কুরআনের আলো-হাদীসের আলো

সম্পদ বৃদ্ধির সহজ আমল

By mumin

February 16, 2018

ইস্তেগফারের২ মাধ্যমে রিজিক, বিপদ ও দুশ্চিন্তার সমাধান হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. বলেন, রাসুলুল্লাহ স. ইরশাদ করেছেন ঃ যে ব্যক্তি বেশি-বেশি ইসতেগফার করে আল্লাহ তার প্রত্যেক দুশ্চিন্তার সমাধান করেন, (২) তাকে প্রতিটি সংকীর্ণতা বা বিপদ-কষ্ট থেকে বের হওয়ার পথ করে দেন এবং (৩) ধারণাতীত উৎস থেকে তাকে রিজিক দান করেন।৩

রিজিক বা জীবনযাত্রা সংকীর্ণ হয়ে পড়লে হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন ঃ যদি তোমাদের কারো জীবনযাপনের ব্যাপারটি কঠিন হয়ে পড়ে তবে বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় এই কথা বলে দুআ করতে বাধা কোথায়Ñ (মূল আরবির উচ্চারণ:) “বিসমিল্লাহি আলা নাফসি ওয়া মালি ওয়া দিনি; আল্লাহুম্মা রদ্দি¦নি বি-কাদ্বায়িকা ওয়া বারিক লি ফি-মা কুদিরা লি হাত্তা লা- উহিব্বু তা’জিলা মা আখ্খারতা ওয়া তা’খিরা মা আজ্জালতা।” অর্থ: আল্লাহর নামে, আমার জীবন, সম্পদ ও দিন-এর ওপর। হে আল্লাহ, আপনি আমাকে আপনার সিদ্ধান্তের প্রতি সন্তুষ্ট করে দিন, আমার জন্য যা নির্ধারিত করা হয়েছে তাতে আপনি বরকত দান করুন যেন আপনার বিলম্বিত বিষয়কে আমি তাড়াতাড়ি পেতে পসন্দ না করি এবং আপনি যা তাড়াতাড়ি দিয়েছেন তা দেরিতে পেতে পসন্দ না করি।৪ সম্পদ বৃদ্ধি করতে চাইলে হজরত আবু সাইদ খুদরি রা. বলেন, রাসুলুল্লাহ স. ইরশাদ করেছেন ঃ যে ব্যক্তি তার সম্পদের বৃদ্ধি কামনা করে সে যেন এই কথা বলে দুআ করে, (মূল আরবির উচ্চারণ:) আল্লাহুম্মা সল্লি আলা মুহাম্মাদিন্ আবদিকা ওয়া রাসুলিক; ওয়া আলাল মু’মিনিনা ওয়াল মু’মিনাত; ওয়া আলাল মুসলিমিনা ওয়াল মুসলিমাত। অর্থ: হে আল্লাহ, আপনি সালাত (রহমাত) প্রেরণ করুন আপনার বান্দা ও রাসুল মুহাম্মাদ স.-এর ওপর এবং সমস্ত মুমিন ও মু’মিনার ওপর আর সমস্ত মুসলিম ও মুসলিমার ওপর।৫

১ ফিকহুস সুনানি ওয়াল আসার, ৩ খানা হাদিসের পৃ. নং যথাক্রমে ৩৭৮, ৩৮০ এবং ৩৮০ ২ ‘আসতাগফিরুল্লাহ’ বা ‘রব্বির্গ্ফি ওর্য়াহাম্’ অথবা, ‘আল্লাহুম্মাগফির লি’ ইত্যাদি যে কোন বাক্যের মাধ্যমে সর্বশক্তিমান আল্লাহর কাছে আন্তরিকভাবে গুনাহ মাফ চাওয়াকে ইসতিগফার বলে। ৩ ইমাম হাকেম সহিহ সনদে হাদিসখানা বর্ণনা করেছেন; সূত্র: আত-তারগিব ওয়াত তারহিব, ১/২৯৫ ৪ ইবনুস সুন্নি, ফি আমালিল ইয়াওমি ওয়াল লাইলাতি, পৃ. ৯৫; ইমাম নবভি, কিতাবুল আজকার, পৃ. ৬২ ৫ মুসনাদে আবু ইয়া’লার বরাতে আল-হিসনুল হাসিন, পৃ. ১৬৪।

Comments

comments