রঙ্-বাহারি

সাধারণ জ্ঞান

১। মহানবী সাঃ এর ইন্তেকালের সময় কতজন সাহাবী কুরআনে হাফিজ ছিলেন?
উঃ ২২ জন।
২। পবিত্র কুরআন শরীফে কয়টি সুরা নবীদের নামানুসারে নামকরণ করা হয়েছে?
উঃ ছয়টি সূরাহ।
৩। সর্বপ্রথম কুরআনের আয়াত গণনা করেন কে??
উঃ উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা রাঃ
৪। পবিত্র কুরআনের সর্বপ্রথম পূর্ণাঙ্গ অনুবাদ প্রকাশিত হয় কোন ভাষায়?
উঃ ল্যাতিন ভাষায়।
৫। পবিত্র কুরআনের সর্বপ্রথম বঙ্গানুবাদ করেন কে?
উঃ মাওঃ আমুরুদ্দীন বসুনিয়া (আংশিক), মৌলভী নাঈমুদ্দীন (পূর্ণাঙ্গ)
৬। পবিত্র কুরআন শরীফ সর্বপ্রথম ইংরেজি ভাষায় অনুবাদ করেন কে?
উঃ আলেকজান্ডার বস (১৬৪৮)
৭। পবিত্র কুরআনের তাফসীর করতে হলে কয়টি বিষয়ে জ্ঞান থাকা আবশ্যক?
উঃ ১৫টি। এসব বিষযে জ্ঞান ছাড়া কেউ তাফসীর করলে তা “মনগড়া তাফসীর” বলে বিবেচিত হবে।
৮। বাংলাদেশে পবিত্র কুরআনের সহী পঠন প্রথম কে চালু করেনন?
উঃ আল্লামা আব্দুল লতীফ চৌধুরী ফুলতলী রহ.
৯। ফুলতলী চাহেব কিবলার মক্কা শরীফের উস্তাদের নাম কী?
উঃ শায়খ আহমদ হেজাযী রহ.
১০। দক্ষিণ এশিয়ার দীর্ঘতম সেতুর নাম কী?
উঃ ঢোলা-সাদিয়া সেতু (ভারত)
১১। বর্তমানে বাংলাদেশে উপজেলার সংখ্যা কত?
উঃ ৪৯৩ টি
১২। ফ্রান্সের বর্তমান প্রেসিডেন্ট কে?
উঃ ইমানুয়েল ম্যাখঁ
১৩। বাংলাদেশের প্রথম বাজেট পেশ করেন?
উঃ তাজউদ্দিন আহমদ
১৪। নেপাল, ভারত, চীন ও বাং লাদেশের মধ্যে প্রবাহিত নদীর নাম?
উঃ গঙ্গা
১৫। বিশ্ব পরিবেশ দিবস কবে?
উঃ ৫ জুন।

বিস্ময় তথ্য!
১. ফুটবল খেলা দৌড়বিদদের খেলা বললে মনে হয় ভুল হবে না, কারণ ফুটবল খেলায় একজন খেলোয়াড় কতখানি দৌড়ায় জানেন? নব্বই মিনিটের প্রতি খেলায় সাধারণত ৭ মাইল। আর বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতি সম্পন্ন ফুটবলার গ্যারেথ বেল দৌড়ায় তার চেয়ে গতিতে!

২. বর্তমান সময়ের শিশুরা কচ্ছপের নাম শুনেছে কিন্তু তা দেখে নাই শিশুর সংখ্যা শতকরা প্রায় ৯০ জন। দেখবেই বা কি করে, একেতো বেশিরভাগ প্রাণী বিলুপ্তপ্রায়, তার মাঝে সামুদ্রিক কচ্ছপ ছানার মাত্র একটি ছানা জন্মের পর টিকে থাকতে পারে।

এক নজরে বদরযুদ্ধ
পরিচয়: বদর ইসলামের প্রথম সশস্ত্র যুদ্ধ
তারিখ: ১৭ রামাদান, ২ হিজরী, ১৩ মার্চ, ৬২৪ ঈসায়ী, শুক্রবার।
স্থান: মদীনা শরীফ থেকে ৮০ মাইল বা ১৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে, বদর নামক কূপের নিকটবর্তী উপত্যকা।
মুসলিম নেতৃত্ব: মুহাম্মাদুর রাসুলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
সামরিক শক্তি: সৈন্য ৩১৩ জন (মুহাজির ৯১ ও আনসার ২২২ জন), ঘোড়া ২টি ও উট ৭০ টি।
প্রথম শহীদ: হযরত মাহজা সালিহ রাদিয়াল্লাহু আনহু
শহীদ: ১৪ জন। ৬ জন মুহাজির ও ৮ জন আনসার।
কাফিরদের নেতৃত্ব: আবু জাহল, উতবা বিন রাবিআহ ও উমাইয়া বিন খালফ (তিন জনই নিহত হয়)।
সামরিক শক্তি: সৈন্য ১০০০ জন, ঘোড়া ২০০ টি ও উট ১০০ টি
নিহত: ৭০ জন
বন্দি: ৭০ জন। (পরবর্তীতে ১৬ জন ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন)।

*হযরত আখনাস বিন হাবীব রাদিয়াল্লাহু আনহু একমাত্র সাহাবী যাঁর তিন প্রজন্ম বদরী সাহাবী।
ইসলামের তৃতীয় খলিফা উসমান রাঃ তাঁর সহধর্মিনী ও রাসুল সা. এর কন্যা রুকাইয়্যা রাঃ অসুস্থ থাকায় রাসুল সাঃ তাঁকে মদিনায় রেখে যান।
নির্ভরযোগ্য তথ্যমতে বদরী সাহাবীদের মধ্যে সর্বশেষ ওফাতপ্রাপ্ত সাহাবী হলেন হযরত আনাস বিন মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু (৯৫ হিজরীতে)।

গ্রাম-গঞ্জে ঈদ আনন্দ
ঈদ মুসলমানদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব। বছরে দুটি ঈদ খুশির বার্তা নিয়ে হাজির হয় আমাদের সামনে। আমাদের দরজায় কড়া নাড়ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। মহাসমারোহে চলছে ঈদ পালনের আয়োজন। আসুন এর ফাকে আমরাও জেনে নেই পবিত্র ঈদ সম্পর্কে কিছু স্মৃতিকথা।
আমার ছেলেবেলা কেটেছে গ্রামে, এখনো তাই। মা-বাবার সাথে গ্রামেই কাটে ঈদের সময়টুকু।
গ্রামে ঈদ আনন্দ সত্যই ভিন্ন রকমের।
সকালে কে কার আগে ঘুম থেকে ওঠে পুকুর ঘাটে গোসল করতে যাবে এর আয়োজন চলে রাত থেকেই। সকালবেলা অনেকটা ভোরের আকাশ ফর্সা হওয়ার আগেই পুকুর ঘাটে শিশুদের সাথে পাল্লা দিয়ে জোয়ান-বুড়োদেরও চলে সমান তালে গোসলের প্রতিযোগিতা। পুকুর ঘাটগুলো হয়ে ওঠে ছোটখাটো বিনোদন কেন্দ্রের মতো।
গোসল সেরে সবার মধ্যে শুরু হয় নতুন কাপড় পরার প্রতিযোগিতা।
আমার দেখা অনন্য একটি বিষয় হলো, ফযরের নামাজ ও গোসল শেষে পরিবারের সকল একসাথে বসে কুরআন শরীফ পড়া। যা আমাদের পরিবারেও বিদ্যমান।
সকলে একসাথে মিলে ঈদগাহ যাওয়ার দৃশ্য আরো মধুর। ঈদুল ফিতরে জামাত পরবর্তি কোলাকোলি-কুশল বিনিময়ের সময় বেশি পাওয়া যায়।
আমাদের সময়ে সকল শিশুরা একসাথে মিলে গ্রামের প্রত্যেক ঘরে ঘরে গিয়ে সালাম করতাম, যা এখন অনেকটা ফিকে হয়ে গেছে।
আর প্রত্যেক আত্মীয়ের বাড়িতে অবশ্যই যেতে হবেই এটা গুরুজনদের আদেশ। হাতে বানানো বিভিন্ন মুখরোচক মিষ্টি খাবার তো আছেই। যদিও ঈদের দিনের স্পেশাল নাস্তা সেমাই। কিন্তু গ্রামগঞ্জে তার চেয়ে হাতে বানানো বিভিন্ন মিষ্টি জাতীয় পিঠাগুলোই আকর্ষণীয়।
গ্রামগঞ্জের ঈদ আনন্দ সংক্ষিপ্তকারে লিখে শেষ করার মত বিষয় নয়, শুধু একটা কথাই বলা যায় যতই সমাজ ব্যবস্থা উন্নত হোক গ্রামগঞ্জের ঈদ উৎসব সম্পূর্ণ আলাদা ও আনন্দদায়ক।

শিক্ষণীয় গল্প…
ইমাম আযম আবু হানীফা রহ. এর প্রতিবেশীর একটি ময়ূর পাখি চুরি হয়ে গেল, প্রতিবেশী ভদ্রলোক তাকে এ বিষয়ে অবগত করলো। ইমাম সাহেব ঐ ভদ্রলোককে বললেন : তুমি নিশ্চুপ থাকো। অতঃপর মসজিদে গমন করলেন এবং যখন সব লোকজন সমবেত হয়ে গেল তখন তিনি বললেন : ঐ ব্যক্তির কি লজ্জাবোধ হয় না? যে তার প্রতিবেশীর ময়ূর চুরি করে আবার মসজিদে এসে নামাযও পড়ছে অথচ তার মাথায় ময়ূরের পালকের নিদর্শন রয়েছে, তৎক্ষণাৎ এক ব্যক্তি তার মাথা মুছলো। ইমাম সাহেব তখন তাকে বললেন : এই মিয়া তুমি তার ময়ূরটি ফেরত দিয়ে দাও। অতঃপর সে তার ময়ূর পাখিটি ফেরত দিয়ে দিল। (সুবহানাল্লাহ)
শিক্ষা : সৎ কৌশলে অনেক মিথ্যাকে পরাভূত করা সম্ভব।

কৌতুক…
পরীক্ষার রেজাল্ট বের হয়েছে। এ নিয়ে বাবা ছেলের মধ্যে কথোপকথন-
বাবা : কী রে, তোর না আজকে রেজাল্ট দেওয়ার কথা?
ছেলে : জি, বাবা দিছে তো!
বাবা : তা কী পাইছিস?
ছেলে : বাবা, এচ ৫ পাইছি!
বাবা : মানে?
ছেলে : G=golla, P=paichi, A=ami, subject-G

Comments

comments

About

Check Also

রঙ্-বাহারি

২০১৯ শেষে… বহু ঘটন-অঘটনে কাটলো ২০১৯ সাল। দীর্ঘ কয়েক দশক দশক পর জাতি দেখলো ‘ডাকসু’ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *