বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িকতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ এমন একটি দেশ, যেখানে সকল ধর্ম ও স্বস্ব ধর্মরীতি পালনের স্বাধীনতা রয়েছে। সংবিধানের পরতে পরতে, আইন-আদালতের সর্বত্র ধর্মীয় স্বাধীনতার ঘোষণা স্পষ্ট। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম একটি উৎসব হোলি। আমরা চাই, তারা নির্বিঘেœ তাদের ধর্মীয় উৎসব পালন করুক। কিন্তু যখন মুসলিমদের প্রতি এই হোলির রঙ নিক্ষেপ করা হয়, নিষেধ করার পরও রঙ লাগানো হয়, সরি বলেও মুসলিম বোনটি রেহাই পায়নি, রিকশায় বসা হিজাব-পরা বোনটিও হোলির রঙ থেকে রেহাই পায়নি, মিডিয়ার ক্যামেরার সামনে কথা বলার সময়ও এক যুবক তার মুখে জোরপূর্বক রঙ দিয়ে যায়, তখন ধর্মীয় স্বাধীনতা আর অসাম্প্রদায়িকতাটা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যায়। সুশীল সমাজ আর বুদ্ধিজীবীদের নীরবতা দেখে তখন মনে হয়,ধর্মীয় স্বাধীনতা আর অসাম্প্রদায়িকতা মানে হিন্দু-বৌদ্ধরা ধর্মীয় স্বাধীনতার বাইরে আরো কিছু সুবিধা পাবে, তাদের সংস্কৃতি অন্যের উপর চাপানোর সযোগ পাবে; আর মুসলিমরা শুধু অসাম্প্রদায়িক হবে, নিজ ধর্মের কথা বেশি বলবে না,বললে মৌলবাদীর তকমা লাগবে। মুসলিমদের ঈদের দিন কোনো হিন্দুকে কি জোর করে ঈদগাহে নেওয়া হয়েছে? জোর করে কুরবানির গোশত খাওয়ানো হয়েছে কি? তবে কেন জোর করে মুসলিমদের গায়ে হোলির রঙ মাখানো হল? যদি বলা হয়, এরা অজ্ঞাত পরিচয়ের লোক, তবে ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনা হোক। আমাদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তো অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে দক্ষ। লেখক : আরবি প্রভাষক, বাদেদেওরাইল ফুলতলী কামিল (এম.এ) মাদরাসা। ৩৫তম বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা)।
Comments
comments