কবিতা

প্রতি বছর ৬ মে ডাক দিয়ে যায় বালাকোট, ঘুমিয়ে থাকা মুসলমান আজ সেই চেতনায় জেগে উঠ। বিশ্বব্যাপী মুসলমানে বেদ্বীন হাতে খাচ্ছে মার, সবাই মিলে নাও হাতে নাও বালাকোটের তলোওয়ার। কাঁপতে থাকুক বিশ্ব জালেম রুশ ভরতের দালাল সব, গর্জে উঠুক পাক জমিনে আল্লাহু আকবারের রব।

নেই ভয় নেই শংকা বাজে সেই রণডঙ্কা কাঁপে থর থর বাতিলের স্তম্ভরে আমাদের এই চেতনায় ওই বালাকোট গর্জেরে । প্রয়োজনে কেমন করে ঢালতে যে হয় রক্ত বুকের কি করে ঈমানদারীর পরীক্ষা হয় ঈমানদারের বালাকোট ডাক দিয়ে যায় সব মুমিনের অন্তরে আমাদের এই চেতনায় ওই বালাকোট গর্জেরে । প্রাণ থেকে প্রাণে …

কোন এক সময়ের সন্ধিক্ষণে, জ্বলে উঠল আলো, হুংকারিত হলো ধ্বনি। এই নিষ্প্রাণ গ্রহে, জেগেছিল প্রাণ; জেগেছিল আশার বাণী। সময়ের মহা-আবর্তে, প্রাণ থেকে প্রাণী সভ্যতার পর, সভ্যতা হল অস্তগামী। মহাসৃষ্টির মহা-আসরে, মৃত্যুঞ্জয়ী তুমি। বলছি আমি তোমার কথা, শহীদে বালাকোট তাঁর চেতনায় বিশ্বমুমিন ওঠরে জেগে ওঠ।

সেদিন ছিল উম্মার ক্রান্তিকাল কাননে ফুল সমীরণে দুল ছিল না বৃক্ষের পাতারা হয়েছিল মৌন আর স্তব্ধ হয়েছিল পাখিদের কিচিরমিচির সবুজ সমারোহ, শীতল ছায়া ঘেরা পল্লী গায়ের পাহাড়ে পর্বতে, মাঠে ঘাটে, হাওরে-বাওড়ে, খাল-বিল নদীতে, মুক্ত নীলাকাশে কোথাও ছিল না শান্তির পরশ। শান্তিপুরে যেন অশান্তির ঘনঘটা। চারদিকে মজলুমের আর্তনাদ, আহাজারি রোনাজারি, বোবাকান্না, …

সকল প্রস্তুতি শেষ। সকল আয়োজন সমাপ্ত। বোমারু বিমানগুলো চারদিকে মসজিদে আশ্রিত শিশু-মা ঢেলে দিয়েছে শরীরের শেষটুকু রক্ত-পানি। আর যারা অবশিষ্ট ঠোঁট-মুখ শুকিয়েছে রকেটলাঞ্চারের প্রেমে! পেঠে দানা-পানি নেই। মৃত্যুর চেয়েও কঠিন বেঁচে থাকা থামো! কে বলবে নিধনযজ্ঞের পাডে় দাঁড়িয়ে। উড়ালপোকার মতো উড়ছে বারুদের মেশিন; তাদের উদ্দেশে লক্ষ যাদের পৃথিবীর সকল মানুষ …

তুমি ডেকেছো বলে দীঘলরাত্রি কতো ছোট আজ মাঘিপূর্ণিমায় উছলে পড়ছে সহস্র কণ্ঠের আওয়াজ; কুয়াশাকাতর মনগুলো আজ এ কোন আলোয় হেসে হৃদযে়র তাপে হৃদয় গলিয়ে যাচ্ছে দুকূল ভেসে। ঘরে না ফিরে সন্ধ্যার পাখি হিমরাত্রির কোলে বিছিয়ে দিয়েছে সোনালী পালক অভিমান সব ভুলে; যাযাবর পাখিটা বুঝে গেছে আজ এই তার ঠিকানা কেঁদে-কুটে …

ভাবিয়া দেখিল বাছা দাদার কথাই হাছা বললো সেদিন বসে হিসাবটা দাও কষে, আজকের ধরণীতে মানুষের কলোনীতে- মুখ বেশি নাকি পাছা? সহজ হিসাব দাদা! দুটোই সামান আধা ওরে হারারাম গাধা হাসিয়া ওঠে দাদা কথা দিযে় যেই মুখ ভাঙিয়া না পায় দুখ, মুখ নয় ওটা পাছা

[দুই মজলুম তালামীয কর্মী- শেখ কাদের আল হাসান ও মঈনুল ইসলাম : যাদের কাছে আমরা ঋণী] তোমাকেই ভালবেসে ওরা ভাসিযে়ছে রক্তে এ জমিন তোমার দেখানো পথে করতে প্রচার আল্লাহর দ্বীন; পঙ্গুত্ব করেছে বরণ তবু ক্লান্তিহীন সরল দুটো চোখ আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ জানায় আঁধারে বাসায় বুক। দ্বীনের তরে অবিরাম যাত্রা- অপটু …

ওই ‘শুয়োরের বাচ্চারা’ থাম দেশের সেরা বিদ্যাপীঠের এই যদি হয় হাল বুঝতে হবে দেশটা আমার হচ্ছে ডিজিটাল! ‘আমার সোনার বাংলা আমি’ গিনেজ বুকে হাঁটি ১০০ কোটির বিনিমযে়‘ দেশাত্মবোধ মাটি? আমার বোনের সতীত্বতে কে ছুডে়ছে কালি কোথায় গেল শেখ মুজিবের সোনার দেশের মালি পবিত্র বুক চিল-শকুনে বেলবে রুটির মতো ওই ‘শুযে়ারের …

কবিতা আমাকে দিযে়ছে নির্বাসন। আমি হাজার বছরের প্রত্যাখ্যাত- কবি যক্ষ, গুমরি গুমরি করি মিনতি কবিতাকে, কবিতা- এসো আজ তুমি বিবসনে উজ্জযি়নীর শিপ্রা তীরে, যক্ষ প্রিয়ার- চুল এলিযে়, ভ্রু বাঁকিযে়, আঁখ-আঁকিযে়। খৈয়ামেরই সাকীর হাতে বায়রণের ঐ শরাব পাত্র দাও ভরিযে়। দাও আজ তুমি- নজরুলের ঐ বাবরি ধরে ঝাকঝাকিযে়, শৈলীর অলস ঘুম …