রঙ্-বাহারি

রঙ্-বাহারি

By mumin

February 17, 2018

বাণী চিরন্তন “তোমাদের শাসক হিসেবে আমি হলাম সে ব্যক্তির মত, যেমন কিছু লোক একত্রে সফর করার সময় টাকা-পয়সাগুলো একজনের হাতে জমা দিয়ে বলে- তোমাকে আমাদের প্রয়োজনাদি মেটানোর দায়িত্ব দেওয়া হলো-দায়িত্বপ্রাপ্ত সে ব্যক্তির কি খরচের ব্যাপারে তারতম্য করার সুযোগ আছে? তেমনি খিলাফতের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রেও কারও প্রতি তারতম্য করার অধিকার আমার নেই।” -হযরত ওমর ফারুক (রা.)

কয়েকটি প্রশ্ন ১. ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে শহীদ হওয়া রিকশাচালকের নাম কি? উ:- আব্দুল আউয়াল ২. ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে শহিদ হওয়া একজন কিশোর হলো- উ:- অহিউল্লাহ ৩. ২১ ফেব্র“য়ারি ১৪৪ ধারা ভঙ্গের সিদ্ধান্ত নেন কারা? উ:- বিশ্ববিদ্যালয় সংগ্রাম পরিষদ ৪. ভাষা আন্দোলনের প্রথম শহীদ মিনার স্থাপিত হয় কোথায়? উ:- আবুল বরকত গুলিবিদ্ধ হহওয়ার স্থানে (মেডিকেল কলেজের সামনে) ৫. শহিদ মিনার স্থাপিত করা হয় প্রথম কবে? উ:- ২৪ শে ফেব্র“য়ারি ৬. শহিদ মিনার উদ্ভোধন করেন কে? উ:- শহিদ শফিউরের পিতা, অনানুষ্ঠানিক (২৪ ফেব্র“য়ারি), আবুল কালাম শামসুদ্দিন, আনুষ্ঠানিক (২৬ ফেব্র“য়ারি) ৭. ভাষা আন্দোলন কেন্দ্রিক ১৯৫২ সালের ৩০ জানুয়ারি গঠিত পরিষদের নাম- উ:- সর্বদলীয় কর্মপরিষদ (৬টি দলের সমন্বয়ে) ৮. ‘পাকিস্তান অবজারভার’ পত্রিকা বন্ধ করে দেয়া হয় কবে? উঃ ১৬ ফেব্র“য়ারি ৯. ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলন চলাকালীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কোথায় ছিলেন? উ:- জেলে বন্দি ছিলেন। ১০. ঢাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয় কোনদিন? উ:- ২০ ফেব্র“য়ারি।

দর্শনীয় স্থানঃ নুহাশপল্লী দেশের খ্যাতনামা কথা সাহিত্যিক প্রয়াত হুমায়ুন আহমেদ রাজধানী ঢাকার অদূরে গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে এক দুর্গম এলাকা পিরুজালী গ্রামে ৪০ বিঘা জমি নিয়ে গড়ে তুলেছেন প্রাকৃতিক আবহে গ্রামীণ পরিবেশ সমৃদ্ধ নুহাশ পল্লী। চৌরাস্তা থেকে পথ যেতে যেতে গ্রামীণ পরিবেশ দর্শনার্থীদের স্বাগতম জানায় প্রাণভরে। আশ-পাশে রয়েছে নামে-বেনামে অনেক পিকনিক স্পট। এতদসত্ত্বেও সবার দৃষ্টি কেড়েছে নুহাশ পল্লী। সেখানকার নানা স্থাপনা আর অসংখ্য ফলজ, বনজ গাছের পাশাপাশি হুমায়ুনন আহমদ বানিয়েছেন ঔষধি গাছের বাগান। নিজের মনের মতো করে ছেলের নামে রাখা নুহাশ পল্লীকে এক স্বপ্নজগত করে গড়ে তুলেছেন হুমায়ূন আহমেদ। তাই আড়াইশ প্রজাতির সবুজ গাছের সেই নন্দন কাননে বারবারই ছুটে গেছেন তিনি। নুহাশ পল্লীতেই হুমায়ূন আহমেদ গড়ে তুলেছেন স্যুটিং স্পট, দিঘি আর তিনটি সুদৃশ্য বাংলো। একটিতে থাকতেন আর বাকি দুটি ছিল তার শৈল্পিক চিন্তাধারার আরেক রূপ। শানবাঁধানো ঘাটের দিঘির দিকে মুখ করে বানানো বাংলোর নাম দিয়েছেন ‘ভূত বিলাস’। দুর্লভসব ঔষধি গাছ নিয়ে যে বাগান তৈরি করা হয়েছে তার পেছনেই রূপকথার মৎস্যকন্যা আর রাক্ষস। আরো রয়েছে পদ্মপুকুর, অর্গানিক ফর্মে ডিজাইন করা অ্যাবড়ো থেবড়ো সুইমিং পুল। গেট পাস হয়েই সামনে একটি প্লেটে দিকনির্দেশনা দেয়া আছে নামাজের স্থানের। নুহাশ পল্লীর ভেতরের বিশেষ আকর্ষণ হলো এর ঔষধিগাছের বাগান। এতসমৃদ্ধ ঔষধি বাগান এদেশে বিরল। হরেক প্রজাতির পাখির কুজন মনের গভীরে দোলা দিয়ে যায়। হুমায়ুন আহমদকে চিরদিনের মতো শায়িত করা হয়েছে কার প্রিয় এই পল্লীতেই। সম্পূর্ণ সাদা-মাটা ভাবে রাখা হয়েছে তার সমাধিকে। আধঘন্টা থাকেন আর সারাদিনই থাকেন আপনাকে গুণতে হবে মাত্র ২০০ টাকা। হুমায়ুন আহমেদ অনেকক্ষণ বসে থাকতেন যে দিঘির পাড়ে সেই সুন্দরতম দিঘিটির নাম দিয়েছেন তিনি লীলাবতী দিঘি। সত্যিই অসাধারণ একটি স্থান ‘নুহাশপল্লী’; সাজানো- গোছানো একপ্রান্তর জায়গা, যেখানে গেলে ভালো লাগবে সবার।

কৌতুক ৯০ বছরের বৃদ্ধ ডাক্তারের কাছে গিয়েছে চেক আপ করাতে তার সব টেস্টের ফল স্বাভাবিক আসলো। ডাক্তার তাকে জিজ্ঞেস করলেন ‘আপনার সব টেস্টের ফল তো বেশ ভালো এসেছে। তো আপনার মানসিক অবস্থা কেমন?’ বৃদ্ধ হেসে জবাব দিলেন “আসলে কয়েকদিন ধরে আমি বেশ মানসিক শান্তিতে আছি। কারণ বিধাতা আমার প্রতি অনেক সদয় হয়েছেন। তিনি জানেন যে আমার দৃষ্টিশক্তি দুর্বল হয়ে গেছে। বিধাতার দয়ায় আমি মধ্যরাতে যখন বাথরুমে যাই তখন ধুম!! লাইট অন হয়ে যায়। আবার যখন আমার বাথরুমে কাজ শেষ হয়ে যায়… ধুম!! লাইট অফ হয়ে যায়। এজন্য আমি বিধাতার প্রতি আমি অনেক কৃতজ্ঞ। ‘বাহ!! এটা বেশ দারুণ!!’ ডাক্তার অবাক হয়ে বললেন। যাই হোক দিনের শেষের দিকে ডাক্তার বৃদ্ধের স্ত্রীকে ফোন দিলেন “আপনার স্বামী তো বেশ সুস্থ আছেন। এর কারণ তিনি বেশ মানসিক শান্তিতে আছেন। তিনি নাকি যখন বাথরুমে যান,তখন লাইট অন হয়ে যায় আবার যখন বের হন লাইট অফ হয়ে যায়” বৃদ্ধা হতাশ গলায় বললেন “হায়রে খোদা! সে আবারও ফ্রিজে বাথরুম করছে?”

Comments

comments