রঙ্-বাহারি

রঙ্-বাহারি

By mumin

December 06, 2016

১. * আপনি যদি এখন কলা খেয়ে থাকেন, তবে এখন আপনি মশার আক্রমণে বেশি পড়বেন। * স্বাভাবিকভাবে হাঁচি আসলে আপনি কখনো চোখ খোলা রাখতে পারবেন না। ২. সংখ্যাতত্ত্বে বাংলাদেশ : * বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে পঞ্চগড় ১নং আসন। * বাংলাদেশ সংবিধান রচিত ২ (দুই) ভাষায়। * বাংলাদেশের গ্রামীণ স্থানীয় সরকার ৩ স্তর বিশিষ্ট। * বাংলাদেশ সংবিধানের মূলনীতি ৪টি। * বাংলাদেশের সাথে সম্পৃক্ত ভারতের সীমান্তরাজ্য ৫টি। * বাংলাদেশ-ভারতের অমীমাংসিত সীমান্ত দৈর্ঘ্য সাড়ে ৬ কি.মি.। * বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধে বীরশ্রেষ্ঠ খেতাব পান ৭ জন। * মুক্তিযুদ্ধে মুজিবনগর ছিল ৮নং সেক্টরে। * বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ৯তলা বিশিষ্ট। * শহীদ নুর হোসেন দিবস ১০ নভেম্বর। ৩. সাধারণ জ্ঞান : * হজরত হাওয়া (আ.) কে কীভাবে সৃষ্টি করা হয়? উত্তর : আদম (আ.)-এর বাম পাঁজর থেকে। * কোন ওলী সারা বিশ্ব শাসন করেছিলেন? উত্তর : বাদশাহ যুলকারনাইন। * হজরত ইসমাঈল (আ.)-এর বংশের একমাত্র নবীর নাম কী? উত্তর : হজরত মুহাম্মদ (সা.)। * হজরত মুহাম্মদ (সা.) আকাবায় শপথ করিয়েছিলেন কয়বার? উত্তর : ২ বার। * কারবালায় শহীদ হন আহলে বায়তের কতজন সদস্য? উত্তর : ১৯ জন। * ‘নালায়ে কলন্দর’ গ্রন্থের লেখক কে? উত্তর : আল্লামা আব্দুল লতীফ চৌধুরী ফুলতলী (রহ.)। * মুসলিম রেনেসার কবি বলা হয় কাকে? উত্তর : কবি ফররুখ আহমদ কে। * পাকিস্তান ভারতের মধ্যকার দ্বন্দ কি নিয়ে? উত্তর : কাশ্মির। * বাংলাদেশের কোন ক্রিকেটার ওয়ানডে ক্রিকেটে পাঁচ হাজার রান করেন? উত্তর : তামিম ইকবাল খান। * ETC (ইত্যাদি) এর পূর্ণরূপ কী? উত্তর : Et cetera ৪. Google : এটি বিশ্বের প্রথম ও সর্ববৃহৎ ইন্টারনেট সার্চ ইঞ্জিন। ভিউয়ার সংখ্যার দিক থেকে এটি দ্বিতীয় একটি বিশ্ব হিসেবে ধরা যায়। প্রতিষ্ঠার সন : ৪ সেপ্টেম্বর ১৯৯৮ প্রতিষ্ঠাতা : ল্যারি পেজ ও সার্জে ব্রিন। সদর দপ্তর : মেনলোপার্ক, ক্যালিফোর্নিয়া। ৫. মোবাইল ফোন বিজ্ঞানের এক বিস্ময়কর আবিস্কার। সেই মোবাইল ফোনের আবিস্কারক কে আশা করি অনেকেই জানেন। হ্যাঁ, তিনি হলেন আব্রাহাম গ্রাহাম বেল। তিনি মোবাইল ফোনের আবিস্কারক হলেও বিস্ময়কর বিষয় হলো তিনি কখনো তার মা এবং স্ত্রীকে ফোন দেন নি। কেন জানেন! তার মা ও স্ত্রী উভয়ই ছিলেন বধির। ৬. যদি কাউকে বলা হয়, এমন একটি চিত্রকর্মের নাম বলুন তো যা বিশ্বের সবচেয়ে দামী ও রহস্যপূর্ণ। তবে নিশ্চয়ই উত্তর আসবে ইতালিয়ান গ্রেট আর্টিস্ট লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চি’র মোনালিসার কথা। বিস্ময়ের ব্যাপার হলো এটা এমন এক চিত্রকর্ম যেখানে একজন নারীকে চিত্রায়িত করা হয়েছে যার আই-ভ্রু নেই। এ জন্যই বুঝি এটা এতো রহস্যময়!! ৭. তাফসীর বিষয়ক বৃহৎ গ্রন্থগুলো চলছে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী সা. এর মাস। বিশ্বনবীর আগমনের মাস। এই বরকতী মাসে আসুন জেনে নেই পবিত্র কুরআন শরীফের সর্ববৃহৎ গ্রন্থগুলোর নাম। ১। আবু ইউসুফ আব্দুস সালাম আল কাযবীনী রহ. লিখিত তাফসীর গ্রন্থটি প্রায় তিনশ খণ্ডের এক বিশাল গ্রন্থ। তিনি এই গ্রন্থখানা ওয়াকফ করে দিয়েছিলেন বাগদাদের মসিজদে আবু হানীফা রহ. এর নামে। কিন্তু পরবর্তিতে তা তাতারী জাতির ধ্বংসযজ্ঞে হারিয়ে যায়। তবে এখনো এই গ্রন্থের কয়েক খণ্ড মিশরে সংরক্ষিত থাকার খবর পাওয়া যায়। ২। হাফেয ইবনে শাহীন রহ. এর তাফসীর গ্রন্থটি ছিল এক জুয বা ত্রিশ হাজার পৃষ্ঠার। এর নাম অবশ্য পাওয়া যায়নি। ৩। কাযী আবু বকর ইবনুল আরাবী রহ. এর আনওয়ারুল ফজর গ্রন্থটির পৃষ্ঠা সংখ্যা প্রায় আট হাজার। ৪। কাজী আব্দুল জাব্বার আল হামাদানী রহ. এর আল-মুহীত্ব নামক তাফসীর গ্রন্থটি ছিল বেশ বড় বড় একশ খণ্ডের। ৫। আল্লামা যাহেদ বুখারী রহ. এর আল-মিনহালুস ছাফী নামক কিতাবখানা প্রায় শত খণ্ডের। ৬। ইবনে নাকীব আল মাকদিসী রহ. এর তাফসীরখানা প্রায় শত খণ্ডের। ৭। আল-মুখতাযান নামক গ্রন্থখানা ইমাম আবুল হাসান আশআরী রহ. সত্তর খণ্ডে সমাপ্ত করেন। ৮। আল্লামা কুতুবউদ্দিন সিরাজী রহ. এর নিসবতে ফাতহুল মান্নান কিতাবখানা চল্লিশখণ্ডে বিন্যাস্ত। এই মুল্যবান কিতাবখানা মিশরের দারুল কুতুবসহ বিশ্বের অভিজাত কিছু ইসলামী লাইব্রেরিতে পাওয়া যায়। তথ্যসুত্রঃ আল-ক্বি’মাতুয যামানি ইনদাল উলামা।

Comments

comments