বালাকোট শুধু ডাক দিয়ে যায়!

খানকায় তিনি ওলী সম্রাট ময়দানে মহাবীর
তার কোরবানির দীক্ষায় নত হবেনা কখনো শীর।

পাক ভারত উপমহাদেশের স্বাধীনতা-সংগ্রাম, ইসলামী তাহজীব-তামাদ্দুন রক্ষার আন্দোলন, ঈমানী চেতনার পুনঃজাগরণের ইতিহাসে যাদের নাম অমর। যারা স্বরণীয়-বরণীয় হয়ে আছেন এবং থাকবেন। তাদের মধ্যে অন্যতম আযাদী আন্দোলনের অকুতোভয় সিপাহসালার, ঈমানী চেতনার প্রাণপুরুষ, আমিরুল মু’মিনিন, ইমামুত তরিকত, শহীদে বালাকোট, হযরত সায়্যিদ আহমদ শহিদ বেরলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি। রাসুলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন আমার উম্মতের হেদায়াতের জন্য প্রতি শতাব্দীর শেষে অথবা শুরুতে এমন একজন মানুষ প্রেরণ করবেন, যিনি তাদের জন্য তাদের দ্বীনকে (ইসলাম ধর্ম) সংস্কার করবেন। (আবু দাউদ) সতের শতাব্দির শেষের দিকে রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ভবিষ্যৎ বাণীর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ এক মহা মানবের আগমন ঘটেছিল ভারতীয় উপমহাদেশে। যার নাম সায়্যিদ আহমদ শহীদ বেরলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি। তিনি ছিলেন ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের সিপাহসালার, তৎকালীন যামানার শ্রেষ্ট মুজাদ্দিদ , তরিকতের ইমাম এবং যুগের শ্রেষ্ট পীর ও বুজুর্গ। ভারতীয় উপমহাদেশে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ আছে তাঁর নাম। এমন এক সময় তাঁর আর্ভিভাব ঘটেছিল যখন ভারতের মুসলমানদের উপর ইংরেজ, শিখ ও হিন্দুদের অত্যাচারের মাত্রা সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছিল। অনেক এলাকাতে মুসলমানদের বসবাস করা সম্পূর্ণরূপে অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। যুলুম-নির্যাতন এতোই বৃদ্ধি পেয়েছিল যে, যালিম শয়তানরা মুসলিম নারীদের দাসীরূপে ব্যবহার করত। মুসলমানদের ফসলাদি নষ্ট করে দিত, ঘরবাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিত। সীমান্তের মসজিদগুলোকে মন্দির ও ঘোড়ার আস্থানায় পরিণত করেছিল। এমনকি মসজিদে আজান দেওয়াসহ অনেক জায়গায় ধর্মীয় কার্যকলাপের উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করেছিল। সর্বোপরি একদিকে মুসলমানরা বিধর্মীদের হাতে লাঞ্চিত-বঞ্চিত ও নির্যাতিত ছিল, অন্যদিকে বৃটিশ, হিন্দু ও শিখদের প্রভাব-প্রতিপত্তির ফলে মুসলমানরা তাদের তাহজীব-তামাদ্দুন তথা মূল আদর্শ-সংস্কৃতি ভুলে গিয়ে পাশ্চাত্য ও হিন্দুয়ানি আদর্শ ও সংস্কৃতি গ্রহণ করা শুরু করেছিল। এমনকি বিভিন্ন এলাকায় মুসলমানরা হিন্দুদের পোষাক-পরিচ্ছদ ব্যবহার করাসহ তাদের নামের পূর্বে “শ্রী শ্রী” শব্দ পর্যন্ত ব্যবহার করত। ঠিক সেই মুহুর্তে আজাদী আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের সিপাহসালার, ইমামুত তরিকত, শহীদে বালাকোট, আমীরুল মু’মিনীন, আওলাদে রাসুল হযরত সায়্যিদ আহমদ শহিদ বেরলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি।

জন্ম ও বংশ পরিচয়
হযরত সায়্যিদ আহমদ শহীদ বেরলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি ১৯ শে নভেম্বর ১৭৮৬ ঈসায়ী মোতাবেক ৬ ই সফর-১২০১ হিজরী সনের সোমবার দিনে ভারতের উত্তর প্রদেশের রায়বেরেলীর এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম সায়্যিদ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি-এর দৌহিত্র হযরত ইমাম হাসান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর বংশধারার ৩৬তম অধ:স্তন পুরুষ। তাঁর পিতার নাম হযরত সায়্যিদ ইরফান রহমতুল্লাহি আলাইহি।

শিক্ষা জীবন
হযরত সায়্যিদ আহমদ শহীদ বেরলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি এর প্রাথমিক শিক্ষা জীবন রায়বেরেলীতেই শুরু হয়। ৪ বছর বয়সে তাঁর পিতা তাকে স্থানীয় মক্তবে ভর্তি করেন। ১৩ বছর বয়সে তাঁর পিতার ইন্তেকালের পর ভারতের প্রখ্যাত মুহাদ্দিস হযরত শাহ ইসহাক দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর কাছ থেকে তিনি ইলমে শরীয়তের পাণ্ডিত্ব অর্জন করেন। পরবর্তীতে তিনি অনেক দুর্গম পাহাড়ী পথ পাড়ি দিয়ে দিল্লিতে এসে সরাসরি ইমামুল মুহাদ্দিসীন, শায়খুল মাশায়েখ হযরত শায়খ আব্দুল আযিয মুহাদ্দিসে দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি এর দরবারে উপস্থিত হয়ে বাইয়াত গ্রহণ করেন। হযরত শাহ আব্দুল আযিয রহমতুল্লাহি আলাইহি শাহ ছাহেব নামে স্বীকৃত ছিলেন। হযরত সায়্যিদ আহমদ শহীদ বেরলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি অতি অল্পদিনেই ইলমে তাসাউফের সু-উচ্চ মাকামে আরোহন করেন এবং শাহ ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি তাকে খিলাফতি দান করেন। খিলাফত লাভের পর হযরত সায়্যিদ আহমদ শহীদ বেরলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি কঠিন ভাবে রিয়াজত-মুশাক্কাতে আত্মনিয়োগ করেন। তাই ইলমে বাতিনের সকল মাকামই তাঁর আয়ত্ব হয়েছিল অতি সহজে। যে কারণে তাঁর পীর ও মুর্শীদ হযরত শাহ ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি’র নিকট কোন লোক মুরিদ হতে আসলে তিনি তাদেরকে হযরত সায়্যিদ আহমদ শহীদ বেরলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি’র নিকট পাঠিয়ে দিতেন এবং বলতেন-আমার কাছ থেকে বার বছরে যা হাসিল করতে পারবেনা, সায়্যিদ ছাহেবের কাছ থেকে বার দিনে তা আয়ত্ব করতে পারবে।

আন্দোলন সংগ্রাম
হযরত সায়্যিদ আহমদ শহীদ বেরলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর জীবনী পর্যালোচনা করলে তার আন্দোলন সংগ্রামকে ৩টি শ্রেণীতে ভাগ করা যায়।
১. দ্বীনী সংস্কার আন্দোলন।
২. আধ্যাত্মিক আন্দেলন (তরিকায়ে মুহাম্মদীয়া প্রতিষ্ঠা)।
৩. সশস্ত্র জিহাদ।
পূর্বেই উল্লেখ হয়েছে যে-ব্রিটিশ, হিন্দু ও শিখদের প্রভাব-প্রতিপত্তির ফলে ভারতীয় মুসলমানরা তাদের আদর্শ এবং সংস্কৃতি ভূলে গিয়ে পাশ্চাত্য ও হিন্দুদের সংস্কৃতি গ্রহণ করা শুরু করেছিল। হযরত সায়্যিদ ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি এসকল অপসংস্কৃতি বিলুপ্ত করে ইসলামী সংস্কৃতি গ্রহণে মানুষদের পুনরুজ্জীবিত করেন। তাঁর সংস্কারের মধ্যে রয়েছে সালামের পূনঃপ্রচলন, ইসলামী পোষাক পূনঃপ্রবর্তন, কবর পূজাসহ নানা ধরনের শিরক বিদআতের উচ্ছেদ, হজ্জের ফরজিয়ত সম্পর্কে প্রচলিত অপব্যাখ্যার বিরুদ্ধে অবস্থান ও এর সঠিক জবাব, সদলবলে হজ্জ পালন, বিধবা বিবাহ প্রথা সংশোধন, হিন্দুয়ানী বেশ-ভূষা ও রীতি-নীতি থেকে মুসলিম সমাজকে রক্ষা। হযরত সায়্যিদ আহমদ শহীদ বেরলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর আধ্যাত্মিক আন্দোলন কত উচ্চ শিখরে ছিল তার সত্যতা ও শ্রেষ্টত্ব বর্তমান সময়ে ভারতীয় উপমহাদেশের হক্কানী সিলসিলা ও দরবার শরীফগুলো দেখলেই বুঝা যায়। তাই মাওলানা কবি রুহুল আমিন খান লিখেছেন-
‘ডাকে ঐ বালাকোট!
ঈমানের, আমলের, জিহাদের
দীক্ষা পুনঃলও
উম্মার ক্রান্তিকালে
মুহাম্মদী তরিকায় ঐক্যবদ্ধ হও’।

ভারতীয় উপমাদেশে বিশেষ করে বাংলাদেশের জৈনপুরী, ফুলতলী, ছারছিনা, ফুরফুরা, নারিন্দা, সোনাকান্দা, মৌকরাসহ এদেশের সিংহভাগ হক্কানী সিলসিলার পূর্বসূরী হচ্ছেন হযরত সায়্যিদ আহমদ শহীদ বেরলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি। সায়্যিদ ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি আত্মিক পরিশুদ্ধির জন্য ‘তরিকা-এ-মুহাম্মদীয়া’ নামে একটি তরীকা প্রতিষ্ঠা করেন। এটি হলো চিশতিয়া, কাদরিয়া, নক্সবন্দিয়া ও মুজাদ্দেদীয়া তরিকার সার নির্যাস। আল্লাহর মনোনিত একমাত্র ধর্ম ইসলামকে বিজয়ী শক্তি হিসেবে রূপ দিতে হযরত সায়্যিদ আহমদ শহীদ বেরলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি সশস্ত্র জিহাদের ডাক দেন। বর্তমান বাংলাদেশসহ ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে সফর করে তিনি মানুষদের ক্ষমতাসীন বৃটিশ সরকার ও তাদের দূসর শিখদের বিরুদ্ধে জিহাদী প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য আহবান করেন। তাঁর আহবানে সাড়া দিয়ে মানুষ দলে দলে তাঁর হাতে বাইয়াত গ্রহণ করে জিহাদের প্রস্তুতি গ্রহণ করে। এই আন্দোলনে বাংলাদেশের প্রচুর মানুষ ও আলেমদের একটি বিরাট অংশ তাঁর সাথে যোগ দেন। এই আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী বিশিষ্ট আলেমদের মধ্যে চট্টগ্রামের শাহ সূফি নূর মুহাম্মদ নিজামপুরী রহমতুল্লাহি আলাইহি, রংপুরের হাদিয়ে বাঙ্গাল কারামত আলী জৈনপুরী রহমতুল্লাহি আলাইহি, নোয়াখালির মাওলানা ইমামুদ্দিন রহমতুল্লাহি আলাইহি উল্লেখযোগ্য। সিলেট, মালদাহ, রংপুরসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কৃষক সম্প্রদায় জিহাদের আন্দোলনে ব্যাপক ভাবে সাড়া দিয়েছিল।

হজ্জ পালনের সিদ্ধান্ত
সায়্যিদ ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি প্রথমে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন দলবল ও মুজাহিদ বাহীনি নিয়ে একটি নিরাপদ স্থানে হিজরত করে ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠা করবেন এবং সেখান থেকে ইসলামী হুকমত প্রতিষ্ঠার জন্য শুরু করবেন জিহাদ। কিন্তু হঠাৎ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে জিহাদ শুরুর পূর্বে পবিত্র হজ্জ পালনের সিদ্ধান্ত নিলেন। মাওলানা হুছাম উদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী লিখিত ‘ছোটদের সায়্যিদ আহমদ বেরলভী’ নামক গ্রন্থে হজ্জ পালনের দুটি কারণ উল্লেখ করেন।
১. ইসলাম ধর্মের অন্যতম রোকন পালন ও মদিনা শরীফে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর পবিত্র রওদ্বা মোবারক যিয়ারত করা।
২. তখন আলিম নামধারী কিছু ব্যক্তি ফতওয়া দিয়েছিল যে, সমূদ্র পথে হজ্জ পালন করা নিরাপদ নয় এবং ভারতীয় মুসলমানদের উপর হজ্জ পালন করা ফরজ নয়। হযরত শাহ আব্দুল আযিয মুহাদ্দিসে দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি এই ফতওয়া প্রত্যাখ্যান করেন। সায়্যিদ ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি ভ্রান্ত ফতওয়াদানকারীদের জবাব সরূপ ১২৩৬ হিজরীর পহেলা শাওয়াল (১৮২১ খ্রি.) ঈদের নামাজের পর চার শতাধিক হজ্জযাত্রী নিয়ে তার জন্মস্থান রায়বেরেলীর তাকিয়া থেকে হজ্জের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন। হজ্জ পালনকালে পবিত্র মক্কা ও মদিনায় বহু আলেম তাঁর হাতে বাইআত গ্রহণ করেন।

