সম্পাদকীয়

বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি আল মাহমুদ গত ১৫ ফেব্র“য়ারি, শুক্রবার মহান মালিকের দরবারে হাজিরা দিয়েছেন বিজয়ীর বেশে। যিনি আধুনিক বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছেন কবিতা, গল্প, উপন্যাস দিয়ে। তিনি তো এক বিশাল সমুদ্র, বিশাল আকাশ। যার উপমা তাঁর সৃষ্টিশীলতা, সৃজনশীলতা। আগুনের লেলিহান অগ্নিশিখার উপর বসে যিনি রচনা করেছেন ফুলের বাগিচা। প্রেম, দ্রোহ, সংগ্রাম কোনোকিছুই তাঁর রচনা থেকে বাদ যায়নি। জেলের ভেতর থেকেও যার কলম হয়েছে আরও ক্ষুরধার, আলোর বিকীরণে উদ্ভাসিত হয়েছে জীবন-ক্যাম্পাস। সূর্য যেমন আলোকিত করে পৃথিবীর চারপাশ-অলিগলি, তেমনি আল মাহমুদের সৃষ্টি আলোকিত করেছে বাংলাভাষা ও সাহিত্যকে।
তরুণ, কিশোর আর চির যৌবনের কবি আল মাহমুদ। সাহস প্রজ্ঞা আর বুদ্ধিমত্তায় যিনি অন্যায়, অবিচার, অত্যাচারের বিরুদ্ধে চালিয়েছেন অসীর চেয়েও ক্ষুরধার মসীর যুদ্ধ।
আল মাহমুদ তাঁর কবিতায় লিখেছেন-‘কোনো এক ভোর বেলা/রাত্রি শেষে শুভ শুক্রবারে/মৃত্যুর ফেরেশতা এসে যদি দেয় যাওয়ার তাগিদ/অপ্রস্তুত এলোমেলো এ গৃহের আলোঅন্ধকারে/ভালো-মন্দ যা ঘটুক মেনে নেব/এ আমার ইদ।’ কবি চলে গেছেন তাঁর আকাক্সক্ষার মঞ্জিলে মকসুদে। আর আমরা কামনা করি, হে প্রিয়কবি, আল্লাহ যেন তোমাকে সমাসীন করেন জান্নাতের সুউচ্চ আসনে।

Comments

comments

About

Check Also

রাসুলুল্লার হিজরাত : প্রাসঙ্গিক ভাবনা

পৃথিবীতে তখন ঘোর অমানিশার রাজ। চারিদিকে বিশৃঙ্খলা, নৈরাজ্যের দৃঢ় ভিত্তি স্থাপিত হয়েছে। যে ভিন্নতার জন্য …