রঙ্-বাহারি

রঙ্-বাহারি

By mumin

June 02, 2019

মূল্যবান বাণী শ্রমিকের গায়ের ঘাম শুকানোর আগেই তাদের মজুরি প্রদান কর। তোমরা যা খাবে, দাস-দাসীদেরও তা-ই খেতে দেবে। তোমরা যা পরবে, তাদেরও তা-ই পরতে দেবে। কোনো প্রকার তারতম্য করতে পারবে না। হযরত মুহাম্মদ সা:

সাধারণ জ্ঞান ::মে দিবস::

বুক রিভিউ তুচ্ছ কথার গুচ্ছ ১ ও ২ তুচ্ছ কথার গুচ্ছ ১ বের হয়েছে ২০১৮ সালের এপ্রিলে। আর একই সিরিজর দ্বিতীয় বই অর্থাৎ তুচ্ছ কথার গুচ্ছ ২ বেড়িয়েছে এপ্রিল ২০১৯ এ জালালাবাদ কবি কালাম আজাদ সাহিত্য উৎসবে। কাব্যগ্রন্থ আমরা অনেকেই পড়ি, কিনি। চিন্তা করুন তো যখন দু’লাইন, চার লাইন, ছ’লাইনের কিছু মুল্যবান কবিতা গুচ্ছ আপনার পকেটে থাকবে সব সময় তখন কেমন লাগবে? তাও এগুলো পকেট সাইজ। কবি কালাম আজাদ বর্তমান বাংলা সাহিত্যের একজন খ্যাতিমান কবি। সত্তোরোর্ধ্ব একজন বয়োবৃদ্ধ কবি তার জীবনের সঞ্চিত অভিজ্ঞতাকে কাগজের সাদা ক্যানভাসে তোলে এনেছেন কবিতার ভাষায়। পড়তে পড়তে বিরক্তি আসবে না নিশ্চিত। সহজ ভাষায় আমাদের চারপাশের কথাগুলোকে এতো সুন্দর করে তোলে আনার ক্ষেত্রে যতটুকু মুন্সিায়ানা দরকার তার পুরোটাই আছে কবি কালাম আজাদের কাব্য প্রতিভায়। আরেকটু গভীরভারে যদি বলি তাহলে এই সংকলন দুটোকে কবিতার বই না বলে “উপদেশ গ্রন্থ” বললেও খুব একটা বাড়াবাড়ি হবে না। “মানূষ কি আর সমান সমান হয় আমি শুধু আমার মতো তোমার মতো নয়”,

কিংবা “সত্যান্বেষী স্বার্থান্বেষী পার্থক্য করো না সৎ স্বার্থ অন্বেষাই জীবন সাধনা” কথাগুলো একটু গভীরভাবে চিন্তা করলেই বুঝা যায় কতটুকু অর্থপুর্ণ এ কথাগুলো। যান্ত্রিতকতার তন্দ্রায় আচ্ছন্ন আমাদের জীবন এমন কিছু বইয়ের সংস্পর্শ কাটুক।

লেট দেয়ার বি লাইট! মায়ের ডাকাডাকিতে ঘুম থেকে জেগে উঠলো জামী। রমজান মাস সবেমাত্র সেহরী খেয়ে নামায পড়ে ঘুমিয়েছে সে। এই অবেলায় মায়ের ডাক শোনে কিছুটা বিরক্ত সে। যেই মাকে কিছু বলতে যাবে তখনই মা বলে উঠলেন কিরে! আজকে না বন্ধুদের সাথে তোর কী একটা জরুরী কাজ আছে বললি? মনে হলো তার সেহরীর সময় সে মাকে বলেছিল, মা যেন তাকে ভোরে জাগিয়ে দেন। হাত ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলো সকাল ৯টা। তাড়াতাড়ি বিছানা ছেড়ে ফ্রেশ হয়ে বেড়িয়ে পড়লো বন্ধুদের উদ্দেশ্যে। সকাল ১০টায় জামীদের বৈঠকখানায় জমায়েত হলো রফিক, আজাদ, শাহীন, সাজাদ প্রমুখ। দুদিন পরেই ঈদুল ফিতর। তারা উদ্দোগ নিয়েছে নিজেদের মধ্যে কিছু চাঁদা করে এলাকার হতদরিদ্র গরীবদের সাহায্য করবে। দু’শ টাকা করে চাঁদা পড়লো তাদের উপর। খবর শোনে আরো কয়েকজনও শরীক হলো তাদের সাথে। হতদরিদ্র পরিবার খোজে বের করার দায়িত্ব পরলো আজাদের উপর। পুরো গ্রামের সব খবর রফিকের নখদর্পে। তাই পাঁচ মিনিটের ভেতরেই টার্গটেড পরিবারগুলোর তালিকা চলে আসলো তাদের হাতে। মোট ১৫টি পবিরাবকে সহায়তার করা হবে। ময়দা,চিনি,দুধ, সেমাই কিনে দেয়ার সিদ্ধান্ত হলো। সকাল ১০টা থেকে শুরু করে যোহর পর্যন্ত চললো তাদের টাকা সংগ্রহ, পরিবাগুলোর তালিকা ও বাজারের কাজ। যোহর নামায আদায় করে সামান্য বিশ্রাম নিয়ে এবার শুরু হলো তা বিতরণের কাজ। সবাই একত্রে বেড়িয়ে পরলো এগুলো বিতরণের কাজে। একে একে বিতরণ করা হলো পনেরটি পবিরারের মধ্যে। দুপুর ঠিক তিনটায় তারা আবার জমায়েত হলো জামীদের বৈঠকখানায়। তাদের সহায়তা হয়তা হিসাবের ক্ষেত্রে সামান্যেই মনে হবে, বৈঠকখানায় বসে জামী ও তার বন্ধুদের মুখে আত্মতৃপ্তির যে হাসির ঝিলিক দৃশ্যমান তা কি লাখো টাকায় কেনা সম্ভব?

কৌতুক এক ধার্মিক ব্যক্তি আর এক নাস্তিক পাশাপাশি হাটছিল। ধার্মিক ব্যক্তি স্বভাবসুলভ পাশের ব্যক্তিটিকে নামাজ-রোজা এসবের ফজিলত বর্ননা শুরু করতেই নাস্তিক ব্যক্তির প্রশ্ন: আপনি আল্লাহরে বিশ্বাস করেন? ধার্মিক ব্যক্তি একটু থতমত খেয়ে জবাব দেয়: হ্যা। নাস্তিক: কেন? ধার্মিক: বাহ, আমাদের সৃষ্টিকর্তা, আমাদের পালনকর্তাকে বিশ্বাস করবো না? নাস্তিক মহাশয় এবার একটা ব্যঙ্গ হাসি হেসে বললো: আপনি দেখেছেন কখনো আল্লাহকে? আর, আল্লাহকে মানতে গেলে তো ভাগ্যকেও মানতে হয়- ভালো আর মন্দ তাহলে তো সবই আল্লাহরই কাজ- তাতে আমাদের কি কোন হাত আছে? নাস্তিকের প্রশ্ন দুটি শুনে ধার্মিক ব্যক্তি কিছুক্ষণ চুপ করে থাকলো। তারপর, হঠাৎ করেই একটা ইট তুলে- নাস্তিকের মাথায় মেরে বসলো। থানা-পুলিশ হয়ে বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ালো। বিচারক ধার্মিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞেস করলেন: আপনাকে ঐ ব্যক্তি দুটো প্রশ্ন করলো- আর আপনি তাকে এভাবে আঘাত করলেন? বেচারি কত ব্যথা পেলো! ধার্মিক ব্যক্তি: আমি তার দুটি প্রশ্নের জবাব এক ইট দিয়ে দিয়েছি। বিচারক: সেটা কিভাবে? ধার্মিক ব্যক্তি: সে বলেছে যা দেখা যায় না,তা বিশ্বাস করা যায় না। তাহলে সে যে ব্যথা পাচ্ছে তা তো আপনি আমি কেউ দেখছি না। সে শুধু অনুভব করছে। বিচারক: আর, দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তর? ধার্মিক ব্যক্তি: ওটা তার কপালে লেখা ছিল।

Comments

comments