নভেম্বরের শুরুর দিকে যে কয়টা ইস্যুতে দেশ সরগরম ছিল তন্মধ্যে অন্যতম হলো ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হিন্দুদের ঘরবাড়ি ও মন্দির ভাংচুর। ঘটনার সুত্রপাত এক হিন্দু যুবক কর্তৃক পবিত্র কাবা ঘরের ছবি এডিট করে তার উপর শিবের ছবি বসানো নিয়ে। স্থানীয় সচেতন মুসলিমদের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, এই ঘটনা (সংখালঘুর ঘর-মন্দির ভাংচুর)-র সাথে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এই ঘটনার পর কোনোরকম তদন্ত না করেই প্রায় সপ্তাহ ব্যাপী চলে ঢালাও গ্রেফতার। অনেক নিরীহ-নির্দোষ মানুষকে সারারাত কাটাতে হয়েছে ধান ক্ষেতে বা আত্মীয়ের বাড়িতে। অনেক দিনমজুরও কাজকর্ম ফেলে রেখে পালিয়েছেন পুলিশে ভয়ে। নাসিরনগরের এই ঘটনা নিয়ে দেশের কতিপয় নামদারী বুদ্ধিজীবী ক্রীড়নক ইসলাম ধর্ম ও মুসলমানদের নিয়ে অশালীন ও আক্রমণাত্মক বক্তব্য দিয়েছেন। তন্মধ্যে একটি টিভি চ্যানেলের টকশোতে বলা হয়- ‘যদি বাংলার হিন্দু বীর সন্তানেরা একবার গর্জে ওঠে তবে বাংলাদেশ থাকবে ঠিকই কিন্তু এ দেশে কোনো মুসলমান থাকবে না।’ এরকম উগ্র ও কটাক্ষপূর্ণ মন্তব্য সচেতন মুসলমানদের মনে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়িয়ে পড়–ক এটা কারো কাম্য হতে পারে না। নানা ধর্মের, নানা বর্ণের মানুষের সম্প্রীতি আর সোহার্দ্যপূর্ণ সহাবস্থানের দেশ বাংলাদেশ। এই পরিবেশ যারা নষ্ট করবে তাদের বাস এই বাংলাদেশে হবে না । নুর হোসেন বুরাইয়া কামিল (এম.এ) মাদরাসা ছাতক, সুনামগনজ।
Comments
comments