সম্পাদকীয়

পৃথিবী যখন অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল, মানবতার আর্তনাদে কাঁপছিল তামাম জাহান, একজন মহামানবের প্রতীক্ষায় প্রহর গুণছিল ধুলির ধরণী, ঠিক তখনই রহমতের সওদা লয়ে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরবের মক্কা নগরীতে মা আমিনার কুটিরে আগমন করলেন। নবীজির আগমনে অন্ধকার দূরীভূত হলো, আলোর প্লাবনে হেসে উঠলো পৃথিবী, ফুলেরা সৌরভ ছড়ালো, সজীবতা ফিরে পেল প্রকৃতি। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পবিত্র পরশে তৎকালিন মক্কার সবচেয়ে দুর্ধর্ষ ও অশান্ত জাতিগোষ্ঠী সোনার মানুষে পরিণত হল। মজলুম মানুষেরা ফিরে পেল অধিকার, মুক্তির আনন্দে উদ্বেলিত হলো ভূমণ্ডল।
রবিউল আউয়াল আসলে মুমিনের প্রাণে প্রাণে রাসুলপ্রেমের তরঙ দোলে। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুমহান আদর্শ আমাদের জীবনে বাস্তবায়ন করতে এপবিত্র মাহিনা আমাদের জানান নেয়। নবীজির প্রেমসিন্ধুতে সিনান করতে পারলেই মুমিন জীবনের সফলতা। কারণ প্রিয়নবীর মহব্বতে অন্তরাত্মা পরিপূর্ণ না হলে প্রকৃত মুমিন হওয়া যায় না।
বিশ্বের দিকে দিকে আজ মুসলমানরা কাফির জালিমদের হাতে নির্যাতিত নীপিড়িত। মুসলমানের খুনের সাগরে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বেদ্বীন জালিমরা। আমরা প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ইশকের শরাবান তহুরা পান করে তাঁর সুমহান আদর্শে উজ্জীবিত হলেই আবার আমাদের হারানো হৃত গৌরব ফিরে পাব। বিশ্বের সকল মুসলমানরা নবীপ্রেমে তাদের জীবন উৎসর্গ করুক, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

Comments

comments

About