ছাহেব কিবলার সংগ্রামী জীবন

‘জীবনের চেয়ে দ্বীপ্ত মৃত্যু তখনই জানি
শহীদী রক্তে হেসে ওঠে যবে জিন্দেগানী ॥’
গহীন অরণ্যে কাফেলার রাহবারকে হারিয়ে সঙ্গী সাথীদের অবস্থা যেমন হয়, নাবিক হীন জাহাজে ঝড়র রাতে যাত্রীদের অবস্থা যেমন হয়! সামছুল উলামা আল্লামা ছাহেব কিবলাহ ফুলতলী রাহিমাহুল্লাহকে হারিয়ে বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মানুষ ও আলেম সমাজের অবস্থা তেমনই হয়েছিল। আল্লাহর মকবুল ওলী ছাহেব কিবলাহ ফুলতলী রাহিমাহুল্লাহ্ শুধু একজন ব্যক্তি নন, একটি গৌরবময় ইতিহাস। ছিলেন আমাদের মাথার উপর এক বিশাল ছায়াবৃক্ষ। একদিকে যেমন ছিলেন আলেমদের সূর্য এবং মা’রিফতের অন্যতম শাইখ, অপরদিকে ছিলেন ইসলামি আন্দোলনের আপোসহীন এক বীর সিপাহসালার। সাহাবা চরিত্রের এক প্রজ্জল মনীষা। ভেতরে বাহিরে এলেম আমল আর সাহসের এক অনন্য দৃষ্টান্ত। জীবনের শেষ লগ্নে এসেও নেতৃত্ব দিতেন উত্তাল মিছিলের। দেশের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামের প্রথম কাতারে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন সেই বৃটিশ আমল থেকেই।
আবূ সাঈদ আল-খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : সবচেয়ে উত্তম জিহাদ হচ্ছে স্বৈরাচারী শাসকের সামনে ন্যায্য কথা বলা। (তিরমিযী : ২১৭৪)।
আল্লামা ছাহেব কিবলাহ ফুলতলী রাহিমাহুল্লাহ আমরণ এ জিহাদ চালিয়ে গেছেন। তাঁর ঈমানী জাযবা, সাহসিকতা, নির্ভীকতা কিংবদন্তিতুল্য। সংগ্রামী জীবনে তিনি বুলেটের মুখোমুখি হয়েছেন, জালিমের আঘাতে জমিনে রক্ত ঝরিয়েছেন, খেটেছেন জেল হাজত। ভয়-ভীতি, ক্লান্তি বা বয়সের ভার কোন কিছুই তাঁকে একটুও টলাতে পারেনি, তিনি সত্যের পথে ছিলেন অটল হিমাদ্রি। তাঁর শত বছরের সংগ্রামী জীবনে অসংখ্য ঘটনাপ্রবাহ থেকে কয়েকটি ঘটনা উল্লেখ করার প্রয়াস করছি।
১. ব্রিটিশ খেদাও আন্দোলনে তিনি মরণপণ সংগ্রাম করেছেন। ব্রিটিশ রাজ্যের শোষণের বিরুদ্ধে মুসলমানদের স্বার্থ রক্ষার্থে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ এর নেতৃত্বে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। পরবর্তীতে যখন জানতে পারেন জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ সম্পূর্ণভাবে কংগ্রেস কতৃক প্রভাবিত তখনই তিনি ঘোষণা দিয়ে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ ত্যাগ করেন। আন্দোলন করতে গিয়ে তাঁকে বারবার মসনদে আসীন জালিমদের চক্ষুশূলে পরিণত হতে হয়েছে। কিন্তু কখনো জালিমদের সাথে আপোস করেননি।
২. ১৯৫০ সালে আসাম প্রদেশিক সরকার মুসলিম এডুকেশন বোর্ড বন্ধের ঘোষণা করলে বদরপুরে অবস্থিত আল্লামা ছাহেব কিবলাহ ফুলতলী রাহিমাহুল্লাহ বাতিলের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেন, তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলেন। প্রতিবাদ, আন্দোলন করতে গিয়ে প্রদেশিক সরকারের রোষানলে পতিত হন। সরকার তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। তাকে গ্রেফতার না করতে পেরে সরাসরি গুলির নির্দেশও জারি করে। এরকম কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েও তিনি আপোসহীন আন্দোলন চালিয়ে যেতে থাকেন! আন্দোলনের তীব্রতার জন্য তার বক্তব্যে ছিল কর্মীদের প্রেরণার উৎস, তাই তিনি গ্রেফতারি পরোয়ানা মাথায় নিয়েও ডবকা’ ও ‘মুড়াঝড়’ স্থানে দুটি সভায় উপস্থিত হোন। যথা সময়ে জনতার সাথে মিশে ছদ্মবেশে সভামঞ্চে উপস্থিত হয়ে সংগ্রামী বক্তব্য দেন।
তৎকালিন আইনে বক্তৃতারত অবস্থায় কাউকে গ্রেফতার করার আইন ছিল না। নির্দিষ্ট সময়ের আগেই বক্তৃতা শেষ করে তিনি জনতার মধ্যে মিশে হারিয়ে গেলেন। তৎকালীন সরকার চরমভাবে অপমানিত হয়ে এবার জারি করল গুলির অর্ডার। গুলির অর্ডার মাথায় নিয়েই পরবর্তী সভায় হাজির হলেন আল্লামা ছাহেব কিবলাহ ফুলতলী রাহিমাহুল্লাহ, বক্তৃতাও দিলেন হাতির পিঠে চড়ে। বক্তৃতা শেষে জনতার ভিড়ে মিশে মুস্তাকিম আলী চৌধুরী সাহেবের সাথে জামা বদল করে ঝর্ণা পেরিয়ে মুহুর্তের মধ্যে জঙ্গলে ঢুকে পড়লেন। এবারও ব্যর্থ হলো সরকার। জয় হল বীর সিপাহসালার আল্লামা ছাহেব কিবলার। জয় হলো আসামের মুসলমানদের। আন্দোলনের মুখে সরকার তাদের সিদ্ধান্ত বাতিল করতে বাধ্য হল।
৩. ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে ইসলামী সংগঠন নেজামে ইসলামের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি হিসেবে রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। রাজনৈতিক অঙ্গনে ইসলামী দলের একজন বর্ষীয়ান নেতা হিসাবে তখন তিনি পরিচিত ছিলেন।
৪. আতাউর রহমান খান তখন পূর্ব পাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী, ১৯৫৬ সালের কোন এক সময় তদানীন্তন সরকার ‘নিউ স্কিম মাদ্রাসা’ বিলোপের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ! মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার এই ঘৃণ্য প্রয়াসের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ঢাকা হাই কোর্ট বারে অনুষ্ঠিত এক সভায় সরকারি ‘আদেশ নামা’ ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করে ফেলেন আল্লামা ছাহেব কিবলাহ ফুলতলী। সেই সভাতেই তিনি বজ্রকণ্ঠে উচ্চারণ করেন, ‘ইসলামী শিক্ষা সংকোচনের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করলাম। এ জিহাদ চলবে।’ এতে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া শুরু হল। সারাদেশে চলতে থাকল প্রতিবাদ সভা, বিক্ষোভ সমাবেশ। সরকার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়, ছাহেব কিবলার আপোসহীন আন্দোলনের কারণে আজও ঠিকে আছে নিউস্কিম মাদ্রাসা।
৫. পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট, সামরিক শাসক ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খানের সামরিক শাসনামল। তার আর্শীবাদ ধন্য ইসলামী অ্যাডভাইজারি কাউন্সিলের ডাইরেক্টর ডক্টর ফজলুর রহমান ১৯৬৮ সালে ‘ইসলাম’ নামক একটি বই প্রকাশ করে! বইটিতে, ঈমান আকীদা ও রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সম্পর্কে কটূক্তি করে! তার এই ন্যক্কারজনক লেখনীর প্রতিবাদে ফুলতলী ছাহেব কিবলা সিলেট রেজিস্ট্রারী মাঠে এক বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেন। আইয়ুব খানের সরকার চেষ্টা করলো সমাবেশ বন্ধ করতে। সরকারের প্রতিনিধি মন্ত্রী দেওয়ান আব্দুল বাসিত চৌধুরী (সিলেটি) এসে সমাবেশ বন্ধ করার প্রস্তাব দিলেন, ছাহেব কিবলাহ ফুলতলী দৃপ্তকণ্ঠে ঘোষণা করলেন, সমাবেশ বন্ধ করা যাবেনা। ছাহেব কিবলার দৃঢ়তা দেখা মন্ত্রী মহোদয় কিছুটা নমনীয় হয়ে প্রস্তাব করলেন যদি মৌলভী ফরিদ আহমদকে সম্মেলনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত রাখা হয় তাহলে সমাবেশ করা যাবে! ছাহেব কিবলা তাঁর সিদ্ধান্তে অটল থেকে বললেন, প্রোগ্রামের কোন পরিবর্তন হবে না। মন্ত্রী রেগে গিয়ে সভায় গুলিবর্ষণের ভীতিপ্রদর্শন করলেন। ছাহেব কিবলা বললেন, দেওয়ান বাসিত সাহেব! ভয় দেখাবেন না! আমরা আমরণ লড়ে যাব। আপনাকে একটু মনে করিয়ে দিতে চাই; আপনার পূর্ব পুরুষরা বীরপুরুষ ছিলেন। সরকারের গোলামী করে আপনি পৌরুষ হারিয়ে ফেলেছেন। আপনার পুলিশ বাহিনীকে গুলির অর্ডার দিন। ইনশাআল্লাহ, আমিও আমার সাথীদের নিয়ে মোকাবেলা করব। যথাসময়ে বিপুল সমারোহে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হল। পরবর্তীতে দেওয়ান বাসিত সাহেব লজ্জিত ও অনুতপ্ত হয়ে উপস্থিত হলেন ছাহেব কিবলাহর দরবারে এবং শিষ্যত্ব গ্রহণ করলেন।
৬. কুচক্রী মহল যখন আল্লাহর ওলীদের মান সম্মান নিয়ে ছিনিমিনি খেলা করছিল তখন ১৯৬৭ সালের মে মাসে শাহজালাল মুজাররদে ইয়ামনী রাহিমাহুল্লাহ’র মাজার প্রাঙ্গণে এক বিশাল সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সম্মেলনে ফুলতলী ছাহেব কিবলাহ রাহিমাহুল্লাহ্ আওলিয়ায়ে কিরামের মর্যাদা রক্ষার্থে মাযার কেন্দ্রিক ইসলামী শিক্ষা কেন্দ্র স্থাপনের গুরুত্বারুপ করে এক ঐতিহাসিক ভাষণ দান করেন।


৭. সামরিক শাসক জেনারেল এরশাদের সময়ে মাদ্রাসা শিক্ষকদের একক সংগঠন জমিয়াতুল মোদাররেছীনকে ধবংস করার সব সিদ্ধান্ত প্রায় চুড়ান্ত। ইনকিলাব পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা এম. এ. মান্নান সাহেবের ডাকে বিজয় স্মরণীতে আহ্বান করা হলো সংগঠনের জাতীয় সম্মেলন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। প্রধান অতিথির ডানে বামে বাংলার দুই মর্দে মুজাহিদ শর্ষীণা ও ফুলতলী পীর সাহেবদ্বয়। প্রেসিডেন্টের উপস্থিতিতে বক্তব্য রাখলেন দু’জনেই। ছাহেব কিবলা ফুলতলী তাঁর বক্তব্যে এক ঐতিহাসিক কাহিনীর অবতারণা করে বললেন, প্রেসিডেন্ট ইরশাদ সাহেব! জমিয়াতুল মুদাররেছীনের উপর হাত দিবেন না। ওটা আমাদের সংগঠন। ওলী আল্লাহদের আর্শীবাদ ধন্য সংগঠন। যে কেউ ওটা ভাঙ্গার চেষ্টা করবে তার পরিণতি শুভ হবে না।
৮. ১৯৮৮ সালে সালমান রুশদী, ১৯৯৪ সালে তসলীমা নাসরীন সহ কুখ্যাত সব নাস্তিক মুরতাদদের বিরুদ্ধে ছাহেব কিবলাহ ফুলতলী রাহিমাহুল্লাহ ছিলেন খুবই সোচ্চার।
৯. ১৯৯২ সালে ভারতে বাবরী মসজিদ ভাঙার প্রতিবাদে ছাহেব কিবলাহ রাহিমাহুল্লাহ্’র ভুমিকা ছিল খুবই বলিষ্ঠ ও সোচ্চার। দলমত নির্বিশেষে সবাইকে নিয়ে সিলেটের আলীয়ার মাঠে প্রতিবাদ সম্মেলন করে যে হুঙ্কার দিয়েছিলেন; সেই গর্জন বজ্র নিনাদের মত আজো সবার কানে বাজে।
১০. ২০০১ সালে আদালত কর্তৃক ফতোয়া নিষিদ্ধকরণ এর রায়, তৎকালীন সরকারের সময় মাদ্রাসা শিক্ষার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, ডক্টর কুদরত ই খুদা শিক্ষা ব্যবস্থা বাস্তবায়ন এবং দেশব্যাপী সিরিজ বোমা, বিশেষ করে সুলতানে সিলেট শাহজালাল মুজাররদে ইয়ামনী রাহিমাহুল্লাহ্ এর মাজার প্রাঙ্গণে বোমা হামলার বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন ও সংগ্রামে তিনি ছিলেন অত্যান্ত সক্রিয় নির্ভিক এক বীর যোদ্ধা। তার সেই আপোসহীন ভুমিকার কথা দেশবাসী কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ রাখবে।
১১. জীবনের শেষ লগ্নে এসে ২০০৬ সালে স্বতন্ত্র আরবী বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন এবং ফাযিল ও কামিলকে যথাক্রমে বিএ এবং মাষ্টার্সের মান প্রদানের দাবীতে ১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকার উদ্দেশ্যে যে লংমার্চ করেন তা বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। তার সেই আপোসহীন আন্দোলনের ফলশ্রুতিতে ২০১৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর “ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় বিল-২০১৩” মহান জাতীয় সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে পাস করে ২০১৫ সালে এসে এর কার্যক্রম শুরু করে এবং গত ২৩ আগস্ট ২০১৫ বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে শিক্ষামন্ত্রী মহোদয় ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
১২. ৭ ফেব্র“য়ারি ২০০০ সালে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হলের বিতর্কিত নামকরণ বিরোধী আন্দোলনের মহা সম্মেলন ডাক দেয় সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ। সিলেট কোর্ট পয়েন্টে স্মরণকালের সর্ববৃহৎ জনসভায় সেদিন সভাপতিত্ব করেন আল্লামা ছাহেব কিবলাহ ফুলতলী রাহিমাহুল্লাহ। তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও জনসমর্থনের কারণে কর্তৃপক্ষ সেদিন তাদের সিদ্ধান্ত বাতিল করতে বাধ্য হয়।
১৩. ইরাকে মার্কিন হামলার প্রতিবাদে ৬ মার্চ ২০০৩ সালে ঢাকার পল্টন ময়দানে যুদ্ধবিরোধী আন্দোলনের মহাসমাবেশ করেন আল্লামা ছাহেব কিবলাহ ফুলতলী রাহিমাহুল্লাহ। সেদিনের ঐতিহাসিক বক্তব্য আজো লক্ষ প্রাণে প্রেরণা যোগায়।
ছাহেব কিবলাহ শুধু জাতীয় ইস্যুতেই নয় বরং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ইসলামবিরোধী সব আগ্রাসনের বিরুদ্ধে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। কাশ্মীর, ফিলিস্তিন, আফগানিস্তান, বসনিয়া, চেচনিয়া, কসবো সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নির্যাতিত, নিপীড়িত মুসলমানদের নির্যাতনের প্রতিবাদে আন্দোলন সংগ্রামে তার ভূমিকা ছিল খুবই উজ্জ্বল। তার সাহসিকতার কথা, আপোসহীন আন্দোলনের কথা যুগে যুগে সত্যের পথে প্রতিবাদী মানুষকে প্রেরণা ও সাহস যোগাবে।
শাহজালাল ও শাহকামালের নিশানবরদার ছাহেব কিবলাহ ফুলতলী রাহিমাহুল্লাহ তার সংগ্রামী জীবনের মাধ্যমে আমাদের দেখিয়ে গিয়েছেন সত্যের পথে ইসলামী আন্দোলনের এ পথ কখনো সুসজ্জিত ফুলের বিছানা নয়। যারাই জালিমদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন তাদেরই জীবনে জুলুম নিপীড়ন ছিল ভরপুর। শত জুলুমের পরেও ছাহেব কিবলাহ রাহিমাহুল্লাহ’র আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে আমাদের দেশ, জাতি ও ইসলামের কল্যাণে অগ্রসর হতে হবে। এটাই হোক আমাদের পন।

তথ্যসূত্র
১. আল্লামা ফুলতলী ছাহেব কিবলাহ র. স্মারক
২. ধ্র“বতারা স্মারক ২০১৬
৩. ব্যক্তিগত সংগ্রহ (ছাহেব কিবলার বর্ণনা)।

Comments

comments

About

Check Also

রাসুলুল্লার হিজরাত : প্রাসঙ্গিক ভাবনা

পৃথিবীতে তখন ঘোর অমানিশার রাজ। চারিদিকে বিশৃঙ্খলা, নৈরাজ্যের দৃঢ় ভিত্তি স্থাপিত হয়েছে। যে ভিন্নতার জন্য …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *