদ্ব করেছে ইসলাম। মায়ের সন্তুষ্টিকে আল­াহর সন্তুষ্টি হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। হাদিস শরীফে আল­াহর রাসুল সাল­াল­াহু আলাইহি ওয়া সাল­াম বলেছেন : মায়ের পায়ের নিচে (সন্তানের) বেহেস্ত। যে চায়, সে যেন তাতে প্রবেশ করে আর না চাইলে যেন বের হয়ে যায়। (ইবনে আদি : আল-কামিল লি ইবনে আদী-৮/৬৪) অর্থাৎ জান্নাতে যাওয়ার সহজ রাস্তা হচ্ছেন ‘মা’।
কন্যা সন্তান হিসেবে : জাহেলী যুগে কন্যা সন্তানকে জীবন্ত কবর দেয়ার বর্বর প্রথাকে রহিত করে কন্যাকে দিয়েছে ভালোবাসার অপূর্ব মর্যাদা এবং সর্বোচ্চ অধিকার। পুরুষ শাসিত সমাজে স্বয়ং নবী সাল­াল­াহু আলাইহি ওয়া সাল­াম উত্তরাধিকারী হিসেবে কন্যা সন্তানকে মনোনীত করে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছিলেন! নবী সাল­াল­াহু আলাইহি ওয়াসাল­াম কন্যা সন্তানকে সবচেয়ে বেশি আদর করতেন! তিনি বলতেন ‘যখন তোমরা বাইরে যাও, ঘরে ফেরার সময় কিছু না কিছু উপহার নিয়ে এসো! ঘরে এসে সর্বপ্রথম কন্যা সন্তানকেই তার উপহারটুকু দিয়ে দেবে। শুধু তাই নয় কন্যা সন্তানের জনককে জান্নাতের সুসংবাদ ও দিলেন আল­াহর হাবিব!
স্ত্রী হিসেবে : একমাত্র ইসলাম-ই নারীজাতিকে স্ত্রী হিসেবে মোহরানা প্রাপ্তি, বিয়েতে প্রথম সম্মতিদান, স্বামীর সম্পদের মালিকানার অধিকার সহ সব ধরনের অধিকার দিয়েছে এবং সেটার যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করেছেন নবী সাল­াল­াহু আলাইহি ওয়াসাল­াম। আল­াহর রাসুল সবার কাছে ঘোষণা করলেন : পুরুষের যতটুকু অধিকার, স্ত্রীরূপে নারীরও ততটুকুই অধিকার। (বাকারা : ২২৮)।
বোন, ফুফু ও খালা হিসেবে : ইসলাম নারীকে বোন হিসেবে, ফুফু হিসেবে ও খালা হিসেবেও সম্মানিত করেছেন। ইসলাম সিলাতুর রেহেম বা আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছে ও এ বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করেছে। আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করাকে হারাম বলা হয়েছে।
নবী সাল­াল­াহু আলাইহি ওয়াসাল­াম বলেন : আল­াহ তা’লা রেহেম বা আত্মীয়তার সম্পর্ক সম্পর্কে বলেছেন : ‘যে তোমার সাথে সম্পর্ক রাখবে আমিও তার সাথে সম্পর্ক রাখব। আর যে তোমার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করবে আমিও তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করব।’ (সহিহ বুখারী : ৫৯৮৮)।
রাসুল সাল­াল­াহু আলাইহি ওয়াসাল­াম পুরুষের শিক্ষার ব্যাপারে যেমন গুরুত্বারূপ করতেন এবং শিক্ষা গ্রহণের নির্দেশ দিতেন ঠিক তেমনি নারীকেও শিক্ষা গ্রহণের প্রেরণা ও নির্দেশ দিতেন। ইসলাম শিক্ষা অর্জনে নর-নারীকে সমান অধিকার দিয়েছে। রাসুল সাল­াল­াহু আলাইহি ওয়াসাল­াম দ্ব্যর্থহীনভাবে ঘোষণা করেন, ‘প্রত্যেক মুসলিম নর ও নারীর জন্য জ্ঞানার্জন করা ফরদ্ব।’ (ইবনে মাজাহ : ২২৪)। বিশ্বের অন্যান্য ধর্ম ও তথাকথিত সভ্যতার ধারক ও বাহকরা নারীজাতিকে যতোই অবহেলা করুক না কেন, ইসলাম কিন্তু পুরুষদের পাশাপাশি নারীদের শিক্ষাকেও বাধ্যতামূলক করেছে।
বর্তমান বিশ্বে যারা নারীর অধিকার নিয়ে বড়ো বড়ো বুলি আওড়াচ্ছেন তাদেরকে ইতিহাস থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা প্রয়োজন! মানবতার মুক্তির দূত নবী মুহাম্মাদুর রাসুলুল­াহ সাল­াল­াহু আলাইহি ওয়া সাল­াম যিনি নারীজাতিকে অবহেলা আর জুলুমের আঁস্তাকুড় থেকে তুলে এনে এত অধিকার আর মর্যাদা দিলেন, তিনি কি তাদের অকল্যাণ চান? ভেবে দেখতে হবে নারীর কল্যাণ ও মুক্তি একমাত্র আল­াহ ও তার রাসুল সাল­াল­াহু আলাইহি ওয়া সাল­ামের প্রদর্শিত পথে হবে নাকি চতুর স্বার্থান্বেষী ভোগবাদীদের মেকি শ্লোগানে হবে?
জাহেলী যুগের বুদ্ধিজীবীদের ছত্রছায়ায় কবি লেখকরা নারীর রূপ যৌবন, যৌবনের আবেদন নিয়ে আলোচনা করতেন তাদের কবিতায়। আর আজ নগ্ন আধুনিকতার প্রচারকরা নারীজাতির রূপ-যৌবন বিক্রি করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়, বিজ্ঞাপনে, টিভির পর্দায়, কবিতা, গল্প ও উপন্যাসে। নারীদের লাঞ্ছনা, বঞ্চনা ও অপমানে ইতিহাসের পাতা ভারাক্রান্ত হয়ে আছে; গ্রিক সভ্যতা, রোম সভ্যতা, ভারতীয় সভ্যতা, চৈনিক সভ্যতা ও বিভিন্ন ধর্মে অমর্যাদা, অবহেলা আর জুলুমের যুপকাষ্ঠে বলি হয়েছিল যে নারী ও নারীত্ব, রাসুল সাল­াল­াহু আলাইহি ওয়া সাল­াম সেখান থেকে রক্ষা করে নারীদেরকে সমাসীন করেছেন মর্যাদার সুউচ্চ শিখরে। তাদের প্রকৃত অধিকার তিনিই সর্বপ্রথম বাস্তবায়িত করেছেন আজ থেকে প্রায় ১৫০০ বছর আগে। তাই নারীজাতির অধিকার ও সম্মান রক্ষার্থে আল­াহর রাসুল সাল­াল­াহু আলাইহি ওয়া সাল­াম অনুকরণের বিকল্প নেই।

Comments

comments

About

Check Also

রাসুলুল্লার হিজরাত : প্রাসঙ্গিক ভাবনা

পৃথিবীতে তখন ঘোর অমানিশার রাজ। চারিদিকে বিশৃঙ্খলা, নৈরাজ্যের দৃঢ় ভিত্তি স্থাপিত হয়েছে। যে ভিন্নতার জন্য …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *