রঙ্-বাহারি

সাধারণ জ্ঞান

০১। সিলেট শহর বিভাগের মর্যাদা লাভ করে কত সালে?
উত্তর : ১৯৯৫ সালের ১ আগস্ট
০২। ‘শিলে হট্’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : পাথর সরে যা।
০৩। ‘সুনামগঞ্জ’ নামমরণ হয় কার নামানুসারে?
উত্তর : মোঘল সৈনিক সুনামদি এর।
০৪। সুনামগঞ্জের প্রথম হাইস্কুল কোনটি? কতসালে প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তর : সরকারী জুবিলী হাইস্কুল, ১৮৮৭ সালে।
০৫। জাতীয় পর্যায়ের কোন প্রচ্ছদশিল্পী সুনামগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর : ধ্র“ব এষ।
০৬। সিলেট বিভাগে মোট উপজেলা কয়টি?
উত্তর : ৪০টি।
০৭। ভাষা আন্দোলনের কোন নারী সংগঠন সুনামগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর : সৈয়দ শাহার বানু।
০৮। হযরত শাহ কামাল কোহাফাহ রহ.-এর মাজার কোথায় অবস্থিত?
উত্তর : জগন্নাথপুরের শাহারপাড়ায়।
০৯। সিলেট বিভাগের কোন জেলায় মহাসড়ক নেই?
উত্তর : সুনামগঞ্জ।
১০। সিলেটের কোন কোন জেলায় চা উৎপাদিত হয়?
উত্তর : সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ।
১১। সিলেট বিভাগের স্বতন্ত্র ভাষার নাম কি?
উত্তর : নাগরী ভাষা।
১২। বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ হাওর কোনটি?
উত্তর : হাকালুকি।
১৩। সুরমা নদীর উৎপত্তি কোন নদী থেকে?
উত্তর : বরাক নদী।
১৪। পিয়াইন নদী সুনামগঞ্জের কোথায় অবস্থিত?
উত্তর : ছাতক উপজেলায়।
১৫। বাংলাদেশের প্রথম সিমেন্ট কারখানা ‘ছাতক সিমেন্ট ফ্যাক্টরি’ কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তর : ১৯৪০ সালে।
১৬। সুনামগঞ্জ জেলা গঠিত হয় কত সালে?
উত্তর : ১৯৮৪ সালে।

ইন্ডিয়ান গুগল বয়
ছেলেটার নাম কৌটিল্য পণ্ডিত। গল্পটা শুরু পাঁচ বছরের আগ থেকেই। এক টিভি প্রোগ্রামে তাকে প্রধান আকর্ষণ করা হল। উপস্থাপক একে একে প্রশ্ন করে ভারত সম্পর্কে। অনর্গল বলে যায় সে তথ্যগুলো। উপস্থাপক এবার প্রশ্ন করে বাংলাদেশ সম্পর্কে। এগুলোও তার মুখস্ত। একে একে প্রশ্নের পরিধি এশিয়া ছাড়িয়ে আফ্রিকা, ইউরোপ, আমেরিকা নিয়েও হয়। কিন্তু অবাক বিষয় ছেলেটাকে আটকানো যায় না। যেন গুগলে সার্চ দেয়া হচ্ছে, আর গুগল তা সেকেন্ডেই খুঁজে বের করে দিচ্ছে। এরপর প্রশ্ন সাত মহাদেশ, পাঁচ মহাসমুদ্র সহ বিশ্বের বিস্ময়কর বিভিন্ন কিছু নিয়ে। সে উত্তর দিয়েই যাচ্ছে।
কীভাবে এতো কিছু জানলো? তার বাবা বলেন কথা বলা শিখার পর থেকেই তার প্রত্যেক বিষয়েই কোথায়, কখন, কেন, কে, কিভাবে জানার আগ্রহ ছিল প্রবল। আমাদের পরিবারের কেউই তার এই জানার আগ্রহকে দমানোর চেষ্টা করিনি। সে যা জানতে চেয়েছে তাই আমরা জানিয়েছি।
তুমি এত্তোসব কোথা থেকে শিখলে? কৌটিল্য বলছে, আমার বাবা, মা, ভাই, বোন ও দাদার কাছ থেকে। তার দাদা অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক। এই বিস্ময়কর বালককে গড়ে তোলার পেছনে এই স্কুল শিক্ষকের ভুমিকাই সবচেয়ে বেশি।

ব্যাক্তিত্ব বিকাশে কয়েকটি কৌশল
সাবলীল দক্ষতা এবং চরিত্রের বিকাশের ক্ষেত্রে সম্ভাবনাগুলো সবসময়েই অসীম। আপনি যদি নিজের মধ্যকার গুণগুলো সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারেন, তাহলে যেমন নতুন কোনো বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন, সাথে শিখতেও পারবেন অনেককিছু। ব্যক্তিত্বের বিকাশ আপনার ব্যক্তিজীবন এবং কর্মজীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সাহায্য করবে। প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী অনেকে বিশ্বাস করে যে, প্রতিটি মানুষের স্বভাব-চরিত্র স্থায়ী এবং সেটা কোনোভাবেই বদলানো সম্ভব না। তবে এই কথাটি পুরোপুরি সত্য না। ব্যক্তিত্ব হচ্ছে আচার-আচরণ ও চিন্তাভাবনার একটি অনন্য মিশ্রণ। দৃঢ়ভাবে চেষ্টা করলে নিজের স্বভাব এবং চিন্তাভাবনার উন্নতি সাধন করা সম্ভব।

কৌতুক
স্বামীর মৃত্যুর কয়দিন পরেই এক মহিলা তার দেবরকে বিয়ে করে ফেললেন। তার বান্ধবীদের অনেকেই ব্যাপারটা জেনে মনঃক্ষুন্ন হলো। একদিন মহিলার বাড়িতে বাড়িতে এসে তার বান্ধবীরা লক্ষ করল, শোবার ঘরের দেওয়ালে তার মৃত স্বামীর বিশাল একটা ছবি টানানো।
সবাই খুব খুশি হলো ছবি দেখে। এদের মধ্যে একজন মহিলার স্বামীকে চিনত না। ছবি দেখে তাই সে জানতে চাইল, ছবিটা কার? মহিলা বললেন, আমার ভাশুরের। কয়েকদিন আগে মারা গেছেন!

শিক্ষণীয় ঘটনা
ফোরাত নদীর তীরে একদা এক বৃদ্ধ লোক খুব দ্রুত অযু করলেন। এত দ্রুত অযু করলেন যে, তার অযুই হল না। অতঃপর পূর্বের মত তাড়াহুড়া করেই নামাজ আদায় করলেন। যার দরুণ তার নামাযে ‘খুসু’, ‘খুযু’ কিছুই উপস্থিত ছিলনা।
বৃদ্ধের এ অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছিলেন নবী দুলাল হযরত হাসান ও হোসাইন রা. কিন্তু তারা উভয়েই অস্থির হয়ে ভাবছিলেন যে, এ বৃদ্ধ লোকের ভুলগুলো কিভাবে শুধরে দেয়া যায়! কোন বেয়াদবি হয়ে যায় কিনা! তখন তারা খুব চমৎকার বিনয়ীর পন্থা অবলম্বন করলেন।
যখন বৃদ্ধ লোকটির নামাজ শেষ হল তখন তারা বিনয়ের সুরে তাকে বললেন জনাব! আপনি আমাদেরকে একটু সময় দিবেন। বৃদ্ধ সম্মতি প্রকাশ করলে তারা বলল যে- আমরা ওযু করব এবং নামায আদায় করব। আপনি দয়া করে আমাদের ভুলগুলো শুধরিয়ে দেবেন।
অতপর ইমাম হাসান ও হোসাইন রা. উভয়েই সুন্নত তরিকায় এতমিনানের সাথে অজু করলেন এবং দু’রাকাত নামায আদায় করলেন। তাদের নামাযটি ছিল স্বয়ং রাসুলুল্লাহর নামাযের মত ‘খুসু’, ‘খুযুু’ সম্পন্ন।
বৃদ্ধ লোকটি তখন নিজের ভুলগুলো বুঝতে পারলেন এবং তাদেরকে ধন্যবাদ জানালেন। বড়দের ভুল ধরার কত সুন্দর, চমৎকার বিনয়ি পদ্ধতি। সুবহান আল্লাহ, এ জন্যই তাদের এত মর্যাদা।

জোঁক থেকে দূরে থাকুন
অনেকে জোঁকের ভয়ে পাহাড়ে বনে বাদাড়ে যেতে চান না। ভালো কোনো স্থানে বেড়াতে যান না জোঁকের ভয়ে তাদের জন্য কিছু টিপস দিলাম…
১. পানিতে তামাক ভিজিয়ে রেখে সেই পানিতে জামা কাপড়, মোজা ভিজিয়ে রেখে পরে শুকিয়ে নিয়ে পরলে জোঁক উঠবে না। তামাকে যে বিষাক্ত দ্রব্য আছে, সেটার জন্যই জোঁকের মতো প্রানী দূরে চলে যায়। অনেক দেশে বনে বাদাড়ে যারা ঘুরে বেড়ায় ও বাস করে, এটা তাদের পদ্ধতি।
২. ডেটল : ২য় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে জাপানী যোদ্ধারা নাকি জংগলে জোঁকের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সারা শরীরে ডেটল মেখে নিতো। ডেটলের তীব্র গন্ধে জোঁক কাছে ভীড়ে না। তবে বনেজংগলে বুনো প্রানী দেখতে গেলে ব্যবহার না করাই ভালো, কারণ ডেটলের তীব্র গন্ধে বুনোপ্রানীরা দৌড়ে পালাবে।
৩. পোঁকা মাকড় দূরে রাখার ¯েপ্র (ওহংবপঃ ৎবঢ়বষষবহঃ ংঢ়ৎধু)। অবশ্যই সে ¯েপ্র তে উঊঊঞ কেমিক্যালটা থাকতে হবে। এই ¯েপ্র মাখলে সাধারনত মশা বা পোকামাকড় দূরে থাকে, তবে জোঁকের হাত থেকেও নাকি রক্ষা পাওয়া যায়। একবার মাখলে ৬-১০ ঘন্টা কাজ করে, কিন্তু নির্ভর করে উঊঊঞ এর পরিমানের উপর। ¯েপ্রতে ৫০% উঊঊঞ মিশ্রন থাকলে আনুমানিক ৮ ঘন্টা কাজ করে।
আমার পদ্ধতি হলো শরীরে একটু বেশি করে নারিকেল তেল দিলেও জোঁক ধরার চান্স কম থাকে।
আবারা ওডোমসের গন্ধ ভালো কাজ করে।

নিচের কৌশলগুলো অনুসরণ করে আপনি আপনার ব্যক্তিত্বের উন্নতি সাধন করতে পারেন
১) জানার পরিধি বাড়িয়ে তুলুন:
ব্যক্তিত্বের সাথে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে আগ্রহের দিকগুলো বিস্তৃত করুন। এটি আপনার মনকে সতেজ রাখবে এবং নতুন নতুন বিষয়ে জ্ঞানের পরিধি বাড়াবে। এছাড়াও অন্যদের কাছে আপনি আরো আকর্ষণীয় হয়ে উঠবেন কারণ তারা তখন আপনার কাছ থেকে নতুন কিছু জানার সুযোগ পাবে। এর মাধ্যমে যেমন আপনার আত্মবিশ্বাস কয়েকগুণে বেড়ে যাবে, তেমনি নিজের আগ্রহের বিষয়ে অন্যদের সাথে কথা বলার সুযোগটাও পেয়ে যাবেন। এ ক্ষেত্রে সৃজনশীলতাকে কাজে লাগাতে পারেন এবং নিজের চিন্তাভাবনাকে চার দেয়ালের মাঝে আটকে না রেখে আরো বৈচিত্র্যময় করে তুলতে পারেন। অভিজ্ঞতা বাড়াতে বিভিন্ন সৃষ্টিশীল সংগঠন অথবা প্রজেক্টের সাথে যুক্ত হতে পারলেই জানার পরিধি আস্তে আস্তে বাড়বে। (চলবে)

Comments

comments

About

Check Also

রঙ্-বাহারি

২০১৯ শেষে… বহু ঘটন-অঘটনে কাটলো ২০১৯ সাল। দীর্ঘ কয়েক দশক দশক পর জাতি দেখলো ‘ডাকসু’ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *