অভিন্ন নদীর স্রোত

যেখানে শেষ হয়েছিল কারবালা
বালাকোটের শুরুটা যেন সেখান থেকেই।
ফোরাত নদীর তীর থেকে শহীদের প্রবাহিত যে পবিত্র রক্তস্রোত-
সময়ের সিড়ি বেয়ে প্লাবিত করলো বালাকোট।
এভাবেই দেখো, বুকের তাঁজা রক্তের রং দিয়ে আমাদের আতœজ
পবিত্র পুর্ববর্তীগণ রচনা করলেন ঈমানের ইতিহাস।
বদর। খন্দক। উহুদ। খাইবার। কারবালা। বালাকোট –
যেন কালের স্রোতে ভেসে চলা একটি নদীরই বিভিন্ন নাম।
নষ্টমনা পাপাত্মারা যতবার হিংগ্র লোভার্ত কুদৃষ্টি দিয়েছে,
ততোবারই তুমি কি দেখোনি ঈমানের সেই নদীতে জোত্যির্ময় জোয়ার?
দুরাচারী দুর্বৃত্ত আবু জেহেল, এযিদ শিমারের ভ্রুণজাত পৃথ্বীরাজ,
গৌড়গোবিন্দ, রনজিৎ সিং কিংবা গাদ্দার মীরজাফর –
যেমনি বয়ে চলেছে ইবলিসের অহমের মূত্র, দেখোনি কি, বিপরীতভাবে সত্যের প্রচ্ছন্ন হিমালয় থেকে সতত প্রবাহমান পাকপ্রস্রবণ।
এই সত্য-মিথ্যা, হক্ব-বাতিল, তিমির-আলোর সংঘাতময়তা চিরন্তন।
তাইতো ফারুকী ধমনী উত্তেজিত হয় সেরহিন্দে।
শুকিয়ে যায় কখনো আনা সাগর আজমীরে।
হুসাইনি শাহাদাতে লাল হয় কারবালা।
হাসানি রক্তের উত্তরাধিকারী বেরেলীর বীর সায়্যিদ আহমাদ –
বালাকোটে পান করে শাহাদাতের পেয়ালা।

Comments

comments

About

Check Also

কবিতা তার কাব্যরস হারাচ্ছে

দিন যত পেরুচ্ছে কবিতা যেন তার ভেতরে থাকা কাব্যরসগুলো একটু একটু করে হারিয়ে ফেলছে। একটা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *