রঙ্-বাহারি

রঙ্-বাহারি

By mumin

April 15, 2018

নিজের কল্যাণের স্বার্থে এবং আযাব থেকে রেহাই পেতে যথাসম্ভব কম কথা বল। তুমি তোমার আমলনামার পাতাগুলো আড্ডাবাজি দিয়ে পূর্ণ করো না। কেননা, চূড়ান্ত হিসাব-নিকাশের দিনে যে বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে তা হল তোমার জীবনে আল্লাহকে স্মরণ করার মুহূর্তগুলো।” হজরত আব্দুল কাদির জিলানী রহ.

জ্ঞানভাণ্ডার ১. রাসুল সা. কতজন দাসমুক্ত করেছিলেন? উত্তরঃ ৬৩ জন। ২. সর্বাধিক দাসমুক্তকারী সাহাবি কে? উ: আব্দুর রহমান বিন আওফ (৩০০০০ জন) ৩. একদিনে সর্বাধিক দাসমুক্তকারী সাহাবী কে? উ: যুলকালাহ আল হিমইয়ারী রহ. (৮০০০জন) ৪. দাসদের মধ্যে ‘বাহরুল উম্মাহ’ উপাধি পেয়েছিলেন কে? উ. ইবনে আব্বাস রা. এর দাস ইকরিমা রহ.। ৫. অপারেশন সার্চ লাইট কি? উ: ১৯৭১ সালে ২৬শে মার্চ রাতে বর্বর পাকিস্তানি কর্তৃক নিরীহ বাঙালি হত্যাকাণ্ড। ৬. ১৭ মার্চ কি দিবস হিসেবে পরিচিত? উ: এদিনে জন্মগ্রহণ করেছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এদিনটি জাতীয় শিশুদিবস হিসেবে পালন করা হয়। ৭. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণ সম্প্রতি কোন স্বীকৃতি লাভ করে? উ: ইউনেস্কো স্বীকৃতি ৮. বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনীর দ্বিতীয় গ্রন্থের নাম কি? উ: কারাগারের রোজনামচা ৯. গতবছরের মার্চ মাসে সিলেটের আতিয়া মহলে পরিচালিত জঙ্গিবিরোধী অভিযানের নাম কি? উ: অপারেশন টোয়ালাইট। ১০. তালামীযে ইসলামিয়ার ৩৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সম্মেলন কবে, কোথায় অনুষ্ঠিত হয়? উ: ১৮ ফেব্র“য়ারি, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, রমনা, ঢাকায়।

বিশ্ব সাহিত্যকেন্দ্রে একদিন: বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন ঢাকা কলেজের বাংলা বিভাগের সাবেক শিক্ষক, জাতীয় অধ্যাপক শ্রদ্ধেয় আব্দুল্লাহ আবু সাঈদ স্যার। মানুষের দ্বারে দ্বারে বই পৌছে দেয়ার মহান ব্রত নিয়ে তাঁর এ পথচলা। গত ডিসেম্বরে তিনদিনের সফরে ঢাকা যাই। সবসময় আমার আগ্রহ থাকে দর্শনীয় স্থানগুলোর প্রতি। ঢাকায় যাওয়ার আগে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে দুই বছর যাবত কর্মরত আছেন বিশ্বনাথের জাকির মুহাম্মদ ভাই। উনার সাথে ফোন করে যাই বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে। তখন মাগরিবের সময়। ১০/১৫ মিনিট বাকি আছে নামাযের। জাকির ভাইয়ের সাথে দেখা হলে কেন্দ্রের পাশে হালকা নাস্তা করান। এরপর উনার সাথে যাই বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ভবনের ২য় তলায় লাইব্রেরিতে। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ও এর প্রতিষ্ঠাতা আবু সাঈদ স্যার সম্পর্কে আমার নেতিবাচক ধারনা ছিল। কিন্তু তাঁর কয়েকটি বক্তব্য শুনে ধারনা পাল্টে যায়। অবশেষে নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারি। তাই লাইব্রেরিতে গিয়ে আরেকটু নিশ্চয়তার জন্য কিছু খোঁজ নেই। যা দেখলাম সত্যিই প্রশংসনীয়। ইসলামী বইগুলোর আলাদা কয়েকটি বড় বড় সেলফ। আল্লামা রুমি, শেখ সাদী, ইকবালসহ অনেক বিখ্যাত আরব লেখকদের পাশাপাশি রয়েছে ভারতীয় উপমহাদেশের বিখ্যাত অনেক মুসলিম লেখকদের মুল্যবান গ্রন্থও। নজরুল রচনাবলী, রবীন্দ্র সমগ্র, শরৎচন্দ্র রচনাসমগ্র রয়েছেই। বিশেষ চিত্তাকর্ষক হলো ইংরেজ সাহিত্যিকদের গ্রন্থের বাংলা অনুবাদ সিরিজ। রয়েছে আবু সাঈদ স্যারের লিখিত নিজস্ব বইগুলোও। মাগরিবের নামাজের সময় লাইব্রেরিতে কর্মরতদের নামাজের জন্য আগ্রহ দেখেও পুলকিত হলাম। কেন্দ্র ভবনে রয়েছে নামাজের জন্য সুন্দর ব্যবস্থাপনাও। এতোকিছুর পরেও পরিতাপের বিষয় হলো, শ্রদ্ধেয় আবু সাঈদ স্যারকে দেখতে না পারার আক্ষেপ। বয়সের ভারে ন্যুব্জ স্যার কোনো অনুষ্ঠান ছাড়া তেমন আসেন না তাঁর এই কেন্দ্রে। আমি যেদিন গেলাম এর আগেরদিন নাকি এসেছিলেন তিনি।

কৌতুক : একদিন এক বন্ধু আর এক বন্ধুর কাছ থেকে ৫০টাকা ধার নিয়ে ক’দিন পরে ৬০ টাকা ফেরৎ দেয়। ১ম বন্ধু : ৬০ টাকা কিসের জন্য? ২য় বন্ধু : মনে নেই, সেদিন যে ধার নিলাম। ১ম বন্ধু : আমি তো ৫০ টাকা দিয়েছিলাম। ২য় বন্ধু : হ্যাঁ। তোর ওই ৫০টাকা বাচ্চা দিয়েছিলো। তাই ১০টাকা বেশি দিলাম। কয়েক দিন পর… ২য় বন্ধু: দোস্ত আমাকে ৫০০ টাকা ধার দে, খুব দরকার। (১ম বন্ধু মনে মনে ভেবে ওর কাছে টাকাও বাচ্চা দেয়) ১ম বন্ধু : আরে শুধু ৫০০ টাকা কেন, তোর জন্য আমার যা আছে সব দিতে পারি। এই নে ৫০০ টাকা। ২য় বন্ধু : ধন্যবাদ দোস্ত, তোর মত লোকই হয়না। মাস খানেক পর… ১ম বন্ধু : কিরে দোস্ত, প্রায় এক মাস হলো, তুই যে আমার কাছ থেকে ৫০০ টাকা ধার নিলি, তা তো ফেরৎ দিলি না? ২য় বন্ধু : দোস্ত কি আর বলবো দুঃখের কথা। ওই ৫০০ টাকা, বা…বা…বা… বাচ্চা দিতে গিয়ে মারা গেছে।

Comments

comments