রঙ্-বাহারি

মূল্যবান কথা
আল্লাহর দরবারে প্রতিদিন হাজিরা দেওয়ার চেষ্টা করিও। যদি তা না পার তবে অন্ততঃ সপ্তাহে একবার। এও যদি না পর, তবে অন্ততঃ মাসে একবার, অন্ততপক্ষে বছরে একবার। যদিও তুমি তাও না করতে পার, তবে জীবনে একবার হলেও একান্ত নীরবে তাঁর সান্নিধ্যে এসে তাঁর রহমতের অপরুপ লীলা-খেলা দেখে যাও।
হযরত বড়পীর (রহ.)

জ্ঞানভাণ্ডার
১. ইসলামের জন্য প্রথম তীর নিক্ষেপ করেন কে?
—হযরত সা’দ ইবনে আবি ওয়াক্কাস রা:
২. সিহাহ সিত্তাহর কোন ইমামের নামে তাফসির গ্রন্থ রয়েছে?
—ইবনে মাজাহ
৩. মুজাদ্দিদে আলফে সানী রহঃ কোন খলিফার বংশের লোক ছিলেন?
—হযরত ওমর রাঃ
৩. আহমদ আলী সাহরানপুরী রহঃ প্রতিষ্ঠিত ছাপাখানার নাম কী ছিল?
—মাতবায়ে আহমদী।
৪. বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ স্থায়ী ছিল কতক্ষণ?
—১৮ মিনিট
৫. নীলনদ প্রবাহিত হয়েছে কতটি দেশের মধ্য দিয়ে?
—১০ টি।
৬. বাংলাদেশ ক্রিকেট দল শততম টেস্ট ম্যাচ খেলতে মাঠে নামে কোনদিন?
—১৫ মার্চ ২০১৭
৭. কাজী নজরুল ইসলাম বাকশক্তি হারিয়েছিলেন কত বছর বয়সে?
—৪৩ বছর।
৮. ঐঞঞচ এর পূর্ণরূপ কী?
—ঐুঢ়বৎ ঞবীঃ ঞৎধহংভবৎ চৎড়ঃড়পড়ষ.
৯. প্রতিবন্ধী দিবস কবে?
–৫ এপ্রিল।
১০. ১৮ এপ্রিল কোন দিবস?
—বিশ্ব ঐতিহ্য দিবস
১১. বিশ্ব পুস্তক ও কপিরাইট দিবস…?
— ২৩ এপ্রিল

বুক রিভিউ
“প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ”
গত ১২ ফেব্রুয়ারী জাতীয বই মেলায় নবীন লেখক ‘আরিফ আজাদ’ লিখিত “প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ” বইটি বের হওয়ার সপ্তাহান্তেই(২২ ফেব্রুয়ারী) যখন এর দ্বিতীয় সংস্করণ বের হয় তখন হইচই পড়ে যায় বাংলা সাহিত্যাঙ্গনে। নবীন এই লেখক কি এমনটা লিখেছেন, এতে আছেই বা কি?
সাইবার এক্টিভিস্ট আরিফ আজাদ লিখিত বইটি মুলত গল্পগ্রন্থ হলেও বইতে উল্লিখিত বক্তব্যগুলো শতভাগ সত্য ও তথ্যপূর্ণ। বিশ্বাসের সুদৃঢ় প্রাচীরকে যুক্তির প্যাঁচে ফেলে প্রিয় ধর্ম ইসলামকে কটাক্ষকারী নাস্তিকদের দাঁত ভাঙ্গা জবাব দিতে লেখক সাজিদ নামে একটি চরিত্র সৃষ্টি করেছেন। ভার্সিটি পড়ুয়া সাজিদ বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্ন স্থানে নাস্তিক শিক্ষক ও সহপাঠীর উদ্দেশ্য প্রণোদিত যুক্তিগুলোর জবাব দেয় খুব সুন্দরভাবে ও সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে।
২৬০ টাকা মূল্যের বইটি প্রকাশ করেছে গার্ডিয়ান প্রকাশনী। বইটি না পড়ে থাকলে এখনই পড়ে নিন, তাহলে আপনিও দিতে পারবেন ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিকগুলোর ভিত্তিহীন যুক্তির তথ্যপুর্ণ জবাব।

স্বাস্থ্যকথা
* বন্ধ নাক পরিস্কার বা সাইনাসের চাপ থেকে মুক্তি পেতে মুখের তালুতে জিহ্বা চেপে ধরুন। এরপর দুই ভ্রুর মাঝখানে ২০ সেকেন্ড চেপে ধরুন। এভাবে কয়েকবার করুন দেখুন কি হয়।
* দাত ব্যাথা? এক টুকরো বরফ হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল তর্জনীর মাঝামাঝি জায়গার উপর তালুতে ঘষুন। দেখুনতো ব্যথ্যা কমলো কি না?
বিস্ময়কর
১. হ্যান্ডশেক ভদ্র সমাজের একটি ফ্যাশন। যে কারো সাথে দেখা হলে হ্যান্ডশেকটাই করা হয় আগে। ইসলামের দৃষ্টিতে যাকে মুসাফাহা বলা হয়। প্রাণী জগতে শুধু কি মানুষই হ্যান্ডশেক করে? জ্বি না, শিম্পাঞ্জিও হ্যান্ডশেক করতে ওস্তাদ!
১. নিজের নামকে সবার উপরে দেখতে চায় প্রতিটি মানুষই। চায় সবখানে ছড়িয়ে পড়ুক তার নাম। সবার মুখে মুখে উচ্চারিত হোক তার নাম; আবার সে মানুষ নিজেই তার নাম নিজ মুখে উচ্চারণ করে সবচেয়ে কম।

পরামর্শ
জীবনে বড় হওয়ার স্বপ্ন সবারই। বড় চাকরী করবে, বড় বাসা করবে, সমাজে বড় স্থান দখল করবে ইত্যাদি ইত্যাদি।
এজন্য প্রয়োজন উপযুক্ত শিক্ষা ও চরিত্র।

কৌতুক
“দাঁতে খুব ব্যথা”
(৪৮) তানভীরের দাঁতে খুব ব্যথা। ডাক্তারের কাছে গেলে ডাক্তার বললেন, দাঁত তুলতে হবে। শুনে তো ভয়েই তানভীরের আত্মারাম খাঁচা ছাড়া হওয়ার যোগাড়। ও আবার এইসব অপারেশন খুব ভয় পায়।
সব শুনে ডাক্তার বললেন, তাহলে আপনি এই ওষুধটা খেয়ে নিন, দেখবেন দাঁত তুলতে একদম ব্যথা পাবেন না। আর সাহসও যাবে বেড়ে। শুনে তানভীরও খুব করে ওষুধটা খেয়ে নিলো। এবার ডাক্তার জিজ্ঞেস করলো, কি, এখন সাহস পাচ্ছেন তো?
– পাচ্ছি না মানে! এবার দেখি, কার এমন বুকের পাটা যে আমার দাঁত তুলতে আসে!

শিক্ষণীয় গল্প
খলিফা আব্দুল মালেক ইবনে হিশাম একদা একটি মনোরম স্থানে গিয়ে মুগ্ধ দৃষ্টিতে চারদিকে দেখতে লাগলেন। সবুজের সমারোহ, পুষ্পপল্লবে শোভিত দৃশ্যপট, পাখির কলকাকলী, উচুঁনিচু মনোরম ভূমি এবং ঝরণার কলকল ধ্বনি আহ কি সুন্দর! তা দেখে তাঁর মোহ বেড়ে গেল। একটি উঁচু টিলার উপর দাড়িয়ে তিনি নিজে নিজে বলতে লাগলেন, আহ কত ভাগ্যবান আমি! এমন একটি মনোরম স্থান আমার মালিকানাধীন!
খলিফা এই দাম্ভিকতাময় উক্তি শুনে এক বয়োবৃদ্ধ বলতে লাগলেন, জাঁহাপনা! আপনি তো মাত্র আজই এ স্থানটি দেখলেন। অথচ হাজার বছর ধরে এই মনোরম স্থানটি এখানেই আছে এবং আপনার পূর্বেও অগণিত লোককে মুগ্ধ করেছে এর অপরুপ সৌন্দর্য্য। আর খুব শীঘ্রই আপনার অন্য কোন উত্তরাধিকারীকে এই স্থান মুগ্ধ করবে।
উপদেশ : দুনিয়ায় প্রাপ্ত নাজ-নিয়ামত পেয়ে খুশি হয়ে লাভ নেই, কেননা তা ক্ষণস্থায়ী।

Comments

comments

About

Check Also

রঙ্-বাহারি

২০১৯ শেষে… বহু ঘটন-অঘটনে কাটলো ২০১৯ সাল। দীর্ঘ কয়েক দশক দশক পর জাতি দেখলো ‘ডাকসু’ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *