আউলিয়ায়ে কেরাম

চলে গেলেন কাঁঠালিয়ার হুজুর ‘এক অকুতোভয় আলেমে দীন’ মাওলানা তৈয়্যেবুর রহমান রহ.(১ম পর্ব)

By lazy-coder

April 05, 2016

ইসলামী বিশ্বের সর্বমহল পরিচিত, বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠতম দীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সর্বপ্রথম টাইটেল মাদরাসা ছারছীনা দারুচ্ছুন্নাত কামিল মাদরাসার সাবেক প্রধান মুহাদ্দিস, উস্তাযুল আসাতিযা- হযরত মাওলানা তৈয়্যেবুর রহমান সাহেব গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে ঝালকাঠি জেলার কাঁঠালিয়া-য় তার নিজ বাড়িতে সকাল দশটায় ৫৩ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মুহূর্তের মধ্যে দেশময় তাঁর শোক সংবাদ ছড়িয়ে পড়ে। শেষ বারের মত তাঁকে এক নজর দেখা ও জানাজায় শামিল হতে তার ছাত্র, ভক্ত, দেশ বরেণ্য আলেম- উলামা, ও সাধারণ মানুষের ঢল নামতে থাকে। পরের দিন বেলা সাড়ে তিনটায় জানাযা নামায অনুষ্ঠিত হবার পূর্বে হুজুরের নিকটাত্মীয় এবং দেশ বরেণ্যদের থেকে অল্প কয়েকজন মাইকে এক- দুই মিনিট করে শোক প্রকাশ করেন। তাদের এক একটি কথা ছিল মূল্যবান এক একটি মণি-মুক্তার দানা, মাখনের মত নির্যাস। কিন্তু কথা বলার সুযোগ অনেকে পাননি আর অনেকে সে মুহূর্তে নেননি। তিনি এলাকার লোকদের কাছে মুহাদ্দিস হুজুর আর দেশের আলেম ওলামার মহলে ‘কাঁঠালিয়ার হুজুর’ বলে সুপরিচিত ছিলেন। জন্ম ও পরিচিতি: ঝালকাঠি জেলার কাঁঠালিয়া উপজেলার অন্তর্গত পূর্ব ছিটকী গ্রামে মৌলবী শফিউদ্দীন হাওলাদার ও হালিমা বেগম এর ঘর আলোকিত করে ১৯৬৩ সনের এক শুভলগ্নে রোজ মঙ্গলবার তিনি জন্ম গ্রহণ করেন। শিক্ষা জীবন: সর্বপ্রথম শিশু তৈয়্যেবুর রহমান তাঁর বাড়ির সন্নিকটে ‘উত্তর ছিটকী রেজিস্টারড (বর্তমানে সরকারি) প্রাথমিক বিদ্যালয়’ এ কিছুদিন যাওয়া আসা করেন। কথায় বলে প্রভাতই দিনের প্রতিচ্ছবি। সে সময়েই ঐ বিদ্যালয়ের উস্তাদ জনাব হাবিবুর রহমান কাজী (হাবিব কাজী স্যার) তাঁকে দেখেই বলে উঠেন এই শিশু যে লাইনেই পড়াশোনা করুক, সে অনেক বড় কিছু হবে। এরপর পশ্চিম ছিটকী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাশ থ্রি, ছিটকী মাদরাসায় চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণী, কানুদাস কাঠি মাদরাসা নামে আরেক প্রতিষ্ঠানে পরবর্তী এক ক্লাশ পড়েছিলেন। অতঃপর পার্শ্ববর্তী গ্রামে ‘উত্তর তালগাছিয়া নেছারিয়া ফাযিল মাদরাসা’য় হাশতম থেকে ফাযিল পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। ১৯৮৮ সনে দেশের শ্রেষ্ঠতম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ‘ছারছীনা দারুচ্ছুন্নাত আলিয়া মাদরাসা’ থেকে কামিল হাদীস বিভাগে প্রথম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হন। আদব, আখলাক, মেধা ও যোগ্যতায় সকলের নিকট তিনি সীমাহীন ¯েœহের পাত্র ছিলেন। কালক্রমে তিনি যে একজন শ্রেষ্ঠ আলেমে দীন ও মহামানব হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবেন, এতে তার সহপাঠী ও শিক্ষকদের কারোরই কোন সন্দেহ ছিল না। কর্মজীবন: ১৯৮৯ সনে আরবী প্রভাষক হিসেবে ছারছীনা দারুচ্ছুন্নাত আলিয়া মাদরাসায় কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৯৬ সনে এ মাদরাসার মুহাদ্দিস হিসেবে তাঁকে নিয়োগ দেয়া হয়। পরবর্তীতে ২৯. ০৯. ১৯৯৮ থেকে ০১.০১. ২০০১ ইং পর্যন্ত তিনি টিকিকাটা নূরীয়া ফাযিল মাদরাসার (মঠবাড়িয়া, পিরোজপুর) অধ্যক্ষ পদে যোগদান করে কর্মরত ছিলেন। এর পরে পুনরায় হেড মুহাদ্দিস হিসেবে তাকে ছারছীনা মাদরাসায় ফিরে আসতে হয়েছে। ২০০৯ সন পর্যন্ত তিনি এ মহান পদ অলঙ্কৃত করেছিলেন। এরপর উত্তর তালগাছিয়া ফাযিল মাদরাসার অধ্যক্ষ পদে যোগদান করেন। তিনি এখানেই ফাযিল পর্যন্ত পড়াশুনা করেছেন এবং আমৃত্যু মাদরাসার অধ্যক্ষ পদে বহাল ছিলেন। বিবাহ: মুজাদ্দিদে জমান শাহ আবু জাফর মুহাম্মদ ছালেহ রহ. এর সরাসরি নির্দেশে ছারছীনা মাদরাসার মুহাদ্দিস জনাব আবদুর রশিদ (সুফী সাহবে হুজুর) তাঁর প্রথমা কন্যা ছালমা বেগমের সাথে ১৯৯০ সনে তাঁর বিয়ের কাজ সম্পন্ন করে দেন। সন্তানাদির পরিচয়: তিনি দুই পুত্র ও এক কন্যা রেখে যান। বড় ছেলে আলহাজ্জ মুহাম্মদ নাসরুল্লাহ বিন তৈয়্যেব। যিনি ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া’ তে ‘আল হাদীস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ’ বিভাগে অনার্স তৃতীয় বর্ষের ফলপ্রার্থী। হুজুরের একান্ত ইচ্ছায় তাঁর ইনতেকালের পূর্ব মুহূর্তে তাঁর এই ছাহেবজাদার শাদী মোবারক সম্পন্ন করে দেন। জোড়খালী গ্রামের (কাঁঠালিয়া, ঝালকাঠি) মাওলানা নূরুল আমীন ফারুকী সাহেবের কনিষ্ঠা কন্যার সাথে ০৪ ডিসেম্বর ২০১৫ ইং তারিখে ঢাকার দারুন্নাজাত সিদ্দিকীয়া কামিল মাদরাসায় বিয়ের অনুষ্ঠান ও ওলীমার আয়োজন করা হয়। সম্পূর্ণ সপ্রণোদিত হয়ে এ অনুষ্ঠানের যাবতীয়, ব্যয় ও ব্যবস্থাপনার আয়োজন করেন দারুন্নাজাত মাদরাসার সম্মানিত প্রিন্সিপাল আ খ ম আবুবকর সিদ্দীক (মা. জি. আ)। এ ছাড়াও কাঁঠালিয়ার হুজুরের অসুস্থতার প্রতিটি ক্ষণে একান্ত জরুরী মুহূর্তে দারুন্নাজাতের প্রিন্সিপাল হুজুর যেভাবে পাশে দাঁড়িয়েছেন- সেভাবে আর কাউকে পাওয়া যায়নি। হুজুরের ছোট ছেলে হাফেজ মোহাম্মদ ছিফাতুল্লাহ (দারুন্নাজাত সিদ্দীকিয়া কামিল মাদরাসায় আলিমে অধ্যয়নরত)। একমাত্র আদুরে কন্যা সাদিয়া বেগম। হুজুর তাঁর নিজ বাড়িতে পাঁচ শতাধিক মেহমানের আমন্ত্রণ ও উত্তম ব্যবস্থাপনার সাথে ১৯ অক্টোবর ২০১৩ তাঁর কন্যার বিয়ে আয়োজন করেন। তাঁর জামাতা “ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের লেকচারার- মাওলানা নাসির আহমাদ। যিনি রাজবাড়ী জেলার পাংশা নিবাসী জনাব মাওলানা মুহাম্মদ ওয়ালী উল্লাহ সাহেবের সম্ভ্রান্ত পরিবারের জ্যেষ্ঠ পুত্র। তিনি তার সময়ের ছারছীনা মাদরাসার প্রথম সারির একজন সুপরিচিত মেধাবী ও মুয়াদ্দাব ছাত্র ছিলেন। অসুস্থতা: হাদীসে যেমন আছে সবচেয়ে বড় মুসিবত আসে নবীদের উপর। তারপর তাদের সাদৃশ্য এবং তারপর তাদের সাদৃশ্য যারা। অর্থাৎ নবীদের ওয়ারিশের উপর। ঠিক তেমনি রোগ, শোক ও মুসিবাতে তিনি জর্জরিত ছিলেন। তিনি আজীবন ছিলেন কঠিন ডায়াবেটিকে আক্রান্ত। প্রতিদিন দুবার করে ইনসুলিন নিজ হাতে শরীরে পুশ করতেন। পরে দুরারোগ্য (কোলন) ক্যান্সার ধরা পড়ে। ২০১২ সালে ঢাকার স্কয়ার হসপিটালে ক্যান্সার অপারেশন সফল হলে কিছু দিন স্বাভাবিক ছিলেন। এর পর পুনরায় অসুস্থ হয়ে পড়লে দফায় দফায় মিরপুরের ডেলটা হসপিটাল, বরিশালের শেরে বাংলা হসপিটাল, শ্যামলীতে অবস্থিত ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল হসপিটাল এন্ড কলেজ’ ও বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এতে তিন বছরের অধিকাংশ সময় হাসপাতালের বেডে শায়িত অবস্থায় কাটিয়েছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য দুবার দেশের বাইরে- সিংগাপুর ও ভারত গমন করেছিলেন। সব মিলিয়ে দুবার অস্ত্রোপাচার, দীর্ঘ দিন থেরাপি, শরীরে শত শত সুঁই ও ব্যাগের পর ব্যাগ রক্ত পুশ করতে থাকা, মাসের পর মাস কোন খাবার গ্রহণের ক্ষমতা না থাকা, কিডনী বিকল হওয়া, ডায়ালাইসিস, ইত্যাদিতে সীমাহীন ও অবর্ণনীয় কষ্টভোগ করেছেন। এত কষ্টে শারীরিক, মানসিক ও আর্থিকসহ সবদিক দিয়ে তিনি যে ধৈর্য্যরে দৃঢ়তার দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন, এ যুগে আমাদের চোখের সামনে এমন আর নেই। তার একান্ত ইচ্ছায় এর মধ্যে একবার তাকে গ্রামের বাড়িতে নেয়া হয়। সে মুমূর্ষু মুহূর্তে সুফী সাহেব হুজুর তাঁকে দেখতে আসলে তাঁর কাছে আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন- “আমার একান্ত ইচ্ছা- আমি আরেকবার হজ্জে যাব। সাথে নাসরুল্লাহকে নিয়ে যাব আর হজ্জ থেকে এসে ওকে বিয়ে করাতে চাই- এতটুকু সময় যেন আল্লাহ আমাকে দান করেন।” ঠিকই আল্লাহ তাকে এতটুকু সময় দান করেছিলেন। ছেলেকে বিয়ে করানোর ৭৪ দিনের মাথায় দুনিয়া থেকে তিনি চিরতরে বিদায় গ্রহণ করেন। হজ্জ ও উমরা পালন: সর্বপ্রথম ১৯৯৬ সনে তিনি হজ্জব্রত পালন করেন। যা ছিল আশেকে রাসুলের সম্পূর্ণ এক অলৌকিক যাত্রা। যার বিস্তারিত বিবরণ পরে দিব ইনশা আল্লাহ। তিনি মোট ৫ বার হজ্জ ও দু’বার ওমরা পালন করেন। এক উমরায় স্ত্রী ও কন্যাকে সাথে নিয়ে গিয়েছিলেন। হুজুরের ইলম ও আমল সম্পর্কে ধারণা: আলেম কাকে বলে, এর যতগুলো সংজ্ঞা বা পরিচয় আছে- তার মধ্যে সবচেয়ে কঠিন পরিচয়টি দেয়া হয়েছে ‘সুনানুদ দারেমী’ এর ৩৮২ নাম্বার হাদীসে। সেখানে বলা আছে – আলেম সে ব্যক্তি তিনি যা জানেন, তা আমল করেন। তার আমল ও ইলম বরাবর। অর্থাৎ, আমল ও ইলম সমানে সমান। আমাদের চোখে এমন সংজ্ঞা যেন তার মত আলেমের জন্যই। যত গভীর ছিল তার জ্ঞানের সমুদ্র, ততই উঁচু ছিল তার নেকের স্তুপ- আমলের পাহাড়। আমাদের যার ধারণা যতই উচ্চ হোক, হুজুর তারও চেয়ে উচ্চ মার্গের অধিকারী ছিলেন ইলমে ও আমলে। তাঁর উস্তাদের তথা দেশ বরেণ্য আলেমদের উচ্চারিত অভিমতই আমাদের প্রণিধানযোগ্য। তাঁর জানাজার পূর্ব মুহূর্তে হাজার হাজার মানুষকে সাক্ষী রেখে তার উস্তায- উস্তাযুল আসাতেযা হযরত মাওলানা আব্দুর রশীদ (সুফী সাহেব) হুজুর শোক সন্তপ্ত কণ্ঠে মনের ভাব প্রকাশের এক পর্যায়ে মাইকে ঘোষণা দিলেন ‘খুলনা আলিয়ার প্রিন্সিপাল মাওলানা মুহাম্মদ ছালেহ সা’ব আমাকে বললেন “কামিলের ভাইভা পরীক্ষা নিতে গিয়ে সারা জীবনে আমার যে প্রশ্নের উত্তর কোন মাদরাসার কেউ দিতে পারেনি, মাওলানা তৈয়্যেবুর রহমান সেটার উত্তর দিতে পেরেছেন। আর আমি (সুফী সা’ব হুজুর) যদি কোন মাসালার জবাব খুঁজে না পেতাম, সেটি মাওলানা তৈয়্যেবকে জিজ্ঞেস করতাম। উনি সেটার সুন্দর জবাব দিয়ে দিতেন।’ হুজুরের ইলম ছিল ইলমে লাদুন্নী: আমাদের সকলের কৌতূহল ছিল যে, তিনি এত প্রশ্নের উত্তর দেন কিভাবে? হাদীস, তাফসীর, ফিকাহ, ফতোয়া, উসূল, মানতেক, বালাগাত, ইত্যাদি যে কোন বিষয়ের সমাধান তিনি কই পান? কিন্তু কোন দিন তাঁর মুখ থেকে এ রহস্য ফাঁস করতে শুনিনি। আবার কোন কিতাবের কোনখানে আছে- তা খুলে দেখান কী করে? দিনটি ছিল ২০১২ সালের আগস্ট মাসের ৩ তারিখ। হুজুর দারুন্নাজাত মাদরাসার মেহমান খানায় ছিলেন। হুজুরের সাথে আলোচনায় লিপ্ত হয়ে আমরা সারা রাত নির্ঘুম জেগেছিলাম। দারুন্নাজাত মাদরাসার হেড মুহাদ্দিস (কাঁঠালিয়ার হুজুরের ছাত্র) শেখ আব্দুল লতিফ সাহেব প্রশ্ন করলেন ‘হুজুর এত কিতাব, এত এবারত কি পড়ে পড়েই মনে রেখেছেন না অন্য কোন উপায় আল্লাহ আপনাকে দান করেছেন?’ এ প্রশ্নের সরাসরি উত্তর এড়িয়ে যাবার অনেক চেষ্টা করেও যখন তিনি আর পারলেন না, তখন আমাদের সামনে বাধ্য হয়ে সে রাত গভীরে মুখ খুললেন। “আমি যখন আলিমে পড়ি, তখন আমাদের উত্তর তালগাছিয়া ফাযিল মাদরাসায় দু জন উস্তাদ ছিলেন দেওবন্দের ফারেগ। একজন লক্ষ-ীপুরার হুজুর মাওলানা সেকান্দার সাহেব। তিনি নূরুল আনওয়ার পড়াতেন। আমি আগের দিন পড়া একটু দেখে আসতাম। ‘আমর’-এর অধ্যায় পড়া চলছিল। হুজুর বললেন পড়। আমি পড়তে থাকলাম, বুঝাতে থাকলাম। হুজুর এত খুশী হলেন যে, আমাকে সেদিন দুটি পরামর্শ দিয়েছিলেন। এক. দারুল উলুম দেওবন্দে গিয়ে একটু কিতাব পড়ে শুনিয়ে আসলেই তোমার হয়ে যেত। যদি এটা পারতে! দুই: রসমে মুফতী নামক কিতাবটি তুমি সাথে রাখবে। এর পর থেকে আমার মনে খুব ইচ্ছা- যদি দেওবন্দে যাবার কোন সুযোগ হত! দিন রাত সেই ভাবনায় থাকতাম। একদিন স্বপ্নে দেখি যে, আমি ও আমার সহপাঠী মাওলানা আবুল কাশেম (সে হল তোমাদের দারুন্নাজাত হতে ২০১১ সালে আলিম পাশ করে গেছে ফয়জুল্লাহর আব্বা) দারুল উলুম দেওবন্দের মাঠ অতিক্রম করে মাদরাসা ভবনের দিকে যাচ্ছি। পেছন থেকে আসছেন এক মুরব্বি। তিনি আমাদের ডেকে থামালেন। বললেন তোমরা কোন জামাতে ভর্তি হবে?… চলবে

২য় পর্ব

Comments

comments