ধারাবাহিক উপন্যাস

অঙ্গীকার (২য় পর্ব)

By mumin

September 08, 2019

(পূর্ব প্রকাশের পর) -হুম কথা তো সেটাই তুই আর রাদি এক না। ও যদি তোর মতো হতো তাহলে আমার কোন চিন্তা ছিলো না। জানিস ও বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরই আমার ওকে নিয়ে টেনশন শুরু করতে হয়। আমি আর পারবো না। -মা ও কি রাজি হবে? -ওকে বুঝানোর দায়িত্ব তোর। মানার মধ্যে এখন তোকে যা একটু আধটু মানে। তোর বাবা ও দেশে থাকে না দুই দুইটা অবিবাহিত মেয়ে নিয়ে ঘরে আমি একা একা থাকি বলা তো যায় না কখন কি হয়। বিপদের তো আর হাত পা নাই। -হুম আমি দেখি। কিছুক্ষণ চুপ থেকে আফিয়া বললো, ও মা! তোমাদের জামাই নাকি আজ বিকালেই চলে যাবে। -কি বলছিস কি? এটা হবে না। এতদিন পর এসেছে ছেলেটা আর দুটা দিন না থেকে চলে যাবে। -মা আমার শশুরের হার্টে রিং বসাতে হবে সেটা নিয়ে নাকি হাসপাতালে কথা বলতে হবে ডাক্তারদের সাথে। -হুম বুঝছি কিন্তু আজ কোনভাবে যাওয়া হবে না যেতে হলে কাল সকালে তুই ওকে বলে দিস। আচ্ছা বলে আফিয়া দুকাপ চা নিয়ে রুমের দিকে গেলো। শাফী বিছানায় শুয়ে মাওলানা মুহাম্মদ আবদুর রহীমের সূরা ফাতিহার তাফসীরের বইটা পড়ছিলো। শুধুমাত্র সূরা ফাতিহার তাফসীরে যে মহামূল্যবান ব্যাখ্যাগুলো আছে শুধুমাত্র এই সূরার মর্মার্থ গুলো মানুষ অনুধাবন করতে পারলেই মানবজীবন পুরোটাই সার্থক হইতো। এই একটি সূরা পুরো কোরআনের ব্যাখ্যাটা অনুধাবন করাতে পারবে। শাফী বইটির অনেক গভীরে ঢুকে গেছে আফিয়া কখন এসে পাশে বসেছে ও টের পায়নি। আফিয়া আস্তে করে বইটা সরিয়ে নিলো। শাফীর মনোযোগ এবার আফিয়ার দিকে গেলো, তুৃমি কখন আসলে? -সেই অনেকক্ষন হলো। আপনি তো বই পড়ার মধ্যে ধ্যানমগ্ন হয়ে আছেন। -শাফী বললো, আরে চা এনেছো? দাও তো! -আফিয়া শাফীর হাতে কাপ দিয়ে বললো, জানেন আমার না মাঝে মাঝে খুব হিংসে হয়।

Comments

comments