ব্রিটিশ ও শিখদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র জিহাদ
হযরত সায়্যিদ আহমদ শহীদ বেরলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি হজ্জ পালনের পর জিহাদী প্রস্তুতি সম্পূর্ণরূপে গ্রহণ করে ১২৪১ হিজরি সনের ০৭ই জমাদিউস সানি মোতাবেক ১৮২৬ ঈসায়ি সনের ১৭ই জানুয়ারি আল্লাহর রাস্তায় জিহাদের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন। দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে সায়্যিদ ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহির বাহিনী অত্যাচারি শিখদের এলাকায় উপনিত হয়। শিখদের সাথে মুসলিম বাহিনীর বেশ কয়েকটি যুদ্ধ সংগঠিত হয়েছে। যেমন: নওশেরার যুদ্ধ, সিদুর যুদ্ধ, আকুড়ার যুদ্ধ, পানজতারের যুদ্ধ, মায়ার যুদ্ধ, মর্দান যুদ্ধ ও বালাকোটের যুদ্ধ। এরমধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বালাকোটের যুদ্ধ।

বালাকোটের জিহাদ
উপরে বর্ণিত সকল যুদ্ধে শিখ’রা মুজাহিদ বাহিনীর সাথে পেরে উঠেনি। তাই তারা ইংরেজদের সাহায্য চায়। ইংরেজ বাহিনী মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে সীমান্তবর্তী মুসলমান নামধারী পাঠান সর্দারদের শিখদের সহায়তার জন্য নিযুক্ত করে। মুনাফিক পাঠান সর্দারেরা মুজাহিদ বাহিনীর বিরুদ্ধে গুপ্তচর বৃত্তিতে লিপ্ত হয়। কিন্তু মুজাহিদ বাহিনী এটা টের পায়নি। অবশেষে ১২৪৬ হিজরী সনের ২৪ জিলক্বদ মোতাবেক ১৮৩১ ঈসায়ি সনের ৬মে ঐতিহাসিক বালাকোটের ময়দানে অপ্রস্তুত মুজাহিদ বাহিনীর উপর যৌথবাহিনী তথা শিখ-ইংরেজ এবং মুনাফিক বাহিনী হামলা করে। আমীরুল মু’মিনীন হযরত সায়্যিদ আহমদ শহীদ বেরলভী রহমতুল্লাহি আলাইহিসহ মুজাহিদ বাহিনীর অনেকেই শাহাদাতের সুধা পান করেন। নিভে যায় ইসলামি আন্দোলনের এক দ্বীপ্ত প্রদীপ।

বালাকোট সম্মেলন ও ঐক্যের ডাক
বছর ঘুরে আমাদের মাঝে প্রতিবারই আসে ৬ ই মে ঐতিহাসিক বালাকোট দিবস। আসে ঐক্যের ডাকও। এ দিন ঢাকায় ‘বালাকোট উজ্জীবন পরিষদ’ চেতনায় বালাকোট সম্মেলনের আয়োজন করে। আজ মিল্লাতের স্বার্থেই হযরত সায়্যিদ আহমদ শহীদ বেরলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর মতো ইসলামী আন্দোলন প্রতিষ্ঠা করা সময়ের সবচেয়ে বড় দাবী। তরিকায়ে মুহাম্মদিয়ার অনুসারীগণ ঐক্যবদ্ধ হয়ে একই প্লাটফর্মে এসে বৃহত্তর ইসলামী ঐক্য গড়াই হোক বালাকোট দিবসের অঙ্গীকার।

Comments

comments

About

Check Also

রাসুলুল্লার হিজরাত : প্রাসঙ্গিক ভাবনা

পৃথিবীতে তখন ঘোর অমানিশার রাজ। চারিদিকে বিশৃঙ্খলা, নৈরাজ্যের দৃঢ় ভিত্তি স্থাপিত হয়েছে। যে ভিন্নতার জন্য …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *