ছোট্ট খোকা মাহি বাসার বারান্দায় দাঁড়িয়ে খেয়াল করলো রাস্তায় অনেক মানুষ একসাথে হাটছে আর খুশিমনে গাইছে-
বালাগাল উলা বিকামালিহি
কাশাফাদ্দুজা বিজামালিহি
হাসুনাত জামি’উ খিসালিহি
সাল্লু আলাইহি ওয়াআলিহি..!
এমন দৃশ্য দেখে সে তার বাবার কাছে জানতে চাইল,
-‘বাবা! এত মানুষ একসাথে কেন হাটছে আর এসব গজল কেন গাইছে?
বাবা বললেন, ‘শুনো মাহি! আজকে ১২-ই রবিউল আউয়াল। ৫৭০ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে ধুলির ধরায় আগমন করেছিলেন খোদার হাবিব নূরে মোজাসসাম, সাইয়্যিদুল কাউনাইন হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। যার আগমনেই আশার ফুল ফুটেছিল অন্ধকারে নিমজ্জিত ধরায়। তিনিই সমস্ত মানবকূলকে দেখিয়েছিলেন সঠিক পথ, মুক্তির পথ, আল্লাহর পথ। উনার সুবাসে সুবাসিত হয়েছিল জং ধরা এই ক্ষিতিটা।
-‘বাবা, আজকের দিনে কি সবাই এরকম খুশি উদযাপন করছে?
-‘হ্যা মাহি, যারা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের সঠিক অনুসারী, যারা নবীকে সত্যিকারের ভালোবাসে। পিয়ারা নবীর আগমনে যে হৃদয়গুলো খুশিতে দোলে উঠে তারাই আজকের ‘মিলাদুন্নাবী’ উদযাপন করছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এমন র্যালি হয় আর সবাই নবীর আগমনের খুশিতে সালাত সালাম গায়। আর বাবা মাহি! যার উছিলায় মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীন এই বিশাল ধরণী সৃজন করেছেন, যিনি আমাদের সঠিক পথ দেখিয়েছেন আর যিনি হবেন পরকালের সেই কঠিন বিপদকালে শাফায়াতের কান্ডারী, তার আগমনের দিনে তো খুশি উদযাপন করা ঈমানদারের কাজ।
এমন খুশির দিনে কাজী নজরুল লিখেছিলেন-
‘ত্রিভুবনের প্রিয় মুহাম্মদ এলো রে দুনিয়ায়
আয় রে সাগর আকাশ বাতাস দেখবি যদি আয়।’
-‘বাবা! বাবা, চলো না আমরাও ঐ নবীপ্রেমিকদের সাথে র্যালিতে শামীল হয়ে দুজাহানের বাদশা রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আগমনের খুশিতে সালাতু সালাম পাঠ করি।
-হুম খোকা, এক্ষুনি চলো…
Check Also
বিদায়বেলা
জামুরাইল হাই স্কুলের বাংলা শিক্ষক ইমরান হোসেন। প্রতিদিন সকাল ৯ টায় স্কুলে আসেন। যথারীতি তিনি …